প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৬ ডিসেম্বর।। বিজেপির কার্যকর্তাদের বদনাম করার ষড়যন্ত্র চলছে। বিশালগড় মন্ডলের বিজেপির সবগুলি মোর্চা সংগঠিত ভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে ওবিসি মোর্চা এবং সংখ্যালঘু মোর্চা বিশালগড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যালঘু এবং ওবিসি ভোটাররা এই কেন্দ্রের নির্নায়ক শক্তি। এই দু’টি মোর্চা রয়েছে দুই উদীয়মান তরুণের হাতে। ওবিসি মোর্চার মন্ডল সভাপতি অমলেশ ঘোষ এবং সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে ফেরদৌস মিয়া। দু’জনই দলের নির্দেশ মতো বুথে বুথে সংগঠন মজবুত করার কাজ করছে। বর্তমানে ঘর ঘর বিজেপি অভিযানে ওবিসি এবং সংখ্যালঘু মোর্চার কার্যকর্তারা সংঘবদ্ধভাবে সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে জনতার দরবারে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু এই তরুণ নেতৃত্বকে কালিমালিপ্ত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চলছে। অপপ্রচার করে তরুণ নেতৃত্বদের মনোবলে আঘাত করে সংগঠন দুর্বল করার কষ্টকল্পিত প্রয়াস চলছে। ব্যাক্তিগতভাবে আর্থিক দুর্বলতা থাকলেও সর্বদা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তাঁরা। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে তাদের মানবিক মুখ ফুটে উঠেছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি রোজগারের মিথ্যা রটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মারামারি হয়েছে বলে প্রচার করে। অথচ এধরণের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে কারোর জানা নেই। টাকা পয়সার গল্প রটিয়ে সাধারণ কার্যকর্তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র মূলক কৌশল হিসাবে সামাজিক মাধ্যমে এবং কিছু সংবাদমাধ্যমে মনগড়া গল্প প্রচার করছে। ওবিসি মোর্চার মন্ডল সভাপতি অমলেশ ঘোষ এবং সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল সভাপতি ফেরদৌস মিয়া জানান অপপ্রচার করে কোন লাভ হবেনা। ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা মানুষের রয়েছে। এ-সব করে সংগঠনের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
রাজনীতি
অমরপুরে কংগ্রেসের মরা গাঙ্গে জুয়ার উঠাতে নিজেদের জীবন বাজি রেখে কংগ্রেস নেতা হারাধন দাসের নেতৃত্বে বেশ কিছু যুবক অমরপুর শহর চষে বেড়াচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। 2018 বিধানসভা নির্বাচনের পর অমরপুরে প্রায় সাইনবোর্ড সর্বস্ব হয়ে গিয়েছিলো কংগ্রেস দল। কিন্তু 2023 সালের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বেশ কিছু উঠতি বয়সের তরুণ যুবক অমরপুরে কংগ্রেস দলকে পুনরায় নতুন করে সাজিয়ে তুলছেন। এক সময় অমরপুর ছিলো কংগ্রেসের ঘর। অমরপুরে কংগ্রেস থেকে বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী ও হয়েছেন এক সময়। তবে 2018 নির্বাচনে পরিবর্তনের আশায় কংগ্রেসের পুরো ভোটটাই চলে গিয়েছিলো বিজেপিতে। পরিবর্তন ও আসে, তবে পরিবর্তন হলেও দীর্ঘদিনের বাম বিরোধী কর্মীরা সেই লাঞ্ছিত বঞ্চিতই রয়ে গেল বিজেপি দলে। কিন্তু এখন আবার পুনরায় বিজেপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে কংগ্রেস মুখি হয়ে আছে বহু কর্মী। ইতিমধ্যেই অমরপুরে বিশাল সংখ্যায় বিজেপি কর্মী কংগ্রেসের খাতায় নাম লিখিয়েছে। আরো প্রচুর সংখ্যায় কর্মীদের কংগ্রেসে যোগদান সময়ের অপেক্ষা বলে খবর। এদিকে অমরপুরে কংগ্রেস দলকে ধীরে ধীরে শক্তপুক্ত করে তুলতে মরিয়া বেশ সক্রিয় কিছু কর্মী। সোমবার অমরপুর ব্লক যুব কংগ্রেসের উদ্দ্যোগে অমরপুর মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় এক পথসভার আয়োজন করা হয়। পথসভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা হারাধন দাস, প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার কনভেনর সুমন ইসলাম, যুব নেতা বিট্টু দাস, সায়ন দাশ গুপ্ত সহ অন্যান্যরা। এইদিনের এই সভা থেকে রাজ্যের শাষক দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমন করেন নেতৃত্বরা। তাদের বক্তব্য রাজ্যে সুশাসন নয় চলছে কুশাসন। এদিন আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে অমরপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা এস সি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রঞ্জিত দাস দ্বারা তিপ্রা মথা সুপ্রিম প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ। অমরপুরের বিধায়ক যেভাবে প্রদ্যুৎ কিশোরকে রাজ পরিবারের কলঙ্কিত সন্তান বলে অবহিত করেছেন তা নিয়েও এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করেন যুব কংগ্রেস নেতৃত্বরা । তবে সব মিলিয়ে এদিন অমরপুর শহরের বুকে যেভাবে যুব কংগ্রেসের রনংদেহি রূপে শাসক কে প্রতিহত করার হুংকার তথা পথসভা ছিল তা ২৩ এর বিধানসভার আগে শাসক দল বিজেপিকে যে চিন্তায় ফেলবে তা একপ্রকার হলপ করে বলা যায়।
