শান্তিরবাজার, দক্ষিণ ত্রিপুরা: TRESP-TPD 2025-26-এর অন্তর্গত জেলা স্তরের ইন-সার্ভিস টিচার প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট (TPD) প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সোমবার, শান্তিরবাজার বিআরসি হলে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শিক্ষা আধিকারিক (DEO)-এর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই কর্মসূচি জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) 2020-এর লক্ষ্য অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছিলেন শ্রী সুদিপ দাস (BRC coordinator) উদ্বোধনী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি স্বপনা মজুমদার, মাননীয়া চেয়ারপার্সন, শান্তিরবাজার পৌর পরিষদ।সম্মানীয় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রী দিলীপ কুমার দেববর্মা, জেলা শিক্ষা আধিকারিক (দক্ষিণ ত্রিপুরা) সহ প্রমুখ ।
কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল— মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আধুনিক শিক্ষণ কৌশল ও উদ্ভাবনী শ্রেণিকক্ষ কার্যপদ্ধতিতে দক্ষ করে তোলা। শিক্ষাদানের ধারা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর দর্শনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করা।দক্ষিণ ত্রিপুরাজুড়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সমতা নিশ্চিত করা।কর্মসূচির বিন্যাস মোট ৩২টি ব্যাচে ১,৩৩৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ দুই ধাপে আয়োজিত হয়েছিল—১৮–২৩ আগস্ট : ১৬ ব্যাচ ২৫–২৯ আগস্ট : ১৬ ব্যাচ এই প্রশিক্ষণ জেলার ৮টি ব্লক রিসোর্স সেন্টারে (BRC) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছিলেন ২৪ জন মাস্টার ট্রেইনার, যাঁরা এসসিইআরটি ত্রিপুরা ও ট্রান্সফর্ম ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হয়েছিলেন। প্রশিক্ষণের মান পর্যবেক্ষণ করছেন শ্রী ইকবাল হোসেন (ইমপ্লিমেন্টেশন কো-অর্ডিনেটর, ট্রান্সফর্ম ট্রাস্ট), দক্ষিণ ত্রিপুরা ডিইও ও পেডাগজি কো-অর্ডিনেটরের সহযোগিতায়। এনইপি ২০২০-এর লক্ষ্যে অগ্রযাত্রা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দক্ষিণ ত্রিপুরায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি, সমস্যা সমাধান এবং সমগ্রতাবাদী শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছিল।
admin
প্রতিনিধি, আগরতলা :- গত ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে মাতার বাড়ি ধন্য মানিক্যমুক্ত মঞ্চে ধান ক্রয় কর্মসূচি। প্রথম দিকে গত কয়েকদিন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শনিবার থেকে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে ব্যাপারিদের ধান বিক্রির ধুম। যে জায়গায় রাজ্য সরকার চাইছে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার জন্য। আর সেদিকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ১০ জন যদি থাকে প্রকৃত কৃষক আর বাকি ৯০ জন থাকছে ধানের ব্যাপারী । তারা প্রতিটা সময় ধান বিক্রি করে চলেছে খাদ্য দপ্তরের কিছু কর্মচারীকে হাতে নিয়ে। এরমধ্যে একাংশ ভালো কর্মচারী সূত্রে জানা যায় , অধিকাংশ ধানের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে চিট আকারের । যা ধানের গুণগতমান একেবারে ভালো নয়। অন্যদিকে খাদ্য দপ্তরের এক সোমা নামে সরকারি কর্মী প্রতিনিয়ত ধানের গোটা বিষয় নিয়ে দেখাশুনার দায়িত্বে থাকলেও বর্তমানে একেবারে দায়সারা ভাবে কাজ করে চলেছে । অন্যদিকে আরো একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় , সুবোধ দাস নামে এক সরকারি কর্মী গত ডিসেম্বর মাসেই অবসর নিয়েছে চাকরি থেকে। কিন্তু বর্তমানে তাকে আবারো খাদ্য দপ্তরে চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে উদয়পুরে। কিভাবে আবারো চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হলো এই নিয়ে দপ্তরের মধ্যেই চলছে কানাঘুষা । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্য সরকার যখন চাইছে স্বচ্ছতা ভাবে সমস্ত কাজকর্ম করার জন্য। আর সেই দিকে অস্বচ্ছতার এক ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে মাতারবাড়ির ধান বিক্রয় কেন্দ্রে। ছুটির দিন রবিবারে ধান বিক্রির কেন্দ্র এক অস্বচ্ছতার ছাপ লক্ষ্য করা যায়। শ্রমিকদের জন্য নেই পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা। অন্যদিকে মাতাবাড়ি কৃষি মহকুমা কোন আধিকারিক কে দেখা যায়নি ধান বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে। দপ্তরের বিশ্বস্ত সূত্রের খবর গত ৬ দিনে ১০৬০ মেট্রিক টন ধান এখনো পর্যন্ত কেনা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে গুণগত মান কতটুকু সঠিক রয়েছে তার বিচার করার কোন ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না মাতার বাড়ি ধান বিক্রয় কেন্দ্র। আগামী দিন কতটুকু স্বচ্ছতা বজায় রাখবে কৃষি দপ্তর থেকে শুরু করে খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তর । এই নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন ?
