প্রতিনিধি, উদয়পুর :- রাজ্য সরকারের শিক্ষক কর্মচারী ও পেনশনারদের জন্য পাঁচ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করায় ভারতীয় মজদুর সংঘ গোমতী জেলার পক্ষ থেকে শিক্ষক কর্মচারী ও পেনশনারদের নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী সমেত সমগ্র মন্ত্রিসভাকে অভিনন্দন জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যার রাতে উদয়পুর জামতলা থেকে এক মহা মিছিল সংঘটিত হয় । এই মিছিলে ভারতীয় মজদুর সংঘের জেলা সভাপতি গৌতম দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা অংশ নেন। এইদিনের মিছিলটি উদয়পুর শহরের নানা পথ পরিক্রমা করে । মিছিলটি পরবর্তী সময় এসে শেষ হয় জামতলা টাউন হলের সামনে । মিছিল শেষে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন , গত ২০১৮ সাল থেকে কর্মচারীরা কখনো তাদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ময়দানে নামতে হয়নি। সরকার যথাসম্ভব ভাবে চেষ্টা করছে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই ৩০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারীদের কে । কিন্তু তৎকালীন বাম সরকারের আমলে কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার জন্য শহরজুড়ে মিছিল করতে হতো। তারপরেও কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে মহার্ঘ ভাতার যে ফারাক রয়েছে তা কখনো পূরণ করতে পারেনি বামেরা। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ফারাক থাকা সে মহার্ঘ ভাতা আগামী দিনে সম্পূর্ণভাবে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। এদিনের মিছিল থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানান ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলার পক্ষ থেকে শিক্ষক কর্মচারীও পেনশনার্সরা । রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মীরা এদিন যেভাবে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা তাতে করে একপ্রকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মচারীর সংগঠনের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সমর্থনকারী বিভিন্ন কর্মচারীরা এক প্রকার চাপে পড়ে যায় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি মোহনপুর:- বিজেপির দ্বিতীয় পর্যায়ে সদস্যতা পদ অভিযানে বামুটিয়ার লক্ষ্মী লোঙ্গা চা বাগানে অংশ নিলেন রাজ্য প্রভারই ডঃ রাজদীপ রায়। বুধবার বিকেলে দলীয় নেতৃত্বদের সাথে চা বাগানের শ্রমিকদের সদস্যতা পদ অভিযানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন তিনি।।
দ্বিতীয় ধাপে বিজেপির সভ্যপদ অভিযান জারি রয়েছে গোটা রাজ্যে। বুধবার লক্ষ্মীলোঙ্গা চা বাগানের শ্রমিকদের দলের সভ্য পদ প্রদান করা হয়েছে। এদিন রাজ্য প্রভারি ডঃ রাজদীপ রায় জানান গোটা রাজ্যে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে মানুষ বিজেপির সদস্যতা গ্রহণে এগিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দল কাজ করছে তা অচিরেই পুরন হয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। কিন্তু সমস্ত মানুষের কাছে মোবাইল ফোন না থাকার কারণে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও সভ্য পদ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডক্টর রাজদীপ রায়। এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামুটিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, টিটিডিসির চেয়ারম্যান সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী মহাবিদ্যালয় রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবীন বরণ উৎসব নবীন বিদ্যার্থীদের কাছে অন্যতম অনুপ্রেরণা।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী তথা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সুধাংশু দাস,রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর পিনাকী পাল,অধ্যাপক তথা বিদ্যার্থী বরণ উৎসবের কনভেনার ডক্টর তরুন কুমার সিনহা,আইনজীবী তথা সমাজসেবক সন্দীপ দেবরায়,সমাজসেবক সঞ্জীৎ সাহা,কলেজের প্রাক্তন ছাত্র অনুপ মজুমদার,স্টুডেন্ট কনভেনার আয়ুষ দেব সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। স্বামী বিবেকানন্দ ও বিদ্যা দেবী সরস্বতীর ছবিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আজকের নবীন বিদ্যার্থী বরণ উৎসবের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক তরুন কুমার সিনহা।কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে নবীন বিদ্যার্থী বরণ উৎসব প্রতিবছরের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান। যেখানে নতুন বিদ্যার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো হয়।এই উৎসবের মাধ্যমে নবীনদের কলেজের পরিবেশ ও শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।সাধারণত এই অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নৃত্য, গান,নাটক ইত্যাদি পরিবেশন করেছে আজকের অনুষ্ঠানে।এই নবীন বিদ্যর্থী বরণ উৎসবে রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,এই কলেজে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি।কারণ কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে কলেজের সাথে।নবীন ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি পড়াশোনার পদ্ধতি, নিয়মশৃঙ্খলা,সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের গুরুত্ব এবং ক্যারিয়ার নির্মাণের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন।কলেজে যে সকল সুবিধা আছে,যেমন গ্রন্থাগার,ল্যাবরেটরি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তাও ব্যাখ্যা করেন তিনি।নবীন বিদ্যার্থী বরণ উৎসব তাদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন হয়ে ওঠে,কারণ তারা প্রথমবারের মতো মহাবিদ্যালয়ের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়।এই অনুষ্ঠানে তারা সিনিয়রদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ পায় এবং এই যোগাযোগ তাদের পরবর্তী সময়ে পড়াশোনায় সহায়ক হবে।উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক জীবনের প্রথম পদক্ষেপটি সহজেই পাড়ি দিতে পারে এবং মহাবিদ্যালয়ের একটি বড় পরিবারের সদস্য হতে পেরে গর্ব বোধ করে।নবীন বিদ্যার্থী বরণ উৎসবটি শুধু একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান নয়,এটি শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তার একটি উৎস।এই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন জীবন শুরু করার প্রেরণা পায়।কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় এই উৎসবের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ গঠনের একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় ত্রিপুরা রাজ্যের একটি প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।প্রতিবছর মহাবিদ্যালয়ে নবীন বিদ্যার্থী বরণ উৎসব উদ্যাপন করা হয় যা এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এই উৎসবটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য মহাবিদ্যালয়ের পরিবেশে নিজেদের স্থাপন করার একটি সুযোগ এবং তাদের শিক্ষাজীবনের প্রথম দিকেই উৎসাহ প্রদান করার একটি মাধ্যম।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর রাজর্ষি কলা ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী কলা উৎসব ২০২৪-২৫।দুদিন ব্যাপী কলা উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থ,পরিকল্পনা দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় , গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি তথা প্রধান অতিথি দেবল দেবরায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ও কাকড়াবন শালগড়া-কাকড়াবন বিধানসভার বিধায়ক জিতেন মজুমদার ,উদয়পুর পুর পরিষদের পুর পিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার সহ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ । সভায় সভাপতিত্ব করেন গোমতী জেলা শিক্ষা আধিকারিক বিকাশ নাথ। এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন উদয়পুর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সুতপা সূর । দুদিন ব্যাপী কলা উৎসবে মোট ছয়টি ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হবে । ইভেন্ট গুলোর মধ্যে আছে নৃত্য সঙ্গীত ,ভিজ্যুয়াল আর্ট, স্টোরি টেলিং,ড্রামা ও বাদ্য যন্ত্র প্রতিযোগিতা ।আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইত্যাদি নৃত্য সঙ্গীত ,ভিজ্যুয়াল আর্ট।আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে স্টোরি টেলিং,ড্রামা ও বাদ্য যন্ত্র প্রতিযোগিতা। গোমতি জেলার সাতটি ব্লক,উদয়পুর পুর পরিষদ ও অমরপুর নগর পঞ্চায়েত মিলে মোট ১৯০ জন প্রতিযোগি ও প্রতিযোগিনী অংশগ্রহণ করেন যাদের মধ্যে করবুক মহকুমা থেকে ৩৩ জন ,অমরপুর মহকুমা থেকে ২৯ জন ও উদয়পুর মহকুমা থেকে ১২৮ জন। সভায় উল্লিখিত বক্তারা সকলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে এই কলা উৎসবের শুভ সূচনার গুরত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।নৃত্য ,সঙ্গীত ও ভিজ্যুয়াল আর্ট প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে নিলাদ্রি চক্রবর্তী,কিশোর দেববর্মা, সৌমেন দেব, গুরুদীপন আচার্যী , প্রশান্ত সিনহা ও জয়শ্রী রায়।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরাং দলের উদ্যোগে খোয়াই বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকা দেব-দেবীর মূর্তিগুলোকে সংগ্রহ করে নদীতে বিসর্জন করা হয়। এর পাশাপাশি মাইক যোগে সবাইকে সচেতন করার একটা প্রয়াস ও নেওয়া হয়। এই মহান কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের খোয়াই জেলা সম্পাদক শ্রী বিজয় গোপ, বজরাং দলের জেলা সংযোজক শ্রী রাজেশ গোপ, শ্রী সত্যজিৎ রায়, শ্রী পল্লব ঘোষ সহ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্যকর্তাগন। বিশিষ্ট সমাজসেবক অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক বলেন আমার যারা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী এবং সনাতনি তাদের এই ধরনের কাজ কখনই কাঙ্খিত নয়। তিনি বলেন আমরা মূর্তি পূজায় বিশ্বাসি, পুজোর পরে প্রতিমা গুলো যত্রতত্র রেখে দেই। তাতে করে হিন্দু দেবদেবীদের যেমন অপমান করা হচ্ছে তেমনি পরিবেশের সুন্দরত্ব বিগ্ন হচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে হিন্দুত্ব বাদীরা এই বিষয়টি উপর একটু নজর দেন সে দাবি রাখেন তিনি।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আজ থেকে শুরু হয়েছে জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব ও বিজ্ঞান মেলা ২০২৪।যুব ও ক্রীড়া বিসয়ক দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব ও বিজ্ঞান মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্য সরকারের মৎস দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের আধিকর্তা অমিত যাদব সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
এদিন দুপুর প্রায় ১২টা নাগাদ প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে জেলা ভিত্তিক যুব উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস সহ মঞ্চে উপবিষ্ট অন্যান্য অতিথিরা।মঞ্চে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের আধিকর্তা অমিত যাদব।এই যুব উৎসবে মোট পাঁচটি বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে লোকনৃত্য, আবৃত্তি,বক্তৃতা ছাড়াও থাকছে আরো বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কারনে এবার ব্লক,পুর পরিষদ ভিত্তিক যুব উৎসবের আয়োজন না করে সরাসরি জেলা ভিত্তিক যুব উৎসবের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সুধাংশু দাস তার বক্তব্য বলেন,বর্তমান যুব সমাজই আগামীর ভবিষ্যৎ।এই যুব উৎসবের অনেকটা গুরত্ব কিংবা মহত্ত্ব রয়েছে।এই যুব উৎসবের মাধ্যমে আমাদের জেলা কিংবা মহকুমা এলাকার যারা যুবকরা আছেন তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা অন্যতম পন্থা। এছাড়াও আমাদের জেলার যুবদের মেধাকে বিকশিত করাও এই যুব উৎসবের একটা মূল লক্ষ্য।গান,নৃত্য কিংবা নাট্য প্রতিভা আমাদের জেলায় যুবদের মধ্যে কতটুকু রয়েছে তা বাছাই করতেই যুব উৎসবের আয়োজন করা হয় প্রতিবছর।মন্ত্রী বলেন,কোন ধরনের বিতর্ক ছাড়া যেন এই জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব সমাপ্ত করা যায় সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে।তিনি জেলা ভিত্তিক যুব উৎসবে আগত সকল ছাত্রছাত্রীদের সফলতা কামনা করেন।তিনি বলেন বর্তমান সমাজে দেখা গেছে ১৫ থেকে ১৭ বছরের মেয়েরা কুড়ি বছর কিংবা তার অধিক বছরের ছেলেদের সঙ্গে প্রনয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে।যার ফলে তারা তাদের পিতা মাতাকে না জানিয়ে সেই ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সব ঘটনা ঘটার পর মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করা হচ্ছে।পরবর্তী সময় মেয়ের পরিবারের সদস্যরা মেয়ের বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে যখন জানতে পারছে মেয়েটি একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।তখন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা সেই ছেলেটির বাড়িতে যাচ্ছে।ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে যখন মেয়ের পরিবারের লোকেরা দেখছে ছেলেটি বাড়িতে নেই তখন মেয়ের পরিবারের লোকেরা ছেলেটির নামে অপহরণের মামলার রুজু করছে।পুলিশ তখন ছেলের বাড়ির নিরীহ লোকেদের থানায় এনে হয়রানি করছে।বাধ্য হয়ে তখন সেইসব লোকেরা আমাদের কাছে আসছে। আমরা তখন থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ দেখছি বললেই পাশ কাটিয়ে নিচ্ছে।কারণ এই বিষয়ে বর্তমানে আইন এতটাই কঠোর যে পুলিশ যদি এক সপ্তাহের মধ্যে সেই ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে না পারে তাহলে সেই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড পর্যন্ত করা হতে পারে।এরপর যখন সেই ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে বাড়িতে আসে তখন পুলিশ মেয়েটিকে মেডিকেল করানোর পর তার মা বাবার হাতে তুলে দিচ্ছে।মেয়েটি নাবালিকা থাকার কারণে মুক্ত হয়ে গেলেও ছেলেটি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার ফলে তার প্রথমেই নব্বই দিন জেলে থাকতে হচ্ছে।এছাড়াও এই আইনে ছেলেটার কুড়ি বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।তাই এইসব বিষয়ে তিনি মেয়েদের সতর্ক করে বলেন তারা যদি পিতা-মাতার অমতে বিবাহ বন্ধনে জড়াতে চায় তাহলে আঠারো বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেন বিবাহ করে। বর্তমানে এইসব বিষয়ে কেউ কথা বলতে চান না।তবে কাউকে না কাউকে তো এই বিষয়ে কথা বলতে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিজেপি সরকারের ক্রমোন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে।এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ফটিকরায় বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবিকে সম্মান জানিয়ে ফটিকরায় ইন্দিরা কলোনী থেকে সায়দাবাড়ী পর্যন্ত মনু নদীর উপর ২ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আর.সি.সি ফুট ব্রিজের শুভ শিলান্যাস করেন ত্রিপুরা সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর এবং তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর ও মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।এই ব্রিজ নির্মাণের ফলে দুই এলাকার জনগণের সুসম্পর্কের পাশাপাশি বানিজ্যিক ক্ষেত্রে এলাকার সাধারণ কৃষিজীবী মানুষ অনেক বেশী উপকৃত হবেন।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৫ নভেম্বর:- গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারের ড্রেন এবং পেপার ব্লক নির্মাণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং বাজার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্রজয় রিয়াং, পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক, গন্ডাছড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সহ শাসক দলের নেতৃত্বরা। পরিদর্শন শেষে প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান আগামী কিছুদিনের মধ্যেই গন্ডাছড়া বাজারের ড্রেন এবং পেপার ব্লক নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ইতি মধ্যেই ড্রেনের ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে। কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর। উল্লেখ্য ৫০ বছরের পুরানো গন্ডাছড়া সদর বাজারটি দীর্ঘ বছর ধরে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিল। বাজারে জল নিষ্কাশনের জন্য কোন ড্রেন নেই। যদিওবা মানদাতা আমলের একটি ড্রেন রয়েছে। কিন্তু বিগত ২৫ বছর যাবত ড্রেন সারাইয়ের কোন কাজ হয়নি। যার ফলে আবর্জনা পড়ে ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। জল নিষ্কাশনের কোন সুব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপর দিয়ে নোংরা জল বইতে দেখা যায়। ফলে গোটা বাজারে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য গন্ডাছড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি একাধিকবার পূর্ত দপ্তরে দাবি জানিয়ে আসলেও এতকাল কারোর কোন কর্নপাত ছিল না। বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, বিদ্যুৎ এর পাশাপাশি বাজারের উন্নয়নে উদ্যোগ নেয় । সরকারের এহেন উদ্যোগে খুশি বাজার ব্যবসায়ী মহল।
গ্রামীন অর্থনৈতিক বিকাশে লক্ষ্যে বকাফা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে ছাগল , সেলাই মেশিন বিতরণ।
