ধর্মনগর প্রতিনিধি :- যারা চুল বাঁধেন তারা রান্নাও করতে পারেন ভালো ,তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল মন্টু বোরা নামে সিআরপিএফের 124 নং ব্যাটেলিয়ানের হেড কনস্টেবল। তার বাড়ি জানা গেছে বরপেটা আসাম।। তার ডিউটি হয়েছিল ৩৩/৫৭ বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তা খালি পঞ্চায়েত অফিসে। উনার ডিউটিতে ছিল মহিলাদের বেশ বড় লাইন। তারমধ্যে এক মহিলা ছিল একটি বাচ্চা নিয়ে যা কোলের বাচ্চা হিসেবে বিবেচিত। মহিলা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোট দিতে কিন্তু বেশ কষ্ট হচ্ছিল এমন অবস্থায় ভোট গ্রহণ পড়বে ভোট দেবে আশায়। তখন মন্টু বাবু হঠাৎ করে এত কষ্ট জর্জরিত অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পেয়ে বলেন বাচ্চাটা তার হাতে দিয়ে দিতে। একদিকে বন্ধুক অন্যদিকে বাচ্চা নিয়ে সাড়ে পাঁচ মিনিটের মত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর মহিলা ভোট দিয়ে এসে বাচ্চাটিকে পুনরায় নিজের কোলে নেন। এই যে বাচ্চাটি মন্টু বাবুর কোলে ছিল তা ভাইরাল হয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ফ্রন্ট পেজে ছবি প্রদর্শিত হয়।। এতে তার ডিপার্টমেন্ট খুশি হয়ে আড়াই হাজার টাকা পুরস্কারে ঘোষিত করেন এবং ধর্মনগরের উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানু পদ চক্রবর্তী বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেন। এতে আবার ও প্রমাণিত হয় যে যিনি রাধতে পারেন তিনি চুল বাঁধতেও পারেন।
দেশ
প্রতিনিধি মোহনপুর:-পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক ১ নং সিমনা বিধানসভা, ২ নং মোহনপুর বিধানসভা এবং ৩ নং বামুটিয়া বিধানসভাতে হোম ভোটিং হয়েছে বুধবার। বৃদ্ধি, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুবিধা ভোগীরা।
মোহনপুরে মহকুমাশাসক তথা এআরও সুভাষ দত্ত জানান সকাল ৯ টা থেকেই ভোট গ্রহণের জন্য বেরিয়ে গেছেন ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিন বিভিন্ন সেক্টরের বিভক্ত এলাকাতে কর্মীরা মানুষের বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণ কম্পার্টমেন্ট তৈরি করে ভোট গ্রহণ করেছেন। এদিন এলাকার বৃদ্ধ ভোটাররা এই নতুন প্রক্রিয়ায় বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগের কারণে অসুস্থ এবং বৃদ্ধ ভোটারদের অত্যন্ত সুবিধা হয়েছে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন যদি কিছু সংখ্যক ভোট গ্রহণের সময়সল্পতার কারণে বাকি থাকে সেগুলো আগামী ১২ তারিখ গ্রহণ করা হবে।
সংসদের রংবোমা হানার জের! বৃদ্ধি নিরাপত্তায়, মোতায়েন অতিরিক্ত সিআইএসএফ কর্মী
সংসদের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করতে চলেছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ)। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উন্নত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আরও ২৫০ জন সিআইএসএফ কর্মী সংসদের নিরাপত্তায় দায়িত্বে আনা হচ্ছে।
গত বছর ডিসেম্বরে রংবোমা হামলার ঘটনার পর থেকেই সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে দিল্লি পুলিশকে সরিয়ে সিআইএসএফ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অতীতে সংসদ ভবন চত্বরের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকত দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। আর এক কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের একটি দল সংসদ চত্বর লাগোয়া বাইরের অঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য দমকল আর সিআইএসএফের ইউনিট থাকত সংসদ ভবন চত্বরে। সংসদের সুরক্ষা সংক্রান্ত নজরদারির দায়িত্বে ছিল দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ইন্টেলিজেন্স উইং)।
স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকায় আইন পড়তে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের পাচকের মেয়ে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে সংবর্ধনা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং সুপ্রিম কোর্টের অন্য বিচারপতিরা। সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
সুপ্রিম কোর্টের পাচক অজয় কুমার সামলের মেয়ে প্রজ্ঞা। আইনে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য আমেরিকার দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়েছেন তিনি। প্রজ্ঞার এই কৃত্বিত্বে খুশি প্রধান বিচারপতি মেয়েটির জন্য আজ এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতির সই করা একটি বই প্রজ্ঞাকে উপহার দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এটা আমাদের সকলের কাছে গর্বের বিষয়।’’ অজয় কুমার ও তাঁর স্ত্রীকেও অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
বুধবার উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দ্বার উদঘাটন সম্পন্ন হল সখি ওয়ান স্টপ সেন্টারের। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত প্রয়াসে ভারতের প্রতিটি জেলাতে এমন একটি করে সখি ওয়ান স্টপ সেন্টারের উদ্বোধন হচ্ছে। এই সেন্টারের মুখ্য কাজ হচ্ছে যেসব মহিলারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতিত তারা পাঁচ দিন এই সেন্টারের ছাদের নিচে থাকতে পারবে এবং এই পাঁচ দিন তাদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যের দিক দেখবে স্বাস্থ্য দপ্তর, আইনগত দিক দেখবে পুলিশ প্রশাসন এবং কাউন্সিলিংয়ের ব্যাপারটা দেখবে মহিলার কমিশন। অর্থাৎ একজন মহিলা একই ছাদের নিচে সব ধরনের সুবিধা পাবে সরকারি পক্ষ থেকে। তারপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয় স্থায়ীভাবে কোন মহিলা থেকে যেতে চায় তাহলে সে আগরতলার সখী ওয়ান স্টপ সেন্টারে ভাই ভাবে থেকে যেতে পারবেন। এই দ্বার উদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, ধর্মনগর পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার, উত্তর জেলা শাসক এবং সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন সহ অন্যান্যরা। উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন দেশের তথা রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকার একের পর এক কাজ করে চলেছে। রাজ্যে ১৮ বছরের নিচে যাদের বাবা নেই বা বাবা চলে গেছে কিন্তু ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে আগ্রহী এমন ৪০০ ছাত্রছাত্রীকে 4000 টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা তাদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে কোন ধরনের অসুবিধা না হয়। ৬৪ জন ১৮ বছরের নিচে ছেলেমেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী 3 লক্ষ টাকা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য। তাছাড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে মায়েরা বোনেরা স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের এবং রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে তার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা হচ্ছে। ত্রিপুরা একমাত্র রাজ্য যেখানে সরকারি দল বন্টন এর ক্ষেত্রে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রাধান্য সহকারে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগের ব্যাপার যে নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া কোনমতেই আটকানো যাচ্ছে না। এগুলো আটকাতে শুধুমাত্র সরকারি সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানই যথেষ্ট নয়। রাজ্যের মানুষ যখন প্রকৃত সচেতন হবে তখনই এইসব প্রতিহত করা সম্ভব হবে। শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করে নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া আটকানো সম্ভব নয়। এই নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তেমনি সমাজের পক্ষেও একটা বিশেষ ক্ষতিকারক দিক বলে উল্লেখ করেন। তার জন্য সবাইকে সচেতন হয়ে সমাজকে বাঁচানোর অঙ্গীকার গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।
দিব্যেদয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে সংস্থার কনফারেন্স হলে মঙ্গলবার লুকাউক্ত বিষয়ক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
