ধর্মনগর প্রতিনিধি। প্রচন্ড গরমে তীব্র দাবদাহ থেকে পথচলতি মানুষদের কিছুটা স্বস্তি দিতে উত্তর জেলার বিভিন্ন NGO,ক্লাব প্রতিষ্ঠান ও ধর্মনগর শহরের জনগণরা ঠান্ডা পানীয় সরবত দিয়ে তৃষ্ণা নিবারণের প্রয়াস শীর্ষক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। একে কেন্দ্র করে ২৩শে মে বৃহস্পতিবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাসদর ধর্মনগর শহরের মধ্য নয়াপাড়া এলাকায় পুর পরিষদের ১১ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে পথ চলতি সাধারণ মানুষদের প্রচন্ড গরমে তীব্র দাবদাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ঠান্ডা সরবত প্রদান করে। যানা যায় এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৬৫০ জনেরও অধিক পথচলতি মানুষদের ঠান্ডা পানীয় প্রদান করা হয়। যেখানে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুর পরিষদের ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমর দেব,বিজেপির উত্তর জেলার জেলা সম্পাদিকা গায়ীত্রী ঘোষ, বিজেপির বাগবাসা বিধানসভার ১৯নং বুথের বুথ সভাপতি চন্দন ঘোষ, বিজেপির ধর্মনগর বিধানসভার ৩৭নং বুথের বুথ সভাপতি পিজুষ দাস, ৩৭নং বুথের সম্পাদক মিঠন দাস,রাজীব ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
বিনোদন
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আগামী ১২ই জুন থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কলেজ সায়েন্স বিল্ডিংএ শুরু হতে যাচ্ছে ষোড়শ কৈলাসহর বই মেলা।চলবে ১৬ই জুন অব্দি।প্রায় ৫ বছর পর মননের উৎসব বই মেলা শুরু হচ্ছে।এনিয়ে অত্যন্ত খুশি সংস্কৃতির শহর কৈলাসহর।বই মেলা কে কেন্দ্র করে আজ ডিএম সার্কিট হাউসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা, মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার,এগ্ৰি সুপারিনটেনডেন্ট পরাগ রায় চৌধুরী,প্রেস ক্লাব সম্পাদক সুকান্ত চক্রবর্তী,তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সহ-অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দেব,ডঃ সন্দীপন ভট্টাচার্য,বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকবৃন্দ এবং অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স এন্ড পাবলিশার্স এবং ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন।এই বই মেলায় রাজ্যের প্রায় ৩৫টি বই এর স্টল থাকবে।প্রতি সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য দপ্তরের বিভিন্ন প্রদর্শনী থাকবে এই মেলায়।
প্রতিনিধি কমলাসাগর ১৫ মে :-কোনাবন কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলে ইকো ক্লাবের উদ্যোগে এবং হরিহরদোলা BSF ক্যাম্পের সহায়তায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। তৎ সঙ্গে স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে ২ কিলোমিটার সাইকেল র্যালি করা হয়। কোনাবন কলোনি স্কুলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমলাসাগর বিধানসভার বিদায়িকা অন্তরা সরকার দেব, উপস্থিত ছিলেন ১৫০ নং ব্যাটেল এসিস্টেন্ট কমান্ড্যান্ট সুভাষ কুমার ইয়াদাভ,রাধানগর পঞ্চায়েতের প্রধান রত্না সরকার উপপ্রধান রতন দেবনাথ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএমসি কমিটির চেয়ারম্যান সমাজসেবক চিত্তরঞ্জন দেবনাথ, টিটন দেবনাথ, সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা গণ । অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিধায়িকা অন্তরা সরকার দেব ও এসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট সুভাষ কুমার ইয়াদাভ। পরবর্তী সময়ে কোনাবন কলোনি স্কুলের মাঠের চারপাশে বৃক্ষরোপণ করেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের কে সঙ্গে নিয়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কমান্ডেন্ট ও বিদায়িকা স্কুল মাঠের চতুর দিকে বৃক্ষরোপণ করেন। অনুষ্ঠানে ১৫০ নং ব্যাটেলিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন আলোচনা করতে গিয়ে উল্লেখ করেন এই গরমের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে হলে সমাজের প্রত্যেকটি ব্যক্তি বৃক্ষরোপণ করতে হবে তাছাড়া বৃক্ষরোপণ করলেই হবে না এই গাছকে অতি যত্নে সহকারে বড় করে তুলতে হবে আর সেই ভূমিকা যাতে ছাত্রছাত্রীরা পালন করে সেই আবেদন রাখেন। পরবর্তী সময়ে কমনসাগর বিধানসভার বিদায়কা আলোচনা করতে গিয়ে গাছ আমাদের কত প্রয়োজনীয় জিনিস তা নিয়ে আলোচনা করেন ছাত্র-ছাত্রীদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আগামী দিন অগ্রনীয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-সোমবার থেকে দুইদিন ব্যাপী চড়ক মেলা ও গাজন উৎসব শুরু কাঁকড়াবনের মেলাঘর টিলা এসবি স্কুল প্রাঙ্গনে । এদিন সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তার শুভ উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত মহকুমা শাসক সুব্রত দাস । এছাড়া ছিলেন , কাকড়াবন আর.ডি. ব্লকের বিডিও মনোরঞ্জন দেববর্মা , চরক মেলা কমিটির সভাপতি ব্রজেন্দ্র চন্দ্র দাস ও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের সহ অধিকর্তা মনোজ দেববর্মা সহ প্রমূখ । মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের সহ অধিকর্তা মনোজ দেববর্মা বলেন , ১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম চরক মেলার শুভ সূচনা হয় তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে । ৬০০ থেকে ৭০০ বছরের সেই ইতিহাস এখনো চলে আসছে এই কাকরাবনে দেশভাগের পর কাকরাবনে শুরু হয় এই চড়ক মেলা । আদিম কাল থেকে এখনো পর্যন্ত বর্তমান আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে এই মেলা কালবৈশাখে সময় কালে শুরু হয়ে থাকে । মেলা কে কেন্দ্র করে গ্রামীণ এলাকার মেলাঘরটিলা গ্রামবাসীরা মুখিয়ে থাকে এই মেলাটির জন্য। এদিকে এই মেলাকে কেন্দ্র করে এদিন বিভিন্ন দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছে মেলা প্রাঙ্গণে ।চরক মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাচ এবং গান অনুষ্ঠিত হয় এদিন এই অনুষ্ঠানে । সব মিলিয়ে দুই দিনের এই মেলায় এক জমজমাট আনন্দঘন রূপ ধারণ করবে সেটা মনে করছে সাংস্কৃতিক প্রেমী সাধারণ মানুষ ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় ১১ মে।। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশালগড়ের সুরাঞ্জলি সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্রের উদ্যোগে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার সন্ধ্যা রাতে শুভদীপ মিলনায়তনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর রিমি ঘোষ, শিক্ষাবিদ গণেশ ভৌমিক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা। সভাপতিত্ব করেন হরিদাস ভৌমিক। সুরাঞ্জলি সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষা ইলা দেবনাথ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অতিথিরা কবি গুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। উদ্বোধক পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ কবি গুরুর নোবেল জয়ীর প্রেক্ষাপট আলোচনা করে বলেন বহুমাত্রিক সৃজন কর্মে বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন কবি গুরু রবী ঠাকুর। সামাজিক এবং নৈতিক অবক্ষয় দুর করতে নতুন প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট করতে রবীন্দ্র চর্চা অপরিহার্য। অনুষ্ঠানে সুরাঞ্জলি সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্র সহ স্থানীয় শিল্পীরা রবীন্দ্র সঙ্গীত নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে এলাকার রবী অনুরাগী নাগরিকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। প্রতি বছর এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানান অধ্যক্ষা ইলা দেবনাথ।
