প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৫ জুন।। দুই কুখ্যাত ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। গত ২রা জুন গকুলনগর রাস্তারমাথা এলাকায় হাফেজ মিয়া ও তার ছেলে সাগর মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে তাদের কাছ থেকে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়েছে বলে বিশালগড় থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। বিশালগড় থানার পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভুঁইয়ামাথা এলাকা থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত গাড়ি স্কুটি সহ কুখ্যাত ছিনতাইবাজ ভিকি মজুমদার এবং সাগর দাসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড ভিকি মজুমদারের বাড়ি পান্ডবপুর এলাকায়। বেশ কয়েকদিন ধরে পলাতক ছিল সে। অবশেষ পুলিশের জালে ধরা পড়ে। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে সেদিন ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়নি। ছিনতাই হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। তা স্বীকার করেছেন অভিযোগকারীরা। রবিবার এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত এবং বিশালগড় থানার ওসি সঞ্জিত সেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর জানান অভিযোগটি ছিল প্রাণনাশের চেষ্টা এবং ছিনতাইয়ের। পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া গুটিয়ে এনেছে। এক্ষেত্রে টেকনোলজির ব্যবহার করেছে পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু তারা জায়গা বদল করে আত্মগোপন করেছিল। কিন্তু অবশেষে তারা ধরা পড়ে। অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে নগদ টাকা মোবাইল ফোন এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত স্কুটি এবং গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই অভিযুক্ত কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে যদি কেউ যুক্ত থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান। ওসি সনজিত সেন জানান ধৃত দুই অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত অভিযুক্তদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ রিমান্ডের আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৩ শে জুন।
অপরাধ
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, গতকাল রাত্রি আনুমানিক দশটার পিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে দাম ছাড়া থানা ওসি সঞ্জয় মজুমদার ও এডিশনাল এসপি জেরি মিয়া ডালং এর যৌথ নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য ও নগদঅর্থ সহ দুই নেশা কারবারিকে গ্রেফতার করে সাফল্য লাভ করল দামছড়া থানা । উত্তর ত্রিপুরার দামছড়া থানার অন্তর্গত কাসকাউ পাড়ায় পুলিশ এক মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের একজন সঞ্জীব দেববর্মা, বয়স ২৮, পিতা অজয় দেববর্মা, যার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৩ গ্রাম হেরোইন পাউডার ও ৮০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট। এসব মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। অভিযানের সময় অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা নগদ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত তার সহযোগী, কাসকাউ পাড়ার বাসিন্দা কৃষিরাম রিয়াং,বয়স ৪৬, কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দামছড়া থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে NDPS আইন অনুযায়ী একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ধৃত ব্যক্তিরা একটি বড় মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, নেশামুক্ত ত্রিপুরা এই স্লোগান কে কেন্দ্র করে পুলিশের মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জনগণের সহায়তা ও সচেতনতা এই ধরনের অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং স্থানীয়দের দাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাসকাউকা পাড়াসহ আশপাশের অঞ্চলে নজরদারি আরও বাড়ানো হোক।
- প্রতিনিধি ধর্মনগর : উত্তর জেলা ধর্মনগরে মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ কাঠ পাচারকারীদের রুখতে বনদপ্তর এর উদ্যোগে রাত্রিকালীন প্রহরা এতটাই প্রখর যে যে কোন এলাকা দিয়ে রাতের আঁধারে কাঠ প্রচার করতে গেলেই বন দপ্তরের পেট্রোলিং পার্টি র হাতে আটক হচ্ছে পাচারকারীর কাঠ সহ বহনকারী গাড়ি। গতকাল গভীর রাতে ধর্মনগর বনদপ্তরের সাঁড়াশি অভিযানে পানিসাগর মহাকুমার পালগাঁও এলাকা থেকে আটক করা হয় দুইটি গাড়ি। বন দপ্তরের নৈশকালীন পেট্রোলিন পার্টি ভোর রাতে দেখতে পায় তিনতই পালগাঁও দিয়ে দুটি গাড়ি কাঠ বুঝাই করে আসছে। সন্দেহ বসে গাড়ির গাড়িটিকে তারা থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয় অবস্থার ব্যাগতিক বুঝে গাড়ি চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। বনদপ্তর এর কর্মীরা গাড়িটি তল্লাশি করে দেখতে পায় প্রায় ২০০ ফুট অবৈধ সেগুন কাঠ গাড়িতে রয়েছে যার বাজার মূল্য আনুমানিক লক্ষাদিক টাকার উপরে।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহকুমা বন দপ্তর অধিক আধিকারিক জানান পানিসাগর পেট্রোলিন পার্টি টি আর 05 বি ১৫৯১ টি আর ০২ ৭৮৭৩ এই দুটি বলেরগাড়ি কে গভীর রাতে সন্দেহ বসত দাঁড়া করানোর জন্য তিল থই পালগাঁও এলাকাতে সিগনাল দিলে গাড়ির চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। বন দপ্তরের পেট্রোলিন পার্টি গাড়ি তল্লাশি করে দেখতে পায় গাড়িতে অবৈধ কাঠ রয়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় ধর্মনগর মহকুমা ফরেস্ট অফিসার অশোক কুমার। অবশেষে গাড়ি দুটিকে মালসহ জুরি রিজার্ভ ফরেস্ট অফিসে নিয়ে যায়। তিনি জানান কয়েক লক্ষ টাকার অবৈধ পাচার কালে চোরাই কাঠ এই দুটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে যার বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। তিনি জানান এই কার্ডগুলি রাতের আঁধারে বইয়ের রাজ্যে প্রচার করার জন্যই নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারীরা। এই অভিযানে সাব ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগর ফরেস্টার আব্দুল সাত্তার ধর্মনগর রেঞ্জার সুপ্রিয় দেবনাথ সহ বন দপ্তরের পেট্রোলিং পার্টির কর্মীরা।
প্রতিনিধি ধর্মনগর : পুনরায় চুড়াইবাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতি জনমনে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে । এবারের ডাকাতির ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে চুড়াইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ী খাদিমপাড়া দুই নং ওয়ার্ড এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা দেওসিং গৌড় (৫০) পিতা মৃত দুর্গাচরণ গৌড় এর বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। বন্দুক ছুরি নিয়ে মাঙ্কি টুপি পরে চার পাঁচ জনের এক ডাকাত দল এই দুঃসাহসিক ঘটনাটি সংঘটিত করেছে। এই ঘটনার বিষয়ে বাড়ির মালিক দেওসিং গৌড় জানান বুধবার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় খাওয়া-দাওয়া সেরে স্ত্রী সহ সন্তানদের নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। বাড়িতে তৈরি করা হচ্ছে নতুন ঘর সেই ঘরের এক অংশে বসবাসের জন্য আরেকটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া নতুন ঘরের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। গত ১৮ তারিখ ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ টাকা তুলে দোকানদার সহ মিস্ত্রিদের দেওয়ার জন্য টাকা গুলো ঘরে এনে রাখেন। ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে উনার হাত-পা বেঁধে ফেলে চিৎকার না করার জন্য বলে ডাকাতরা। এরপর ডাকাতরা উনাকে জিজ্ঞেস করে ঘরে কোথায় টাকা রাখা আছে যে টাকা উনি ব্যাংক থেকে ঘরে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি ঘরে টাকা নেই বললে ডাকাতরা বলে ঘরে টাকা রাখা আছে তারা জানে। দেওসিং গৌড় একজন দিনমজুর শ্রমিক দুই সন্তান রয়েছে উনার পাশাপাশি উনার স্ত্রী পাথর ভাঙ্গার কেসারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। উনার জায়গার উপর দিয়ে গ্যাসের পাইপলাইন সরবরাহ হওয়াতে তিন লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকা ছিল ব্যাংকে। তার মধ্য থেকে দুই লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে এসেছিলেন ঘরের কাজ করাবেন বলে। ঘরের ভিতরে থাকা একটি টাঙ্ক থেকে সেই টাকাসহ একটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। প্রায় কয়েক মিনিট তাণ্ডব লীলা চালায় ডাকাত দল। চুড়াইবাড়ি থানার অধীন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় থাকা হিন্দু বাড়ি গুলিতে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়াতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের ভূমিকা একরাশ ক্ষোভ রয়েছে জনমনে যার বহিঃপ্রকাশ যে কোন সময় হতে পারে। লাগা তোর চোরাইবাড়িতে চুরি ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে । কয়েকদিনের মধ্যে একের পর এক চুরি এবং ডাকাতির তথ্য আসাতে প্রশ্ন উঠছে থানার উপর,চুড়াই বাড়ি থানা কি তদন্ত করছে তা নিয়ে বিশাল বড় প্রশ্ন জনমনে ? জনতার মতামত যে চোরাই বাড়ির থানা তার বাড়তি উপার্জন নিয়ে ব্যস্ত বর্তমানে, তার জন্য প্রতিনিয়ত কোন না কোন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশি টহল থেকে চোর এবং ডাকাতের টহলএই এরিয়াতে বেশি চলছে। কারণ পুলিশ তাদের কর্তব্য থেকে বিরতি নিয়ে নিজেদের পকেট গরম করতে বেশি তৎপর। তাদের কাছে জনতার সুরক্ষা কোন মাইনে রাখছে না।শুধু তাই না ওসি সংবাদ মাধ্যমকে সঠিক তথ্য দিতে নারাজ। প্রায়ই কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করলে ওসি বিভিন্ন অজুহাতে সংবাদ মাধ্যমকে সংবাদ প্রেরণ করতে বিরক্তি প্রকাশ করছেন নয়তোবা সঠিক তথ্য প্রদান করছেন না। তার পরেও এখন দেখা যাক চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ থানা এলাকায় চুরি ও ডাকাতির ঘটনার লাগাম টানতে কতটুকু সক্ষম হয় পাশাপাশি ডাকাতদলকে জালে তুলতে পারে কিনা।প্রশ্ন তো উঠছে সত্যিই কি আমজনতা সুরক্ষিত ?
প্রতিনিধি ধর্মনগর : বহিঃ রাজ্যে পাচারকালে বিদ্যুৎ এর ট্রান্সফরমার বোঝাই মালবাহী গাড়ি থেকে গাঁজা সহ দুই ব্যক্তি গ্রেফতার। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে আজ বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ ধর্মনগর মহকুমার চুড়াইবাড়ি থানার নাকা পয়েন্টে। প্রতিদিনের মত আজও চুড়াইবাড়ি থানার সামনে থাকা, নাকা পয়েন্টে চলছিল যানবাহন চেকিং। আজ বেলা আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ একটি ছয় চাকা বিশিষ্ট UP58AT1128 নম্বরের একটি গাড়ি আগরতলা থেকে বহিঃ রাজ্য গৌহাটির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে যখন চুড়াইবাড়ি থানার সামনে আসে। চুড়াইবাড়ি থানার ওসি খোকন সাহা দলবল নিয়ে গাড়িটিকে আটক করেন। পরবর্তীতে খবর দেন ধর্মনগর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক বি জেরিনপুই ও জেলা পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই সহ অনান্য আধিকারিকদের। গাঁজা বোঝাই গাড়ি আটকের ঘটনার খবর পেয়ে চুড়াইবাড়ি থানাতে ছুটে আসেন সকলে। পরবর্তীতে সকলের উপস্থিতিতে গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। গাড়িতে মজুদ করে রাখা ১০টি বৈদ্যুতিক নষ্ট ট্রান্সফরমারের ভিতর থেকে ৯৬ পেকেটে মোট ৯৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। সাথে আটক করা গাড়ির চালক ও সহচালকদের। গাড়ির চালক হল অদ্রেস কুমার সাচ্চান (৪২) পিতা মৃত অশোক কুমার সাচ্চান এবং সহচালক প্রমব কুমার পিতা মৃত রামভরসা। তাদের দুজনের বাড়ি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর জেলার বিধু থানাধীন কানপুরনগর এলাকায়। চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তাদের গ্রেফতার করে। তারা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গাঁজা গুলি আগরতলার খয়েরপুর বাইপাস থেকে গৌহাটির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। আগামীকাল তাদের জেলা আদালতে প্রেরণ করবে চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- গোপন খবরের ভিত্তিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কফ সিরাপ উদ্ধার করল। এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত মহেশখলা এলাকা থেকে নেশা বিরোধী অভিযানে আসে এই সাফল্য। গ্রেফতার করা হয়েছে এক অভিযুক্তকে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার খবর ভিত্তিতে পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী যৌথ নেশা বিরোধী অভিযান চালায় মহেশখলা এলাকায়। বিধান দত্ত নামে নেশা কারবারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ইকো গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে 805 বোতল অবৈধ কফ সিরাপ। গ্রেফতার করা হয়েছে বিধান দত্তকে। গাড়িতে বিএসএনএলের স্টিকার লাগিয়ে নেশা বাণিজ্য নিয়মিত করে যাচ্ছে অভিযুক্তরা। এই ঘটনার সাথে জড়িত আরো এক অভিযুক্ত অপূর্ব দত্ত গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয়েছে। জানা গেছে অপূর্ব সরাসরি এলাকার নেশা বাণিজ্যের সাথে জড়িত। এয়ারপোর্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি আইপিএস প্রভেশনাল সুধীর কুমার বলেন এয়ারপোর্ট থানা এলাকাতে যদি এই ধরনের খবর কোন জনগণের কাছে থাকে তাহলে সেটি পুলিশকে দেওয়ার জন্য। সমস্ত নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে একটি বড় সাফল্যে আসাম রাইফেলসের।রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সাথে একটি যৌথ অভিযানে আজ ১২ই এপ্রিল তেলিয়ামুড়ায় একটি গাড়ি থেকে ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।আটককৃত মাদক দ্রব্যগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ৬ কোটি রুপি বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ওয়াগনার গাড়িতে পাচারের সময় অপারেশন চলাকালীন দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন আসামের হাইলাকান্দির বাসিন্দা দিলবার হুসেন এবং অপরজন অ্যান্ডমড জুবার আহমেদ করিমগঞ্জের বাসিন্দা।আসামের পুনরুদ্ধার করা মাদকদ্রব্য সহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা আরও তদন্ত এবং আইনী কার্যক্রমে ডিআরআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়।এই অপারেশনটি আসাম রাইফেলসকে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অব্যাহত প্রচেষ্টা অবলম্বন করে চলেছে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- গত বুধবার সন্ধ্যা রাতে দক্ষিণ মাতারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা কাজল পালের মোটর বাইক চুরি হয়ে যায় নিজ বাড়ির উঠোন থেকে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় , বুধবার দুপুরে নিজের কর্মস্থল থেকে কাজল পাল নিজ বাড়িতে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করার জন্য বাইক নিয়ে বাড়িতে আসে। পরবর্তী সময় নিজ অফিসের কর্মচারীদের সাথে অটো করে বাড়িতে বাইক রেখে পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দেয়। পরবর্তী সময় সন্ধ্যা ঘনিয়ে বাড়িতে আসার সাথে সাথেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ দেখতে পাই বাড়ির উঠোন থেকে টিআর ০৩ এল ৮৪৭৮ নাম্বারের মোটর বাইকটি চুরি হয়ে যায়। সাথে সাথে মোটরবাইকটিকে খুঁজে বের করার জন্য কাজল ও তার গোটা পরিবার বের হয় এলাকায়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে বাইকটি সম্পূর্ণভাবে উধাও করে নিয়ে যায় চোরের দল। কাজল সাংবাদিকদের জানান , রাত আটটা নাগাদ রাধাকিশোরপুর থানায় বাইকের নাম্বার এবং রেজিস্ট্রেশন দিয়ে একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়। গত তিনদিন পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বাইকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ । পুলিশ মামলা হাতে পেয়ে চুরির ঘটনা তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ মাতার বাড়ি জুড়ে।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ১৪ই মার্চ। রাজ্য সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো,রাজ্য কে নেশা মুক্ত করা। রাজ্য সরকারের এই উদ্দেশ্যকে বাস্তব রূপ দিতে রাজ্য পুলিশ প্রতিনিয়ত নেশার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সফল হচ্ছে রাজ্য পুলিশ। নেশার বিরুদ্ধে এই অভিযানে আজ আবারো বড় ধরনের সফলতা পেল পুলিশ।আজ তেলিয়ামুড়ায় বিপুল পরিমাণে অবৈধ ড্রাগস বা নেশা সামগ্রী সহ সুমন দেবনাথ নামে এক যুবককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ, সেই সাথে সাথে ধৃত সুমনের সাথে থাকা নম্বরবিহীন স্কুটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।
গোটা বিষয় নিয়ে তেলিয়ামুড়া থানার ওসি রাজিব দেবনাথ জানান বিশ্বস্ত সূত্র মারফত খবরের ভিত্তিতে তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত মহারানীপুর এলাকায় বিশেষ নজরদারি অভিযানের মধ্য দিয়ে এই সফলতা আসে। পুলিশ জানিয়েছে সুমন যখন তার নম্বর বিহীন স্কুটি নিয়ে আসছিল তখন তার স্কুটিকে আটক করে তল্লাশি চালালে স্কুটির ভেতরে রাখা দুই শতাধিক ভায়েলের মধ্যে অবৈধ নেশা সামগ্রী পাওয়া যায়। ওসি শ্রী দেবনাথ আরো জানান ধৃত সুমনকে খোয়াই আদালতে প্রেরণ করার পর পুলিশ রিমান্ডে এনে পরবর্তী তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে যেভাবে গোটা তেলিয়ামুড়া শহর সহ সন্নিহিত এলাকায় এই সময়ের মধ্যে অবৈধ নেশার রমরমা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই আটক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি,,আনুমানিক বিকেল তিনটা নাগাদ যুবরাজনগর বিধানসভার বিধায়ক শৈলেন চন্দ্রনাথের আগর বাগানে দুষ্কৃতিদের দ্বারা আগুন লাগানোর অভিযোগ তুলেন বিধায়ক শৈলেন্দ্রনাথ। তিনি জানান যুবরাজনগর বিধানসভার তিলথই নোয়াপাশা এলাকায় উনার আগর বাগানে পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় পাঁচশত আগর গাছ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যাতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উনার ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পানিসাগর পুলিশকে অবগত করলে পানিসাগর থেকে পুলিশ এসে এলাকা পরিদর্শন করে যায়। উনার অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির জন্য বারবার বাগান গুলিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
উনি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এধরনের ধিক্কারজনক ঘটনা থেকে উনাকে যাতে রক্ষা করা হয় এবং এই ধরনের দুষ্ট চক্রকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠুরতম শাস্তি প্রদান করে।তার জন্য আবেদন করলেন বিধায়ক।