114
- প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১ মে।। নিজের ধর্মীয় পরিচয় এবং বিবাহিত জীবনের কথা গোপন রেখে এক হিন্দু নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় সেনামুড়া কুলুবাড়ির সাদ্দাম হোসেন। ব্রাহ্মণ পরিবারের নাবালিকার বাড়ি বিশালগড় থানা এলাকায়। গত কয়েকমাস আগে ফেসবুকে পরিচয় এবং পরবর্তী সময়ে প্রেমের অভিনয় শুরু করে সাদ্দাম। এমনকি বেশ কয়েকবার বিভিন্ন নির্জন স্থানে নিয়ে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। অবশেষে গত ২৭ এপ্রিল শনিবার সকালে নাবালিকা মেয়েটিকে কুলুবাড়িতে নিয়ে যায় সাদ্দাম। কুলুবাড়িতে গিয়ে মেয়েটি জানতে পারে সাদ্দাম হোসেন মুসলমান সম্প্রদায়ের। এবং সে বিবাহিত। তার দুই সন্তান রয়েছে। তখন মেয়েটি বাড়িতে ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সাদ্দাম এবং তার সহযোগীরা নাবালিকাকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখে। এবং জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। সাদ্দাম হোসেনকে সহযোগিতা করে মেলাঘরের পেশায় মুহুরি অভিষেক চক্রবর্তী। জাল কাগজপত্র দিয়ে সাদ্দাম এবং নাবালিকাকে নোটারী বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় অভিষেক। এমনকি সাদ্দামের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিষেক চক্রবর্তী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর সেখান থেকে কোনক্রমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় নাবালিকা। বাড়িতে গিয়ে সমস্ত ঘটনা পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করে সে। এরপর এদিনই বিশালগড় মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। মামলা গ্রহণ করে মাঠে নামে মহিলা থানার পুলিশ। এদিন রাতেই মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৬(এ)/৩৭৬(৩)/৩৪২/৩৫৪(এ)/৫০৬/৩৪ এবং পকসো এক্টে মামলা গ্রহণ করেছে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে বিশালগড় মহকুমা আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে অপর অভিযুক্ত অভিষেক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে। তবে গত শনিবার নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর মেলাঘর থানায় ডেপুটেশন প্রদান করেছিলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক প্রতিনিধি দল। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিলে মেয়েটির সম্ভ্রম রক্ষা হতো। পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই সুযোগে মেয়েটিকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম হোসেন কুলুবাড়ি এলাকার কুখ্যাত সমাজবিরোধী। সীমান্ত অপরাধী হিসাবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক নারী পাচার থেকে শুরু করে নেশা পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ।