প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১ ডিসেম্বর।। গত সোমবার বিশালগড় বিধানসভার বাইদ্যারদিঘী বাজারে পরিত্যক্ত সিপিএম অফিস ধুয়েমুছে পরিস্কার করে পথসভা করে সিপিএম নেতৃত্ব। সেখানে সিপিএম বিধায়ক ভানুলাল সাহা উস্কানিমূলক এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছিলেন এই সিপিএমের অফিস না-কি বারবার আক্রান্ত হয়েছে। এর তিনদিন পর ভানলাল সাহার মিথ্যাচারের জবাব দিলেন বিজেপির বিশালগড় মন্ডল কমিটি। বৃহস্পতিবার বাইদ্যারদিঘী বাজারে বিজেপির বাজার কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন বিশালগড় মন্ডল সভাপতি তথা বিশালগড় পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুশান্ত দেব। এছাড়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন মানুষকে বিভ্রান্ত করা সিপিএমের চিরাচরিত অভ্যাস। সামনে নির্বাচন, তাদের কাছে কোন ইস্যু নেই। তাই মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বাইদ্যারদিঘী বাজারে সিপিএমের পার্টি অফিস কেউ আক্রমণ করেছে কেউ বলতে পারবেনা। গত পাঁচ বছর আগে যেমন অফিস ছিল আজও তা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। অথচ বিধায়ক ভানুলাল সাহা বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার জন্য পার্টি অফিস আক্রমণের কথা বলেছেন। মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব আরো বলেন সিপিএম ভোটের বাজারে ভোট পাখি হয়ে মাঠে নেমেছে। জনসমর্থন হারিয়ে এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও সন্ত্রাস করে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন। দশ জন বিজেপির কার্যকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল সিপিএম। আগামী নির্বাচনেও এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াবে। এই এলাকার সংখ্যালঘু মানুষদের গত নির্বাচনে বিভ্রান্ত করেছিল সিপিএম। বর্তমানে এই এলাকার হিন্দু-মুসলমান সকল অংশের মানুষ বিজেপির পাশে রয়েছে। আজকের এই পথসভায় তা প্রমাণিত হয়েছে।
রাজনীতি
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি –
দলত্যাগ ও যোগদান সভা অব্যাহত ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা এলাকায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যোগদান চলছে। বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপি ২৮ তেলিয়ামুড়া মন্ডলের অন্তর্ভুক্ত দুইটি যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুটি যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধান সভার বিধায়িকা তথা মুখ্য সচেতক কল্যানী রায়। প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয় তেলিয়ামুড়া সিপিএমের আতর ঘর বলে পরিচিত তেলিয়ামুড়ার ১৫ নং ওয়ার্ডে। দীর্ঘদিন বামপন্থীদের সাথে থাকা এমন ৮ পরিবারের ২২ জন সিপিএম দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে সামিল হন। তাঁদের দলে স্বাগতম জানান রাজ্য সরকারের মুখ্যসচেতক তথা তেলিয়ামুড়া বিধান সভার জনপ্রিয় বিধায়িকা শ্রীমতি কল্যাণী রায়। এই যোগদান সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুর পিতা নিতিন সাহা সহ অন্যান্যরা । পরবর্তী সময়ে করইলং এলাকায় বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত শান্তিপাড়ায় আরেকটি যোগদান সভায় ২৩ পরিবারের ৬৪ জন ভোটার সি পি আই এম ও অন্যান্য দল ত্যাগ করে বিজেপিতে সামিল হয়। এই যোগদান সভায় বিধায়িকা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরপিতা রুপক সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। উভয় যোগদান সভায় বিজেপি তে নবাগতদের হাতে দলিয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে বরন করেনেন বিধায়িকা কল্যানী রায় সহ উপস্থিত নেতৃত্বরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ এক বিক্ষোভ কর্মসূচি সংঘটিত হয় CPIM উদয়পুর মহকুমা কমিটির উদ্যোগে
উদয়পুর প্রতিনিধি
