প্রতিনিধি কৈলাসহর:-৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে ভারতীয় সংবিধান প্রনেতা ডাঃ বি আর আম্বেদকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গোটা ভারতবর্ষে শুরু হয়েছে সংবিধান গৌরব দিবস উদযাপন।তার-ই অঙ্গ হিসেবে চন্ডীপুর মন্ডলের উদ্যোগে সংবিধান গৌরব দিবস কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউনাইটেড ক্লাব সংলগ্ন মাঠে।অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে।উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, রাজ্য কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর,জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডঃ সুশান্ত সিনহা ও চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সম্পা দাস পাল।স্বাগত বক্তব্য রাখেন চন্ডিপুর মন্ডল সভাপতি পিন্টু ঘোষ।১১ই জুন থেকে ২৪শে জুন অব্দি চলবে এই সংবিধান গৌরব দিবস কর্মশালা।আগামী ২৫শে জানুয়ারি প্রত্যেক বুথের ইনচার্জদের সংবিধান সম্পর্কে অবগত করা হবে এবং তার বার্তা প্রতিটি বুথে নিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, স্বাধীনতার ৭৮ বছর এবং ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে দলীয়ভাবেই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।নিজেদের স্বার্থে বহু রাজনৈতিক দল তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার ভাঙ্গার জন্য ৯০ বার অবৈধভাবে সংবিধানকে ব্যবহার করা হয়।কিন্তু বিজেপি সরকার ১১ বছরের এই সময়ে কোনভাবেই সংবিধানের গৌরব ভুলণ্ঠিত হতে দেয়নি বরঞ্চ গণতন্ত্রকে মজবুত করা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তিনি বলেন,বাবা সহেব ভীম রাও আম্বেদকরের বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।মধ্যপ্রদেশে উনার জন্মস্থানকে তীর্থক্ষেত্র দিল্লিতে ওনার কর্মভূমিকে তীর্থক্ষেত্র এবং আরো অন্যান্য জায়গাকে নামাঙ্কিত করে পঞ্চক্ষেত্র ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।তিনি বলেন ভারতীয় সংবিধান অধিকার দিয়েছে বলেই সাধারণ মানুষরা মন্ত্রী হতে পারছেন এবং একজন চা ওয়ালা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন।এই সংবিধানের মধ্যে সার্বভৌমত্বের কথা বলা হলেও বিগত সরকার তার ধার মারেনি।বিজেপি সরকার বাগিচা শ্রমিকদের জমির পাট্টা,অন্ন,বস্ত্র বাসস্থান,শিক্ষা স্বাস্থ্য ইত্যাদির মৌলিক অধিকার এই ১১ বছরের সময়ে মানুষকে দিতে পেরেছে।এখন অব্দি পাঁচ লক্ষ ঘর গ্রামীণ এবং শহর এলাকায় মানুষ পেয়েছে।যে সমস্ত পরিবার রেশন কার্ড আলাদা করেছে যারা ঘর পায়নি তাদের জন্যও নতুন করে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ঘর পাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।২০২৫ সালের মধ্যে জলের সংযোগ ১০০ শতাংশ পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।তিনি বলেন,যারা ৬০ শতাংশ দিব্যংগ তাদের সামাজিক ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে এক দিনে আটটি জেলায় কাউন্টার করে মোট তিন হাজার দিব্যাঙ্গ ভাই বোনকে একই দিনে সেংশন লেটার দেওয়া হয়েছে যা ভারতবর্ষের বুকে রেকর্ড করেছে ত্রিপুরা।ইদানিং সম্পন্ন হওয়া সরস মেলায় ১১ কোটি টাকার বিক্রয় হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং মহিলাদের আত্ম নির্ভরতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ২৭০০ টি স্ব-সহায়ক গ্রুপের মাধ্যমে ৯১ হাজার দিদিকে লাখপতি করা হয়েছে এবং কয়েক হাজার কোটি টাকা তার জন্য বরাদ্দ করেছে ত্রিপুরা সরকার।ক্রীড়া ক্ষেত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে এ রাজ্য এগিয়ে চলেছে।একের পর এক সফলতা রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে।সংস্কৃতির অঙ্গনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন সম্প্রতি জাতীয় ক্ষেত্রে ভারত মন্ডপমে অনুষ্ঠিত হওয়া যুব উৎসব এ রাজ্যের লোকনৃত্য দল অংশগ্রহণ করে তৃতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয় এবং সাইন্স ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় স্থান লাভ করে ত্রিপুরা।আজকের এই অনুষ্ঠানের অন্যতম সংযোজন চন্ডিপুর বিধানসভা এলাকার তপশিলি শ্রেণীর প্রবীণ সমাজপতিদের সম্মানিত করেন ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়।
ত্রিপুরা
ত্রিপুরার লাখপতি দিদি ৯১ হাজার চন্ডিপুর ব্লকের উদ্যোগে আয়োজিত পিঠে পুলি উৎসবে:টিংকু
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-চন্ডিপুর ব্লক এলাকার স্ব-সহায়ক দলের দিদিদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী এবং নিজেদের তৈরি করা নানান ধরনের পিঠে পুলি উৎসবের আয়োজন হয় চন্ডিপুর ব্লক এলাকার জারুলতলী গ্রামীণ মাঠে।মন্ত্রী টিংকু রায়ের হাত ধরে চন্ডীপুর ব্লক ভিত্তিক পিঠে পুলি উৎসব ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্য জারুলতলি এলাকায়।চন্ডিপুর আর ডি ব্লক ও ভিলেজ অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে ব্লক ভিত্তিক এই পিঠে পুলি উৎসব চলবে তিন দিন ব্যাপী।উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,ঊনকোটি জেলা পরিষদের তিন সদস্য বিমল কর,শ্যামল দাস ও অহি রানী দেববর্মা,চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস পাল, ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় সিংহ,বিশিষ্ট সমাজসেবী পিন্টু ঘোষ,অবসরপ্রাপ্ত টিসিএস অফিসার ডঃ কেডি সিনহা,চন্ডীপুর ব্লকের বিডিও প্রসেনজিত মালাকার সহ অন্যান্যরা।চন্ডীপুরে প্রথমবারের মত আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এই পিঠে পুলি উৎসবে চন্ডীপুর ব্লকের অধীনে থাকা ২২টি স্ব-সহায়ক দল অংশ নিয়েছে।স্টলে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যারা নিজেদের তৈরি করা সামগ্রী সহ রকমারি পিঠে পুলি নিয়ে হাজির হয়েছে।এই পিঠে পুলি উৎসবে আমাদের উৎসব ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।গ্রামীণ সংস্কৃতি এবং চিরাচরিত ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে রাখতে তৈরী করা হয়েছে বুড়ির ঘর।উদ্ধোধনী অনুষ্টানে চন্ডীপুর ব্লকের অধীনে থাকা বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মিনি পাওয়ার টেইলার,স্প্রে মেশিন সহ বিভিন্ন কৃষি সহায়ক যন্ত্রপাতি তুলে দেন মন্ত্রী টিংকু রায়।জাতীয় স্থরে খুখু খেলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের এবং কোচকে সংবর্ধিত করেন মন্ত্রী শ্রী রায়। বিভিন্ন স্ব-সহায়ক দলকে লোনের সেংশন মেমো এবং চেকও তোলে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সহ সকল অতিথিরা স্ব-সহায়ক দলের স্টল গুলো পরিদর্শন করেছেন। স্ব-স্বহায়ক দলের তৈরি করা পিঠে পুলি ক্রয় করে তার স্বাদ নিয়েছেন।অনুষ্টানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন যে,এইসব উৎসবের মাধ্যমে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ধরে রাখা যায়।বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রামীণ মহিলারা স্ব-সহায়ক দল করে আত্মনির্ভরশীল। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পনেরোশো কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যাদের হাতে তোলে দিয়েছে।রাজ্যে বর্তমানে ৯১ হাজার লাখপতি দিদিরা রয়েছেন।যাদের রোজগার বছরে এক লক্ষ টাকারও বেশি।রাজ্যে বিজেপি দলের সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের মহিলারা প্রকৃত অর্থেই সন্মান পাচ্ছেন।রাজ্যের যেকোনো জায়গায় বাজার শেড হলে সেই শেডের অর্ধেক মহিলাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়।রাজ্যে বিজেপি দলের সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে যত নতুন সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকান দেওয়া হয়েছে সেগুলো সবগুলো মহিলাদের দেওয়া হচ্ছে। দীপা কর্মকার,অস্মিতা, আরশিয়ারা আজ ত্রিপুরার নাম ভারত তথা বিশ্বের কাছে পোঁছে দিয়েছে।এতকিছুর পরও যখন দেখা যায় যে, ছেলে মেয়েরা নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হবার পর মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। চন্ডিপুর ব্লক ও ভিলেজ অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ব্লক লেবেল পিঠাপুলি উৎসব কে কেন্দ্র করে ১৭ই জানুয়ারি শিশুদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং মহিলাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মজাদার খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৮ই জানুয়ারি অব্দি চলতে থাকা এই পিঠে পুলি উৎসবে প্রতি সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লোকগানের অনুষ্ঠান থাকবে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৩ জানুয়ারি:- পৌষ সংক্রান্তি হিন্দু বাঙালির চিরাচরিত সংস্কৃতির বিশেষ উৎসব। বলা চলে বাঙালির তেরো পার্বণের অন্যতম পার্বণ। বাংলা পৌষ মাসের অন্তিমদিনে এই উৎসবকে অনেকে মকর সংক্রান্তি হিসাবেও পালন করে থাকে। সভ্যতার অগ্রগতিতে মানুষ যতোই এগিয়ে যাচ্ছে হারিয়ে যেতে বসেছে চিরাচরিত সংস্কৃতির। হারিয়ে যাচ্ছে পুরানো রীতি রেওয়াজ। আগের মতো এখন আর পৌষ সংক্রান্তির তেমন জৌলুস, আমেজ নেই। তবু গ্রামাঞ্চলে আবেগ উচ্ছ্বাসকে অনেকটাই আগলে রেখে প্রতিটি ঘরে ঘরে রাত জেগে পিঠেপুলি বানানো হয়। কচিকাঁচারা জমির পাকাধান কাটা শেষে নাড়া কেটে বুড়ির ঘর বা ভেলাঘর তৈরি করে। বুড়ির ঘরেই রান্নাবান্না করে খাবার বানিয়ে পিকনিক করা, নাচ গানের আসর বসানো হয়ে থাকে। পুরোনো রীতি রেওয়াজ সংস্কৃতির টানে আজও চোখে পড়ে গন্ডাছড়া মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় নানাবিধ কর্ম প্রচেষ্টার। মঙ্গলবার পঞ্জিকা মতে মকর সংক্রান্তি। কিন্তু সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দৃশ্যায়িত হচ্ছে চিরাচরিত সংস্কৃতিক বুড়ির ঘর। পৌষ পার্বণে বুড়ির ঘর বানানোর আনন্দ উল্লাসের দৃশ্য আমাদের ক্যামেরায় বন্দী করা হয়েছে। কচিকাঁচা থেকে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীরাও বুড়ির ঘর তৈরি করে চলেছে। সোমবার দিবারাত্র এই বুড়ির ঘরে নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়ার কোনো খামতি থাকছে না। অনেক এলাকাতেই বয়স্করাও বুড়ির ঘরে কীর্ত্তনের আসর, হরির লুঠের আসর বসে। কনকনে শীতের মরশুমে এই পার্বণে বিভিন্ন প্রকৃতির বুড়ির ঘর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানের আধুনিকতার ছোঁয়ার মাঝেও হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির বাহারিয়ানায় গ্রামীণ মানুষের অবদান ও ভূমিকা অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। পৌষ পার্বণ মানেই আলাদা একটা অনুভূতি। এই পার্বণের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আলাদা বন্ধন, একাত্ম হয়ে বুড়ি ঘর, নগর কীর্তন, লুট ধরা, বাড়ি বাড়ি পিঠে পুলির নিমন্ত্রণ, আরো কত কি আনন্দ। বুড়ি ঘরে সারারাত ব্যাপী হৈ-হুল্লোড় শেষে রাত্রিযাপনের পরদিন ভোরে বুড়ি ঘর পুড়িয়ে সবাই পূণ্যস্নান করা। মকর সংক্রান্তির সকালে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা।
সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থা! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ আহবান?
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার :রিয়াং জনজাতিদের আরো বেশি মানোন্নয়নে লক্ষ্যে সরকারের জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনা গুলি দ্রুত জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে জন সচেতন মূলক আলোচনা সভার আয়োজন করেন ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার। শান্তির বাজার মহকুমায় বীরচন্দ্র মনু দখল সিং রিয়াং পাড়ার ব্রু সংগ্রংমা মাঠে হয় এই সচেতন মূলক আলোচনা সভা। আজকের এই সচেতন মূলক আলোচনা সভায় প্রায় ৬ শতাধিক রিয়াং জনজাতি নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। আজকের এই জনসচেতন মূলক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন তিপ্রাসা হদার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তথা ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি খনারাম রিয়াং, রিয়াং জনজাতিদের সমাজপতি খবারাম রিয়াং, বীরচন্দ্র মনু দক্ষিণ জোনাল জয়েন চেয়ারম্যান হরেন্দ্র রিয়াং পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া চৌধুরী, হাপায় চৌধুরী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিপ্রাসা হদার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তথা ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি খনারাম রিয়াং আলোচনা করতে গিয়ে বলেন রাজ্য সরকার এবং এডিসি প্রশাসন রিয়াং জনজাতিদের প্রতি আন্তরিক। পাশাপাশি আরো বলেন সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া রিয়াং জনজাতিদের মানোন্নয়নের পাশাপাশি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আরো বলেন রাজ্য সরকারের জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী এবং টি.আর,পি.পি.টি .জি দফতরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছেন রিয়াং জনজাতিদের মান উন্নয়নে। তাই স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পের মাধ্যমে থেকে প্রায় ৯০০ টি সৌচালয়, জুমিয়া পরিবারদের আর্থিক সহযোগিতা পাশাপাশি, রাবার বাগান, ৫০০টি কম্বল, তাঁত শিল্পের ট্রেনিং সহ ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে মানোন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই সরকারের এই পরিকল্পনা গুলিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থাটি। এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিকট দুটি দাবি নিয়ে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আহ্বান করেন শ্রী খনারাম রিয়াং একটি হলো রাজ্যভিত্তিক ব্রু সংগ্রংমা পূজাকে কেন্দ্র করে ছুটি ঘোষণা পাশাপাশি অপর একটি হল রিয়াং জনজাতিদের দখলকৃত লংদ্রাই মন্দিরের জায়গার পাট্টা প্রদান করার বিশেষভাবে জোরালো দাবি তোলেন।ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে আজকের এই জনসচেতন মূলক আলোচনা সভা কে কেন্দ্র করে রিয়াং জনজাতি লোকজনদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
শান্তির বাজার অটল মার্কেটে শুভসূচনা করাহয় তিনদিনব্যাপী পিঠে পুলি উৎসব ২০২৫
শান্তির বাজার প্রতিনিধ: আজেক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শান্তির বাজার দেশবন্ধুক্লাব প্রতিনিয়ত নানান সামাজিক কর্মসূচী করেথাকে। বাঙ্গালীর বারোমাসে তেরো পার্বন। বাঙ্গালীদের চিরাচরিত প্রথাকে টিকিয়ে রাখতে প্রত্যেক বছর ক্লাবের উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠীত করাহয়পিঠেপুলি উৎসব। অন্যান্যবছরেরন্যায় এইবছরও দেশবন্ধু ক্লাবের উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার অটল মার্কেটে তিনদিনব্যাপী পিঠেপুলি উৎসবের আয়োজন করাহয়। ক্লাব আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে উদ্ভোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শান্তির বাজার বিধানসভাকেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং। উদ্ভোধকের পাশাপাশি আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক প্রবীর বরন দাস, ক্লাবের সভাপতি তথা শান্তির বাজার পৌর পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা, শান্তির বাজার পৌরপরিষদের চেয়ারম্যান সপ্না বৈদ্য, দক্ষিন জেলাপরিষদের সদস্য নিতিশ দেবানাথ, বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশিষ ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষন রাখেন ক্লাবের সম্পাদক প্রবীরবরন দাস। তিনি জানান দেশবন্ধুক্লাবের এইধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার পিছনে তিনটি কারন রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম কারন হলো ঐতিয্যবাহী চিরাচরিত প্রথাকে টিকিয়েরাখা। বর্তমানসময়ে ডিজিটালযুগে পিঠেপুলির প্রথাকে ভুলেযাচ্ছে সকলে। তাই এই চিরাচরিত প্রথাকে টিকিয়ে রাখতে ক্লাবের এইবিশেষ উদ্দ্যোগ। পিঠেপুলি উৎসব করার পিছনে ক্লাবের দ্বীতিয় লক্ষ্যহলো শান্তির বাজর পৌর এলাকার স্ব সহায়ক দলের সদস্যদের আর্থিকদিকদিয়ে সাবলম্বন করা। দেশবন্ধু ক্লাব আয়োজিত পিঠেপুলি উৎসবে শান্তির বাজার পৌর এলাকাথেকে ৩৮ টি স্বসহায়ক দল ষ্টলনিয়ে হাজির হয়েছে। সকলে নিজেদের তৈরি বিভিন্নপ্রকারের পিঠেনিয়ে এইষ্টলগুলো সাজিয়েতুলেছে। দেশবন্ধু ক্লাবের পক্ষথেকে সকল স্বসহায়ক দলের সদস্যদের পিঠেতৈরির সামগ্রী প্রদানকরাহয়েছে। ক্লাবের উদ্দ্যোগে আয়োজিত মেলার পিছনে তৃত্বীয় কারনহলো সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন তৈরিকরা। মেলায় সকল অংশের লোকজনের সমাগমে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন সৃষ্টিহবে বলে আশাব্যক্ত করেন উদ্দ্যোগতারা। অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতেগিয়ে বিধায়ক জানান আগরতলায় আয়োজিত ফুড ফেষ্টিবেলে সকলে যাওয়ার সুযোগহয়েউঠেনা তাই গ্রামীন এলাকায় এইধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজনকরাতে ক্লাব কতৃপক্ষকে ধন্যবাদজানান বিধায়ক। অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্যশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তথেকে আগত শিল্পীদেরনিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনকরাহয়। আজকের এই মেলারশুভ সূচনা ও মেলার বিভিন্নদিকগুলো নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন ক্লাবের সম্পাদক প্রবীরবরন দাস। তিনি জানান এইবছর মেলা পঞ্চমবছরে পদার্পন করেছে। তিনদিনব্যাপী চলবে এই পিঠেপুলি উৎসব। ক্লাবের উদ্দ্যোগে আয়োজিত পিঠেপুলি উৎসবকেকেন্দ্রকরে মহকুমার বিভিন্নপ্রান্তথেকে ব্যাপকহারে লোকসমাগম ঘটে। পাশাপাশি মেলায় আসা লোকজনদের আনন্দ দিতে বিভিন্ন শিল্পীদের দ্বারা পরিচালিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-১১ই জানুয়ারি শনিবার ঊনকোটি জেলা বন দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় কুমারঘাট ডিএফও অফিসের কনফারেন্স হলে মেগা রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়।এই শিবিরে বন দপ্তরের ফ্রন্টলাইন স্টাফ সহ মোট ৩০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন।বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ডি কে চাকমা,জেলা বনাধিকারিক কৃষ্ণ গোপাল রায়,কুমারঘাট মহকুমা শাসক এন এস চাকমা,টিএফডিসি কুমারঘাট ডিভিশনাল ম্যানেজার নিশিত চক্রবর্তী,এসডিএফও কৈলাসহর এইচ রিয়াং, এসডিএফও কুমারঘাট অমিত দও, এবং বন দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দ।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এই মহৎ উদ্যোগের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।রক্তদান এক মহৎ সামাজিক কাজ যা মানুষের জীবন বাঁচাতে অমূল্য ভূমিকা পালন করে। এক ফোঁটা রক্তও কারও জীবন বাঁচাতে পারে।এমন উদ্যোগ আগামী দিনেও আরও বৃহত্তর পরিসরে আয়োজন করা উচিত বলে সকলে জানান।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৮ জানুয়ারি:- গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে বুধবার”পরীক্ষা পে চর্চা” বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বিদ্যালয়ের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা। সেখানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের বিদ্যাজোতি সেলের একাডেমিক হেড স্বপন মজুমদার। তিনি তার আলোচনায় সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছাত্র- ছাত্রীদের প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেন। পাশাপাশি ভাল ফলাফল করার জন্য প্রয়োজনীয় নানা কৌশল তুলে ধরেন ছাত্র -ছাত্রীদের সামনে। এছাড়াও বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের নানা উদ্যোগ সম্পর্কেও তিনি সবাইকে অবগত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডুম্বুরনগর বিদ্যালয় পরিদর্শক থৈসা মগ, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক চতুর্বেদি রিয়াং, সিবিএসই ম্যানেজার সৌরভ দত্ত, রাজ্য স্তরীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উল্লেখ্য একাডেমিক হেড স্বপন মজুমদার রাজ্যের সমস্ত বিদ্যাজোতি বিদ্যালয়েই পরিদর্শন করে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে আলোচনা করে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। এদিনের এই সেমিনারের ব্যবস্থাপনায় ছিল মূলত বিদ্যালয়ের এন এস এস ইউনিট।
