প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।১৯জুন।তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এলামুনি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বুধবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বিদ্যালয় এর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর মেধা ও গরীব ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা চালানোর জন্য পাঠ্য বই বিতরণ করা হয় এবং শিক্ষা সচেতনতা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।তেলিয়ামূড়া দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ের বি আর সি হলে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রুপক সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মধুসূদন রায়, তেলিয়ামুড়া উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলামনি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শিক্ষাবিদ হরেন্দ্র দেব, অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্য গণ, বিদ্যালয় এর শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ ছাত্রছাত্রীরা প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের এলামনি এসোসিয়েশনের সদস্য তথা তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য অতিথি গন এলামনির এই ধরনের উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেন। উনারা বলেন আগামী দিনে আরও সমাজ সেবা মুলক কাজের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে এই এলামনি এসোসিয়েশন। এদিনের এই অনুষ্ঠানে ২০২৪ সনের মাধ্যমিকে এবং দ্বাদশ শ্রেনী পরিক্ষায় দরিদ্র মেধা সম্পন্ন মোট ১৭ জন ছাত্র ছত্রীদের পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়। এদিন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ছাড়াও উপস্থিত বক্তারা বর্তমান সময়ে বিদ্যা জ্যোতি বিদ্যালয় গুলিতে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা চালু হওয়ায়, একটা অংশ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যে ভয়-ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে বিষয়ে সচেতনতা মূলক আলোচনা করেন। এদিকে আজকের কর্মসূচিকে সফল করতে অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য সদস্যরা যেমন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তেমনি তেলিয়ামুড়া উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও সব রকমের সহযোগিতা করেন এবং আগামী দিনেও তেলিয়ামুড়া উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এলামুনি অ্যাসোসিয়েশনের যে কোন কর্মসূচি কে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
Uncategorized
ধর্মনগর প্রতিনিধি। কদমতলা পুলিশ স্টেশনের অধীন বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ক্ষিতীশ দাস একবার কদম তলা থানা, একবার জেলা পরিষদের সদস্য, একবার ধর্মনগরের সাংবাদিকদের দ্বারস্থ শুধুমাত্র সুষ্ঠু বিচারের জন্য। বিষ্ণুপুর গ্রামের ক্ষিতীশ বাবুর সাথে কয়েকজন এলাকাবাসীর জমি সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে গন্ডগোল চলছে। কয়েকবার থানা পুলিশের সান্নিধ্যে আসলেও এর কোন সূরা হয়নি। এখন ক্ষিতীশ বাবুকে শায়েস্তা করার জন্য নাকি এই কয়েকজন এলাকাবাসী ক্ষিতীশ বাবুর পুকুরে বিষ দিয়ে মাছের মৃত্যু এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উনাকে ঠান্ডা করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কয়েকজন এলাকাবাসী বলে অভিযোগ। যাদের বিরুদ্ধে ক্ষিতীশ বাবু পুকুরে বিষ দেওয়ার অভিযোগ আনলেন এতে রয়েছে উনার এলাকার মান্থু নাথ, মহিত নাথ, রিঙ্কু নাথ, টিংকু নাথ, ভুবন নাথ এবং চিনু নাথ। প্রায় ২৫ থেকে ত্রিশ হাজার টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে উনার পুকুরে। এই ঘটনা সকালে প্রত্যক্ষ করার পর ইনি বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত এর সদস্য, এলাকার বিশিষ্টজনেরা এমনকি জেলা পরিষদের সদস্য তথা উত্তর জেলা বিজেপি দলের সভাপতি কাজল দাস কেও এই মাছ মরে যাওয়ার কাহিনীটি জানিয়েছেন। ঘটনা নিয়ে কদমতলা পুলিশ স্টেশনে গিয়েছেন কিন্তু কোন সুষ্ঠু বিচার পাননি। অবশেষে তিনি সাংবাদিকদের জারস্থ হয়েছেন যদি কোন সুষ্ঠু বিচার পাওয়া যায়। ক্ষিতীশ বাবুর ধারণা হচ্ছে এই এলাকাবাসীরা এখন পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরেছে পরবর্তী সময় ক্ষিতীশ বাবুকে মেরে ফেলবেন। কারণ এলাকায় ওনার যেসব শত্রু রয়েছে তাদের কাছ থেকে বাঁচতে কদমতলা থানা পর্যন্ত সঠিক বিচার পাচ্ছেন না। কদমতলা থেকে উনাকে ধর্মনগরে বিচারের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তাই তিনি সাংবাদিকদের মুখাপেক্ষী সঠিক বিচারের আশায়। কতগুলি নাথের মধ্যবর্তী একটি দাস পরিবার একা সংগ্রাম করে উঠে উঠতে পারছে না। তাই নিরুপায় ক্ষিতীশ বাবু এর একটা সুরাহা চাইছেন যাতে উনার পক্ষে ওনাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কেউ ওনার সাথে থাকে। নিরুপায় িতিশ বাবু এখন শুধু তাই নয় পার্টি কি বলে অর্থাৎ রাজ্যে আসীন বিজেপি পার্টি কি বলে তার দিকে তাকিয়ে আছেন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। এক সপ্তাহ ব্যাপী আন্তর্জাতিক যোগ দিবস কে সামনে রেখে আজ অর্থাৎ রবিবার ধর্মনগরের কালিকাপুরের সাবজেল এবং রিসারেশন হোমে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হলো। যারা জেলের কয়েদী তাদের মধ্যে যে যোগের এবং প্রাণায়ামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তাদের জীবন সংস্কারের জন্য যোগ প্রাণায়ামের অত্যাধিক মাহাত্ম্য রয়েছে তা নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া জেলরোডের রিসারেশন হোমে যোগের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তার ওপর বিশেষ আলোচনা রাখেন প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মনগরের কর্ণধার বিএস মামনি। জেলের কয়েদিরা যেমন যোগ চর্চার মাধ্যমে নিজেদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসার প্রবণতা দেখাবে তেমনি হোমের মানুষরা তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জীবনকে সঠিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য যোগের অত্যন্ত ভালো হয়েছে বলে বলেন বিএস মামনি।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৪ জুন:- গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে সমতল রাজ্যের সর্বত্র শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যের শিক্ষক সমাজ। ভারত সরকারের “সবার জন্য শিক্ষা” – এই স্লোগানটিকে পাথেয় করে রাজ্যের প্রান্তিক শিশুটির কাছে পর্যন্ত গুনগত শিক্ষার পাশাপাশি Morning Nutrition, Mead Day Meal এর মত গুরুত্বপুর্ন পরিষেবাগুলি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর শিক্ষকরা। সম্প্রতি এমনই এক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে স্কুলে পৌঁছায় শিক্ষকরা। বৃষ্টি ভেজা কাদা যুক্ত মাটির রাস্তা প্রায় ১৫ কিমি পথ পায়ে হেঁটে শিক্ষকতার মতো পবিত্র পেশা বজায় রাখছে ধলাই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মালদা পাড়ার শিক্ষকরা। মিড ডে মিলের রান্নার সামগ্রীর ব্যাগ দুই শিক্ষক নিজের কাঁধে বহন করে খালি পায়ে হেঁটে স্কুলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। এমন এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই গোটা আমবাসায় শিক্ষকদের মধ্যে এর খুব চর্চা চলছে। রাজ্যের সর্বত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হলেও ধলাই জেলার মালদা পাড়া