
প্রতিনিধি মোহনপুর:-“সিপিআইএম এবং কংগ্রেস একটা খতরনাক ভাইরাস। জনগণের রক্তমাখা এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসবেন না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এদের ঢাকি শুদ্ধ বিসর্জন শুধু সময়ের অপেক্ষা”। মোহনপুরে যুব মোর্চার সম্মেলনে বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্জী। সম্মেলন মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যোব মর্চার রাজ্য সভাপতি নবাদল বনিক, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, যুব মোর্চা মোহনপুর মন্ডল সভাপতি চন্দ্র কুমার শীল দাস এবং অন্যান্যরা।
মোহনপুর বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনের পূর্বে যুব মোর্চার সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। মোহনপুরের টিলা বাড়ি এলাকায় প্রকাশ্য সভার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের কাজ। এদিন যুবচার রাজ্য সভাপতি নবাদল বনিক বলেন রাজ্যের যতগুলো মোর্চার সম্মেলন হয়েছে তার মধ্যে মোহনপুরের এই সম্মেলন সবচাইতে সুন্দর এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বদের কটাক্ষ করে বলেন যারা রাস্তায় হেঁটে হোয়ার ইজ মাই জব বলে চিৎকার করে তাদের এই ৫০ বছর বয়সে এসে প্রশ্নটা সিপিআইএম নেতা মানিক সরকার জিতেন্দ্র চৌধুরীকে করা উচিত। কারণ বিগত ২৫ বছর এই রাজ্যে বামেদের শাসন ছিল। এ সময় কালে উনার বয়স ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও কি কারণে উনারা চাকরি পাননি তার জবাব বিজেপি কাছে না চাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। তিনি বামেদের কাছে জবাব চান তৎকালীন সময়ে মন্ত্রী বিমল সিনিয়র হত্যা কেন হয়েছিল? বিধায়ক পরিমল সাহার হত্যা কেন হয়েছিল? এসডিএম সাংবাদিক বন্ধুদের হত্যা কেন হয়েছিল? তিনি আপামর জনগণের কাছে আহ্বান করেন যারা আজকে গণতন্ত্রের কথা বলছে তাদের কাছে এই খুনের হিসাব চাওয়ার জন্য। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন বিজেপি দলের যে সমস্ত শাখা সংগঠন রয়েছে সেগুলো পৃথকভাবে নির্বাচনের পূর্বে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তির বোঝা একটি পন্থা। তার মধ্য দিয়ে সংগঠনের শক্তি কতটা আছে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন অতীতে মোহনপুর বিধানসভা এলাকা থেকে বিজেপি এবং কংগ্রেস দলের প্রার্থী যত ভোটের জিতেছে এবার নির্বাচনে সে সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে বিজেপি প্রার্থীর ভোট। তিনি আরো দায়িত্ব নিয়ে বলেন দল এই বিধানসভা কেন্দ্রে যাকেই নির্বাচনের জন্য মনোনীত করবেন এলাকার সর্বস্তরের সমস্ত মানুষ, কার্যকর্তা একত্রিতভাবে তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করানোর জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। এই সম্মেলনে প্রধান বক্তার ভাষনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী বলেন কংগ্রেস দল সিপিআইএমের সাথে জোট করার পূর্বে উচিত ছিল সিপিএমের জামানায় যে সমস্ত কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন উনাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের লোকেদের কাছে করজুড়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। কারণ এই কংগ্রেস দল নিজেদের সংগঠনের কর্মীদের রক্তে যারা হাত রাঙিয়েছিল তাদের সাথে শুধুমাত্র নির্বাচনী ফায়দা নিতে আজ এক মঞ্চে আতাৎ করেছে। তিনি দাবি করেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাদের কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিএম যে পাপ করছে তা কোনভাবেই রাজ্যবাসী মেনে নেবে না। শ্রী ভট্টাচার্যের দাবি করেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্মফুল ফুটবে এবং এই জয় রোখার মতো কারোর ক্ষমতা নেই এই মোহনপুর বিধানসভা এলাকায়। তিনি বলেন এই মোহনপুরের মানুষ যখন কংগ্রেস দল করতো তখন কংগ্রেস করার অপরাধে বাড়িতে জলের সংযোগ বিদ্যুতের সংযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। আজ বিজেপি সরকার আসার পর রাজ্যের সমস্ত অংশের সমস্ত দলের মানুষের বাড়িতে পানীয় জল বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এই সরকার। কারন আমি পরিবর্তন তার নামই বিজেপি। যা আগামী দিনেও বিপুল জয়ের মধ্য দিয়ে রাজ্যের জারি থাকবে বলে জানান দিয়ে গেলেন রাজীব ভট্টাচার্যী।