প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যের বিজেপি সরকারের ক্রমোন্নয়নের ধারা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিদিন বিরোধী শিবির থেকে বিজেপিতে যোগদান অব্যাহত রয়েছে।৫৩ কৈলাসহর মন্ডলের অন্তর্গত ৫৭ নং বুথে ১২ পরিবারের ৫৭ জন ভোটার সিপিএম দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক মবস্বর আলী।
রাজনীতি
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যের বিজেপি সরকারের ক্রমোন্নয়নের ধারা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিদিন বিরোধী শিবির থেকে বিজেপিতে যোগদান অব্যাহত রয়েছে।ইদানিং কালের সর্ববৃহৎ যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বিধায়ক ভগবান দাসের হাত ধরে।৫০ পাবিয়াছড়া মন্ডলের অন্তর্গত পূর্ব বেতছড়া এন আর পাড়া এলাকায় ৩৪০ জন ভোটার সিপিএম কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৩ ফেব্রুয়ারি।। রাজ্যের দু’টি আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। এবার ভোটের ব্যবধান বাড়ানোই লক্ষ্য। ৩৩৪৯ টি বুথে বিরোধীদের জামানত জব্দ করতে হবে। শুক্রবার বিশালগড় মন্ডল আয়োজিত কার্যকর্তা সম্মেলনে কথাগুলি বলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। শুক্রবার বিজেপির বিশালগড় মন্ডল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। বিশালগড় টাউন বালিকা বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কনভেনশনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, প্রবীণ নেতা শ্রীবাস ঘোষ, বরুণ কর্মকার প্রমুখ। মন্ডল সাধারণ সম্পাদক তপন দাস স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পৃষ্ঠা প্রমুখ, বুথ কমিটি, মন্ডল কমিটি, মোর্চা কমিটি সহ প্রায় ২ হাজার দুই শত কার্যকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন আপনাদের নিরলস পরিশ্রমে বিশালগড় বাম মুক্ত হয়েছে। গত নির্বাচনে এই মন্ডলের ষাটটি বুথের মধ্যে ৩৬ টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এবার লোকসভা নির্বাচনে সবগুলো বুথে জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে নিয়ে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে পৃষ্ঠা প্রমুখদের নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের ৪২ হাজার পৃষ্ঠা প্রমুখ, ৩৪ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ, ৩৩৪৯ টি বুথ কমিটি কোন দলের নেই। তাই দু’টি লোকসভা আসন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেয়া প্রায় নিশ্চিত। এবার আমাদের লক্ষ্য ভোটের ব্যবধান বাড়ানো। তিনি বলেন সকল সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। দলবাজি দুর্নীতি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। সিপিএম গরিব মানুষের উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করেছে। আর এখন সকলের ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। প্রায় চার লাখ পরিবার পাকা ঘর পেয়েছে। মায়েদের জন্য উজ্জ্বলা যোজনা, শৌচালয়, মাতৃত্বকালীন পুষ্টি যোজনা বাস্তবায়ন হয়েছে। কৃষকরা পেয়েছে কৃষাণ সম্মান নিধি, ফসল বীমা যোজনার সুফল। সরকার সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে। একটি জাতীয় সড়ক ছিল। আজ নয়টি জাতীয় সড়ক দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সড়ক, রেল, বিমান সকল যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে পাঁচ বছরে। বিজেপি পাঁচ বছরে যা করেছে তা পঁচিশ বছরে করতে পারেনি সিপিএম। সামাজিক ভাতা ৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। সকল রাজ্যবাসীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী জনআরোগ্য প্রকল্প চালু হয়েছে। পঁচিশ বছরে বঞ্চনার পাহাড় জমিয়েছে সিপিএম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিকাশের মূল স্রোতে ফিরে এসেছে রাজ্য৷ ভারতবর্ষ দুর্নীতি মুক্ত হয়েছে। জঙ্গি মুক্ত হয়েছে মোদিজীর নেতৃত্বে। শান্তি উন্নতি সহ উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের জন্য আবার মোদিজীকে ভোট দেবে দেশের মানুষ। বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা লড়াই করবো। কিন্তু বিরোধী দলের মুখ কে তা কেউ জানেনা। তৃতীয় মোদি সরকার প্রতিষ্ঠা শুধু সময়ের অপেক্ষা। গত দশ বছরে রাষ্ট্রহীতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিল থেকে শুরু করে রাম মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা, তিন তালাক বাতিল ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শক্তিশালী বিকশিত ভারত নির্মাণের কর্মধারা জারি রাখতে শুধু জয় সুনিশ্চিত করলে হবে না। ভোটের শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন গত নির্বাচনে সিপিএম কংগ্রেস মিলেমিশে একাকার হয়েছিল। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বিশালগড়ে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করেছে কার্যকর্তারা। বিশালগড়ের সকল মানুষের জন্য চব্বিশ ঘণ্টা আমার দরজা খোলা রয়েছে। যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে সারা রাজ্যে কাজ করলেও বিশালগড়ের মানুষের কোন অসুবিধা হবে না। আপনাদের আশীর্বাদে আমি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। বিশালগড়ের ৫০ হাজার ভোটার সহ সকল নাগরিকের সুখে দুঃখে আমি আছি এবং থাকবো। শেষে পুষ্প ছিটিয়ে কার্যকর্তাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন বিজেপির নেতৃবৃন্দ। শুরুতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব । ভারতমাতা, পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়, ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। সমবেত রাষ্ট্রগীত গেয়েছেন সবাই।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- এক নং সিমনা বিধানসভা এলাকায় তিপ্রা মথা এবং সিপিআই(এম) এর ভোট ব্যাংকে হাত দিল আইপিএফটি। বৃহস্পতিবার হেজামারা কমিউনিটি হলে এক যোগদান সভাতে ৪২০ জন ভোটার যোগদান করলেন আইপিএফটি দলে। দলের পতাকা নবাগতদের হাতে তুলে দিয়ে বরণ করে নিলেন নেতৃত্বরা।
গত এডিসি নির্বাচনের আগে আইপিএফটি দল ছেড়ে তিপ্রামথা দলে যোগ দিয়েছিল বেশিরভাগ ভোটার। যার ফলস্বরূপ এই এলাকা থেকে এমডিসি এবং বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিপ্রা মথা দলের। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। বৃহস্পতিবার হেজামারা কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে যোগদান সভা। এই যোগদান সভাতে সিপিআই(এম) এবং তিপ্রা মথা দল ছেড়ে ১১০ পরিবারের ৪২০ জন ভোটার আইপিএফটি দলে যোগদান করেছেন। এদিন নবাগতরা যোগদান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তিপ্রা মথা এবং সিপিআই(এম) দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোব ব্যক্ত করলেন। অভিযোগ করলেন ভুল বুঝিয়ে, মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে ভোটারদের ধরে রাখার কৌশল নিয়েছিল এই দুই রাজনৈতিক দল। কিন্তু বর্তমানে উন্নয়নের ধারাতে সামিল হতে উনারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। এই দিন নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন আইপিএফটি দলের সহ-সভাপতি ধীরেন্দ্র দেববর্মা, সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেববর্মা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুনীল দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।
প্রায় প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সিপিআইএম , মথা সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে বিজেপি শিবিরে যোগদান অব্যাহত। এরকমই এক সাড়া জাগানো যোগদান সভা আজ অনুষ্ঠিত হয় বিজেপি ২৭ কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নকশিরাই এলাকাতে।
সংশ্লিষ্ট যোগদান সভার মধ্য দিয়ে নকশিরাই এবং সন্নিহিত এলাকার ২৩ পরিবারের ৬৭৫ জন ভোটার সিপিআইএম, মথা সহ কংগ্রেস দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরে যোগদান করেন। নবাগতদের ভারতীয় জনতা পার্টির পরিবারে বরণ করে নেন পূর্ব ত্রিপুরা থেকে নির্বাচিত সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা, রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, কল্যাণপুর প্রমোদনগর কেন্দ্রের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী , জনজাতি নেতৃত্ব বিপিন দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি জীবন দেবনাথ প্রমুখ। এই বিপুলসংখ্যক ভোটারদের ভারতীয় জনতা পার্টিতে বরণ করে নিয়ে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা দাবি করেন এই সময়ের মধ্যে গোটা একটাই ব্র্যান্ড, মোদি। তিনি দাবি করেন গোটা দেশের মধ্যে বর্তমান সময়ে সকল স্তরের সাধারণ মানুষই নিজেদের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার বিকাশের জন্য মোদি গ্যারান্টিতেই বিশ্বাস রাখতে পছন্দ করছেন। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে আর্থ সামাজিক ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব বিকাশের দিকে এগিয়ে চলছে বলে কল্যাণপুরে দাঁড়িয়ে সাংসদের বলিষ্ঠ দাবি। পাশাপাশি আজকের এই যোগদান সভার মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন দলের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক এর পাশাপাশি আগামী দিনে সকলকে সাথে নিয়েই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করলেন স্থানীয় বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী।
