Home » রামধাই হত্যা মামলায় দু’জনকে জালে তুললো বিশালগড় থানার পুলিশ

রামধাই হত্যা মামলায় দু’জনকে জালে তুললো বিশালগড় থানার পুলিশ

by admin

প্রতিনিধি,বিশালগড়, ২৯ নভেম্বর।। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে হরিয়ানার রামধাই খুন কান্ডে মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। মৃত ব্যাক্তির সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি হত্যা মামলার তদন্তের মূল টার্নিং পয়েন্ট। মোবাইলের কল লিস্ট দিয়ে শুরু হয় প্রাথমিক তদন্ত। আর এতেই মিলেছে সাফল্য। মৃতদেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে দুই অপরাধী। বৃহস্পতিবার বিশালগড় থানাধীন গোলাঘাটি বিধানসভার কলকলিয়া স্থিত বনদপ্তর এর পরিত্যক্ত বিট অফিসের জঙ্গলে মৃতদেহ উদ্ধার হয় । কণ্ঠনালী কেটে খুন করে মৃতদেহ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছে । পুলিশ গিয়ে জঙ্গল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বিশালগড় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয় ।
খবর দেওয়া হয় ডগ স্কোয়ারেটের কর্মীদের। মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে একটি ট্রেনের টিকিট এবং একটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে । একটি মোবাইল নম্বর ছিল কাগজে লেখা । সে মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পারে মৃত যুবকটির বাড়ি হরিয়ানায়। তার নাম রামধাই। ২০১৩ সালে টাকারজলা থানাধীন জনৈক গীতা রানী দেব্বরমাকে রামধাই বিয়ে করে হরিয়ানায় নিয়ে যায়। সেখানে গীতা রানী কয়েক বছর তার সঙ্গে সংসার করেন। এরপর ত্রিপুরায় ফিরে আসেন। ত্রিপুরায় ফিরে আসার পর টাকারজলার সুমিত দেববর্মার সঙ্গে তার প্রেম হয়। ২০২৩ সালের সুমিতের সঙ্গে গীতা রানীর বিবাহ হয়। হঠাৎ করে হরিয়ানা থেকে রামধাই আবার যোগাযোগ করেন গীতা রানীর সঙ্গে। এবং তাদের পারিবারিক বিষয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে হরিয়ানা থেকে রামধাইকে ত্রিপুরায় আসতে বলেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই দিল্লি থেকে ট্রেনে করে বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলা স্টেশনে এসে নামেন রামধাই। সেখান থেকেই সুমিত তাকে টাকারজলা বাড়িতে আনতে যায়। বাধারঘাট স্টেশন থেকে কলকলিয়া ফরেস্ট অফিসের সামনে এসে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে তদন্তে উঠে এসেছে । বিশালগড় থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই বিশ্রামগঞ্জ জগাইবাড়ি থেকে গীতা রাণী দেববর্মাকে আটক করে। শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে একদিনের জন্য জেল হাজতে পাঠায় । শুক্রবার টাকারজলা থানার সহায়তায় টাকারজলার কানুরাম পাড়া থেকে সুমিত দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করে বিশালগড় থানার পুলিশ। শনিবার তাকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান ওসি সঞ্জিত সেন। শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে বিশালগড় থানায় সাংবাদিকদের সামনে ঘটনা তুলে ধরেন এসডিপিও দুলাল দত্ত এবং ওসি সঞ্জিত সেন। পুলিশ রিমান্ডে আনার পর খুন কান্ডে ব্যবহৃত ছুরি সহ যাবতীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি সনজিৎ সেন।

You may also like

Leave a Comment