
ধর্মনগর,
জাতিয় সড়কের কাজে নিয়োজিত সংস্থার নাম করে গাড়িতে স্টিকার সেঁটে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নেশা সামগ্রী পাচার করতে গিয়ে শেষ রক্ষা হল না বিশেষ একটি নেশা পাচারকারি দলের।করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় তারা ধরা শেষ পর্যন্ত পুলিশের পাতা জালে আটকা পড়ে।করিমগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সুত্রের খবরে ভিত্তিত্বে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণের এই নেশা জাতিয় ড্রাগস জব্দ করার পাশাপাশি দুজনকে আটক করে সফলতা পায়।ধৃতরা হল কবীর আহমেদ ও গপেন্দ্র দাস।জানা গেছে মঙ্গলবার বিকেলে মিজোরামের চাম্পাই জেলা থেকে বিলাসী গাড়িতে করে ড্রাগস নিয়ে একটি পাচার চক্র অসম রাজ্য সীমান্তের রাঙামাটি হয়ে পাথারকান্দির আছিমগঞ্জ পৌঁছানোর কথা ছিল।কিন্তু তাদের সে প্রয়াসকে ব্যর্থ করে দেয় পুলিশ।এ মর্মে এডিশনাল এসপি পার্থপ্রতিম দাস জানান যে বিশেষ সুত্রের খবরের ভিত্তিত্বে এদিন নাগ্রার কন্টেকছড়া-কনকপুরে পুলিশ নাকা চেকিং লাগিয়ে ড্রাগস পাচারকারিদের পাকড়াও করতে ওৎপেতে বসে থাকে।প্রত্যাশা মত সন্ধ্যার পর এই রুটে এআর-(শূণ্য এক)ডি-(পাচ নয় নয় ছয়)নম্বরের একটি বলেরো গাড়ি নাকা পয়েন্টে পৌঁছালে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা গাড়িটি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করলে গাড়ির ভিতরে থাকা বিভিন্ন গোপন খোপ থেকে এক`শ একত্রিশ টি সাবানের বাক্সে মোট দুই কেজি এক গ্রাম হেরোইন সহ পঞ্চাশ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়।যার আনুমানিক বাজার মুল্য কুড়ি কোটি টাকার মত হবে।এ কান্ডে পুলিশ গাড়ি চালক কবীর আহমেদ এবং সঙ্গে থাকা গপেন্দ্র দাসকে আটক করে।ধৃত কবীরের বাড়ি উত্তর ত্রিপুরার কদমতলায় এবং গপেন্দ্র দাসের বাড়ি ধর্মনগরে।পুলিশের প্রাথমিক জেরায় ধৃতরা জানায় যে তারা নেশা সামগ্রীগুলো পাথারকান্দির আছিমগঞ্জ থেকে সোনাতুলা হয়ে বাংলাদেশে পাচারের মতলবে ছিল।ধৃতদের রাতভর বাজারিছড়া থানায় আটকে রেখে টানা জিঙ্গাসাবাদের পর বুধবার জেলা সিজেএম আদালতে সোপর্দ করা হলে মহামান্য আদালতের নির্দেশে তাদের ঠাঁই হয় জেল হাজতে।উল্লেখ্য আটক বলেরো গাড়িটির সম্মুখ ভাগে এনএইচ(চুয়ান্ন)ডিউটি লেখা সংক্রান্ত একটি স্টিকার সাঁটা ছিল।পরবর্তিতে এটি ভুঁয়ো বলে পুলিশের তদন্তে ধরাও পড়ে।পুলিশের ঘন ঘন ড্রাগস বিরোধী অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।