স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা বানচাল, বিস্ফোরক সহ আটক TUNF-এর দুই জঙ্গি উত্তর জেলায় পুলিশের হাতে।।
ধর্মনগর প্রতিনিধি,,
সমগ্র ভারতবর্ষ তথা ত্রিপুরায় স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে বড়সড় হামলার ছক একে ছিল TUNF জঙ্গি গোষ্ঠী। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিল উওর জেলার গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ উভয়ে মিলে । সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উত্তর জেলা এসপি অভিনাশ রাই জানান, আসাম থেকে পরিচালিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট (TUNF)-এর দুই সক্রিয় সদস্যকে আজ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন ধনঞ্জয় রিয়াং (৩৯) বাড়ি হাইলাকান্দি আসাম ও সদাইনন্দ রিয়াং (৩৪) বাড়ি দামছড়া কাসকাউপাড়া উওর ত্রিপুরা । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়,,
১. উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক ডেটোনেটর
২. বিস্ফোরক বার
৩. ছুরি
৪. TUNF-এর লেটার হেড
৫. ডায়েরি ৬. ২টি টর্চ সহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। আজ উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার অন্তর্গত ত্রিপুরা–মিজোরাম সীমান্তের কাঞ্চনপুর–ভাংমুন সড়কের উপর থেকে তাদের আটক করা হয়।পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের পরিকল্পনা ছিল পুলিশের যানবাহনকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং শুধু তাই নয় পুলিশ কর্মীদেরও আহত বা নিহত করা যাতে করে স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্য এই বিস্ফোরকগুলি আনা হচ্ছিল। ঘটনার পর গোটা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং ধৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর জেলার পুলিশ ।
কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে, স্বামী ও শাশুড়ির,শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে নিখোঁজ গৃহবধ।
বক্সনগর প্রতিনিধি :-বিগত৪/৮ ২০২৫ , ইং তারিখ থেকে, কলসি মোরা রতন দোলা নিবাসী,প্রদীপ নম এর স্ত্রী বাসন্তী বৈদ্য, নিখোঁজ। সূর্য মনি নগর ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রঞ্জিত বৈদ্যের কন্যা বাসন্তী বৈদ্যের সহিত সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুসারে সামাজিকভাবে প্রদীপ নম্ঃ শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। আজ থেকে নয় বছর পূর্বে, তৎকালীন সময়ে আশা বাড়ি নিবাসী নির্মল নম র, পুত্র প্রদীপ নম ঃ সহিত। বর্তমানে কলসি মোরা গ্রাম প্রদীপ নম বসবাস করছে। বাসন্তী বৈদ্যের বিয়ের দু বছরের মাথায় ফুটপুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার কারণেই সংসারে অশান্তি কলহ বিরাজ করছে। নির্মম ভাগ্যের কি পরিহাস পরপর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কখন থেকেই সংসারে শুরু হয়ে যায় অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন শারীরিক-মানসিক টর্চার। প্রদীপ নমো এবং তার মা র মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে বাসন্তীর কোলে কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার কারণে। প্রদীপ নমঃ একজন গাঁজা ব্যবসায়ী, দুই নম্বরি পাচারকারী এবং সমাজের দুষ্ট প্রকৃতির লোক হিসেবে গোটা কলসি মোরা, বক্স নগর তার নাম ছড়িয়ে রয়েছে। সে তার ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে সাত দিন আট দিন অন্যত্র চলে যায়, কিন্তু সংসারের খরচাপাতি দেবার এবং ছোট শিশু কন্যা সন্তানের দায়িত্ব কর্তব্য বলতে কিছুই খবর রাখে না, খাবার দাবার টিফিন এমনকি সংসারের খরচ কিছুই দিচ্ছে না। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে এসে বাড়িতে এসেই বাসন্তী বৈদ্যের শহীদ ঝগড়াঝাটি মারপিঠ করত বলে প্রতিবেশী সূত্র থেকে জানা যায়। এরকম অত্যাচার নিপীড়, নির্যাতন অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে পূর্বে আরো দুই দুইবার বাবার বাড়িতে চলে যেত। সরকারি আইনি প্রশাসনের সহযোগিতা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সালিশি সভার মাধ্যমে আরো দুইবার প্রদীপ ন মঃ হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুনভাবে সংসার করার জন্য বাসন্তী বৈদ্যকে। মা ও ছেলে মিলে আমার মেয়ে বাসন্তী বৈদ্য কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু পাষণ্ড প্রদীপ নম ঃ,অসুর এবং পশুর মত উগ্র ব্যবহার অত্যাচারে নির্যাতন শারীরিক-মানসিক দিন থেকে দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘটনার আড়ালে অনেক কিছু ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। প্রদীপ নমঃ র মতিগতি বোঝা বড় দায়।
তাই আজ ৯ দিন অতিক্রান্ত হইয়া গেলে ও প্রদীপ নম ঃ আমার মেয়েকে খোঁজ এবং সন্ধান করার জন্য আমাদের কে কোন সহযোগিতা সাহায্য করেনি, এমনকি পুরো ঘটনা জানান নি ।তাই আমি একজন হতদরিদ্র পিতা হিসেবে আমার মেয়ে কে উদ্ধার করার জন্য নিখোঁজ ডায়েরি করেছি,কলম চৌড়া থানা, প্রশাসনিক তদন্তক্রমে, রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নিকট বিনম্র আবেদন করছি।