দিব্যেদয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে সংস্থার কনফারেন্স হলে মঙ্গলবার লুকাউক্ত বিষয়ক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে শিবিরের সূচনা করেন লুকাউক্ত কল্যাণ নারায়ণ ভট্টাচার্য, অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন তাপস কান্তি দাস, লোকাউক্ত রেজিস্টার বি কে রায়, পঞ্চায়েত দপ্তরের জয়েন ডিরেক্টর অসিত কুমার দাস, খোয়াই মহকুমা প্রশাসনের ডিসি জুসেফ দেববর্মা প্রমূখ। শিবিরের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লোকাউক্ত কল্যাণ নারায়ণ ভট্টাচার্য লুকাউক্ত কি ও কিভাবে কাজ করে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। তিনি বলেন আইন উপকারের জিনিস, আইনকে ব্যবহার করে জনগণের স্বার্থে এক দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। লোকাউক্ত রেজিস্টার বি কে রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন লুকাউক্ত কি এবং তার অভিযোগ কিভাবে দাখিল করা যায় এই বিষয়ে সবিস্তারে শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের সম্যক ধারণা দেন। শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা বলেন লুকাউক্ত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিজেদের সচেতন করার সাথে সাথে দুর্নীতিমুক্ত ভারত গঠনে সকলের প্রতি আহ্বান যানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন দিব্যদয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ডক্টর মনোজ সিং সোচান। শিবির শুরুর পূর্বে লোকাউক্ত কল্যাণ নারায়ন ভট্টাচার্য কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে একটি নারিকেল চারা রোপন করেন। এই দিন শিবিরে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকগণ ও এস এইস এস গ্রুপের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
গলায় উত্তরীয় পড়ে বিয়ে বাড়িতে চুরি করতে এসে মহিলাদের হাতে আটক চোর, উত্তর মাধ্যম দিয়ে তুলে দেয় পুলিশের হাতে
বিশালগড় প্রতিনিধি:-
গলায় উত্তরীয় পড়ে বিশালগড় আমবাগান এলাকায় বিয়ে বাড়িতে চুরি করতে এসে আটক চোর, বাড়ির মহিলারা চোরকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে তুলে দিলো বিশালগড় থানা পুলিশের হাতে। জানাযায় শনিবার বিশালগড় আমবাগান এলাকার মৃত রায় মোহন সাহার বাড়িতে চলছে বিয়ের পানখিলী অনুষ্ঠান। ঠিক তখন যখন বাড়ির মহিলারা বিয়ে বাড়ির পানখীলি অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন তখনই গলায় উত্তরীয় পড়ে বাবুয়ানা সেজে বিয়ে বাড়িতে ঘরে যখন চুরি করতেছিল ঠিক তখনই মহিলারা তাকে ধরে তাকে জিজ্ঞেস করার সঙ্গে সে প্রথমে পরিচয় দেয় বিয়ে বাড়িতে ব্যান্ড পার্টির সাথে এসেছেন। মহিলারা যখন ব্যান্ড পার্টির লোকেদের জিজ্ঞেস করে তখন ওনারা জানান তাকে আমরা চিনি না। কথা বলার সাথে সাথেই চোর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মহিলারা তাকে WWW চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার মত চোরকে ধরে এবং গণধোলাই দেয়। খবর দেয়া হয় বিশালগড় থানায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে গলায় উত্তরীয় পড়ে বিয়ে বাড়িতে চুরি করতে এসে মহিলাদের হাতে গণ ধোলাই খাওয়া চোরকে উদ্ধার করে বিশালগড় থানায় নিয়ে আসেন। জানাযায় অভিযুক্ত চোরের বাড়ি মেলাঘর নলছড় এলাকায়।
জেলের ভিতর হু হু করে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নতুন করে ৩৬ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের একটি জেলে এখন এইচআইভি আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬৩ জন! পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উড়েছে জেল জেলের ভিতর এইচআইভিতে আক্রান্ত একের পর এক বন্দির! ঘুম উড়েছে কারা কর্তৃপক্ষেরও।
জেলের তরফে জানানো হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে এইচআইভি টেস্টিং কিট পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ফলে বন্দিদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে দেরি হয়। শেষমেশ তা করা হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। তখনই এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক!
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সংক্রামিত বন্দিদের বেশিরভাগেরই মাদকাসক্তির ইতিহাস রয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, কারাগারের বাইরে দূষিত সিরিঞ্জ ব্যবহার করার ফলেই এই বন্দিরা অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। কারাগারে আসার পর কোনও কয়েদি এইচআইভিতে আক্রান্ত হননি বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের।
লোকসভা ভোটের আগে শিশুদের নিয়ে ‘কড়া’ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের, কী করা যাবে, কী করা যাবে না?
লোকসভা নির্বাচনের আগে শিশুদের নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, নির্বাচনের কাজে কোনও ভাবেই কোনও শিশুকে ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে কমিশন ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি (কোনও ভাবেই বরদাস্ত নয়) গ্রহণ করছে।
সোমবার কমিশন যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভোটের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনও কাজে শিশুদের ব্যবহার করা যাবে না। প্রচারে শিশুরা পা মেলাতে পারবে না। পোস্টার বিলি, স্লোগান দেওয়া, মিছিলে হাঁটা থেকে শিশুদের বিরত রাখতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠকেও শিশুদের নিয়ে যাওয়া যাবে না। যে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
কমিশনের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের কোলে নিয়ে বা কোনও গাড়িতে শিশুদের নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রচারে ব্যবহৃত কোনও কবিতা, গান, বক্তৃতায় শিশুদের উল্লেখ রাখা যাবে না।
তবে কোনও রাজনৈতিক নেতার সভায় যদি বাবা, মায়ের সঙ্গে শিশুও উপস্থিত থাকে, তা নির্বাচনী প্রচার হিসাবে গণ্য করা হবে না। সে ক্ষেত্রে তাতে কোনও বাধাও থাকবে না বলে জানিয়েছে কমিশন।
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে প্রচারের সময়ে শিশুশ্রম প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৬ (সিএলপিআর) মেনে চলতে হবে। ওই আইনে যা যা বলা আছে, কড়া ভাবে তা মেনে চলতে হবে, নির্দেশ কমিশনের। সেই সঙ্গে তারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সমস্ত আধিকারিককেও শিশুদের ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ না মানা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের নির্দেশিকায়।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এমন দিনেই মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেঙ্গালুরু প্রশাসন। জেলাশাসক দয়ানন্দ কেএ জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু ১৪ ফেব্রুয়ারি নয়, তারপর আরও দু’দিন প্রযোজ্য থাকবে এই নিয়ম।
‘কর্নাটক লেজিসলেটিভ কাউন্সিল বেঙ্গালুরু টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’র উপনির্বাচন রয়েছে সে দিন। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় এবং বেঙ্গালুরুতে শান্তি বজায় থাকে, সেই কারণেই ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মদ্যপান এবং বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দয়ানন্দ। বর্তমানে সেখানে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি জারি রয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
বেঙ্গালুরুর সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র- ইয়েলাহাঙ্কা, বাতারায়নপুর, যশবন্তপুর, দাসারাহাল্লি, মহাদেবপুর, বেঙ্গালুরু দক্ষিণ এবং আনেকালের শিক্ষকরা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। শহরের জেলাশাসক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, উপনির্বাচনের জন্য বেঙ্গালুরুতে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনের জন্য অ্যালকোহল বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ১৪ তারিখ বিকেল ৫টা থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।
১৯৬৭ সালের কর্নাটক আবগারি বিধির ১০ (বি) ধারা অনুযায়ী এবং ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৩৫ (সি) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই কয়েক দিন জেলা জুড়ে সমস্ত ধরনের মদ বেচা-কেনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ‘ড্রাই ডে’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।