প্রতিনিধি, উদয়পুর :- মাতাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত লাভ স্টোরি তৈহোর সং এলাকার নিবাসী নারদ সাধন জমাতিয়ার একমাত্র উপার্জনের পথ ছিল পোল্ট্রির ফ্রার্ম । কিন্তু গত দুইদিন আগে হঠাৎ করে অগ্নিসংযোগ ঘটে । এর ফলে ফ্রার্মটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গ্রামবাসীরা শত চেষ্টার পরেও রক্ষা করতে পারেনি ফ্রার্মটিকে। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় মঙ্গলবার দুপুরে নারদ সাধন জমাতিয়ার বাসভবনে ছুটে যান । কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সাথে। পরবর্তী সময়ে বিধায়ক আর্থিক সহযোগিতা এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পাশাপাশি সরকারিভাবে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করার জন্য প্রশাসনের সাথে কথা বলবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে । শীতের এই শুকনো মরশুমে যেভাবে অগ্নিসংযোগ সংঘটিত হয়েছে তাতে করে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে নারদ সাধন জমাতিয়ার । এমনটাই বললেন পরিদর্শন শেষে বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। এদিন বিধায়কে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।
admin
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৪ জানুয়ারি:- বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম মকর সংক্রান্তি তথা পৌষ সংক্রান্তি। আর এই মকর সংক্রান্তি মানেই গ্রাম বাংলার মানুষের মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি। অনেকেই এই পৌষ সংক্রান্তিকে পিটাপুলির উৎসব বলে থাকেন। পুরানো প্রথা অনুসারে প্রতিবছরই গ্রাম বাংলার মানুষ তাদের উঠানে আলপনা আঁকা সহ নিজ হাতে পিঠাপুলি তৈরি করে এবং সংক্রান্তির দিন সকাল থেকে গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে ভগবান হরির উদ্দেশ্যে লুট দেওয়া হয়। প্রতিটি হিন্দু সমাজের মানুষ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনের আনন্দে লুট ধরে থাকে। অন্যান্য বছরের মতো এই বছর তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছরও রাজ্যের সমস্ত এলাকার পাশাপাশি ধলাই জেলার প্রত্যন্ত গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার দেবনাথ পাড়া, সাহা পাড়া, হরিপুর, ব্লক টিলা, ১২ কার্ড, ২০ কার্ড, ৩৬ কার্ড, ৬০ কার্ড, ৩০ কার্ড, পাল পাড়া, মন্ডল পাড়া, মল্লিক পাড়া, চন্দ্র কিশোর পাড়া, রমেশ কবিরাজ পাড়া, মনোরঞ্জন দাস পাড়া, জয়কিশোর পাড়া,নিখিল সরকার পাড়া সহ বিভিন্ন হিন্দু গ্রামে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় হরির উদ্দেশ্যে লুট। চলে অনেক রাত পর্যন্ত। এলাকার ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক এবং প্রবীণ ব্যক্তিরাও আনন্দের সাথে হরিণ লুট ধরতে দেখা যায়। লুট শেষে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় খিচুরি প্রসাদ ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ডট কমের যুগে শহর অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি হরির লুটের আনন্দ তেমন ভাবে চোখে না পড়লেও গ্রাম অঞ্চলে এই প্রথা আজও অব্যাহত রয়েছে।
- প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও মকড় সংক্রান্তির দিনে দুই দুন ব্যাপী পৌষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন হয় সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ চাকমাঘাটস্থিত ব্যারেজ প্রাংগনে। মেলার উদ্ভোদন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলার জেলা সভাধিপতি অপর্না সিংহরায়, সহ সভাধিপতি সত্যেন্দ্র দাস, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপা দেব , মুংগিয়াকামি এবং তেলিয়ামুড়া ব্লকের বি এ সি চেয়ারম্যান সুনিল দেববর্মা , খোয়াই জেলার জেলা শাসক চান্দনি