যাতায়াতের রাস্তা আজও উন্নয়নের তালিকায় অধরা। প্রতি বছরই বর্ষাকালে মালদা পাড়ার শিক্ষকদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মালদা পাড়া স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অঞ্চন রিয়াং এর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় প্রতি বছরই বর্ষাকালে স্কুল যাতায়াতে তাদের এইরকম পরিস্থিতির সন্মুখীন হতে হয় এবং এর জন্য শিক্ষকরা ওই স্কুলেই রাত্রিযাপন করেন। মালদা পাড়ার শিক্ষকদের এইরকম পরিস্থিতির সন্মুখীন হওয়ার বিষয় টা যদিও নতুন কিছু নয়। এর আগেও তাঁরা এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন। যা একাধিকবার এই রাজ্যে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। যদিও বর্তমানে এই রাস্তা মেরামতের জন্য বর্তমান সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা যায়।
খোয়াই , ১২ জুন।। আবারো ১০৮বি নির্মীয়মান জাতীয় সড়কে দ্রুতগামী মারুতি গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে গিয়ে পরল । ঘটনা গতকাল গভীর রাতে। রাত প্রায় একটা নাগাদ এলাকার মানুষ একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখে একটি মারুতি গাড়ি TR 06/0431 রাস্তার পাশে খাদে পড়ে আছে। তৎক্ষণাৎ খোয়াই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি চালককে উদ্ধার করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা প্রেরণ করেন। গাড়ি চালকের নাম অজিত দাশ, বাড়ি খোয়াই থানাধীন সিঙ্গিছড়া। এলাকায় যুগপৎ চাঞ্চল্য ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১২ জুন।। গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা গ্রামের অবুঝ শিশু রাজদীপের পাশে দাঁড়ান বিধান শিশু উদ্যান মেধা অন্বেষা। শিশুটি মাতৃহারা। মায়ের অকাল মৃত্যুর পরে শিশুটির মামার বাড়িতে ঠাঁই হয়েছে। বাবা খোঁজ রাখেননা। দাদু দিদা শিশুর লালন পালন করছে। শিশুটি বর্তমানে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রে পড়াশোনা করে। সেই অভাগা শিশুর পাশে দাঁড়ান বিধান শিশু উদ্যান মেধা অন্বেষা ত্রিপুরা শাখা। বুধবার মেধা অন্বেষার ত্রিপুরা শাখার কনভেনার শিক্ষাবিদ মনোজ রায় শিশুটির বাড়িতে যান। বই খাতা কলম ইত্যাদি শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন শিশু রাজদীপের দাদু হরিপদ গোস্বামীর হাতে। শিশুর দাদুর খাতায় মোবাইল নম্বর লিখে দিয়ে মনোজ বাবু বলেন যে কোন সময় ফোন করবেন। আগামীদিনে শিশুটির শিক্ষা ক্ষেত্রে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমা অন্তর্গত নোয়াগাঙ বাজারে পাহাড়ি জনজাতিদের উৎপাদিত রকমারি জুমের ফসল বিক্রির হিড়িক পড়েছে।বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি বাজারজাত হচ্ছে লেবু কাঁঠাল আনারস সহ রকমারি শাক সবজি ও কলা।বৃহস্পতিবার সপ্তাহিক হাট বার উপলক্ষে সকাল থেকেই ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয় স্থানীয় বাজারে।পাহাড়ি জনজাতিদের উৎপাদিত সামগ্রীগুলে স্থানীয় বিভিন্ন বাজার সহ অসম মেঘালয় ও ভিন রাজ্যেও রপ্তানি করা হয়।এর থেকে আয়ের অংশ দিয়ে চলে পাহাড়ি জনজাতিদের পরিবার।এ মর্মে এক ব্যবসায়ী রুবেল রাঙলং জানান এখানকার ফলমুল শাকসবজি ও কলা বহিরাজ্য ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশেও রপ্তানি করা হয়।আগামি কিছুদিনের মধ্যে বাজারে আসবে জুমের চিনার।যার খুব চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন এলাকার খাদ্য রসিক জনগনের মধ্যে।এছাড়া প্রতিটি সিজনে ভিন্ন স্বাদের জুমের ফলন এই বাজারে পাওয়া যায়।দামও তুলনামুলক ভাবে অনেক কম।ফলে পাহাড়ি জনজাতি অধ্যুষিত এই বাজারের একটা বাড়তি সুনামও রয়েছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় ,।। মেধাবী ছাত্র রামজয় সাহা এবং সৌম্যদীপ ভৌমিক বিশালগড়ের মুখউজ্জ্বল করেছে । টিবিএসই পরিচালিত মাধ্যমিক পরিক্ষায় সেরা দশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বিশালগড় বিবেকানন্দ শিশু নিকেতনের দুই ছাত্র রামজয় সাহা এবং সৌম্যদীপ ভৌমিক। রামজয় সাহা চতুর্থ এবং সৌম্যদীপ ভৌমিক নবম স্থান দখল করেছে। পরিক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকে সংবর্ধনার জোয়ারে ভাসছে এই দুই কৃতী ছাত্র। শনিবার তাদের সংবর্ধিত করে মহিলা মোর্চার বিশালগড় মন্ডল কমিটি। বিজেপির মন্ডল কার্যালয়ে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ মহিলা মোর্চার নেত্রী সম্পা সরকার, সপ্না দেবনাথ, অতসী দাস প্রমূখ। কৃতীদের কপালে চন্দন পরিয়ে উত্তরীয় এবং ফুলের তোরায় বরন করা হয়। দুই কৃতী ছাত্রের হাতে তুলে দেয়া হয় স্মার্ট ওয়াচ। দুই মেধাবী ছাত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ মহিলা মোর্চার নেতৃবৃন্দ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ফলাফল ঘোষিত হয় গত কিছুদিন আগে। আর তাতে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৭৭ নাম্বার অর্থাৎ ৯৪ দশমিক দুই শতাংশ নাম্বার পেয়ে দশম স্থান অধিকার করে তৃষা রুদ্র পাল নামে এক ছাত্রী । বৃহস্পতিবার সকালে উদয়পুর পৌর পরিষদের ১৯ নং ওয়ার্ডে তথা চিড়ারমিল নিজ এলাকায় গিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন এই ছাত্রটিকে পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার। ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের ছবি ও মিষ্টিমুখ করিয়ে উপহার দেওয়া হয় । সেইসাথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পৌর চেয়ারম্যান শীতল বাবু বলেন , তৃষা রুদ্র পালের বাড়িতে পৌঁছাতে গেলে অনেকটাই সমস্যা হয় তার কারণ রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু এবার তৃষা রুদ্র পাল তার পড়াশুনা এবং নিজের অর্জনে দশম স্থান অধিকার করার ফলে পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে তার বাড়িতে যাওয়ার এলাকার রাস্তাটিকে পাকা সড়কে তৈরি করা হবে বলে তিনি এলাকা বাসীদের সামনে বার্তা দেন । পৌর চেয়ারম্যান এই ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে খুশির আবহ তৈরী হয় এলাকাবাসীদের মধ্যে। এই রাস্তা তৈরি হওয়ার পেছনে তৃষা রুদ্র পালের সব থেকে অগ্রণী ভূমিকা থাকবে বলে আসা ব্যক্ত করেন এলাকাবাসীরা।
বীরচন্দ্র নগর এলাকায় জাতীয়সড়কে একটি মাল বোঝাই ট্রাক ও বাইকের সংঘর্ষে আহত তিন।
- প্রতিনিধি শান্তির বাজার: ঘটনার বিবরনে জানাযায় বুধবার সকাল আনুমানিক ৯ টা ৪০ মিনিট নাগাদ শান্তির বাজার মহকুমার বীরচন্দ্র নগর এলাকায় জাতীয় সড়কে টি আর ০৮ ১৮৯০ নাম্বারের রাবার বোঝাই ট্রাক ও টি আর ০১ আর ৮০২৪ নাম্বারের বাইকের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুততার সহিত ঘটনাস্থলে ছুটেযায় মনপাথর ফাঁড়ী থানার পুলিশ ও শান্তির বাজার দমকল বাহিনীর কর্মীরা। মনপাথর ফাঁড়ী থানার ওসি জয়ন্ত দাস ও শান্তির বাজার দমকল বাহিনীর কর্মীদের তৎপরতায় দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে দ্রুততার সহিত ঘটনাস্থলথেকে উদ্ধারকরে চিকিৎসার জন্য শান্তির বাজার জেলাহাসপাতালে নিয়ে আসাহয়। জানাযায় দুর্ঘটনায় আহতরা হলো ট্রাক চালক বাবুল মগ,হেল্পার প্রকাশ চৌঁধুরী ও প্রশান্ত সেন। ট্রাক চালক পশ্চিম চরকবাই ও বাকি দুইজন বাইখোড়ার বাসিন্দা বলে জানাযায়। এই দুর্ঘটনায় বাইক চালকের কোনোপ্রকার খোঁজ পাওয়াযায়নি বলে জানাযায়। অনেকের অভিমত বাইকটি দারানো অবস্থায় ছিলো। তাই বাইক চালকের কিছু হয়নি। ট্রাকটি দ্রুতগতিতে থাকার ফলে নিয়ন্ত্রয় হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করাহচ্ছে। দুর্ঘটনার সঠিককারন জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।