![](https://tv100bangla.com/wp-content/uploads/2022/11/WhatsApp-Image-2022-11-17-at-6.29.40-AM-1024x461.jpeg)
গোপন খবরের ভিত্তিতে 14 জন বাংলাদেশীকে ও দুজন ভারতীয় অটো গাড়িসহ চালককে আটক করে কামথানা বিএসএফ ।ঘটনার বিবরণে জানা যায় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় অরবিন্দ নগর এলাকায় গোপন খবরের ভিত্তিতে কামথানা বিএসএফ ১৫০ নং বেটেলিয়ান দুটি অটো গাড়ি ও ড্রাইভার সহ ১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে। তার মধ্যে রয়েছে নয়জন পুরুষ, দুইজন মহিলা, এবং তিনজন ছোট শিশু। কামথানা বিএসএফ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা ত্রিশ মিনিটে মধুপুর থানায় হস্তান্তর করে। তাদের নাম হলো মহিদুল সানা, জনি কাজী, মোঃ বিল্লাল মিয়া, ইসলাম মিয়া, বুলবুল শিকদার, আবুল কাশেম, রুবেল শিকদার, রুবেল হোসেন, সারেয়ার হোসেন, মহিলা দুইজন আদরিকা খাতুন, রিক্তা বেগম, ছোট শিশু তিনজন রিপা আক্তার,রিপাদ হালদার, রেশমা, অটোর ড্রাইভার দুইজন জাহাঙ্গীর আলম, রমেশ দেবনাথ। বর্তমানে মধুপুর থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সমস্ত ব্যক্তিত্বরা। অটো চালকদের বাড়ি কামথানা এলাকায়। অটো চালক জানায় কামথানার হানিফ মিয়া দালাল এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। জানাযায় বাংলাদেশ থেকে এপারে থাকা কিছু দালাল চক্র বাংলাদেশ থেকে নাগরিকদের এনে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত করে তুলছেন। এক কথায় বলায় চলে পুলিশ প্রশাসন সে সমস্ত দালাল চক্রগুলির নাম জানা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করতেন না যার ফলে প্রতিনিয়ত এই দালাল চক্রের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে নাগরিকরা এবং বাংলাদেশ বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজ করে রাতারাতি নেমে পড়েন বাংলাদেশে। মধুপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকাতে প্রতিনিয়ত আটক হচ্ছে বাংলাদেশি থেকে শুরু করে নাইজেরিয়ান, রোহিঙ্গা, আর এই সমস্ত লোকেদের পারাপার করার পেছনে রয়েছে কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে সীমান্ত এলাকায় অনেক দালাল চক্র। এই দালাল চক্রের প্রতি যদি প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আগামী দিনে কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের সীমান্ত এলাকার দিয়ে রাতারাতি বাংলাদেশ থেকে বহু নাগরিক ভারতে এসে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করে বাংলাদেশে চলে যাবে। রাজ্যে যতই নির্বাচন এগিয়ে আছেন ততই যেন সীমান্ত এলাকাতে বাংলাদেশীদের ভারতে ওঠার প্রবণতা ততই বেড়ে গেছে এই দালাল চক্রের। তাই কমলা সাগর বিধানসভা সহ রাজ্যের আপামর জনসাধারণ চাইছে সীমান্ত এলাকা দিয়ে দালাল চক্রের যেই লেনদেন রয়েছে সেটা যেন অতি দ্রুত প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে বন্ধ করেন সেটাই এখন সর্বদিকে আওয়াজ তুলছেন জনসাধারণ।