চন্দ্রন, তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক পরিমল মজুমদার সহ অন্যান্যরা। মেলার উদ্বোধন করে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সনাতন পরম্পরা সামাজিক ব্যবস্থাকে ধরে রাখবে। সনাতন ধর্মের অন্যতম উৎসব হলো মকর সংক্রান্তি উৎসব। মকর সংক্রান্তি উৎসব সারা ভারতবর্ষে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পালন করা হয়। ভারত বর্ষ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের রূপ দেখা যায়। আসামে বিহু, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গল, হরিয়ানা দিল্লি রাজস্থানে লরি হিসেবে এই দিনটিকে পালন করা হয়। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,১৯৯৮ সাল থেকে তৎকালীন এম.ডি.সি হরিমোহন দেববর্মার হাত ধরে চাকমা ঘাটের খোয়াই নদীর ব্যারেজ প্রাঙ্গণে মকড় সংক্রান্তির দিনে প্রথম পৌষ মেলা শ্রুরু হয়েছিল। জাতি উপজাতির মৈত্রী’কে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। সেই সময়ে সারা রাজ্যেই সন্ত্রাসবাদীদের আতঙ্কে আতঙ্কিত ছিল সারা রাজ্য। তখন সারা রাজ্যের মধ্যে পৌষমেলা মূলত ডুম্বুরে ঘটা করে অনুষ্ঠিত হতো। সেই সময়ে পরিস্থিতি এবং সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই ডুম্বুরে অতিরিক্ত সমাগম রোধ করতেই চাকমা ঘাট বেরেজ প্রাঙ্গনে পৌষমেলার শুরু হয়েছিল। । সেই থেকেই প্রতি বছর বেশ সাড়া জাগিয়ে চলে দুই দিন ব্যপী এই পৌষ মেলা। সারারাত ব্যাপী জনঢল থাকে এই মেলায় প্রতিবছরই। তত্ত্ব সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সারা রাত্র ব্যাপি চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে মেলায় স্টল খোলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূর্ণর্থীরা মধ্য রাত্র থেকে পূর্বপুরুষদের স্মরণে পূজা অর্চনা করে থাকে। অস্থি বিসর্জনের কাজ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে এখানে করা হয়ে থাকে। সন্ধ্যা রাত থেকেই প্রচুর পূর্ণর্থী এখানে সমাগম ঘটেছে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৩ জানুয়ারি:- পৌষ সংক্রান্তি হিন্দু বাঙালির চিরাচরিত সংস্কৃতির বিশেষ উৎসব। বলা চলে বাঙালির তেরো পার্বণের অন্যতম পার্বণ। বাংলা পৌষ মাসের অন্তিমদিনে এই উৎসবকে অনেকে মকর সংক্রান্তি হিসাবেও পালন করে থাকে। সভ্যতার অগ্রগতিতে মানুষ যতোই এগিয়ে যাচ্ছে হারিয়ে যেতে বসেছে চিরাচরিত সংস্কৃতির। হারিয়ে যাচ্ছে পুরানো রীতি রেওয়াজ। আগের মতো এখন আর পৌষ সংক্রান্তির তেমন জৌলুস, আমেজ নেই। তবু গ্রামাঞ্চলে আবেগ উচ্ছ্বাসকে অনেকটাই আগলে রেখে প্রতিটি ঘরে ঘরে রাত জেগে পিঠেপুলি বানানো হয়। কচিকাঁচারা জমির পাকাধান কাটা শেষে নাড়া কেটে বুড়ির ঘর বা ভেলাঘর তৈরি করে। বুড়ির ঘরেই রান্নাবান্না করে খাবার বানিয়ে পিকনিক করা, নাচ গানের আসর বসানো হয়ে থাকে। পুরোনো রীতি রেওয়াজ সংস্কৃতির টানে আজও চোখে পড়ে গন্ডাছড়া মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় নানাবিধ কর্ম প্রচেষ্টার। মঙ্গলবার পঞ্জিকা মতে মকর সংক্রান্তি। কিন্তু সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দৃশ্যায়িত হচ্ছে চিরাচরিত সংস্কৃতিক বুড়ির ঘর। পৌষ পার্বণে বুড়ির ঘর বানানোর আনন্দ উল্লাসের দৃশ্য আমাদের ক্যামেরায় বন্দী করা হয়েছে। কচিকাঁচা থেকে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীরাও বুড়ির ঘর তৈরি করে চলেছে। সোমবার দিবারাত্র এই বুড়ির ঘরে নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়ার কোনো খামতি থাকছে না। অনেক এলাকাতেই বয়স্করাও বুড়ির ঘরে কীর্ত্তনের আসর, হরির লুঠের আসর বসে। কনকনে শীতের মরশুমে এই পার্বণে বিভিন্ন প্রকৃতির বুড়ির ঘর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানের আধুনিকতার ছোঁয়ার মাঝেও হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির বাহারিয়ানায় গ্রামীণ মানুষের অবদান ও ভূমিকা অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। পৌষ পার্বণ মানেই আলাদা একটা অনুভূতি। এই পার্বণের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আলাদা বন্ধন, একাত্ম হয়ে বুড়ি ঘর, নগর কীর্তন, লুট ধরা, বাড়ি বাড়ি পিঠে পুলির নিমন্ত্রণ, আরো কত কি আনন্দ। বুড়ি ঘরে সারারাত ব্যাপী হৈ-হুল্লোড় শেষে রাত্রিযাপনের পরদিন ভোরে বুড়ি ঘর পুড়িয়ে সবাই পূণ্যস্নান করা। মকর সংক্রান্তির সকালে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-সিধাই থানার অন্তর্গত মোহিনীপুর এলাকার জঙ্গল থেকে অবৈধ নেশা সামগ্রী এবং গুলি সমেত গ্রেপ্তার এক অভিযুক্ত। তার নাম রামকৃষ্ণ পাল।স্থানীয়রা তাকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে তুলে দিয়েছে পুলিশের হাতে। অভিযুক্তকে রিমান্ড চেয়ে সোমবার আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
সিধাই থানার অন্তর্গত মোহিনীপুর এলাকায় রবিবার গভীর রাতে রামকৃষ্ণ পাল নামে এক ব্যক্তিকে অবৈধ কফ সিরাপ, ব্রাউন সুগার এবং তাজা কার্তুজ সহ আটক করে স্থানীয়রা। তার বাড়ি মোহনপুরের জগতপুর এলাকায়। তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশে। ঘটনাস্থলে করে ছুটে যায় সিধাই থানার পুলিশ। পাশাপাশি মোহনপুরের এসডিপিও সব্যসাচী দেবনাথ এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ছুটে যায় ওই স্থানে। সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে অভিযুক্তকে। সোমবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারা এবং অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-১৩ই জানুয়ারী সোমবার কৈলাসহর মহকুমা প্রশাসন,তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর,গৌরনগর ও চন্ডীপুর ব্লকের যৌথ উদ্যোগে শৈবতীর্থ ঊনকোটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মকর সংক্রান্তি মেলা।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিরজিৎ সিনহা,জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর ও শ্যামল দাস,সহ-অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দেব,মহকুমা কল্যাণ আধিকারিক মতিরঞ্জন দেববর্মা এবং সমাজকর্মী পিন্টু ঘোষ ও প্রীতম ঘোষ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায়।স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার।সরকারী উদ্যোগে প্রতিবছর এই শৈবতীর্থ ঊনকোটিতে মকর সংক্রান্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয় ।এছাড়াও বাসন্তী পূজার সময় অনুষ্ঠিত হয় অশোকাষ্টমী মেলা।বক্তব্য রাখতে গিয়ে সকলেই গৌরব গাঁথা উনকোটির ভাস্কর্য,ঐতিহ্য ও প্রাচীন শিল্পকলার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। এছাড়াও ঊনকোটির সংস্কার এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি পর্যটকদের কিভাবে আকৃষ্ট করা যায় সে বিষয়ে আরকেলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দায়িত্ব নিয়ে এই কেন্দ্রকে সাজিয়ে তোলা এবং পর্যটকদের জন্য সমস্ত কিছুর পরিষেবা অব্যাহত রাখার উপর জোর দেওয়া হয়।এই মকর সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি কমলপুর,কুমারঘাট,ধর্মনগর থেকে শিল্পীরা তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন এবং সারারাতব্যাপী পদাবলী কীর্তনের আসর অনুষ্ঠিত হয় পুন্যার্থীদের জন্য।
বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের ছাত্র বনাম শিক্ষকের মধ্যে এক প্রীতিপূর্ণ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- উদয়পুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ উচ্চতর মাধ্যমিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস এবং জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে একাধিক অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যাপীঠের ছাত্র বনাম শিক্ষকের মধ্যে এক প্রীতিপূর্ণ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। উদয়পুর ভগ্নি নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে সকাল ১১ টায় ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার মহোদয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের সহ অধিকর্তা বনজিৎ বাগচী , সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদয়পুর পৌর পরিষদের কাউন্সিলার অয়ন গুপ, রেজাউল হোসেন এবং রত্না দে (দাস)। এই প্রীতিপূর্ণ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর দত্ত মহোদয়।
সীমিত ১৫ ওভারের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ছাত্ররা আট উইকেটে জয়লাভ করে। প্রথমে টসে জিতে ছাত্ররা ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষকরা ১৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে। ছাত্ররা ব্যাট করতে নেমে ১০. ৩ ওভারে ১০২ রান করে ৮ উইকেটে খেলা জিতে নেয়। ছাত্রদের পক্ষে দ্বিপরাজ ঘোষ বল হাতে দুই উইকেট লাভ করে এবং ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫২ রান করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়। ছাত্র বনাম শিক্ষকের মধ্যে এই প্রতিযোগিতামূলক প্রীতিপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচের পুরস্কার তুলে দেন পৌর পরিষদের পৌর পিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার এবং গোমতি জেলা ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের সহ-অধিকর্তা বনজিৎ বাগচী । গোমতী জেলার স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে অনুষ্ঠিত এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট টি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় গোমতী জেলা ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তর এবং উদয়পুর পৌর পরিষদ। এই জমজমাট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দেখার জন্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
- প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১২ জানুয়ারি:- নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১২ জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস উদযাপন করল গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের এন এস এস ইউনিট। রবিবার বিদ্যালয় চত্বর ও তার আশপাশে ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ কর্মসূচি পালন করে এন এস এস স্বেচ্ছাসেবীরা। এদিন বিদ্যালয় ছুটির দিন হলেও তাদের উৎসাহের কমতি ছিলনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শুভজিৎ রায়।একই দিনে দিল্লির ভারত মন্ডপমে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব উৎসবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।শনিবার একই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে দিল্লি থেকে সরাসরি সম্প্রচার বিদ্যালয়ের স্মার্ট ল্যাবে প্রত্যক্ষ করেন এন এস এস স্বেচ্ছাসেবীরা।কেন্দ্রীয় যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয় এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনেন সবাই। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল খজেন্দ্র ত্রিপুরা,শিক্ষক সংসদের সম্পাদক লবাজয় রিয়াং ও শিক্ষক শুভজিং রায়।আগামীদিনেও স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং সমাজে গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ। উল্লেখ্য গত বছর অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজ্যের শ্রেষ্ঠ এন এস এস ইউনিট হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিল গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়।
সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থা! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ আহবান?