বিদ্যুৎ মন্ত্রীর হাত ধরে দূর্গা চৌমুহনীতে আধুনিক ৩৩ কেভি সাব স্টেশনের উদ্বোধন
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- সোমবার কমলপুর মহকুমার সুরমা দুর্গা চৌমুহনী বাজার এলাকায় রাজ্যের বিদ্যুৎ নিগমের উদ্যোগে এন ই আর পাওয়ার সিস্টেম ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় নির্মিত অত্যাধুনিক ৩৩ কেভি সাব স্টেশনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মোট ৯ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এই সাব স্টেশন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল, কমলপুরের বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব, ধলাই জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি অনাদি সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ভানুপদ লোহী, সমাজসেবী ও সুরমা মন্ডল সভাপতি শুভাশিস আহিরসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রতন লাল নাথ রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, এই নতুন সাব স্টেশন চালু হলে কমলপুর মহকুমা সহ সংলগ্ন এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও নিরবচ্ছিন্ন ও স্থিতিশীল হবে। পাশাপাশি, শিল্প ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, রাজ্য সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিকাঠামো ব্যবহার করে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এন ই আর পাওয়ার সিস্টেম ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন সাব স্টেশন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার ও উন্নত বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনসাধারণ নবনির্মিত সাব স্টেশন ঘুরে দেখেন এবং উন্নত বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সুফল পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সার্বিকভাবে, এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান সুরমা ও কমলপুর মহকুমার উন্নয়নযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে চিহ্নিত হলো।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে উদয়পুরের অন্যতম সামাজিক সংস্থা হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এক মেগা স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। রবিবার বৃক্ষে জলদান করার মাধ্যমে উদয়পুর ছাতারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অধীন শিব মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই মেগা স্বাস্থ্য শিবিরের শুভ উদ্বোধন করেন কাকরাবন শালগড়া কেন্দ্রের বিধায়ক জীতেন্দ্র মজুমদার। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবীকা সবিতা নাগ, টেপানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ঝর্না দাস, ছাতারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্বরূপ মজুমদার, হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির সভাপতি জয়দীপ পোদ্দার প্রমুখ। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষন রাখেন হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির সভাপতি জয়দীপ পোদ্দার। এই স্বাস্থ্য শিবিরে গোমতী জেলা হাসপাতাল এবং ত্রিপুরা সুন্দরী মহকুমা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়। এদিন ছাতারিয়া, ধ্বজনগর এলাকার আট থেকে আশি সকল অংশের লোকজনেরা উপস্থিত হয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহন করেন। উল্লেখ্য, বছরের প্রতিনিয়তই নানান সামাজিক কর্মসূচি করে থাকেন হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির সদস্য সদস্যারা। এদিন এই স্বাস্থ্য শিবিরে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেল্পিং হেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা প্রজ্জ্বলিকা ভৌমিক, সহ সভানেত্রী সিম্পলী মজুমদার, সম্পাদিকা রুচিরা সাহা, সহ সম্পাদক জয়ন্ত দাস, কোষাধ্যক্ষ্য শুভ্র শেখর নাগ সহ সদস্য শক্তি চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ দাস, সোনালী দেবনাথ, সৃজা দাস, বিপাশা চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- রাজ্যের পঞ্চায়েত ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একযোগে প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত মন্ত্রী কিশোর বর্মন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি গত ৭ আগস্ট ধলাই জেলায় এসে জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং ব্লক স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও পঞ্চায়েত স্তরের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা। মন্ত্রী কিশোর বর্মন পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয়, জবাবদিহিমূলক ও জনমুখী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত হলো গ্রামীণ উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি, তাই এখান থেকে পরিবর্তনের সূচনা হওয়া উচিত।