৭ ঋষ্যমুখ মন্ডলের অন্তর্গত ত্রিপুরা বাজার শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে
“হর ঘর বিজেপি” অভিযানের অঙ্গ হিসেবে আমজাদনগর ১০ ও ১১নং বুথে জনসম্পর্ক অভিযান সংগঠিত হয় ।
উক্ত জনসম্পর্ক অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ৩৭ ঋষ্যমুখ মন্ডলের মন্ডল সভাপতি শ্ঙ্কর ভৌমিক , যুব মোর্চার দক্ষিণ পিলাক জেলা কমিটির সম্পাদক নাসির আহমেদ মহোদয়, সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল সভাপতি লিটন মিয়া মহোদয়, বাশপদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আকিমা খাতুন সহ ভারতীয় জনতা পার্টির কার্য্যকতা গন
প্রতিনিধি মোহনপুর:-“কৃষক হচ্ছে আমাদের লক্ষ্মী। কৃষক আমাদের অন্নদাতা। তাইতো মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিষান সম্মান নিধির সূচনা করেছেন। অন্যদিকে বাম আমলে এই রাজ্যে মোদি সরকারের নির্মাণের জন্য যে অর্থ পাঠাতো সে অর্থ গিলে খেত বাম নেতারা। এটাই পরিবর্তন”। রবিবার বামুটিয়া বিধানসভা এলাকার গান্ধীগ্রামে ওয়ান নাইট ওয়ান মন্ডল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য সভায় বলছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে নিয়ে বিজেপি বামোটিয়া মন্ডলের উদ্যোগে নবগ্রাম এলাকা থেকে একটি সুবিশাল রেলির সূচনা করা হয়। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে গান্ধীগ্রাম বাজারে এসে সমাপ্ত হয় এই রেলি। এখান থেকে গান্ধী গ্রাম বাজারেই অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য সভায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এদিন সিপিআইএম দলকে এক হাত নিলেন। তিনি বলেন পূর্বতন সরকারের সময়ে কৃষকরা সামান্য কৃষি ঋন আনতে গেলেও জমির পর্চা নিয়ে পার্টি অফিসে ছুড়তে হতো। পার্টির নেতাদের ইচ্ছে হলে সেই ঋণ মঞ্জুর হতো। আর না হলে কৃষকরা হননি হয়ে ঘুরতো। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সমস্ত কৃষকদের সম্মান জানিয়ে বছরের ৬০০০ টাকা কিষান সম্মাননিধি হিসেবে তাদের একাউন্টে কোন নেতার হস্তক্ষেপ ছাড়াই পৌঁছে দিচ্ছে। মন্ত্রী আরও বলেন রাজ্যের গরিব মানুষদের অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে বিজেপি আইপি একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর। বর্তমানে রাজ্যের কৃষকদের উৎপাদিত ধান সঠিক মূল্য দিয়ে ক্রয় করে নিচ্ছে সরকার। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পাচ্ছে এই রাজ্যের কৃষকরা। এ সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে এবং রাজ্যে বিজেপি প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করানোর আহ্বান করলেন প্রতিমা ভৌমিক। এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামোটিয়া মণ্ডল সভাপতি বিজু পাল, বামুটিয়ার বিধায়ক কৃষ্ণ ধনদাস, সদর গ্রামীণ জেলা সভাপতি অসিত রায় এবং অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
গত দুদিন আগে বাগমা বগাবাসা এলাকায় রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদেরকে ব্যাপক মারধর করে কংগ্রেস কর্মীরা । এই ঘটনায় মামলা করা হয় রাধা কিশোরপুর থানায় । বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে ৩০ বাগমা মন্ডলের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বাগমা বাজারে । উপস্থিত ছিলেন , শিল্পমন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, গোমতী জেলা প্রভারী রতন ঘোষ , বিজেপি গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায়, জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা ও বাগমা মন্ডলের নির্বাচনী প্রভারী বিপিন দেববর্মা সহ প্রমুখ । এইদিনের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে , গোমতী জেলার বিজেপি সভাপতি অভিষেক দেবরায় তীব্র আক্রমণ শানান কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে । একই সাথে সিপিআইএম ও কংগ্রেসকে এক নিশানায় নিয়ে এসে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি । সেই সাথে হুঁশিয়ারি দেন যদি আজকের পর থেকে কোন বিজেপি কর্মীর উপর আক্রমণ ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় তাহলে কোন কংগ্রেস কর্মীকে আর ছেড়ে কথা বলা হবে না । এদিকে শিল্পমন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে , তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্য সিপিআইএম নেতৃত্বকে । এদিন তিনি বলেন বিগত দিনে দিল্লিতে কংগ্রেসের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলো মানিক সরকার । সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর এই রাজ্যে ক্ষমতার মসনদে বসে ছিলো বামফ্রন্ট । আর ত্রিপুরাতে গত ২৫ বছর কুস্তি করে গিয়েছে । আর যখন বর্তমানে রাজ্যে একটি রাষ্ট্র বাদী সরকার চলছে তখন এই সরকারকে কিভাবে ফেলে দেওয়া যায় তার চক্রান্ত চালাচ্ছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম । তার সাথে যোগ দিয়েছে তিপ্রা মথা নামে একটি দল । তিনটি রাজনৈতিক দল মিলে যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার , সে স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না এই রাজনৈতিক দলগুলির । এদিন সমাবেশ শেষে বাগমা বাজারে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা । এই দিনের মিছিলে মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চার কর্মীদের উপস্থিতি ছিলো সারা জাগানো ।
সোমবার ৪ দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর উদ্দেশে পাড়ি দেবেন মমতা। দিল্লিতে নেমে সোজা রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে জি-২০ সম্মেলন সংক্রান্ত বৈঠক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা ওই বৈঠকে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা মমতারও।
সিপিএম নেতৃত্বের কড়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও ‘রাম-বাম’ জোট দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই ‘নন্দকুমার মডেল’-এই ‘সাফল্য’ এল মহিষাদল বিধানসভার জগৎপুর শীতলা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে। ভোটে পুরোদস্তুর ধরাশায়ী হল শাসকদল। তবে উল্টো ছবিও রয়েছে। তমলুকের খারুই-গঠরা সমবায় সমিতির নির্বাচনে শাসকদলের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে সিপিএম-বিজেপির জোট।রবিবার ৬২ আসনবিশিষ্ট জগৎপুর শীতলা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে সিপিএম-বিজেপি জোট সমর্থিত প্রার্থীদের দখলে আসে ৫১টি আসন। আর ১১টি আসনে জেতেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। এই ফলাফলের পর বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেন, সমবায় ভোটে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম সব দলই এক সঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তবে ‘লাল সতর্কতা’ উপেক্ষা করে এই দুই সমবায় নির্বাচনে কেন ‘রাম-বাম’ জোট গড়া হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত 30শে নভেম্বর চড়িলামের রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত হন বামপন্থী কর্মী সহিদ মিঞা। আজ রবিবার সহিদ মিঞার বাড়িতে যান সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর সহ এক ঝাঁক নেতৃত্ব। সেইদিন চড়িলামে যে বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে তাতে নৃশংস ভাবে আঘাত করে খুন করা হয় সহিদ মিয়াকে। তার পরিবারের প্রতি একে একে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার থেকে শুরু করে তিপ্রা মথার সদস্য বুদ্ধ দেববর্মাও। আজ ছুটে যান পবিত্র কর। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন জানিয়েছেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পার্টির সম্মেলন রয়েছে। তাতে সহিদ মিঞার এই বলিদান কে দেশের অন্যান্য শহীদের নামের তালিকাতেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাছাড়া সহিদ মিঞার খুনিদের যেন উচিত শাস্তি হয় , সেই সমস্ত দিক নজরে রাখবেন তিনি। তাছাড়া তিনি এদিন পুলিশ প্রশাসন কে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, শাসক দলের হয়ে এরা কাজ করছে। তাই তাদের গা হেলামিতে দোষীরা শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। কিন্তু এমনটা যাতে না হয় তার জন্য আগামী দিনে ময়দানে নেমে লড়াই করবে বামফ্রন্ট। এদিন সহিদ মিঞার পরিবার কে তার দোষীদের শাস্তি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পবিত্র কর।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৪ ডিসেম্বর:- আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টির ঘর ঘর বিজেপি অভিযান কর্মসূচি শেষ হতে না হতেই এখন জোর কদমে চলছে জন সম্পর্ক অভিযান। গোটা রাজ্যের সাথে রাইমাভ্যালীতেও প্রচারে বিরোধী দলের তুলনায় বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে। রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরার নেতৃত্বে রাইমাভ্যালী বিধানসভা এলাকার গ্রাম থেকে পাহাড় সর্বত্র প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গায় যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রবিবার রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে রতননগর ভিলেজে জন সম্পর্ক অভিযান করা হয় পাশাপাশি রতননগর বাজারে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ত্রিপ্রা মথা, আইপিএফটি এবং সিপিএম দল ত্যাগ করে ২১ পরিবারের ৫০ ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা এবং ডুম্বুরনগর ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিজেপি ধলাই জেলা নেতৃত্ব বিকাশ চাকমা। সভা শেষে মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা জানান আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে পাহাড়ে বিরোধীরা ততই কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন টানা ২৫ বছরের বাম শাসনে রাজ্যের মানুষ বিভিন্নভাবে বঞ্চিত বিশেষ করে পাহাড়ের জনজাতিরা। এমতাবস্থায় ২০১৮ সালে বিজেপি রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর জনজাতিরা ঘর, শৌচালয় থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জল সহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে। তাতে পাহাড়ের জনজাতিরা দারুণ খুশি এবং আগামী ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তারা বিজেপি সরকার চাইছে বলে মন্ডল সভাপতি জানান।
বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সংরক্ষণ নিয়ে বড় মাপের পদক্ষেপ করল ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকার। আর এই এক সিদ্ধান্তে চাপে পড়ল অন্য বিরোধী দলগুলি। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় দু’টি বিল সর্বসম্মত ভাবে পাশ করিয়েছে ভূপেশ বঘেলের সরকার। যার ফলে শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৭৬ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই হারে সংরক্ষণ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, এই বিলের বিরোধিতা করা অন্য দলগুলির পক্ষে কঠিন।রাজ্যপালের সম্মতিতে বিলটি আইনে পরিণত হলে রাজ্যে জনজাতিদের জন্য ৩২ শতাংশ, তফশিলি জাতির জন্য ১৩ শতাংশ, অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ২৭ শতাংশ এবং অন্য কোনও ভাবে সংরক্ষণের আওতায় না থাকা আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হবে। রাজ্যে ভূপেশ বঘেল সরকারের ডাকা বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে এই সংক্রান্ত দু’টি বিল সর্বসম্মত ভাবে পাশ করানো হয়েছে। মূলত এই দু’টি বিল পাশ করানোর জন্যই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। দিন কয়েক আগেই বিজেপি সরকারের আনা জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একটি বিল খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। আদালতের বক্তব্য ছিল, ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ সংবিধানসম্মত নয়। তার ফলে জনজাতিদের জন্য সংরক্ষণ ২০ শতাংশ কমে যায়। ১৯ সেপ্টেম্বরে হাই কোর্টের ওই রায়ের পরে সরকারি ক্ষেত্রে ভর্তি এবং নিয়োগ থমকে গিয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনজাতি-উপজাতি সম্প্রদায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।