একমাস ব্যাপী বাংলা সংস্কৃতি বলইয়ের পরিচালিত অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হতে চলেছে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। বাংলা সংস্কৃতি বলয় একটি আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সংস্থা। ইতিমধ্যে সংস্থাটি গোটা বিশ্বের ভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলা সংস্কৃতির প্রচার এবং প্রচারে কাজ করা। এই সংস্থা হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন বাংলা সংস্কৃতিকে পুনরুদ্ধারের স্বার্থে কাজ করে চলেছে। ধর্মনগর অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে আগামী ১১ মে থেকে প্রায় এক মাস ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আজ এই নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন সংস্থার আব্বায়ক সৌরভ ঘোষ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন পুণ্যশ্রী ঘোষ ও বাপ্পা চক্রবর্তী। এই সংস্থার চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক সমর চক্রবর্তী। ১১ তারিখ সকাল ১১ টায় তবলার লহরা দিয়ে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের একান্ত প্রয়াসে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ১৪ ৩১ বাংলা নববর্ষে এ অনুষ্ঠান সবাইকে মাতিয়ে দেবে বলে ধর্মনগরবাসীর ধারণা। ১০০০ উপর প্রতিযোগী এ অনুষ্ঠানে কাঞ্চনপুর কৈলাশহর ধলাই জেলা এবং পার্শ্ববর্তী আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকা থেকে যোগদান করবে বলে প্রযোজকরা আশা ব্যক্ত করেছেন। গতবার ও এ প্রতিযোগিতা হয়েছিল তবে একমাস ব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে পারিনি। এ প্রতিযোগিতায় যারা বসে আঁকো প্রতিযোগী রয়েছে তারাও ৫০ টাকা করে এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা করে দিতে হবে বলে প্রযোজকরা জানিয়েছেন। পূর্বেই নাম নথিভূক্ত করতে হবে বলে প্রযোজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তাছাড়া এই প্রতিযোগিতায় তবলা লহরা গান বিভিন্ন ধরনের নাচ আবৃত্তি গল্প এবং ছোট একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার নাম বৈশাখী উৎসব হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৮ মে।। বিশালগড় মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয় এবং সরকারটিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বিশালগড় মহকুমা ভিত্তিক রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। বুধবার সরকারটিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জুয়েল দেববর্মা, মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক কাকলি ভৌমিক, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা, বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান শ্যামল দেবনাথ প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি তথা মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী বলেন রবি ঠাকুরের কালজয়ী রচনা সমূহ শুধুমাত্র অধ্যয়ন করলে চলবে না, ব্যক্তি জীবন এবং সামাজিক জীবনে তার আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়ে সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা সমবেত রবীন্দ্র সঙ্গীত নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া এদিন বিশালগড় পুর পরিষদের উদ্যোগে রাজপথে রবিঠাকুরের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। বিজেপির বিশালগড় মন্ডল অফিসে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে রবী ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিজেপির কার্যকর্তারা।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১ মে।। তীব্র দহন যন্ত্রণায় ভোগছে রাজ্যবাসী। তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। নাজেহাল জনজীবন। আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানালেও বৃষ্টি হচ্ছে না। সকলের একটাই চাহিদা বৃষ্টি। তাই এবার বৃষ্টির আশায় কমলাসাগর কসবেশ্বরী কালী মন্দিরে জল ঢালেন মহিলারা। তাদের বিশ্বাস কমলাসাগর দিঘীর জল মায়ের মন্দির চত্বরে ঢাললেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে। গত বছরেও এমনটা করেছিলো মহিলারা। এর ঘন্টা খানেকের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এবারও বৃষ্টি হবে। এমনই বিশ্বাস করেন তারা। তাই বুধবার দুপুরে কলসি কাখে নিয়ে কমলাসাগরে ছুটে যান স্থানীয় মহিলারা। দিঘীতে স্নান সেরে জল ভর্তি কলসি কাখে নিয়ে মন্দিরে গিয়ে জল ঢালতে শুরু করেন মহিলারা। মন্দিরের পুরোহিত বিশেষ পুজার্চনার ব্যবস্থা করেন। তাদের মতে রাজন্য আমল থেকে এই প্রথা প্রচলিত। পাঁচশ বছর আগে মহারাজ কল্যাণ মাণিক্য স্বপ্নাদেশ পেয়ে মন্দির নির্মাণ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করেন মহারাজ ধন্য মাণিক্য। তখন বেশ কয়েক বছরের টানা খরায় চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায়। অভাব অনটন শুরু হয়। তখন মহারাণি কমলা দেবী জলের দেবী গঙ্গার স্বপ্নাদেশ পান জলাশয় খননের জন্য। মহারাজ জলাশয় খনন করে গঙ্গা পূজা করেন। এরপর খরা কেটে যায়। এরপর থেকে যখনই অনাবৃষ্টি দেখা দেয় তখনই মহিলারা কলসি ভরে জল নিয়ে কালী মন্দির চত্বর ধুয়ে পরিস্কার করলেই বৃষ্টি নামতো। এই প্রচলিত প্রথা আজও মেনে চলেন স্থানীয় মহিলারা। তাই সাম্প্রতিক তীব্র দাবদাহ থেকে খানিকটা রেহাই পেতে বৃষ্টি কামনায় কমলাসাগর কসবেশ্বরী কালী মন্দির চত্বরে জল ঢালেন শতশত মহিলা। কথায় আছে বিশ্বাসে কৃষ্ণ মিলে, তর্কে বহুদুর। অনেকে বলছে এটা কুসংস্কার। কিন্তু তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাদের বিশ্বাস কসবেশ্বরী কালী মায়ের আশীর্বাদে বৃষ্টি হবে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরবে। উপকৃত হবে পশু পাখি বৃক্ষ লতা৷ সবুজে ভরে উঠবে চাষির জমি।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে খোয়াই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খোয়াই শহরের অফিসটিলা এবং নৃপেন চক্রবর্তী এভিনিউতে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলপনা উৎসব পালন করা হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা, জেলা শাসক চান্দনী চন্দ্রন, মহকুমা শাসক মেঘা জৈন রাস্তার মধ্যে ভোটের উপর বিভিন্ন চিত্র অংকন করা হয়। চিত্র অংকনে হাত লাগান জেলা শাসক এবং মহকুমা শাসক। খোয়াই জেলা শাসক চন্দনী চন্দ্রন জানান, ভোট দেওয়ার বিষয় নিয়ে জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ভোট দানে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে এই ধরনের কর্মসূচি প্রশাসনিকভাবে পালন করা হচ্ছে। জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় আলপনা দিয়ে ভোট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলপনা উৎসব পালন করা হচ্ছে। ভোট গ্রহণ পর্বকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২৬ শে এপ্রিল সমস্ত ভোটদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আহ্বান জানান তিনি।
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :-পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের মধ্যে উপহার স্বরূপ নতুন বস্ত্র, ফল সহ কিছু খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলো উদয়পুরের হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির সদস্যরা। সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্রতী হলো হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির সদস্যরা। রবিবার উদয়পুর জামজুরি স্থিত সহমর্মী বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের মধ্যে নতুন শাড়ি সহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সংস্থার সদস্যরা। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা প্রজ্জ্বলিকা ভৌমিক, সংস্থার সভাপতি জয়দীপ পোদ্দার, সহ সম্পাদক জয়ন্ত দাস এবং সদস্য প্রসেনজিৎ দাস। উল্লেখ্য, সামাজিক কাজে বরাবরই এগিয়ে অবিভক্ত দক্ষিণ জেলার অন্যতম সামাজিক সংস্থা হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির সদস্যরা। এদিন নির্মল পরিবেশে গড়ে উঠা বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে পেরে খুশি সংস্থার সদস্যরা। বিগত দিনের ন্যায় আগামী দিনেও হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির উদ্যোগে এই ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড জারি থাকবে বলে জানান সংস্থার সভাপতি জয়দীপ পোদ্দার।