ধর্মনগর প্রতিনিধি।*রবিবার অসম-ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তের উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধিন বিষ্ণুপুর জিপির দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক নাবালিকা নিখোজের ঘটনায় তদন্তে নামে স্থানীয় পুলিশ।এতে পুলিশি তদন্তে কেঁচু খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে।পুলিশ নাবালিকার পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারে যে রবিবার ভোর চারটায় নাবালিকা মেয়েটি ঘরের দরজা জানালা খুলা রেখে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছে।এতে পুলিশ ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়ে বিস্তর তদন্তে জানতে পারে যে নাবালিকা মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে পালিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয় এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল হাসিম নামের এক যুবক।এর আগেও সে এই নাবালিকাকে অপহরণ করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।এরপরই পুলিশ 366(A)ধারায় একটি অপহরণের মামলা রুজু করে ওসি জয়ন্ত দেবনাথের নেতৃত্বে থানার সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জীব সরকারকে নিয়ে একটি টিম গঠন করে তদন্তে নামে।উক্ত রাতেই আসামের করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি পুলিশের সহায়তায় ত্রিপুরা পুলিশ রাতাবাড়ির এক গ্রাম থেকে নাবালিকা সহ আব্দুল হাসিমকে আটক করে দমতলা থানায় নিয়ে যায়।সোমবার পুলিশের পক্ষে ধৃতকে ধর্মনগর সিজেএম আদালতে সোপর্দ করা হলে তার ঠাঁই হয় জেল হাজতে,পাশাপাশি নাবালিকার বয়ান রেকর্ড করে মা বাবার হাতে সমঝে দেওয়া হয়।পুলিশের এহেন সময়োচিত পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান এলাকার সচেতন মহল।
অপরাধ
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৩ জুন।। তিন গরু চোরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জনতা। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে বিশালগড় থানাধীন ধনছড়ি এলাকায়। জানা যায়, রবিবার রাতে ধনছড়ি এলাকার গৃহস্থ্য সত্য রঞ্জন দাসের গোয়াল ঘর থেকে একটি গবাদি পশু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল ।
গবাদিপশুর চুরির ঘটনার ছড়িয়ে পড়তে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান রবিবার গভীর রাতে বিশাল দেববর্মা, বিশ্বজিৎ দেববর্মা, আরিয়ান দেববর্মা নামে তিন কুখ্যাত চোর এলাকায় রাতের বেলায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। এমনকি এলাকার কোন এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে এই তিন কুখ্যাত চোর পালিয়ে যায়। তাই সন্দেহমূলক ভাবে সোমবার দুপুরে এলাকাবাসী এই তিন কুখ্যাত চোরকে আটক করে এবং উত্তম মাধ্যম দেয়। এলাকাবাসীর গণপ্রহারে তিন কুখ্যাত চোর চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। তারপর এলাকাবাসী খবর দেয় বিশালগড় থানায়। বিশালগড় থানার সেকেন্ড ওসি কপিল পাল সহ টি এস আর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আটককৃত তিন যুবককে থানায় নিয়ে যান।
জানা যায়, সংশ্লিষ্ট এলাকায় গরু চোরের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত গৃহস্থের গোয়ালে হানা দিচ্ছে চোরের দল। আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে পশু পালকরা। চোর চক্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক পুলিশ। চাইছে স্থানীয় জনতা।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া।৩রা জুন।সভ্য সমাজ ব্যবস্থার নগ্ন চিত্র আবারো প্রকাশ্যে এলো সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশু কন্যার সঙ্গে যৌন নিপীড়নের ঘটনায়! সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যা যৌন নিপীড়নের শিকার, অভিযুক্ত ধর্ষক নিজেও নাবালক বলে জানা গেছে। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তকে জালে তোলার প্রয়াস করেছে এমনটাই দাবি পুলিশ সূত্রে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া থানাধিন ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কোন একটা এলাকায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকন্যা তারই প্রতিবেশী ১৭ বছরের এক কিশোরের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। গোটা ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তেলিয়ামুড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে।