বুধবার দুপুরে চরিলাম ব্লকে ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও সিপিআইএম রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক বাম কর্মীর । মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ এক বিক্ষোভ কর্মসূচি সংঘটিত হয় CPIM উদয়পুর মহকুমা কমিটির উদ্যোগে জামতলা দলীয় অফিসের সামনে। এদিনের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মাধব সাহা , CPIM উদয়পুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক দিলীপ দত্ত ,DYFI স্থানীয় নেতৃত্ব সহ অন্যান্যরা । এই বিক্ষোভ সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক মাধব সাহা তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ মুখ্যমন্ত্রী কে । সেইসাথে পুলিশকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মাধব সাহা । এদিনের বিক্ষোভ সময় পার্টির দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি ছিল জামতলা দলীয় অফিসের সামনে ব্যাপক সাড়া ।
৩৬ শান্তির বাজার মন্ডল বিজেপির জনজাতি মোর্চার উদ্দ্যোগে কাঁঠালিয়া বাজারে অনুষ্ঠীত হয় প্রকাশ্য জনসভা।
আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার ৩৬ শান্তির বাজার মন্ডল বিজেপির জনজাতি মোর্চার উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত কাঁঠালিয়া বাজারে এক প্রকাশ্য জনসভার আয়োজন করাহয়। আজকের এই প্রকাশ্য জনসভার প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। প্রধানবক্তার পাশাপাশি আজকে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা, শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, শান্তির বাজার বিজেপির মন্ডল সভাপতি শ্যামলাল দেবনাথ, বিজেপির দক্ষিন জেলার সদস্য মনিন্দ্র বিশ্বাস সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দরা। আজকের জনসভায় বক্তব্যরাখতেগিয়ে বক্তারা আসন্ন ২০২৩ বিধানসভায় নির্বাচনে রাজ্যের উন্নয়নে বিজেপি মনোনিত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার জন্য বিশেষ আহব্বান জানান। বক্তারা উনাদের বক্তব্যেরমধ্যদিয়ে রাজ্য সরকারেরবিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর কথা জনসন্মুখে তুলেধরেন তারপাশাপাশি বিগত বাম আমলের বিভিন্ন কাজের তিব্র সমালোচনা করেন বক্তারা। বক্তাদের বক্তব্যশেষে অনুষ্ঠীত হয় এক যোগদান সভা। এই যোগদানসভায় তিপ্রামথা দলত্যাগকরে নয় পরিবারের ৪০ জন ভোটার বিজেপিতে যোগদানকরে। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকাদিয়ে বরন করেনেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানের শেষে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে কাঁঠালিয়া এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের শুভউদ্ভোধন করাহয়। ৩৬ শান্তির বাজার মন্ডল বিজেপির জনজাতি মোর্চা কতৃক আয়োজিত আজকের এই প্রকাশ্য জনসভায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতির হারছিলো লক্ষনীয়।
উদয়পুর প্রতিনিধি
পেট্রোল,ডিজেল এবং গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বূদ্ধি বন্ধ করা, গোমতী জেলার সমস্ত রাস্তা গুলো মেরামত করা,৬০ বছরের উপর যে সমস্ত যানবাহন চালকেরা রয়েছেন তাদের সকলকে সরকারি ভাতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সহ বুধবার গোমতী জেলার সদর উদয়পুর মহকুমায় এিপুরা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের গোমতী জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ১৪ দফা দাবিতে গোমতী জেলার পরিবহন আধিকারিক সুমিত্রা দেবনাথের নিকট পাঁচ জনের এক প্রতিনিধি দল দাবি সনদ তুলে দেন। প্রথমে মিছিল টি পুরানো মোটরস্যান্ডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পরিবহন অফিসে সামনে গিয়ে শেষ হয় । সেখানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলার নেতা দিলীপ দত্ত। তিনি বলেন , পরিবহন শিল্পের রোড ট্রেক্স,বিমার প্রিমিয়াম, ফিটনেস ফি বৃদ্ধি বন্ধ করা, শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারা বাতিল করা দাবি তুলে ধরেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন , গোমতী জেলার সি আই টি ইউ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক মাধব সাহা, নিতাই বিশ্বাস, নিখিল দাস সহ জেলার নেতা কর্মীরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , 30 নভেম্বর ।। জনসম্পর্ক অভিযানে জোর দিয়েছে বিজেপি। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে সরকারি প্রকল্প বিষয়ে সচেতন করার কাজ চলছে। ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন মোর্চা পৃথকভাবে কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তপশিলি জাতি মোর্চার উদ্যোগে শুরু হয়েছে বস্তি সম্পর্ক অভিযান। মঙ্গলবার চড়িলাম মন্ডলে বস্তি সম্পর্ক অভিযান সংগঠিত হয়। এদিন দক্ষিণ চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের করুইমুড়া গ্রামে বস্তি সম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন। এছাড়া ছিলেন বিজেপি চড়িলাম মণ্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ, এসসি মোর্চার মন্ডল সভাপতি রাজেশ দাস, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন রাখি দাস কর, এসি মোর্চার জেলা সভাপতি রাজেশ দাস। এছাড়া এদিন এসসি মোর্চার উদ্যোগে দক্ষিণ চড়িলাম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের হল ঘরে ৩০ জন নাগরিককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। তাদের শুভেচ্ছা স্মারক, উত্তরীয় এবং ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন বলেন সমাজের অন্তিম ব্যাক্তির কাছে পৌঁছে গিয়েছে সরকার। সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপকৃত হয়েছে। একসময় পার্টি অফিস থেকে সরকার চলতো। আর এখন সরকার চলে মানুষের কথায়। এই সরকার জনতার সরকার। আপনার গ্রাম এবং সমাজের কল্যাণে কী কী করা দরকার আপনারাই পরামর্শ দেবেন। সবাই মিলে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার কাজ করতে হবে। শান্তি থাকলে উন্নতি সম্ভব। একসময় খুন সন্ত্রাস রাজনীতির অঙ্গ ছিল। কিন্তু আজ ভয়ের পরিবেশ নেই। মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারে। শান্তি এবং উন্নতি দুটোই সম্ভব হয়েছে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে ব
কল্যাণপুর প্রমোদনগর কেন্দ্রে বিজেপি দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে পিনাকী
কল্যাণপুর প্রতিনিধি:
বিধানসভা নির্বাচন আর হাতেগোনা তিন থেকে সাড়ে তিন মাস বাকি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে আগামী নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের সব কটি বিধানসভা কেন্দ্রের সাথে সাথে ২৭ কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের প্রার্থী কে হচ্ছেন এটাই এখন একটা বড় প্রশ্ন! অনেক বিশ্লেষণ হয়েছে, চায়ের স্টল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস সব জায়গাতেই এ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ মহল সূত্রে যা খবর গোটা রাজ্যের অধিকাংশ বিধানসভা কেন্দ্র গুলোর মধ্যেই বিজেপি দল তাদের প্রার্থী ৯৯% চূড়ান্ত করে নিয়েছেন, এই তালিকায় ২৭ কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রও রয়েছে। বিজেপি দলের শীর্ষ মহলের বিশ্বস্ত সূত্রে খবর এই কল্যাণপুর প্রমুদনগর কেন্দ্রে প্রার্থী বদল হচ্ছে না। যদিও মাঝে কিছুদিন স্থানীয় জনৈক আরএসএস ঘেসা নেতৃত্বকে নিয়ে যেমন জল্পনা চলছিল, ঠিক তেমনি জনৈক যুব নেতাও টিকেটের অন্যতম দাবীদার ছিলেন বলে খবর। বিজেপির শীর্ষ মহল ব্যাপকভাবে নিজেদের মধ্যে বিশ্লেষণ করেছে, আলোচনা পর্যালোচনা করেছে এবং সার্বিকভাবে এলাকার পরিস্থিতি যাচাই করেছে বলে খবর। সবকিছু মিলিয়ে আপাতত সেই সময় বর্তমান বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী নামেই সিলমোহর দিচ্ছে বলে খবর। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে যেটা উঠে আসছে তা হচ্ছে এই মুহূর্তে গোটা কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে শাসক বিজেপি দলের গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বেদের মধ্যে শীর্ষস্থানেই রয়েছেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। এছাড়াও এলাকার সার্বিক বিশ্লেষণ থেকে যে বিষয়টা উঠে এসেছে বিগত প্রায় পাঁচ বছর সময়ে গোটা কল্যাণপুর জুড়ে আর্থসামাজিক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কল্যাণপুরের ডায়েট কলেজ, কল্যাণপুর এর মার্কেট স্টল, নবরূপে হাসপাতালের আত্মপ্রকাশ, বিভিন্ন জায়গার গ্রামীণ মার্কেটস্টল, গোটা বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের সম্প্রসারণ, এলাকায় এলাকায় একাধিক ডিপ টিউবয়েল স্থাপন, গ্রামীণ বিদ্যুতায়নের প্রশংসনীয় উদ্যোগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গত উন্নয়ন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরীকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে টিকিটের অন্যতম দাবিদার করছে বলে খবর।
এছাড়াও গোটা কল্যাণপুরের ইতিহাসে প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক কাজল চন্দ্র দাসের পর সাধারণ মানুষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রেও বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী বিশেষ কৃতিত্বের দাবি রাখেন। অন্যদিকে বিজেপি দলের শীর্ষ মহল গোটা রাজ্যের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মোটামুটি ঠিক করেছেন কল্যাণপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে বিরোধী সিপিআইএম, মথা কিংবা কংগ্রেসের যত হেভিওয়েট প্রার্থী দাঁড়াক না কেন, একমাত্র বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী প্রতিদ্বন্দিতা করলেই এই কেন্দ্রে শাসক বিজেপি দলের জয় এক প্রকার নিশ্চিত। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কি হবে তা হয়তো সময় বলবে, তবে আপাতত যা খবর কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসক বিজেপি দলের প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী
সাংবাদিকদের বিজেপির দালাল বলে আখ্যায়িত করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরজিত সিনহা
সুদীপ রায় বর্মনের কথা শুনতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতেই, সাংবাদিকরা গৌষ্ঠী কোন্দলের প্রশ্ন তুলতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরজিত সিনহা একপ্রকার মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকদের বিজেপির দালাল বলে আখ্যায়িত করলেন । তিনি এতটাই ক্ষেপে লাল হয়ে যান, আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের আঙ্গুল উঁচিয়ে বিলোনিয়া কংগ্রেস ভবনে থেকে কেটে পড়ার জন্য হুঁশিয়ারি দেন ।
সাংবাদিকরা বিজেপির দালালি করছে। পেইড নিউজ তৈরি করছে। অভিমত ব্যক্ত করলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। পাল্টা প্রশ্ন করা হয় সব সাংবাদিক কি বিজেপির দালালি করছে। উত্তরে জানালেন না। জনৈক সাংবাদিকের প্রশ্ন আপনারা বলতে সব সাংবাদিক বিজেপির দালালি করে কাজ করছে কিনা । উত্তরে বিরোজিৎ সিনা কংগ্রেস ভবনে উপস্থিত স্থানীয় এক সাংবাদিকের প্রতি আঙ্গুল তুলে জানালেন উনি এই ধরনের কাজ করছেন। কোনরূপ তথ্য প্রমাণ রয়েছে কিনা এর উত্তরে বীরজিৎ সিনহা কোন উত্তর দেয়নি। বিজেপির দালাল হিসেবে সাংবাদিককে চিহ্নিত করার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কাছে জানতে চাওয়া হয় বিলোনিয়া সাংগঠনিক কাজে একাধিকবার বিরোজিৎ সিনহা নিজে এসেছেন অথচ কংগ্রেসের রাজ্য নেত্রী স্থানীয়র মধ্যে সুদীপ বর্মন, আসিষ সাহা ওনারা আসছেন না কেন। এর পেছনে কি দলের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোনদল চিত্র রয়েছে কিনা। এই প্রশ্ন শুনতেই বিরোজিৎ সিনহা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বললেন বেরিয়ে যান। কোন কথা বলবো না। এছাড়া বিরজিৎ সিনাকে স্থানীয় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে জানতে চান শোনা যাচ্ছে আপনি নাকি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ,’ হা ‘ভালই তো। আপনারাই বিজেপির দালালি করে পেইড নিউজ করছেন।আরো বললেন বিজেপির দালালি গিরি করে নিউজ করা হচ্ছে। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এইধরনের মন্তব্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়