নদীতে দূষণ বন্ধ করতে হবে তাহলে বাঁচবে প্রাণ : মহারানী জল উৎসবে বললেন অর্থমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর : – বুধবার উদয়পুর উত্তর মহারানী গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস প্রাঙ্গণে গোমতী মুক্ত মঞ্চে রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ও মাতারবাড়ি আরডি ব্লক যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী মহারানী জল উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গোমতী নদী পূজন ও মুক্তমঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শুভ সূচনা করেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতলচন্দ্র মজুমদার, গোমতী জিলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন, মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শিল্পী রানী দাস, মাতাবাড়ি আরডি ব্লকের বিডিও শুভব্রত দে সহ আরো এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জল সংরক্ষণ নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেন মাতাবাড়ি আরডি ব্লকের বিডিও শুভব্রত দে। পরবর্তী সময় অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়ের হাত দিয়ে ১৮জন সুবিধাভোগী মৎস্য চাষী লাভ্যথীদের মৎস্যজাল ও জল রাখার পাত্র দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, জল সংরক্ষণ ও বন্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, এই উৎসবের মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়, যা ভবিষ্যতে সমাজের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। মন্ত্রী বলেন , নদীতে দূষণের মাত্রা কমাতে হবে তাহলে আগামী দিন গোমতী নদীর জল আরো নানা কাজে ব্যবহার করা যাবে এবং সেচের কাজ থেকে শুরু করে পানীয় জলের জন্য আর কোন ধরনের অসুবিধা হবে না গোটা উদয়পুরবাসীকে। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন দপ্তরের স্টলগুলি ঘুরে ফিতা কেটে পরিদর্শন করেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ অতিথিবর্গরা। এই অনুষ্ঠানে লোকসমাগমের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানোর মত।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৭ জানুয়ারি।। অল ত্রিপুরা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন বিশালগড় মহকুমা কমিটির উদ্যোগে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিশালগড়ের একটি বেসরকারি হল ঘরে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। উদ্বোধক বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন রক্তের কোন বিকল্প নেই। এই দান মহৎ দান। একজন সুস্থ মানুষের রক্তের বিনিময়ে একজন মুমূর্ষ রোগী প্রাণ ফিরে পায়। একজন সুস্থ মানুষ নিয়মিত রক্তদান করতে পারে। এতে নিজের শরীর সুস্থ থাকে। তাই প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। স্বাগত ভাষণে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন ২০২৫ সালের ২৩ শে মার্চের মধ্যে ৭৫ হাজার ইউনিট রক্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তুলে দেবে সংগঠন। অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমর কুমার ভৌমিক, বিশালগড় পৌরসভার চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, সংগঠনের বিশালগড় মহকুমা কমিটির সভাপতি তাপস ঘোষ, সম্পাদক বিপ্লব সরকার, কোষাধক্ষ ও মধুসূদন দেবনাথ এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী তপন দাস।
বন্যায় মৃত পরিবারের পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার। চার লাখ টাকার অনুদানের স্যাংশন লেটার তুলে দিলেন অর্থমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ২০২৪ সালে ত্রিপুরায় ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ বন্যা। তিনদিনের ভারী বৃষ্টিতে ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল গোমতী জেলার বিভিন্ন বিধানসভা এলাকাগুলি। ক্ষতির শিকার হয়েছিল হাজার হাজার জনতা । অন্ন , বস্ত্র এবং বাসস্থান হারিয়েছে বহু মানুষ। ভিটেমাটি হারিয়ে একপ্রকার উদ্বাস্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল সেই সময় । তার মধ্যে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বন্যার সময়। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল উদয়পুর জামজুরী এলাকার বর্ধন বাড়ি। বন্যার হাত থেকে গবাদি পশু বাঁচানোর জন্য নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়ার সময় বন্যার জলের স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সমরেশ বর্ধনকে । দীর্ঘদিন পর তার কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার হয় পুকুরের জল থেকে । এই ঘটনায় রীতিমত কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার । সে সময় প্রশাসন এবং সরকার বার্তা দিয়েছিল তাদের এই পরিবারটিকে সাহায্য করা হবে আর্থিকভাবে। কথা দিয়ে কথা রাখলেন সরকার । এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ও উদয়পুর মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার মৃত সমরেশ বর্ধনের বাড়িতে গিয়ে ৪ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন পরিবারের হাতে। অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান , তাদের পরিবারের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের পড়াশুনা যাতে আগামী দিন আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য সরকার সব সময় তাদের পাশে রয়েছে। পরিবারটি যেন আর্থিকভাবে চলতে পারে তার জন্য সরকার এই সাহায্যটুকু করেছে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে। এদিন অর্থমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবারের লোকজন ।