প্রতিনিধি, শান্তির বাজার: লোকজনদের আর্থিকদিক দিয়ে সাবলম্বী করতে কৃষি এবং বিভিন্ন দিক থেকে কাজকরেযাচ্ছে রাজ্যসরকার। রাজ্যসরকারের উদ্যেশ্যকে সাফল্যমন্ডীত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বকাফা কৃষি দপ্তর। কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষ্যে কৃষি কাজের পাশাপাশি গ্রামীনে এডিসি এলাকায় স্ব সহায়ক দলের সঙ্গে জড়িত কিছু পিছিয়ে পড়া লোকজনদের সেলাই মেশিন এবং পশুপালনের মধ্যদিয়ে লোকজনদের আর্থিক দিকদিয়ে স্বাবলম্বী করতে বিশেষ উদ্দ্যোগ নিয়েছে বকাফা কৃষিদপ্তর। আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শান্তির বাজার মহকুমা অন্তর্গত বকাফা কৃষি দপ্তরের উদ্দ্যোগে কাঁঠালি এবং মধ্য কাঁঠালিয়া এডিসি ভিলেজে ৫১ জন সুবিধাভোগী বেনি ফিসারিকে ছাগল, হাঁসের ছানা , সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয় । এরমধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয় মধ্য কাঁঠালিয়া ১৩জন এবং কাঁঠালিয়া ছাড়া ভিলেজে ১৫ জন। পাশাপাশি ছাগল বিতরণ করা হয় মধ্য কাঁঠালিয়া ছড়া ১০জন এবং কাঁঠালিয়া ছড়া ভিলেজে ১১জনের মধ্যে । এবং দুজন বেনি ফিসারিকে হাঁসের ছানা বিতরণ করা হয় তাদের চাহিদা মতন। এগ্রিকালচার ফারমার্স ওয়েলফেয়ার ডব্লিউ.ডি.সি এই প্রজেক্ট থেকে অর্থ ব্যয় করা হয় প্রত্যেক বেনি ফিসারি বাবদ ১০ হাজার টাকা করে। আজকের এই বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বকাফা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান কৃষ্ণাবতী রিয়াং, কাঁঠালিয়া ভিলেজ চেয়ারম্যান রঘুনাথ রিয়াং, বকাফা এগ্রিস্টেন্ডিং কমিটির সদস্য মম্বু মগ ,বকাফা ব্লক ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য উপেন্দ্র রিয়াং, কাঁঠালিয়া ডাব্লিউ .ডি সি প্রজেক্ট সম্পাদক প্রশান্ত রিয়াং, বকাফা কৃষিদপ্তরের তত্বাবধায়ক রাজিব সেন, সহ অন্যান্যরা। আজকের এই কর্মসূচী সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন দক্ষিণ জেলা ডব্লিউ . ডি.সি প্রজেক্ট ম্যানেজার তরুণ কুমার দাস। দেখা গেল বকাফা কৃষিদপ্তরের কাছথেকে এইধরনের সাহায্য পেয়ে খুবই খুশি কাঁঠালিয়া এবং মধ্য কাঁঠালিয়া এলাকার লোকজনেরা।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- গত ৩১ শে অক্টোবর দীপাবলির রাতে উদয়পুর গকুলপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের । মৃত্যুর ঘটনা জানতে পেরে রবিবার দুপুরে টেপানিয়া এলাকায় মৃত যুবক পীযূষ দেবনাথের বাড়িতে যান অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। সাথে ছিলেন টেপানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ঝর্না রানী দাস সহ গ্রাম প্রধান থেকে শুরু করে উপপ্রধান ও দলীয় বিজেপি নেতৃত্বরা । এদিন অর্থমন্ত্রী পীযুষের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে গিয়ে উপস্থিত হন তার বাড়িতে । মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তার বাবা পরিমল দেবনাথ থেকে শুরু করে পীযুষের স্ত্রী ও বাড়ির সকল আত্মীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়ে মন্ত্রীর সামনে । মন্ত্রী নিজ হাতে তার সন্তানকে কোলে নেন এবং কথা বলেন গোটা পরিবারের লোকজনের সাথে । পরে মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলেন , মর্মান্তিক একটি অঘটন ঘটে গিয়েছে তা খুবই দুঃখজনক ঘটনা । বর্তমানে গোটা পরিবারটি কিভাবে জীবন জীবিকা নির্বাহ করবে সে দিকে লক্ষ্য রেখে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ কিভাবে পাওয়া যায় সে বিষয়ে তিনি চেষ্টা করবেন । এদিন মন্ত্রী দীর্ঘসময় পীযুষের বাড়িতে বসে থেকে গোটা ঘটনার খোঁজখবর নেন । পরবর্তী সময় টেপানিয়া ও শালগড়া এলাকায় অজয় দাস এবং দেবজিৎ ভৌমিক এই দুইটি যুবকের প্রাণ হারিয়েছে ক্যান্সারের আক্রান্তের ঘটনায় । তাদের বাড়িতে গিয়েও পরিবার-পরিজনের সাথে কথা বলেন তিনি । খোঁজখবর নেন গোটা পরিবারের । অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের এই ধরনের উদ্যোগকে এদিন অনেকেই ধন্যবাদ জানান তার কারণ মন্ত্রী এত ব্যস্ততার পরেও যেভাবে নিজ-বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের জন্য সময় দিয়ে তাদের সুখ-দুঃখের পাশে সব সময় দাঁড়িয়ে থাকেন তা খুবই প্রশংসার। এই ধরনের মৃত্যু যাতে কখনো না ঘটে ঈশ্বরের কাছে কামনা করেন অর্থমন্ত্রী ।