। কংগ্রেসের ভারতজোড় আন্দোলনে দক্ষিণ জেলা বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের উপর একাধিক ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্ত দলের হামলা নিয়ে এদিন তিনি দক্ষিণ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যান। দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে ডেপুটেশন দিতে। ডেপুটেশন দিয়ে ফেরার সময় পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের কাছে বাইট দেওয়ার জন্য দাঁড়ালেও কোন সাংবাদিক বিরোজিৎ সিনহার বাইট নেয়নি ঘটনার প্রতিবাদে। এই ঘটনা নিয়েও বিভিন্ন মহলের তীব্র ক্ষোবের সঞ্চার হয়েছে। সর্বভারতীয় দল কংগ্রেসের ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি এ ধরনের মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
প্রতিনিধি
কমলাসাগর –
রাজ্যের যুব সমাজকে নেশার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের ক্রিয়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরে তত্ত্বাবধানে। প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যুব সমাজকে নেশা থেকে দূরে করার জন্য যুব সমাজকে নেশা থেকে গুড়িয়ে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করাচ্ছেন, কখনো ফুটবল খেলা কখনো ক্রিকেট খেলায় কখনো কবাডি কখনো জোডু, তারে অঙ্গ হিসেবে বিশালগড় মহকুমা ভিত্তিক যুবকদের নেশা মুক্তি করার লক্ষ্যে বিশালগড় যুব ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে রাস্তারমাথা খেলার মাঠে কবাডি খেলার ওপর অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন ছন্দা দেববর্মা বিশালগড় পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জনপুর কায়েস্ত সিপাহীছলা জেলা উত্তরের বিজেপি সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক জেলা উত্তর যুব মোর্চার সভাপতি দীপ্তনু দাস,সম্পাদক বিকাশ সাহা সহ বিশালগড় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরের আধিকারিক আলমগীর হোসেন সহ অনান্যরা। উক্ত খেলায় জয়ীদের মধ্যে বিভিন্ন রকম পুরস্কারে আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের যুব সমাজকে নেশার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তারিখ একটি অঙ্গ হিসেবে আজ রাস্তা মাথা খেলার মাঠে বিশালগড় মহকুমা যুব ক্রীয়া বিষয়ক দপ্তর উদ্যোগে তারই আয়োজন।
বিজেপির প্রার্থী তালিকাতেই ঠাঁই পেয়েছে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত একাধিক নেতার নাম
বছর আষ্টেক আগের কথা। ২০১৪-র এপ্রিল। লোকসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ আদালতে টেনে নিয়ে যাবেন তিনি। দোষীদের জেলে পাঠাবেন ১ বছরের মধ্যে। এ বার মোদীর রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দেখা গেল বিজেপির প্রার্থী তালিকাতেই ঠাঁই পেয়েছে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত একাধিক নেতার নাম।তবে গুজরাতে বিধানসভা ভোটে ‘দাগি’ নেতাদের প্রার্থী করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। তবে এ ক্ষেত্রে সব দলকে টেক্কা দিয়েছে, ‘নীতির রাজনীতির প্রবক্তা’ অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। ভোট-নজরদারি সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)-এর রিপোর্ট বলছে, প্রথম দফার ৮৯টি আসনের ভোটে আপের ৩০ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কংগ্রেসের ২০ শতাংশ এবং বিজেপির ১২ শতাংশ প্রার্থী গুরুতর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত।