প্রতিনিধি , উদয়পুর :- বৃহস্পতিবার করবুক মহকুমা শাসকের অফিসে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী , রেশন ডিলার এবং স্থানীয় বাজারের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রেক্ষিতে প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থার উপর আলোকপাত করা হয়েছে । জরুরী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পন্য সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সম্ভবিত প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এদিন বিস্তারিত আলোচনা করা হয় । পাশাপাশি যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করার জন্য সক্রিয় পরিকল্পনা সময়োপযোগী যোগাযোগ এবং কার্যকর সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই দিনের বৈঠকে মহকুমা শাসক সীমান্ত রক্ষী বাহিনী থেকে শুরু করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। অনেকের মতে এই ধরনের বৈঠক আগাম করার ফলে অনেকটাই সচেতন হবে বিভিন্ন দপ্তর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা খুব দ্রুত গতিতে করা যেতে পারে বলে মনে করছে সকলে।
admin
সি বি এস ই, মাধ্যমিক ফলাফলে মানিক্যনগরের কৃতি সন্তান সিপাহীজলা জেলায় সেরা দশের স্থান অর্জন।
বক্সনগর প্রতিনিধি:- ২০২৫ সালের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেছেন গতকাল দুপুর নাগাদ। বক্সনগর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত মানিক্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে,পূর্ব পাড়ার মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলে সিপাহী জলা জেলার সেরা দশে স্থান দখল করে নিয়েছে, তার নাম দেবজিৎ দাস, মোট পরীক্ষা নম্বর ছিল ৫০০ , সে পেয়েছে ৪৭৮ নম্বর। বিশালগড় ইংলিশ মিডিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল হইতে পরীক্ষায় বসে ছিল। শতকরা হিসেবে 95.6%. সে ইংরেজিতে পেয়েছে ৯৮, বাংলা পেয়েছি ৯৬, অংকে পেয়েছে ৯৭, বিজ্ঞানের ৯০ সোশ্যাল সায়েন্সে ৯৫ । দেবজিৎ দাস শৈশব জীবনেই খুব ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট হিসেবে গ্রামের স্কুলগুলি থেকে উঠে এসেছে। তার পিতা উজ্জ্বল দাস, দক্ষিণ কলম চৌড়ার বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় ছোটখাটো জবে নিয়োজিত। মাতা মামন দাস গৃহিণী। ছেলেকে কোলে পিঠে করে মানুষের মত মানুষ হবার স্বপ্ন গুনছেন। দেবজিৎ দাসের গৃহ শিক্ষক ছিল ৮ জন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১২-১৪ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। পিতা মাতা এবং দাদু আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সবাই দেবজিতের ফলাফলে খুশি। দেবজিৎ সাংবাদিকদের জানান সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সমাজ রাষ্ট্র গঠনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে এবং সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে। গোটা বক্সনগর এলাকার মধ্যে সিবিএসসি পরিচালিত বোর্ডে সেরার সেরা। কিন্তু পরিবারটি মধ্যবিত্ত অর্থ সেই রকম নেই টেনে হ্যাস রে পরিবার চালাচ্ছে তার পিতা উজ্জ্বল দাস। সরকার যদি তার পড়াশোনার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সুযোগ সুবিধা দেয়,তাহলে ছেলের ইচ্ছে পূরণ করা সম্ভব হবে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক ডক্টর বিশাল কুমার । মঙ্গলবার বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন তিনি। পাশাপাশি বামুটিয়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জেলা শাসক। বামুটিয়া ব্লক এলাকাতে ঝড় বৃষ্টির প্রভাবে অল্পবিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষতি হয়েছে সিমনা বিধানসভা এলাকাতে। গড়ে তোলা হয়েছিল অস্থায়ী ক্যাম্প। যদিও যারা অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা প্রত্যেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন মঙ্গলবার। বামুটিয়ার কাছারি টিলা, নোয়াগাঁও, তালতলা, গুছামুড়া সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা শাসক। বামুটিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুরানো বিল্ডিং এর একটি অংশ ভেঙে গেছে। পাশাপাশি নতুন বিল্ডিং পরিদর্শন করেছেন তিনি। বিশেষ করে নতুন বিল্ডিংএ স্থান সংকলনের জন্য সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা একসাথে এই বিল্ডিংএ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই সমস্যাটি কিভাবে সমাধান করা যায় তার ওপর আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছেন জেলাশাসক। তিনি জানান এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে রোগীদের আরও ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এদিন জেলাশাসকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বামুুটিয়া ব্লকের বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য, বামুটিয়ার মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধনদাস সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, বারই মে সাত সকালে ফের আরেকটি চুরি কান্ডের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলো পানিসাগর এলাকার লোকজন।ঘটনাটি ঘটে পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ডের রেলস্টেশন সংলগ্ন রাধাকৃষ্ণ পল্লী এলাকায় একটি মুদি দোকানে।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,নিত্যকার মতো গতকাল রাএি আনুমানিক দশটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে পাশ্ববর্তী বাড়িতে চলে যায় দোকান মালিক শঙ্কু দাস।পরবর্তীতে আজ সাতসকালে শঙ্কু এর দোকান লাগুয়া একটি ঘরে থাকা মাছের পোনা বিক্রেতা শঙ্কু কে দোকানের তালা ভাঙ্গার বিষয়টি জানালে তড়িঘড়ি ছুটে আসে দোকান মালিক শঙ্কু।দোকান মালিক জানায় দোকানটির দরজায় লাগানো পরপর তিন তিনটি তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে বেশ কিছু মুদি মাল সহ নগদ ছয় সাত হাজার টাকা চুরি করে পালায় চোরেরা।সব মিলিয়ে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানায় দোকান মালিক শঙ্কু।দোকান মালিক জানায় সে প্রায় রাএিতে দোকানে ঘুমাতো।বর্তমানে দোকানের পাশ্ববর্তী একটি ঘরে দুজন পোনা বিক্রেতা ভাড়া থাকাতে এখন সে অধিকাংশ রাএিতেই বাড়িতে ঘুমাতো।এরই সুযোগ বুঝে চেরেরা দোকানে চুরি কান্ড সংঘটিত করে।চুরি কান্ডের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে খবর পাটানো হয় পানিসাগর থানার পুলিশে।তবে খবর পাটানোর অনেকটা দেরিতে পানিসাগর পুলিশ চুরি কান্ডের বিষয়ে তল্লাশিতে যাওয়াতে দোকান মালিক সহ আশপাশ এলাকার লোকজন পানিসাগর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করছেন।বিগত এক সপ্তাহ কাল পূর্বে পানিসাগর সরকারি রেগুলেটেড মার্কেটে একই রাএিতে দু দুটি দোকানে চুরি কান্ড সংঘটিত হলেও একটির কোন কিনারা করতে পারেনি পানিসাগর থানার পুলিশ।পানিসাগর মহকুমার আনাচে-কানাচে প্রায় প্রতি রাতেই কোথাও না কোথাও এই ধরনের চুরি কান্ড সংঘটিত হলেও পানিসাগর পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে গুঞ্জন চলছে গোটা পানিসাগর মহকুমা জোরে।এখন দেখার বিষয় উক্ত চুরি কান্ডের বিষয়ে পানিসাগর থানার পুলিশ কি পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
প্রতিনিধি ধর্মনগর : বহিঃ রাজ্যে পাচারকালে বিদ্যুৎ এর ট্রান্সফরমার বোঝাই মালবাহী গাড়ি থেকে গাঁজা সহ দুই ব্যক্তি গ্রেফতার। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে আজ বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ ধর্মনগর মহকুমার চুড়াইবাড়ি থানার নাকা পয়েন্টে। প্রতিদিনের মত আজও চুড়াইবাড়ি থানার সামনে থাকা, নাকা পয়েন্টে চলছিল যানবাহন চেকিং। আজ বেলা আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ একটি ছয় চাকা বিশিষ্ট UP58AT1128 নম্বরের একটি গাড়ি আগরতলা থেকে বহিঃ রাজ্য গৌহাটির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে যখন চুড়াইবাড়ি থানার সামনে আসে। চুড়াইবাড়ি থানার ওসি খোকন সাহা দলবল নিয়ে গাড়িটিকে আটক করেন। পরবর্তীতে খবর দেন ধর্মনগর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক বি জেরিনপুই ও জেলা পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই সহ অনান্য আধিকারিকদের। গাঁজা বোঝাই গাড়ি আটকের ঘটনার খবর পেয়ে চুড়াইবাড়ি থানাতে ছুটে আসেন সকলে। পরবর্তীতে সকলের উপস্থিতিতে গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। গাড়িতে মজুদ করে রাখা ১০টি বৈদ্যুতিক নষ্ট ট্রান্সফরমারের ভিতর থেকে ৯৬ পেকেটে মোট ৯৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। সাথে আটক করা গাড়ির চালক ও সহচালকদের। গাড়ির চালক হল অদ্রেস কুমার সাচ্চান (৪২) পিতা মৃত অশোক কুমার সাচ্চান এবং সহচালক প্রমব কুমার পিতা মৃত রামভরসা। তাদের দুজনের বাড়ি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর জেলার বিধু থানাধীন কানপুরনগর এলাকায়। চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তাদের গ্রেফতার করে। তারা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গাঁজা গুলি আগরতলার খয়েরপুর বাইপাস থেকে গৌহাটির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। আগামীকাল তাদের জেলা আদালতে প্রেরণ করবে চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ।
শান্তির বাজার টাটা শোরুম থেকে গাড়ী ক্রয়করে প্রতারনার শিকার হয়েছে এক গ্রাহক।
শান্তির বাজার প্রতিনিধি :ঘটনার বিবরনে জানাযায় শান্তির বাজার মহকুমার নারাইফাং এলাকার বাসিন্দা ভজন লিম্বু গত জানুয়ারী মাসে শান্তির বাজার টাটা মোটর প্রগ্রেসিভ থেকে ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৯১ টাকা ক্রয়করে টাটা পাঞ্চ এডভেনচার গাড়ী ক্রয় করে। গাড়ী ক্রয় করার তিন দিন পরে গাড়ীরমধ্যে অগ্নিসংযোগ ঘটে। পরবর্তী সময়ে ফায়ার সার্ভিস সহ অন্যান্য দপ্তরের তদন্তক্রমে জানাযায় শর্ট সার্কিট থেকে গাড়ীতে অগ্নি সংযোগ ঘটে। এইনিয়ে ইনসুরেন্স ক্লেম করার পর জানাযায় ইনসুরেন্সের কিছু অর্থরাশি শোরুমের মালিকের একাউন্টে পৌঁছেযায়। গাড়ীর মালিক এই অর্থরাশী চাইবার পরথেকে শোরুমের মালিক তালবাহনা শুরুকরে বলে অভিযোগ। গ্রাহকের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েকমাস অতিক্রান্ত হবার পরেও তিনি ইনসুরেন্সের এক টাকাও পাননি। যেইটুকু অর্থরাশি প্রদানকরাহয়েছে তাও শোরুমের মালিক দিতে চাইছেনা। এই ঘটনার সত্যতা সংবাদমাধ্যমের সামনে শিকারকরে শোরুমের এক সেইলম্যান। এতেকরে গ্রাহকরা হয়রানির পাশাপাশি প্রতারনার শিকার হচ্ছে। টাটা মোটরস এর গাড়ী খোবই নিম্ন মানের বলে দাবী করছে গ্রাহক ভজন লিম্বু। অন্যান্য গ্রাহকরা যাতেকরে এইভাবে প্রতারনার শিকার হতেনাহয় তারজন্য টাটার গাড়ী যেন অন্যারা ক্রয় নাকরে তারজন্য বিশেষ আহব্বান জানান ভজন লিম্বু। এখন দেখার বিষয় গ্রাহকের নায্য পাওনা পাইয়েদিতে শান্তির বাজার টাটা মোটরস পগ্রেসিভ কিপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহনকরে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিকশিত ত্রিপুরা গড়ার শপথে ক্রীড়া ক্ষেত্রকে আধুনিকিকরন করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি সরকার।গৌরনগর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত দেওড়া ছড়া এডিসি ভিলেজের বেলকুমবাড়ি হাইয়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ে তৈরি হচ্ছে একটি সিন্থেটিক ফুটবল মাঠ।জানা গেছে ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে ও ট্রাইবেল ওয়েলফেয়ার দপ্তরের অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে এই মাঠ।প্রায় পাঁচ কোটি অর্থব্যায়ে তৈরি হওয়া এই সিন্থেটিক মাঠের গত ৪ঠা মার্চ চন্ডিপুর ব্লক প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। উল্লেখ্য,যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরের দায়িত্ব পাবার পর থেকে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায় যুবকদের নেশার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে ও খেলাধুলার প্রতি যুবকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সিংহ জানান রাজ্য সরকারের ট্রাইবেল ওয়েলফেয়ার দপ্তর থেকে মোট তিনটি সিন্থেটিক মাঠ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়।সেই অনুযায়ী রাজ্যে তিনটি সিন্থেটিক মাঠ তৈরি হচ্ছে।যার মধ্যে একটি হচ্ছে কৈলাসহর জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা দেওড়া ছড়ায়।উপজাতি অধ্যুষিত দেওড়াছড়া এডিসি ভিলেজের যুবকরা ইতিমধ্যে ফুটবল খেলায় রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করেছে।এই মাঠ আগামী দিনে খেলাধুলায় যুবকদের উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সকলেই আশাবাদী। রাজ্যের ক্রীড়াঙ্গনকে শক্তিশালী করতে ক্রমোন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছে ক্রীড়া ক্ষেত্র।