এই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া থানার ও.সি রাজিব দেবনাথ জানিয়েছেন,,,, ৩৭৬(৩) আই.পি.সি এবং POCSO-এর ৬ নম্বর ধারায় মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে জালে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। গোটা ঘটনা ঘিরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক চঞ্চল্যকর এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এলাকা সূত্রে আরো জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট নাবালিকা শিশু কন্যাটি’কে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির অন্যান্যদের অনুপস্থিতি’তে অভিযুক্ত ওই কিশোর এই নেক্কারজনক কাণ্ড ঘটিয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করছে এলাকার সমস্ত অংশের লোকজন।।
ত্রিশ লক্ষাধিক টাকার নেশাজাতিয় কফ সিরাফ বাজেয়াপ্ত বাজারিছড়ার চুরাইবাড়িতে।আটক এক
ধর্মনগর প্রতিনিধি।ফের নেশা বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল বাজারিছড়ার চুরাইবাড়ি পুলিশ।শনিবার সকালে একটি কন্টেনার থেকে ত্রিশ লক্ষাধিক টাকার নেশা জাতিয় কফ সিরাফ বাজেয়াপ্ত করে স্থানীয় পুলিশ।এতে আটক করা হয় গাড়ি চালককে।জানা গেছে এদিন সকালে গুয়াহাটি থেকে এইচআর(র্থী সেভেন)ই(সেভেন টু জিরো ফাইভ)নম্বরের ভিআরএল লজিস্টিক লিমিটেডের একটি কন্টেনার গাড়ি ওনলাইন সামগ্রী নিয়ে ত্রিপুরা আগরতলার খয়েরপুর যাবার পথে চুরাইবাড়িতে পৌছালে গাড়িটিতে যথারীতি দলবল নিয়ে তল্লাশি চালান গেট ইনচার্জ প্রণব মিলি।এতে বিভিন্ন সামগ্রীর আড়াল থেকে বাইশ কার্টুনে দেড়’শ বোতল করে তিন হাজার তিন’শ বোতল এসকাফ নামক অবৈধ নেশা জাতিয় কফ সিরাফ বাজেয়াপ্ত হয়।যার কালোবাজারি মুল্য ত্রিশ লক্ষাধিক টাকার মত হবে।এতে আটক করা হয়েছে লরি চালককে।তার নাম সনু কুমার।বাড়ি উত্তর প্রদেশে।বর্তমানে ধৃতের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।চুরাইবাড়ি পুলিশের ঘন ঘন নেশা বিরোধী অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
প্রতিনিধি,বিশালগড়,।। অবশেষে পুলিশের জালে উঠলো কুখ্যাত নেশা কারবারি মামন মিয়া। শুক্রবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। দীর্ঘ সাত মাস পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার রাত আড়াইটায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে তুলে আনে পুলিশ। জানা যায় ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিশালগড় থানাধীন জাঙ্গালিয়া এলাকার মামুন মিয়ার বাড়ি থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকার নেশা সামগ্রী উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। নেশা সামগ্রী উদ্ধার হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পরদিন থেকে পলাতক মামন মিয়া । দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পর শুক্রবার রাতে সিপাহীজলা জেলা গোয়েন্দা বিভাগের এমটিও অশোক দেববর্মা, এস আই অনিমেষ পাল বিএসএফ, টি এস আর জওয়ান এবং বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ হানা দেয় পুটিয়া এলাকার ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে। গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর ছিল মামুনের শ্বশুর ফিরোজের বাড়িতে অবস্থান করছেন সে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়ে মামন মিয়া। বিশালগড় থানায় তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা নথিভুক্ত ছিল । শনিবার দুপুরে ধৃত মামনকে বিশালগড় মহকুমা আদালতে সোপর্দ করে তদন্তকারী অফিসার । তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত । ওসি রানা চ্যাটার্জি জানান জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অবৈধভাবে নেশাসামগ্রী মজুত কান্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
উত্তরে বন বিভাগের অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠের টিম্বার সহ চেরাই কাঠ।খুশি এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা।বনদস্যুদের সক্রিয়তা আর বন বিভাগের মিত্রতায় একাকার,উজাড় হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের মূল্যবান বনজ সম্পদ।পরিবেশ হারাচ্ছে তার ভারসাম্য।
সমস্ত রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর এিপুরা জেলায় ও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে।মাঝেমধ্যে লোক দেখানো নাটক মঞ্চস্থ করেন বন বিভাগের কর্মীরা,তাও আবার গোপন খবরের ভিত্তিতে।এবার ধর্মনগর মহাকুমাধীন কলাছড়া ব্লকের অন্তর্গত উওর হুরুয়া চার নং ওয়ার্ডে এলাকাবাসীর খবরের উপর ভিত্তি করে বন বিভাগের হানা।স্থানীয় বন মাফিয়া তাসির আলী ও লাল মিয়া নামে দুই ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সেগুনের টিম্বার সহ চেরাই কাঠ।জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা দুই টা নাগাদ দলবল নিয়ে উক্ত অভিযানে নামেন ধর্মনগরের এসডিএফও অশোক কুমার, ও রেঞ্জ অফিসার হেমন্ত কুমার নাথ।তাদের কাছে গোপন খবর আসে যে প্রচুর পরিমাণ সেগুন কাঠের টিম্বার মজুদ রয়েছে উক্ত এলকায়। প্রথম অভিযানে তাসির আলীর বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় ৩৭টি সেগুনের টিম্বার। সাথে ঘরের ভেতর ও বাহির থেকে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ চেরাই সেগুন কাঠ।একইভাবে দ্বিতীয় অভিযানেও স্থানীয় লাল মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ।পরে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মালবাহী বোলোরো গাড়ি করে কাঠগুলো নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মনগর রেঞ্জ অফিসে।এদিকে এদিনকার উক্ত অভিযান সম্পর্কে এসডিএফও অশোক কুমার জানিয়েছেন উনার কাছে গোপন খবর ছিল, সেই খবরের উপর ভিত্তি করেই এই সাফল্য পেয়েছে বন বিভাগ।জব্দকৃত সেগুন কাঠগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার উপরে হবে বলে জানিয়েছেন এসডিএফও। যদিও উক্ত অভিযানে কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি অভিযানকারীরা।এ মর্মে অভিযুক্ত তাসির আলী ও লাল মিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলার রুজু করা হবে।পাশাপাশি এ ধরনের অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এসডিএফও অশোক কুমার।এতে মহকুমার পরিবেশ প্রেমী জনগণের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।উল্লেখ্য রাজ্যের সীমান্ত এলাকা চুরাইবাড়ি ফরেস্ট বিট অফিসের কর্মীদের বদান্যতায় প্রায় প্রতিদিনই বহি:রাজ্য পাচার হচ্ছে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ টাকার বনজ সম্পদ।সূত্রের খবর বন বিভাগের ঊর্ধ্বতম কর্মীদের ঘুমে রেখে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ একাংশ কর্মীরা।তাই পরিবেশপ্রেমীদের দাবি এদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক রাজ্য বনদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।অন্যথায় ধ্বংস হয়ে যাবে রাজ্যের বনজ সম্পদ,এতে পরিবেশ হারাবে তার ভারসাম্য,এমনটাই অভিমত পরিবেশপ্রেমীদের।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিলেতি মদের বোতল উদ্ধার সহ পুলিশ আটক করে এক ব্যাক্তিকে। পুলিশের হাতে আটক ব্যাক্তির নাম হানিফ মিয়া। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চলে বিলোনিয়া থানাধীন সারসীমা শিকারি পাড়া এলাকার হানিফ মিয়ার বাড়িতে । বিলোনিয়া থানার পুলিশ ও ৪৫ নং বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান চালিয়ে বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ও বিএসএফের জওয়ানরা । তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ হানিফ মিয়ার ঘর থেকে বিলেতি মদের কাটুন উদ্ধার করে। পাশাপাশি বাড়ির মালিক হানিফ মিয়াকে আটক করে পুলিশ। এরপর পুলিশ উদ্ধারকৃত বিলেতি মদ সহ হানিফ মিয়াকে নিয়ে আসে বিলোনিয়া থানাতে। মোট ৯৫ টি বিলেতি মদের বোতল উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে এই বিলেতি মদের বোতল অবৈধভাবে মজুদ করে রাখে হানিফ মিয়া। পুলিশ এনডিপিএস এক্টের মামলার ধারা নিয়ে হানিফ মিয়াকে গ্ৰেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে। কারা এই পাচার কাজে যুক্ত আছে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-রাতের আঁধারে লিচু বাগানের ঘোষপাড়া থেকে চুরি হওয়ার কেশব গোপের টমটম উদ্ধার হল গান্ধীগ্রামের রামঠাকুর সংঘের বিওসি সংলগ্ন এলাকা থেকে। শুক্রবার ভোর রাতে চুরি হয়েছিল টিআর ০১ইআর ১২৭৪ নাম্বারে এই টমটম। টমটম মালিক কেশব গোপ জানান রাতের আঁধারে বাড়ির সামনে থেকে টমটম চুরি করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল দুই চোর। এই বিষয়ে এনসিসি থানাতে অভিযোগ করা হয়। পরবর্তী সময়ে রামঠাকুর সংঘ এলাকার বিওসির সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছে এই টমটম। ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে এই চুরি কান্ডের সাথে জড়িত অভিযুক্তের ছবি।টম টম মালিকের দাবি এই ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক পুলিশ।
হেলাল উদ্দিন নামে এক কুখ্যাত নেশা কারবাড়ি সহ ২ কেইস ব্রাউন সুগার সহ বাইক আটক।
ধর্মনগর প্রতিনিধি ।। আবারো নেশা বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থানা পুলিশ। ঘটনা বিবরণে প্রকাশ উত্তর জেলার পুলিশ সুপারের সাদা পোশাকে স্পেশাল টিম এর কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে ধর্মনগর মহকুমার ভাগ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 5 নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবুল মিহার ছেলে হেলাল উদ্দিন টি আর০২ সি ৭৩ ৮৩ পালসার বাইকে করে হেলাল উদ্দিন ব্রাউন সুগার নিয়ে যাচ্ছে সেই খবরের ভিত্তিতে উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ্ চক্রবর্তী সাদা পোশাকের স্পেশাল দল সংশ্লিষ্ট এলাকায় উৎপেতে বসে থাকে ।সেই অভিযানে ধর্মনগর থানার পুলিশ ও সেই এলাকায় ওৎ পেতে বসে রয়েছিল জেলা পুলিশ সুপারের সাদা পোশাকের স্পেশাল দলের সাথে । বুধবার রাত আনুমানিক এগারোটা নাগাদ হেলাল উদ্দিন সহ বাইকটিকে আটক করে ধর্মনগর থানার পুলিশ এবং তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে বাইকের সিটের নিচ থেকে সাবানের কেইসে দুই কেইস ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে হেলাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে জানা যায় হেলাল উদ্দিন নাকি দীর্ঘদিন ধরে ভাগ্যপুর পাঁচ নং ওয়ার্ড সহ আশপাশ এলাকায় নেশার দ্রব্য ব্রাউন সুগারের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। কেউ বাধা দিলে তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছে বলে জানা গেছে। এক কথায় সে নেশার সম্রাজ্যের বাদশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সংশ্লিষ্ট এলাকায়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পর স্থানীয় এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন জানা গেছে। এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করে সে তার অট্টালিকা সম্পত্তি বানানো ছিল তার মূল লক্ষ্য । পাশাপাশি লোকমুখে জানাযায় যে সে নাকি সব সময় বলে বেড়াতো যে তাকে ধরার মতন এমন কোন এখনো পুলিশ জন্মায়নি। বিখ্যাত মরণবেদী যুবসমাজ ধ্বংসকারী নেশা দ্রব্য ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে। এবার হেলাল উদ্দিন কে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী নজির সৃষ্টি করেছেন ধর্মনগরের সহ ভাগ্যপুর গ্রামের মানুষ, জেলা পুলিশ সুপার সহ জেলা পুলিশ সুপারের সাদা পোশাকের স্পেশাল দল এবং ধর্মনগর থানা কে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ ধর্মনগরবাসিরা।
কুড়ি লক্ষাধিক টাকার নেশাজাতিয় কফ সিরাফ বাজেয়াপ্ত বাজারিছড়ার চুরাইবাড়িতে।ধৃত তিন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি ***** একদিনের মাথায় ফের নেশা বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল বাজারিছড়ার চুরাইবাড়ি পুলিশ।বুধবার দশ লক্ষাধিক টাকার বিদেশি সিগারেট সহ এক ব্যক্তিকে আটকের পর বৃহস্পতিবার সকালে অনুরুপ আরেক অভিযানে একটি কন্টেনার থেকে কুড়ি লক্ষাধিক টাকার নেশা জাতিয় কফ সিরাফ বাজেয়াপ্ত করল স্থানীয় পুলিশ।এতে আটক করা হয় তিনজনকে।জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটি থেকে এইচআর(র্থী সেভেন)ই(ফোর টু র্থী ফোর)নম্বরের ভিআরএল লজিস্টিক লিমিটেডের একটি কন্টেনার গাড়ি ওনলাইন সামগ্রী নিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় যাবার পথে চুরাইবাড়ি ওয়াচপোস্টে পৌছালে গাড়িটিতে যথারীতি দলবল নিয়ে তল্লাশি চালান গেট ইনচার্জ প্রণব মিলি।এতে বিভিন্ন সামগ্রীর আড়াল থেকে চৌদ্দ কার্টুনে দেড়`শ বোতল করে একুশ`শ বোতল নেশা জাতিয় এসকফ সিরাফ উদ্ধার হয়।যার কালোবাজারি মুল্য কুড়ি লক্ষাধিক টাকার মত হবে।এতে আটক করা হয় চালক সহ তিনজনকে।ধৃতদের মধ্যে রয়েছে গম্ভীর সিং কুলদীপ যাদব ও সন্তোষ যাদব।এদের উভয়ের বাড়ি উত্তর প্রদেশে।পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এসব গন্ধবিহিন নেশা সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে পড়শী দেশ বাংলাদেশে।সেখানে শিশি প্রতি নেশা জাতিয় কফ সিরাফ এক হাজার থেকে বারো`শ টাকা পর্যন্ত বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।স্থানীয় পুলিশের ঘন ঘন নেশা বিরোধী অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।