প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১ মে।। তীব্র দহন যন্ত্রণায় ভোগছে রাজ্যবাসী। তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। নাজেহাল জনজীবন। আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানালেও বৃষ্টি হচ্ছে না। সকলের একটাই চাহিদা বৃষ্টি। তাই এবার বৃষ্টির আশায় কমলাসাগর কসবেশ্বরী কালী মন্দিরে জল ঢালেন মহিলারা। তাদের বিশ্বাস কমলাসাগর দিঘীর জল মায়ের মন্দির চত্বরে ঢাললেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে। গত বছরেও এমনটা করেছিলো মহিলারা। এর ঘন্টা খানেকের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এবারও বৃষ্টি হবে। এমনই বিশ্বাস করেন তারা। তাই বুধবার দুপুরে কলসি কাখে নিয়ে কমলাসাগরে ছুটে যান স্থানীয় মহিলারা। দিঘীতে স্নান সেরে জল ভর্তি কলসি কাখে নিয়ে মন্দিরে গিয়ে জল ঢালতে শুরু করেন মহিলারা। মন্দিরের পুরোহিত বিশেষ পুজার্চনার ব্যবস্থা করেন। তাদের মতে রাজন্য আমল থেকে এই প্রথা প্রচলিত। পাঁচশ বছর আগে মহারাজ কল্যাণ মাণিক্য স্বপ্নাদেশ পেয়ে মন্দির নির্মাণ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করেন মহারাজ ধন্য মাণিক্য। তখন বেশ কয়েক বছরের টানা খরায় চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায়। অভাব অনটন শুরু হয়। তখন মহারাণি কমলা দেবী জলের দেবী গঙ্গার স্বপ্নাদেশ পান জলাশয় খননের জন্য। মহারাজ জলাশয় খনন করে গঙ্গা পূজা করেন। এরপর খরা কেটে যায়। এরপর থেকে যখনই অনাবৃষ্টি দেখা দেয় তখনই মহিলারা কলসি ভরে জল নিয়ে কালী মন্দির চত্বর ধুয়ে পরিস্কার করলেই বৃষ্টি নামতো। এই প্রচলিত প্রথা আজও মেনে চলেন স্থানীয় মহিলারা। তাই সাম্প্রতিক তীব্র দাবদাহ থেকে খানিকটা রেহাই পেতে বৃষ্টি কামনায় কমলাসাগর কসবেশ্বরী কালী মন্দির চত্বরে জল ঢালেন শতশত মহিলা। কথায় আছে বিশ্বাসে কৃষ্ণ মিলে, তর্কে বহুদুর। অনেকে বলছে এটা কুসংস্কার। কিন্তু তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাদের বিশ্বাস কসবেশ্বরী কালী মায়ের আশীর্বাদে বৃষ্টি হবে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরবে। উপকৃত হবে পশু পাখি বৃক্ষ লতা৷ সবুজে ভরে উঠবে চাষির জমি।
138
previous post