প্রতিনিধি ধর্মনগর : পুনরায় চুড়াইবাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতি জনমনে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে । এবারের ডাকাতির ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে চুড়াইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ী খাদিমপাড়া দুই নং ওয়ার্ড এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা দেওসিং গৌড় (৫০) পিতা মৃত দুর্গাচরণ গৌড় এর বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। বন্দুক ছুরি নিয়ে মাঙ্কি টুপি পরে চার পাঁচ জনের এক ডাকাত দল এই দুঃসাহসিক ঘটনাটি সংঘটিত করেছে। এই ঘটনার বিষয়ে বাড়ির মালিক দেওসিং গৌড় জানান বুধবার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় খাওয়া-দাওয়া সেরে স্ত্রী সহ সন্তানদের নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। বাড়িতে তৈরি করা হচ্ছে নতুন ঘর সেই ঘরের এক অংশে বসবাসের জন্য আরেকটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া নতুন ঘরের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। গত ১৮ তারিখ ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ টাকা তুলে দোকানদার সহ মিস্ত্রিদের দেওয়ার জন্য টাকা গুলো ঘরে এনে রাখেন। ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে উনার হাত-পা বেঁধে ফেলে চিৎকার না করার জন্য বলে ডাকাতরা। এরপর ডাকাতরা উনাকে জিজ্ঞেস করে ঘরে কোথায় টাকা রাখা আছে যে টাকা উনি ব্যাংক থেকে ঘরে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি ঘরে টাকা নেই বললে ডাকাতরা বলে ঘরে টাকা রাখা আছে তারা জানে। দেওসিং গৌড় একজন দিনমজুর শ্রমিক দুই সন্তান রয়েছে উনার পাশাপাশি উনার স্ত্রী পাথর ভাঙ্গার কেসারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। উনার জায়গার উপর দিয়ে গ্যাসের পাইপলাইন সরবরাহ হওয়াতে তিন লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকা ছিল ব্যাংকে। তার মধ্য থেকে দুই লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে এসেছিলেন ঘরের কাজ করাবেন বলে। ঘরের ভিতরে থাকা একটি টাঙ্ক থেকে সেই টাকাসহ একটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। প্রায় কয়েক মিনিট তাণ্ডব লীলা চালায় ডাকাত দল। চুড়াইবাড়ি থানার অধীন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় থাকা হিন্দু বাড়ি গুলিতে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়াতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের ভূমিকা একরাশ ক্ষোভ রয়েছে জনমনে যার বহিঃপ্রকাশ যে কোন সময় হতে পারে। লাগা তোর চোরাইবাড়িতে চুরি ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে । কয়েকদিনের মধ্যে একের পর এক চুরি এবং ডাকাতির তথ্য আসাতে প্রশ্ন উঠছে থানার উপর,চুড়াই বাড়ি থানা কি তদন্ত করছে তা নিয়ে বিশাল বড় প্রশ্ন জনমনে ? জনতার মতামত যে চোরাই বাড়ির থানা তার বাড়তি উপার্জন নিয়ে ব্যস্ত বর্তমানে, তার জন্য প্রতিনিয়ত কোন না কোন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশি টহল থেকে চোর এবং ডাকাতের টহলএই এরিয়াতে বেশি চলছে। কারণ পুলিশ তাদের কর্তব্য থেকে বিরতি নিয়ে নিজেদের পকেট গরম করতে বেশি তৎপর। তাদের কাছে জনতার সুরক্ষা কোন মাইনে রাখছে না।শুধু তাই না ওসি সংবাদ মাধ্যমকে সঠিক তথ্য দিতে নারাজ। প্রায়ই কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করলে ওসি বিভিন্ন অজুহাতে সংবাদ মাধ্যমকে সংবাদ প্রেরণ করতে বিরক্তি প্রকাশ করছেন নয়তোবা সঠিক তথ্য প্রদান করছেন না। তার পরেও এখন দেখা যাক চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ থানা এলাকায় চুরি ও ডাকাতির ঘটনার লাগাম টানতে কতটুকু সক্ষম হয় পাশাপাশি ডাকাতদলকে জালে তুলতে পারে কিনা।প্রশ্ন তো উঠছে সত্যিই কি আমজনতা সুরক্ষিত ?
38
previous post