প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া :- শশুরের ঘরে জামাই’র অগ্নিসংযোগ। ঘটনা ধলাই জেলার প্রত্যন্ত গন্ডাছড়া মহকুমার মনোরঞ্জন দাসপাড়া। ঘটনার বিবরণে জানা যায় শনিবার মধ্যরাতে মনোরঞ্জন দাসপাড়ার বাসিন্দা বুধাই সরকারের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজনরা গন্ডাছড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে খবর দেয়। অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে মাটির তৈরি ছনবাসের ঘরটি সম্পূর্ণ পড়ে যায়। বাড়ির মালিক বুধাই সরকারের ছেলে সেন্টু সরকার রবিবার সাংবাদিকদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত তার বোন জমাই পরেশ মালাকার। রাতে আগুনের শব্দ পেয়ে সে যখন ঘর থেকে বেরিয়ে ছিল তখন পরেশ মালাকারকে সেখান থেকে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যেতে দেখতে পায়। এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে রবিবার পরেশ মালাকারের নাম ধাম দিয়ে সে গন্ডাছড়া থানায় একটি মামলা করেন। সেন্টু সরকার পুলিশকে জানান পরেশ মালাকার পণের জন্য তার বোনের উপর ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করত। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বোন সারথি মালাকার বর্তমানে তাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর বড় ভাইকে সাথে নিয়ে সে পরেশের বাড়িতে গিয়ে জানতে চায় কেন তার বোনের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে এ কথা বলতেই পরেশ মালাকার তার উপর দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাতে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। তারপর এই ঘটনা গ্রাম্য সভায় মীমাংসা হয়। কিছুদিন পর জামাই পরেশ মালাকার আবার আগের রূপ ধারণ করে। ইতিমধ্যেই গন্ডাছড়া এসডিজিএম কোটে তার বিরুদ্ধে ভরণপোষণের একটি মামলা চলছে। এই মামলার প্রতিশোধ নিতে গিয়েই পরেশ প্রথমে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। সেই সময় অগ্নিসংযোগের হাত থেকে ঘর বাড়ি রক্ষা পেলেও পশু খাদ্য (বন) সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এই সময় পরেশকে হাতেনাতে ধরতে না পারলেও শনিবার তাকে অগ্নিসংযোগ করে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে দেখতে পায়। দীর্ঘদিন যাবত সে তাদের বিনা কারণে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ ও খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি প্রায় দিন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করছে। তাতে যেকোনো সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এমত অবস্থায় তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে পরেশের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
115
next post