প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৩ নভেম্বর।। পশুপক্ষীর সঙ্গে সংস্কৃতিগতভাবে ভারতীয়দের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। সকল দেব-দেবী কোন না কোন পশু পক্ষীকে বাহন হিসেবে রাখতেন। আজও দেব দেবীর সঙ্গে পশু পক্ষীর পূজা করে সনাতনীরা। শুধু পশু পক্ষী নয় ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাসীরা প্রকৃতির প্রেমীও বটে। পশু পক্ষীর পাশাপাশি নদী এবং বৃক্ষরতার পূজাও হয় এই ভারতীয় উপমহাদেশে। এক সময় বনের ভয়ংকর পশুকে পোষ মানিয়ে লালনপালন করার ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। আজ মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশে বনের অবলুপ্তি ঘটছে। পশু পাখিরা স্থান পাচ্ছে চিড়িয়াখানায়। সরকার চিড়িয়াখানায় অবস্থানরত পশু পাখিদের দত্তক দেওয়ার আইনি অধিকার দিয়েছে পশুপ্রেমীদের। ২০১৯ সালে ভারত সরকারের এই আইন ত্রিপুরায় লাগু হলেও কেউ দত্তক নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেননি। এক্ষেত্রে অনন্য নজির তৈরি করলেন বিশালগড়ের তরুণ বিধায়ক সুশান্ত দেব । নিজের জন্মদিনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার দত্তক নিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। রাজ্যের ইতিহাসে রয়েল বেঙ্গল টাইগার নেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। বুধবার ছিল বিধায়কের জন্মদিন। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২ টা ছুঁতেই বিধায়কের শুভাকাঙ্ক্ষীরা জন্মদিন পালন শুরু করে। বুধবার দিনভর কেউ বাড়িতে গিয়ে কেউ মোবাইলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। বিকালে সময় কাটিয়েছেন শিশু আবাসে। সন্ধ্যায় কেক কাটার ধুম লাগে। দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে উদ্ভাবনী ভাবনায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। গতবছর সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে দু’টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আনা হয়েছিল। এদের একজনের নাম তৈজল অন্যজন হলেন শেরা । পুরুষ রয়েল বেঙ্গল টাইগার “শেরা” কে দত্তক নিয়েছেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। আগামী তিন মাসের খাবার চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য দপ্তরের খাতায় জমা দিতে হয়েছে এক লক্ষ তিরানব্বই হাজার টাকা। বুধবার দুপুরে চিড়িয়াখানার টাইগার এনক্লোজারের গেইটে দত্তকের মঞ্জুরীপত্র বিধায়কের হাতে তুলে দেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান পশু পক্ষী বৃক্ষলতা অর্থাৎ প্রকৃতিকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজ বরাবরই উনি করে থাকেন। সেই ভাবনা থেকেই কিছুদিন আগে রয়েল বেঙ্গল টাইগার দত্তকের জন্য দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। গতকাল সেই আবেদন মঞ্জুর করে দপ্তর। এ প্রকৃতিকে রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দাস জানান চিড়িয়াখানার পশু পক্ষি দত্তক দেওয়ার আইন রয়েছে। তবে এই রাজ্যে প্রথম কোন ব্যক্তি রয়েল বেঙ্গল টাইগার দত্তক নিয়েছেন। এর জন্য তিনি বিধায়ক সুশান্ত দেব কে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো জানান ভারত সরকার প্রতিটি অভয়ারণ্যকে সচ্ছল স্বনির্ভর এবং সুন্দর করার কাজ করছে। সিপাহীজলা অভয়ারণ্য নতুনভাবে সেজে উঠেছে। নতুন পশু পক্ষীর আগমন সহ পর্যটকদের বিনোদনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে মূল ফটক থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে । সবুজে ভরা চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সেলফি পয়েন্ট সহ বিনোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
admin
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-হাঁস,মোরগ ছাগল প্রতিপালনের পাশাপাশি নতুনভাবে খরগোশ প্রতিপালনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে ঊনকোটি জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের পাঁচটি প্রজাতির খরগোশের বাচ্চা তুলে দেওয়া হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র কৈলাসহরের উদ্যোগে কৈলাসহর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় নিজের বসত ভূমিতে জৈব পদ্ধতিতে খরগোশ প্রতিপালনের উপর প্রশিক্ষণ শিবির ও খরগোশ বিতরণ অনুষ্ঠান।জানা গেছে রাজ্যের মধ্যে প্রথম কৈলাসহর স্থিত কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে এই ধরনের খরগোষ প্রতিপালনের উপর কর্মশালা ও খরগোশ বিতরণের অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় সিনহা,এ আর ডি ডি দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর রাহুল ধর পুরকায়স্থ,সিনিয়র সায়েন্টিস্ট বিশ্বজিৎ বল, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক ডঃ চন্দ্রা দেববর্মা প্রমূখ।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র সাইন্টিস্ট বিশ্বজিৎ বল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন আজকের অনুষ্ঠানে উন্নত প্রজাতির খরগোশ বিতরণ করা হবে। যা মাংস হিসেবে বিক্রি করা যাবে। প্রত্যেকের গৃহপালিত পশু রয়েছে। এই গৃহপালিত পশু গুলির পাশাপাশি তিনটি করে খরগোশ দেওয়া হবে। তাছাড়া দশ রকমের উন্নত প্রজাতির সবজির বীজ দেওয়া হবে। যা বেনিফিশিয়ারিরা তাদের বাড়ির উঠানে কিংবা ঘরের পিছনে রোপন করে সবজি উৎপাদন করবেন। সেই সবজি তাদের প্রয়োজন মতো তারা ব্যবহার করতে পারবেন। তার মধ্যে যে উদ্বৃত্ত সবজি রয়ে যাবে তা খরগোশকে দেওয়া যাবে বলে তিনি বলেন। এক একটি খরগোশ চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন হয়ে যায় যদি বৈজ্ঞানিকভাবে চাষ করা যায়। খরগোশ গুলি বাচ্চা দেওয়ার পর সেই বাচ্চা গুলি তিন মাস প্রতিপালন করার পর সেই বাচ্চা গুলি দুই থেকে তিন কেজি ওজন হয়ে গেলে বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে। তিন মাস অন্তর অন্তর খরগোশগুলি বাজারজাত করা যাবে। তিনি খরগোশ গুলিকে খুব যত্ন করে প্রতিপালন করার জন্য বলেন। প্রত্যেক বেনিফিশিয়ারিকে দুটি করে মেয়ে খরগোশ ও একটি পুরুষ খরগোশ দেওয়া হবে। তিনি খরগোশ গুলির সাথে ট্রাক দিয়ে যে দুইজন বৈজ্ঞানিক রাজস্থান থেকে ছয় দিনের যাত্রা করে তিন হাজার কিলোমিটার পার হয়ে কৈলাসহর এসেছেন তাদের উচ্চ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন ভারতবর্ষের আর কোথাও মনে হয় না কোন বৈজ্ঞানিক ট্রাকে করে ছয় দিনের যাত্রা করে কোথাও গিয়ে এ ধরনের কাজ করেছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের উচ্চ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন দুধ, মাছ ও মাংসের রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য মন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন কাল আমবাসায় মন্ত্রীর সুধাংশু দাস রিভিউ মিটিং করেছেন। আজ ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন তিনি যখন চাকুরী করতেন তখন সেই সুবাদে একদিন খরগোসের মাংস খেয়েছিলেন। খরগোশের মাংস যে সুস্বাদু তিনি তখন জানতেন না। পরবর্তী সময় চাকুরী থেকে অবসর পাওয়ার পর তিনি নিজেও বাড়িতে খরগোশ প্রতিপালন করেছেন। অনুষ্ঠানে সুদূর রাজস্থান থেকে আগত বৈজ্ঞানিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন রাজ্যের মধ্যে এই জেলাতেই প্রথম খরগোশ প্রতিপালনের উপর কর্মশালা ও খরগোশ বিতরণ করা হয়েছে।কৃষি ক্ষেত্রে উর্বর এই জেলায় খরগোশ প্রতিপালনের পাশাপাশি কৃষিজীবীদের আয়ের উৎস বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের সার বীজ প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সামগ্রিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ রতন দাস।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বুধবার ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে ২৮ তম রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসব ও বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা,রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী,ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ,ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের সচিব ডঃ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী,পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়,জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা এবং চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চ্যায়ারম্যান সম্পা দাস পাল প্রমুখ।প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী টিংকু রায় সহ অন্যান্যরা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী।স্থানীয় বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন প্রতিযোগিতা মূলক ও যুবদের বার্ষিক সমাবেশ হচ্ছে যুব উৎসব।বর্তমানে দেশের বিকাশে যুবদের ভূমিকা অপরিসীম।তিনি রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসব কৈলাসহরে করার জন্য মন্ত্রী টিংকু রায়কে ধন্যবাদ জানান। রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসবের উদ্বোধক মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রীরামপুর স্থিত সূর্যমনি মেমোরিয়াল হাইয়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ে।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মডেল গুলো আমরা দেখব।এই হলে উপস্থিত প্রত্যেকেই আমরা সেখানে যাব।যেখানে ১৩০টির ও বেশি বিজ্ঞান মডেল থাকবে এই মেলায়। পূর্বে আগরতলা থেকে কৈলাসহর আসতে ছয় ঘন্টা সময় লাগতো।আজ আমরা আড়াই থেকে তিন ঘন্টায় চলে আসতে পারি।এখানে অনেক যুবকরা রয়েছেন এক সময় জাতীয় যুব উৎসবে শামিল হয়েছেন।সেই সমস্ত যুব উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য আগরতলা থেকে বাসে চেপে গৌহাটি গিয়ে সেখানে এক রাত্র থেকে পরের দিন ট্রেনে করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়েছে। আজ আগরতলা শহর থেকে ১৫ থেকে ১৬ টি ট্রেন ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে যায়।যার জন্য গৌহাটি থেকে যেতে হয় না।আমাদেরকে আত্মনির্ভর মানসিকতায় এগিয়ে যেতে হবে।সেই মানসিকতায় নিজেদের ছোট থেকে বড় করতে হবে। আমরা যেন নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারি।অন্যকেও যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারি সেভাবে যেন আমরা তৈরি হই।আমাদের রাজ্য ছোট হতে পারে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা উত্তর পূর্বাঞ্চল নয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক এগিয়ে।আমাদের ছোট্ট রাজ্যে যদি দেখি এখানে ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাবার উৎপাদন হয়। আমাদের রাজ্যে যে বাঁশ রয়েছে সেই বাঁশ শিল্পের উপর ভিত্তি করেও অনেকের রোজগারের ব্যবস্থা হতে পারে।আত্মনির্ভর মানসিকতায় আমাদের তৈরি করতে হবে।আমরা মৃন্ময়ী মায়ের প্রতিযোগিতা করছি। নিজের মার জন্য একটি ঘর তৈরি করতে পারি না।যার জন্য সরকারকে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করতে হচ্ছে।এটা সামাজিক ব্যাধি।আজ হলে যারা আমরা বসে আছি আমাদের সংকল্প নিতে হবে যাতে আমরা আমাদের অভিভাবকদের নিজের ঘরে রেখে সেবা করতে পারি। রাজ্যভিত্তিক প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের পর রাজ্যের আটটি জেলা থেকে আসা শিল্পীরা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। মূলত লোকনৃত্য,লোকগীতি পেন্টিং,কবিতা ও গল্প লিখন সহ ১২ টি বিষয়ের উপর রাজ্যভিত্তিক ও বিজ্ঞান মেলায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রিয়াং জনজাতিদের আরো বেশি মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ ।
প্রতিনিধি শান্তির বাজার :আজ শান্তিরবাজার মহকুমায় বীরচন্দ্র মনু দখল সিং রিয়াং পাড়ায় জনজাতি অংশের লোকজনদের সঙ্গে তাদের অভাব অভিযোগের পাশাপাশি ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার দখলকৃত জায়গাতে মোটরস্ট্যান্ড নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া জায়গা সমস্যা নিরাশনের লক্ষ্যে সরজমিনে সরকারি আধিকারিকসহ প্রতিনিধি দল নিয়ে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা পরিদর্শন করেন আজ। মন্ত্রী পরবর্তী সময়ে ছুটে যান ব্রু সংগ্রংমা মন্দির প্রাঙ্গনে সেখানে জনজাতীয় অংশের লোকজনদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেন এবং মন্দির প্রাঙ্গণে স্বচ্ছ ভারত অভিযান করেন মন্ত্রী । আজকের এই পরিদর্শন এবং বৈঠকে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল অফ তিপ্রাসা হদার সহ-সভাপতি তথা ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি খনারাম রিয়াং, বীরচন্দ্র মনু দক্ষিণ জোনাল জয়েন চেয়ারম্যান হরেন্দ্র রিয়াং ,রিয়াং সম্প্রদায়ের সমাজপতি খবা রিয়াং, ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার সভাপতি বীরেন্দ্র রিয়াং সহ অন্যান্যরা। আজকের এই মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে রিয়াং জনজাতিদের জনকল্যাণমুখী সাত দফা দাবি সনদ জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা হাতে তুলে দেন ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার তরফ থেকে। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আলোচনা করতে গিয়ে বলেন এই ধরনের সামাজিক সংস্থাগুলি রক্তদানে এগিয়ে আসতে হবে। শ্রীমন্ত্রি আরো বলেন সমাজ সচেতন করার পাশাপাশি যুবকদের নেশার থেকে বিরত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করার সামাজিক সংগঠনগুলিকে । বৈঠক শেষের মন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন সংগ্রংমা মাঠে দ্বিতল বিশিষ্ট একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে দ্রুত, পাশাপাশি লংদ্রায় মন্দিরের জায়গাতে পাট্টা প্রদান করা হবে, এবং পূজোকে কেন্দ্র করে ছুটি ঘোষণা বিধানসভায় আলোচনা করা হবে, পাশাপাশি মন্দির প্রাঙ্গনে একটি হোস্টেল নির্মাণ সহ ইত্যাদি আশ্বাস প্রদান করেন মন্ত্রী। জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগ জানাতে পেরে খুশি রিয়াং জনজাতি অংশের লোকজন।
বাইখোড়া ও এন জি সিতে কর্মরত শ্রমিকরা আন্দোলনে সামিলহয়ে কর্মবিরতির ডাকদিলেন।
- প্রতিনিধি শান্তির বাজার: ঘটনার বিবরন জানাযায় শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত বাইখোড়া এলাকায় ও এন জি সির বোম ফাঁটানোর কাজ চলছে। এই কাজে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ এর অধিক শ্রমিকরা কাজে নিযুক্ত রয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ কাজে যোগদানকরার পূর্ব এগ্রিমেন্ট করাহয়েছে শ্রমিকদের ৫৮০ টাকা মজুরি ও সপ্তাহে একদিন ছুটি দেওয়াহবে। কিন্তু দেখাযায় দীর্ঘ দিন কাজকরার পর শ্রমিকদের দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি দেওয়াহচ্ছে এবং সপ্তাহে একদিন ছুটি দেওয়ার কথা থাকলেও তাদেওয়াহচ্ছেনা। এইনিয়ে শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকলে আন্দোলনে সামিল হয়ে কর্মবিরতির ডাকদেয়। সকলের দাবি শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা করেদিতেহবে। তানহলে সকলে অনিদিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতিতে সামিলহবে। তথাকথিক বর্তমানসময়ে শ্রমিক দরদী ভারতীয় মজদুর সংঘ শ্রমিকদের দাবিনিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। জানাযায় এই অর্থথেকে মোটা অঙ্কের অর্থ শান্তির বাজার শ্রমিক সংগঠনের দুইজন নেতৃত্বের পকেটে যাচ্ছে । উনারা এই কাজের সঙ্গে জরিত বলে জানাযায়। ভারতীয় মজদুর সংঘ সর্বদা শ্রমিকদের স্বার্থে কাজকরতে দেখাগেলেও কয়েকজন নেতৃত্ব অর্থের লোভে নিজেদের বিক্রিকরেদিয়েছে বলে অভিযোগ এবং উনারাই শ্রমিকদের উপার্জিত অর্থের লাভের অংশ নিজেদের পকেটেভরছে। আজকের এই আন্দোলনের খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটেযায় বাইখোড়া থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতহয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের দাবি জানালেও শ্রমিকরা উনাদের ন্যায্যপাওনার দাবিতে আন্দোলন জারী রাখেন। এখন দেখার বিষয় শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিতে প্রসাশন ও রাজ্যস্তরের ভারতীয় মজদুর সংঘের নেতৃত্বরা কোনোপ্রকারের পদক্ষেপগ্রহন করেনকিনা।
সর্বনাশা জুয়ায় সর্বশান্ত হচ্ছেন খোয়াইয়ের সাধারণ অংশের জনগণ। পাহাড় এবং সমতল সর্বত্র চলছে জোয়ার রমরমা। পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার। খোয়াই শহরে চলছে এন্ডিং নামক জুয়া। আর পাহাড়ে চলছে তির এবং জান্ডি মুন্ডা নামক সর্বনাশা জুয়া। নিজের ঘাটের পয়সা জোয়ায় হারাচ্ছেন গরীব বংশের সাধারণ জনগণ। খোয়াই শহরের সুভাষ পার্ক কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ। সকাল হতেই কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে শুরু হয় জুয়ারীদের আনাগোনা। এছাড়া পুরান বাজার, মোটর স্ট্যান্ড, নতুন বাস টার্মিনাল পয়েন্ট সকাল হতেই দখল নিয়ে নেয় জুয়ারীরা। একই অবস্থা পাহাড়ের। পাহাড়ে জান্ডি মুন্ডা এবং তির নামক জোয়ায় সর্বস্বান্ত হচ্ছেন জনজাতি অংশের জনগণ। দিনভর শ্রম করে যতটুকু উপার্জন করে তার অধিকাংশ অর্থই জোয়ায় হেরে খালি হাতে ফিরতে হয় গরিব এবং শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের। তাতে করে ওই সব পরিবারগুলিতে অভাব অনটন নেমে আসে। সৃষ্টি হয় পারিবারিক অশান্তি। আর এইসব হচ্ছে পুলিশের জ্ঞাত সারে। গরিব শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের পাশাপাশি একাংশ সরকারি কর্মচারী এই জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়ছেন। খোয়াইয়ের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের অভিমত এই সর্বনাশা জোয়া থেকে সমাজকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পুলিশের সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- আমরা সবাই জানি আলোকচিত্রী শ্রীমন্ত রায় তথা গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের তোলা একটি ছবি সম্প্রতি ‘কুইর নেচার ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’-এ প্রথম ১০ জনের মধ্যে স্থান পেয়েছিল। এই বিষয়ে অধ্যক্ষ মহাশয়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায় যে পরবর্তীতে এই ছবিটি অষ্টম স্থান অধিকার করেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার এক অভূতপূর্ব অনুভূতি ও ঘটনার সাক্ষী আমরা সাংবাদিকরা হয়ে রইলামI অধ্যক্ষ মহাশয় হঠাৎ আমাদের ফোন করে উনার কলেজে আসার আমন্ত্রণ জানান। আমরা আসার পর উনি আমাদের হাতে উক্ত ছবিটির একটি করে বাঁধানো কপি ও মিষ্টান্ন আমাদের হাতে তুলে দিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন I এই ঘটনায় আমরা প্রত্যেকেই অভিভূত হয়েছি I উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলেন যে “আপনারা সাংবাদিকরা সারা দিনরাত নানা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে সংবাদ পরিবেশন করেন I সুতরাং এই স্বীকৃতিটুকু আপনাদের প্রাপ্য I এই সম্বর্ধনা দিতে পেরে আমি নিজেকে কৃতার্থ মনে করছি। বিশ্বের দরবারে আমার এই সাফল্য আমার একার নয়, এ প্রাপ্তি আমাদের মহাবিদ্যালয়, দপ্তর, সম্পূর্ণ গন্ডাছড়া তথা গন্ডাতুইসা সাব ডিভিশন, রাজ্য ও দেশের সবার প্রাপ্তি; এবং আপনাদের মাধ্যমে সেই বার্তা রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে গেছে I তাই আমার এই আনন্দটুকু আপনাদের সবার সাথে ভাগ করে নিলাম।” উনার সাথে আরো কথা বলে জানতে পারি যে গন্ডাছড়ার সবার প্রাপ্তি মনে করে, উনি গতকাল এখানকার মাননীয় এস.ডি.এম মহাশয়ের হাতে এমনই একটি ছবি প্রতীকি হিসাবে দিয়ে এসেছেন I শ্রীমন্ত বাবুর কাছ থেকে জানতে পারা যায় যে উনার এই সাফল্যে মাননীয় এস.ডি.এম মহাশয়ও খুব খুশি ও গর্বিত I শুধু তাই নয় শ্রীমন্ত বাবু জানান মাননীয় এস.ডি.এম স্যার উনাকে নানান ভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন যা উনাকে আরো স্বপ্ন দেখাবে I একটি ক্ষুদ্র ও ব্যক্তিগত প্রাপ্তিকে সার্বিক রূপ দেওয়ার ওনার এই প্রচেষ্টায় আমরা সাংবাদিকরা সত্যিই অনুপ্রাণিত।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কৈলাসহর গৌরনগর ব্লকের অধীন খাওরাবিল পঞ্চায়েতের অরবিন্দ নগর কলোনি থেকে আছারুন বিবি (৫৫) নামের এক মহিলাকে আটক করেছে ইরানি থানার পুলিশ।অভিযানে প্রায় ২.৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়।যার আনুমানিক কালোবাজারী মূল্য লক্ষাধিক টাকা হতে পারে বলে জানা গেছে।অভিযানের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা গোপন খবর পাওয়ার পর ডিএসপি উৎপলেন্দু নাথ এবং এসআই আবু হাওয়ালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালায়।সফল অভিযানের ফলস্বরূপ আছারুন বিবিকে আটক করা হয় এবং তাকে ইরানি থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেখানে এ ধরনের অপরাধ একপ্রকার সেই প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে কিছু নেশা কারবারীরা।দীর্ঘ দিন ধরে এই মহিলা ব্রাউন সুগার সহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য বিক্রি করে যুব সমাজকে নেশার দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আছারুন বিবির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেশা কারবারীদের একটি বড় নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
আসাম রাইফেলস ও শুল্ক বিভাগের অভিযানে ১কোটি ২৭ লক্ষ টাকার বিদেশী সিগারেট বাজেয়াপ্ত
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-শুল্ক বিভাগ ও আসাম রাইফেলসের যৌথ অভিযানে ১কোটি ২৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ১০.৪ লক্ষ বিদেশী সিগারেট বাজেয়াপ্ত করেছে।গত ১১ই নভেম্বর ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়ায় সাধারণ এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং একটি বোলেরো পিকআপ গাড়ী আটক করা হয়েছে।বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে আসাম রাইফেলস দ্বারা একটি অভিযান শুরু করা হয়েছিল এবং তারা আটক করতে সক্ষম হয়।যেগুলি আরও তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কাস্টমস বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- দীর্ঘদিন পর রাধাকিশোরপুর থানা নেশা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেয়েছে । রবিবার দুপুরে গোপন খবরের ভিত্তিতে রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ মাতাবাড়ি ড্রপ গেইট এলাকার বাসিন্দা রাজু দেবনাথ এর বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে বিলেতি মদ বাজেয়াপ্ত করে থানার সেকেন্ড ওসি সমর দাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা । পুলিশ তার গোপন খবরের মাধ্যমে এই অভিযান সংগঠিত করে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অবৈধ মদ বিক্রেতা রাজু । পরে পুলিশ বাজেয়াপ্ত মদ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে । পুলিশ জানায় বাজেয়াপ্ত মদের বাজার মূল্য প্রায় ১৫ হাজার টাকার উপর । দীর্ঘদিন পরে রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ সাফল্য পাওয়াতে কিছুটা হলেও অবৈধ মদ ব্যবসায়ীদের মনে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে পুলিশ মহল ।