আলোচনায় আরও উঠে আসে শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি সেবার প্রাপ্যতা বৃদ্ধির বিষয়। মন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দেন যে, উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা অবহেলা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি সুস্মিতা দাস, বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা, বিদায়িকা স্বপ্না দাস পাল, সহকারী অনাদি সরকার এবং জেলার চার মহকুমার আধিকারিকসহ মহকুমার জনপ্রতিনিধিগণ। মন্ত্রী কিশোর বর্মনের এই সফর শুধু প্রশাসনিক নির্দেশনা দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি ছিল জনসংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তাঁর বক্তব্য ও আলোচনা ধলাই জেলার পঞ্চায়েত ও শিক্ষা খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় ।। শুকনো গাঁজা উদ্ধার করলো বিশালগড় থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার গোপন খবরের ভিত্তিতে সুকান্ত কলোনি এলাকায় শুকনো গাঁজা সহ গাড়ি আটক করে পুলিশ। গাঁজার পরিমাণ ৯৮ কেজি। পুলিশের কাছে খবর ছিল শুকনো গাঁজা ভিনরাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ অভিযান শুরু করে। সুকান্ত কলোনিতে মারুতি কোম্পানির গাড়ি আটক করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় ড্রাইভার। বহিঃরাজ্যে প্রচার করতে গাঁজা গুলি রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ গাড়িটিকে ধাওয়া করলে গাঁজা ভর্তি গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় গাঁজা কারবারিরা। পরবর্তী সময়ে ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাসের উপস্থিতিতে গাঁজা পরিমাপ করে বিশালগড় থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ওসি বিজয় দাস। ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস জানান পুলিশ গাঁজা সহ গাড়ি আটক করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয় সমস্ত আইন মেনে। গাড়িতে তল্লাশি হয় ডিসিএমের উপস্থিতিতে। ওসি বিজয় দাস জানান যেহেতু গাড়ি আটক হয়েছে তাই গাঁজা কারবারিকে আটক করা সহজ হবে। পুলিশ মামলা নিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
কোচবিহারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার কোচবিহারে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে আগে থেকেই কালো পতাকা নিয়ে খাগড়াবাড়িতে জমা হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শুভেন্দুর কনভয় ঢুকতেই লাঠি দিয়ে আঘাতের পাশাপাশি পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি পুলিশের গাড়িও ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর সেই কনভয় পৌঁছায় বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন শুভেন্দু।
ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সোসাইটি-র এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সাথে সাক্ষাৎ করেন
- প্রেস বিবৃতিঃ ৪ আগস্ট রোজ সোমবার ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সোসাইটি-র এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজ্যের ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বিভিন্ন সমস্যা সহ একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহার সাথে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তথ্য দপ্তর থেকে বিজ্ঞাপনের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদনও জানান ।মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা দীর্ঘ সময় ধরে ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সোসাইটি-র প্রতিনিধি দলের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেন। পরবর্তী সময় মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সোসাইটি-র প্রতিনিধি দলের সদস্যদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সোসাইটি-র প্রতিনিধি দলে ছিলেন ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক মিডিয়া সোসাইটির সম্পাদক তথা নিউজ টুডে চ্যানেলের এডিটর সৌরজিৎ পাল, সহ-সম্পাদক তথা চিনি খরাঙ নিউজ চ্যানেলের এডিটর রঞ্জিত দেববর্মা, সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ তথা সার্চ ইন্ডিয়া টিএনএন চ্যানেলের এডিটর মনিষ সাহা, অফিস সেক্রেটারি তথা এশিয়ান টাইমস নিউজ চ্যানেলের এডিটর সমরেশ দে, সোসাইটির কার্যকারী সদস্য তথা স্যান্দন টিভি চ্যানেলের এডিটর অভিষেক দে, কার্যকরী সদস্য তথা রাইস ইস্ট টিভি চ্যানেলের এডিটর সোমেন দেব, খুমপুই টিভি চ্যানেলের এডিটর মানস দেববর্মা এবং রাইজিং ত্রিপুরা টিভি চ্যানেলের এডিটর হানিফ আলী। ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সোসাইটি আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার স্বার্থে সহসাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।