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার :রিয়াং জনজাতিদের আরো বেশি মানোন্নয়নে লক্ষ্যে সরকারের জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনা গুলি দ্রুত জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে জন সচেতন মূলক আলোচনা সভার আয়োজন করেন ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার। শান্তির বাজার মহকুমায় বীরচন্দ্র মনু দখল সিং রিয়াং পাড়ার ব্রু সংগ্রংমা মাঠে হয় এই সচেতন মূলক আলোচনা সভা। আজকের এই সচেতন মূলক আলোচনা সভায় প্রায় ৬ শতাধিক রিয়াং জনজাতি নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। আজকের এই জনসচেতন মূলক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন তিপ্রাসা হদার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তথা ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি খনারাম রিয়াং, রিয়াং জনজাতিদের সমাজপতি খবারাম রিয়াং, বীরচন্দ্র মনু দক্ষিণ জোনাল জয়েন চেয়ারম্যান হরেন্দ্র রিয়াং পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া চৌধুরী, হাপায় চৌধুরী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিপ্রাসা হদার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তথা ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি খনারাম রিয়াং আলোচনা করতে গিয়ে বলেন রাজ্য সরকার এবং এডিসি প্রশাসন রিয়াং জনজাতিদের প্রতি আন্তরিক। পাশাপাশি আরো বলেন সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া রিয়াং জনজাতিদের মানোন্নয়নের পাশাপাশি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আরো বলেন রাজ্য সরকারের জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী এবং টি.আর,পি.পি.টি .জি দফতরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছেন রিয়াং জনজাতিদের মান উন্নয়নে। তাই স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পের মাধ্যমে থেকে প্রায় ৯০০ টি সৌচালয়, জুমিয়া পরিবারদের আর্থিক সহযোগিতা পাশাপাশি, রাবার বাগান, ৫০০টি কম্বল, তাঁত শিল্পের ট্রেনিং সহ ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে মানোন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই সরকারের এই পরিকল্পনা গুলিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থাটি। এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিকট দুটি দাবি নিয়ে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আহ্বান করেন শ্রী খনারাম রিয়াং একটি হলো রাজ্যভিত্তিক ব্রু সংগ্রংমা পূজাকে কেন্দ্র করে ছুটি ঘোষণা পাশাপাশি অপর একটি হল রিয়াং জনজাতিদের দখলকৃত লংদ্রাই মন্দিরের জায়গার পাট্টা প্রদান করার বিশেষভাবে জোরালো দাবি তোলেন।ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে আজকের এই জনসচেতন মূলক আলোচনা সভা কে কেন্দ্র করে রিয়াং জনজাতি লোকজনদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার :শ্রমিকদের স্বার্থে প্রতিনিয়ত কাজকরেযাচ্ছে ভারতীয় জনতা মজদুর সংঘ। এরইমধ্যে দক্ষিন জেলায় নবনিযুক্ত বিজেপির মন্ডল সভাপতিদের সংবর্ধনা প্রদানে কলসীরমুখ এলাকায় ভারতীয় জনতা মজদুর সংঘের উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠীত করাহয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতছিলেন ৩৮ জোলাইবাড়ী বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুজিত দত্ত, ৩৬ শান্তির বাজার বিজেপির মন্ডল সভাপতি দেবাশিষ ভৌমিক,রাবার বোর্ড অফ ডিরেক্টর এবং মেম্বার সুনীল নমঃ, বিকাশ সেন, ভারতীয় জনতা মজদুর সংঘ প্রদেশ সভাপতি বাপন দত্ত, ত্রিপুরা রাবার মজদুর সংঘ প্রদেশ সভাপতি মুকুল নন্দী,রাজ্য প্রদেশ জনজাতি মোর্চার আই টি ইনচার্জ রবীন্দ্র রিয়াং সহ অন্যান্যরা। আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতেগিয়ে বক্তারা রাবার শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধীকরার জন্য রাজ্যসরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারপাশি আগামীদিনে নবনিযুক্ত মন্ডলসভাপতিদের সঙ্গেথেকে শ্রমিকদের স্বার্থে প্রতিনিয়ত কাজকরেযেতেপারবেন বলে আশাব্যক্তকরেন। বক্তব্যের মাধ্যমে বক্তারা জানান রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে ও লোকজনের স্বার্থে রাজ্যসরকারের পাশে থাকবেবলে জানান। অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্যশেষে আমন্ত্রীত অতিথি ও নবনিযুক্ত মন্ডল সভাপতিদের সংবর্ধনা প্রদানকরাহয়। আজকের আয়োজিত কর্মসূচী সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন ভারতীয় জনতা মজদুর সংঘের প্রদেশ সভাপতি বাপন দত্ত।