ধর্মনগর প্রতিনিধি।*রবিবার অসম-ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তের উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধিন বিষ্ণুপুর জিপির দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক নাবালিকা নিখোজের ঘটনায় তদন্তে নামে স্থানীয় পুলিশ।এতে পুলিশি তদন্তে কেঁচু খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে।পুলিশ নাবালিকার পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারে যে রবিবার ভোর চারটায় নাবালিকা মেয়েটি ঘরের দরজা জানালা খুলা রেখে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছে।এতে পুলিশ ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়ে বিস্তর তদন্তে জানতে পারে যে নাবালিকা মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে পালিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয় এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল হাসিম নামের এক যুবক।এর আগেও সে এই নাবালিকাকে অপহরণ করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।এরপরই পুলিশ 366(A)ধারায় একটি অপহরণের মামলা রুজু করে ওসি জয়ন্ত দেবনাথের নেতৃত্বে থানার সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জীব সরকারকে নিয়ে একটি টিম গঠন করে তদন্তে নামে।উক্ত রাতেই আসামের করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি পুলিশের সহায়তায় ত্রিপুরা পুলিশ রাতাবাড়ির এক গ্রাম থেকে নাবালিকা সহ আব্দুল হাসিমকে আটক করে দমতলা থানায় নিয়ে যায়।সোমবার পুলিশের পক্ষে ধৃতকে ধর্মনগর সিজেএম আদালতে সোপর্দ করা হলে তার ঠাঁই হয় জেল হাজতে,পাশাপাশি নাবালিকার বয়ান রেকর্ড করে মা বাবার হাতে সমঝে দেওয়া হয়।পুলিশের এহেন সময়োচিত পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান এলাকার সচেতন মহল।
86
previous post
বিশালগড়ে গরু চোর আটক করে পুলিশে দিলো জনতা
next post