প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সারা রাজ্যের সাথে কৈলাসহরেও প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ মানুষ।তিন চার দিনের টানা বৃষ্টিতে মনু নদীর জল যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে এর ফলে আতঙ্কগ্রস্ত নদী এলাকার পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী নাগরিকরা।কৈলাসহর পুর এলাকা সহ উত্তরাঞ্চল, সমরুরপাড়,শ্রীরামপুর,ভটেরবাজার,ছনতৈল সহ হাওড়র বাজার এলাকা জুড়ে বাড়ীঘর ও কৃষির অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।বুধবার সকালে পুর এলাকার লক্ষীছড়া সহ মনু নদীর জল বাড়তে শুরু করলে নূতন করে মনু নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়।আর তাতে পুর পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোবিন্দপুরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন মূল বাধেঁর ভেতরে ৩০-৩৫ পরিবারের মধ্যে অধিকাংশ পরিবারের ঘরবাড়ী নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।এই পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বরা। জেলা সম্পাদক অরুন সাহার নেতৃত্বে যুব মোর্চা সংগঠনের কার্যকর্তারা বন্যায় আক্রান্ত পরিবারের পাশে থেকে সর্বতোভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অরুণ বাবু।গোবিন্দপুরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন মনু নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে বসত ঘর।গত দুদিনে ভারী বর্ষণে যৌবন রুপ ধারণ করেছে মনু নদী।আর তাতে কৈলাসহর পুর পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর এলাকার বসত ঘর চলে গেছে নদী গর্ভে।মনু নদীর ভাঙ্গন রুখতে ও বসত বাড়িগুলো রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের এখন পর্যন্ত কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে।অসহায় পরিবার গুলোর অবস্থা খুবই করুন।চিন্তায় কাটাচ্ছেন প্রতি মুহূর্ত।পুনরায় জমি ক্রয় করে নতুন বাড়ি নির্মান করার মত ক্ষমতা তাদের নেই।আর তাই বর্তমানে খোলা আকাশই তাদের বসবাসের স্থান।কৈলাসহর পুর পরিষদ এলাকার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা মায়া রানী সরকার,দিলীপ সরকার, মানিক সরকার একই পরিবারের সদস্য।গতকাল গভীর রাত থেকে নদীর জল বাড়তে থাকলে তাদের বাড়ির বিশাল একটা অংশ ভেঙে নদীর তলায় তলিয়ে যায়। আর ঠিক একই অবস্থা মায়া রানী সরকারের।নদীর জল কমতে থাকলে এক সময় উনার বাড়ির একটি অংশ সহ শৌচালয় চলে যায় নদী গর্ভে। বর্ষা আসলেই নদীর প্রলয়ংকরী রুদ্ররুপ নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।আর এই অসহায় পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে দাবী করেন তাদের সমস্যা দ্রুত নিরসনের জন্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,পুর পরিষদের অন্তর্গত ১৫ ও ১৬ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর সোনামারা এলাকায় মনুনদীর বাঁধের উপর বালির খাদান থেকে লরি ভর্তি বালি নিয়ে আসা যাওয়া করতে গিয়ে প্রতিদিন বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে।কোন কোন জায়গায় গর্ত তৈরী হওয়ায়ও বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে।একই অবস্থা ১৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব দুর্গাপুর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন মনুনদীর বাঁধের।এই বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন যানবাহন চলাচলের ফলে ক্ষতি হচ্ছে বাঁধের।প্রশাসনের কাছে দ্রুত বাঁধ সারাইয়ের দাবী করেছেন মহকুমাবাসী।২০১৮ সালের বন্যার পর এখন অব্দি তেমন ভাবে বাঁধের কোন কাজ-ই করা হয় নি।এই বিষয়ে ওয়াটার রিসোর্স দপ্তর একেবারেই নির্বিকার।তবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সংলগ্ন বাঁধের যে জায়গায় মানুষের ঘর ভেঙে পড়েছে সেখানটায় কিছু সংখ্যক ইটের কেটস ফেলে দায়িত্ব সেরে নিয়েছে দপ্তর।আরো অধিক মাত্রায় ইট ফেললে হয়তো বা বসত ঘরটি বেঁচে যেত।
বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বসত ঘর পরিদর্শনে বিজেপি দল
104
previous post