প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আজ থেকে শুরু হয়েছে জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব ও বিজ্ঞান মেলা ২০২৪।যুব ও ক্রীড়া বিসয়ক দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব ও বিজ্ঞান মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্য সরকারের মৎস দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের আধিকর্তা অমিত যাদব সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
এদিন দুপুর প্রায় ১২টা নাগাদ প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে জেলা ভিত্তিক যুব উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস সহ মঞ্চে উপবিষ্ট অন্যান্য অতিথিরা।মঞ্চে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের আধিকর্তা অমিত যাদব।এই যুব উৎসবে মোট পাঁচটি বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে লোকনৃত্য, আবৃত্তি,বক্তৃতা ছাড়াও থাকছে আরো বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কারনে এবার ব্লক,পুর পরিষদ ভিত্তিক যুব উৎসবের আয়োজন না করে সরাসরি জেলা ভিত্তিক যুব উৎসবের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সুধাংশু দাস তার বক্তব্য বলেন,বর্তমান যুব সমাজই আগামীর ভবিষ্যৎ।এই যুব উৎসবের অনেকটা গুরত্ব কিংবা মহত্ত্ব রয়েছে।এই যুব উৎসবের মাধ্যমে আমাদের জেলা কিংবা মহকুমা এলাকার যারা যুবকরা আছেন তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা অন্যতম পন্থা। এছাড়াও আমাদের জেলার যুবদের মেধাকে বিকশিত করাও এই যুব উৎসবের একটা মূল লক্ষ্য।গান,নৃত্য কিংবা নাট্য প্রতিভা আমাদের জেলায় যুবদের মধ্যে কতটুকু রয়েছে তা বাছাই করতেই যুব উৎসবের আয়োজন করা হয় প্রতিবছর।মন্ত্রী বলেন,কোন ধরনের বিতর্ক ছাড়া যেন এই জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব সমাপ্ত করা যায় সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে।তিনি জেলা ভিত্তিক যুব উৎসবে আগত সকল ছাত্রছাত্রীদের সফলতা কামনা করেন।তিনি বলেন বর্তমান সমাজে দেখা গেছে ১৫ থেকে ১৭ বছরের মেয়েরা কুড়ি বছর কিংবা তার অধিক বছরের ছেলেদের সঙ্গে প্রনয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে।যার ফলে তারা তাদের পিতা মাতাকে না জানিয়ে সেই ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সব ঘটনা ঘটার পর মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করা হচ্ছে।পরবর্তী সময় মেয়ের পরিবারের সদস্যরা মেয়ের বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে যখন জানতে পারছে মেয়েটি একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।তখন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা সেই ছেলেটির বাড়িতে যাচ্ছে।ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে যখন মেয়ের পরিবারের লোকেরা দেখছে ছেলেটি বাড়িতে নেই তখন মেয়ের পরিবারের লোকেরা ছেলেটির নামে অপহরণের মামলার রুজু করছে।পুলিশ তখন ছেলের বাড়ির নিরীহ লোকেদের থানায় এনে হয়রানি করছে।বাধ্য হয়ে তখন সেইসব লোকেরা আমাদের কাছে আসছে। আমরা তখন থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ দেখছি বললেই পাশ কাটিয়ে নিচ্ছে।কারণ এই বিষয়ে বর্তমানে আইন এতটাই কঠোর যে পুলিশ যদি এক সপ্তাহের মধ্যে সেই ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে না পারে তাহলে সেই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড পর্যন্ত করা হতে পারে।এরপর যখন সেই ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে বাড়িতে আসে তখন পুলিশ মেয়েটিকে মেডিকেল করানোর পর তার মা বাবার হাতে তুলে দিচ্ছে।মেয়েটি নাবালিকা থাকার কারণে মুক্ত হয়ে গেলেও ছেলেটি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার ফলে তার প্রথমেই নব্বই দিন জেলে থাকতে হচ্ছে।এছাড়াও এই আইনে ছেলেটার কুড়ি বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।তাই এইসব বিষয়ে তিনি মেয়েদের সতর্ক করে বলেন তারা যদি পিতা-মাতার অমতে বিবাহ বন্ধনে জড়াতে চায় তাহলে আঠারো বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেন বিবাহ করে। বর্তমানে এইসব বিষয়ে কেউ কথা বলতে চান না।তবে কাউকে না কাউকে তো এই বিষয়ে কথা বলতে এগিয়ে আসতে হবে।
সৃজনশীল ও সুন্দর সমাজ গঠনে যুবকদের ভূমিকা অপরিসীম: সুধাংশু
66