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ মে।। যুব জোয়ার প্রত্যক্ষ করল বিশালগড়। টগবগে যুবসমাজ কাঁপালেন বিশালগড়ের রাজপথ। আকস্মিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে এমন যুব জোয়ার অতীতে কখনো পরিলক্ষিত হয়নি বিশালগড়ে। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যুব সমাজ রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। বুধবার বিশালগড়ে পা রাখেন বিজেপির প্রদেশ প্রভারী রাজদীপ রায়। দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে বুধবার পড়ন্ত বেলায় বিশালগড়ে যান প্রদেশ প্রভারি রাজদীপ রায় এবং প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত। বিশালগড়ের জাঙ্গালিয়া থেকে সুবিশাল বাইক র্যালির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় দলের নেতৃবৃন্দদের। বিধায়ক সুশান্ত দেবের বাইকের পেছনের আসনে বসেন প্রভারি রাজদীপ রায়। অমিত রক্ষিত ছিলেন ওপর এক যুব কার্যকর্তার বাইকের পেছনের আসনে। উজ্জীবিত যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে বিশালগড়ের রাজপথ দাপিয়েছে প্রভারি রাজদীপ রায়, সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব। শেষে তারা একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ বিষয়ে বিধায়ক সুশান্তদেব জানান বিরোধীদের মিথ্যাচার অপপ্রচারের যুবক জবাব দিয়েছে বিশালগড়ের যুবসমাজ। যুবকরা রয়েছে সরকারের পাশেই। বিশালগড়ে বিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিশালগড়ের যুবসমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আজকের এই কার্যক্রমে তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিনিধি মোহনপুর :-সিমনা ধ্বধানসভার ইন্ডাস্ট্রি এলাকার এক বাড়ি থেকে স্বর্ণের হার চুরি করার অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে মামলা করা হয়েছে সিধাই থানাতে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া স্বর্ণের হার। অভিযুক্তদের আদালতে পাঠিয়েছে সিধাই থানার পুলিশ।সিধাই থানার অন্তর্গত ইন্ডাস্ট্রি এলাকা লিপিকা দেববর্মার বাড়ি থেকে একটি স্বর্ণের হার চুরি হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। রবিবার এই বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সিধাই থানায়। পুলিশ তদন্ত নেমে সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করে। অভিযুক্তরা হল রিকুশ দেববর্মা এবং জাহ উজাহার। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে স্বর্ণের হার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ১৮ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের হার চুরির পর পুলিশের কাছে ফেরত দিয়েছে অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই দুজনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মঙ্গেশ পাটারি।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, ধর্মনগর রেলস্টেশনে এক যুবকের কাছ থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার, বৈধ নথি না থাকায় আটক করা হলো এই যুবককে ।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর রেলস্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক এক যুবকের কাছ থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম রাহুল দেবনাথ।
আজ সকালে ধর্মনগর থেকে আগরতলাগামী একটি ট্রেনে অভিযান চালিয়ে জিআরপিএস পুলিশ রাহুল দেবনাথকে আটক করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০০ টাকা। তবে এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বহনের বৈধ কোনো নথিপত্র সে দেখাতে পারেনি। ফলে তাকে আটক করে বর্তমানে ধর্মনগর জিআরপিএস থানায় রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাহুল দেবনাথ পেশায় একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তার নিজস্ব স্বর্ণের দোকান রয়েছে ধর্মনগরের ডিএল মার্কেটে। তিনি ধর্মনগরের নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জিআরপিএস, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন না করলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।তবে বর্তমানে পুলিশ কি পদক্ষেপ নেয় তা দেখার অপেক্ষায় সমগ্র ধর্মনগর বাসী।