প্রতিনিধি কৈলাসহর:-৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে ভারতীয় সংবিধান প্রনেতা ডাঃ বি আর আম্বেদকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গোটা ভারতবর্ষে শুরু হয়েছে সংবিধান গৌরব দিবস উদযাপন।তার-ই অঙ্গ হিসেবে চন্ডীপুর মন্ডলের উদ্যোগে সংবিধান গৌরব দিবস কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউনাইটেড ক্লাব সংলগ্ন মাঠে।অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে।উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, রাজ্য কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর,জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডঃ সুশান্ত সিনহা ও চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সম্পা দাস পাল।স্বাগত বক্তব্য রাখেন চন্ডিপুর মন্ডল সভাপতি পিন্টু ঘোষ।১১ই জুন থেকে ২৪শে জুন অব্দি চলবে এই সংবিধান গৌরব দিবস কর্মশালা।আগামী ২৫শে জানুয়ারি প্রত্যেক বুথের ইনচার্জদের সংবিধান সম্পর্কে অবগত করা হবে এবং তার বার্তা প্রতিটি বুথে নিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, স্বাধীনতার ৭৮ বছর এবং ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে দলীয়ভাবেই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।নিজেদের স্বার্থে বহু রাজনৈতিক দল তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার ভাঙ্গার জন্য ৯০ বার অবৈধভাবে সংবিধানকে ব্যবহার করা হয়।কিন্তু বিজেপি সরকার ১১ বছরের এই সময়ে কোনভাবেই সংবিধানের গৌরব ভুলণ্ঠিত হতে দেয়নি বরঞ্চ গণতন্ত্রকে মজবুত করা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তিনি বলেন,বাবা সহেব ভীম রাও আম্বেদকরের বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।মধ্যপ্রদেশে উনার জন্মস্থানকে তীর্থক্ষেত্র দিল্লিতে ওনার কর্মভূমিকে তীর্থক্ষেত্র এবং আরো অন্যান্য জায়গাকে নামাঙ্কিত করে পঞ্চক্ষেত্র ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।তিনি বলেন ভারতীয় সংবিধান অধিকার দিয়েছে বলেই সাধারণ মানুষরা মন্ত্রী হতে পারছেন এবং একজন চা ওয়ালা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন।এই সংবিধানের মধ্যে সার্বভৌমত্বের কথা বলা হলেও বিগত সরকার তার ধার মারেনি।বিজেপি সরকার বাগিচা শ্রমিকদের জমির পাট্টা,অন্ন,বস্ত্র বাসস্থান,শিক্ষা স্বাস্থ্য ইত্যাদির মৌলিক অধিকার এই ১১ বছরের সময়ে মানুষকে দিতে পেরেছে।এখন অব্দি পাঁচ লক্ষ ঘর গ্রামীণ এবং শহর এলাকায় মানুষ পেয়েছে।যে সমস্ত পরিবার রেশন কার্ড আলাদা করেছে যারা ঘর পায়নি তাদের জন্যও নতুন করে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ঘর পাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।২০২৫ সালের মধ্যে জলের সংযোগ ১০০ শতাংশ পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।তিনি বলেন,যারা ৬০ শতাংশ দিব্যংগ তাদের সামাজিক ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে এক দিনে আটটি জেলায় কাউন্টার করে মোট তিন হাজার দিব্যাঙ্গ ভাই বোনকে একই দিনে সেংশন লেটার দেওয়া হয়েছে যা ভারতবর্ষের বুকে রেকর্ড করেছে ত্রিপুরা।ইদানিং সম্পন্ন হওয়া সরস মেলায় ১১ কোটি টাকার বিক্রয় হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং মহিলাদের আত্ম নির্ভরতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ২৭০০ টি স্ব-সহায়ক গ্রুপের মাধ্যমে ৯১ হাজার দিদিকে লাখপতি করা হয়েছে এবং কয়েক হাজার কোটি টাকা তার জন্য বরাদ্দ করেছে ত্রিপুরা সরকার।ক্রীড়া ক্ষেত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে এ রাজ্য এগিয়ে চলেছে।একের পর এক সফলতা রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে।সংস্কৃতির অঙ্গনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন সম্প্রতি জাতীয় ক্ষেত্রে ভারত মন্ডপমে অনুষ্ঠিত হওয়া যুব উৎসব এ রাজ্যের লোকনৃত্য দল অংশগ্রহণ করে তৃতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয় এবং সাইন্স ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় স্থান লাভ করে ত্রিপুরা।আজকের এই অনুষ্ঠানের অন্যতম সংযোজন চন্ডিপুর বিধানসভা এলাকার তপশিলি শ্রেণীর প্রবীণ সমাজপতিদের সম্মানিত করেন ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়।
56
previous post