এই যোগদান সভা ঘিরে এবং বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। চড়িলামে নিরুদ্দেশ তিপরা মথার বিধায়ক। ক্ষুব্ধ জনজাতিরা ভিড়ছে বিজেপিতে। বিভ্রান্তির রাজনীতি থেকে মুক্তি চাইছে জনজাতিরা। তাই নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপির গেরুয়া ঝান্ডা হাতে তুলে নিচ্ছে জনজাতিরা। মঙ্গলবার চড়িলাম বিধানসভার পদ্মনগর এডিসি ভিলেজে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১৩৬ জন জনজাতি ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। নবাগতদের বরণ করেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ, বিজেপির প্রদেশ সম্পাদক ডেভিড দেববর্মা প্রমুখ । প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন দল বদল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন এখানকার সাধারণ মানুষ বিধায়ককে খুঁজে পাচ্ছে না। একথা এলাকার মানুষ বলছে। তিনি প্রায় নিরুদ্দেশ বলা চলে। যার কারণে মানুষের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। একমাত্র বিজেপি দল মানুষের সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী। আর বাকিরা সমস্যা তৈরি করে রাজনীতি করে। গত পাঁচ বছরে যে কাজ হয়েছে চড়িলামে তা অতীতে কখনো হয়নি। গত নির্বাচনে চড়িলামের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষকে বেশিদিন বোকা বানানো যায় না। মানুষ এখন বুঝতে পারছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জাতি জনজাতি সবাই বিজেপিকে ভোট দেবে। কারণ দশ বছরে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সরকার গরীব কৃষাণ যুবক মহিলা শ্রমিক সকলের কল্যাণে কাজ করেছে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি, ১৯ ফেব্রুয়ারি : ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে লাল দূর্গে ধ্বস নেমেছে । ১১৬ জন ভোটার লাল পতাকা ছেড়ে পদ্ম পতাকাকে বুকে টেনে নিয়েছেন । এই ঘটনায় কাঞ্চনপুর সিপিআইএম নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে । ঘটনা রবিবার বিকেলে কাঞ্চনপুর বাজারে । এদিন ছিল কাঞ্চনপুর হাঁটবার । সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের পদ্ম শিবিরে যোগদান কে কেন্দ্র করে কাঞ্চনপুর বাজারে বিজেপি দলের যোগদান সভা । নবাগতদের নিয়ে এদিন কাঞ্চনপুর বাজারে বিজেপির মিছিল ও পথসভা । কাঞ্চনপুর বিজেপি মন্ডল সভাপতি গৌতম রায় বিজেপি নেতা অরুন নাথ , তাপসেন্দু নাথ সহ একাধিক নেতা নবাগতদের স্বাগত জানান । সিপিআইএম এর একাধিক ব্রাঞ্চ সদস্য সহ এক ঝাঁক কর্মী বিজেপি দলে যোগ দেওয়ায় এদিন কাঞ্চনপুর বাজারে মানুষের মুখে মুখে আলোচনার ঝড় বইছে । বিজেপি দলে নবাগত সদস্যরা কাঞ্চনপুর সিপিআইএম এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন । বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর নবাগতদের অভিযোগ দুর্নীতি বাজে , লুটেরা , সমাজ দ্রোহী কতিপয় ব্যক্তি সিপিআইএম পার্টি অফিসে চেয়ার দখল করে বসে আছেন । ওই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারণ কর্মীদের অভিযোগ নেতৃত্বরা গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে তার বিজেপি দলে যোগ দিয়েছে । সিপিআইএম এর দলীয় সূত্রে খবর গরীব মানুষ যেদিকে সুবিধা পাবে সেদিকে যাবে । অতীতে ছিল, বর্তমানে চলছে ভবিষ্যতে থাকবে , এটা স্বাভাবিক ।
৫৪ কদমতলা কুর্তি বিধানসভার অন্তর্গত রানীবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন হরিনাছড়া ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় বিজেপি দলের এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৫৪ কদমতলা কুর্তি বিধানসভার অন্তর্গত রানীবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন হরিনাছড়া ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় বিজেপি দলের এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যোগদান সভায় ১৪ পরিবারের ৩০ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। উপস্থিত কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব, ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যা ভূষণ দাস, কদমতলা করতে মন্ডল সাধারণ সম্পাদক মান্না গোস্বামী, সহ-সভাপতি নিতিশ চক্রবর্তী, মহিলা মোর্চা মন্ডল সভানেত্রী অঞ্জনা চক্রবর্তী, মন্ডল প্রভারী জহর চক্রবর্তী, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রমিলা ত্রিপুরা সহ অনান্য নেতৃত্বরা।এদিন সিপিএম দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন ১৪ পরিবারের ৩০ জন ভোটার।
ভারতীয় জনতা পার্টি কিষান মোর্চার একমাস ব্যাপী গ্রাম পরিক্রমা যাত্রা সর্বভারতীয় কার্যক্রমের ত্রিপুরা প্রদেশের শুভ উদ্বোধন করে বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশের সম্মানিত সভাপতি শ্রীযুক্ত রাজিব ভট্টাচার্য মহাশয়। ত্রিপুরা রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানটি হয় বিশালগড় টাউন হলে। মাননীয় সভাপতি ওনার ভাষনে এই কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন এবং উনি বলেন সংগঠনিক কাজের অনেকগুলো দিকে ত্রিপুরা ভারতের প্রথম স্থানে রয়েছে এই কার্যক্রমে ও ত্রিপুরা প্রথম স্থান পাবে বলে উনি দাবী করেন এবং এই দায়িত্ব বিজেপি কিষান মোর্চার উপর রয়েছে রাজ্য কিষাণ মোর্চা এক মাস ব্যাপী প্রতি গ্রামের ঘরে ঘরে মোদিজীর নয় দফা কৃষক ও গরিব কল্যাণে যে কার্যসূচী সম্পন্ন হয়েছে তার বিবরণ পৌঁছে দেবেন। তিনি কিষান মোর্চা এই কার্যক্রমের বিস্তৃত আলোচনা করেন ও সফলতা কামনা করেন। স্বাগত ভাষণ রাখেন কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায়। তিনি বলেন ভারতবর্ষের সবকটি জেলার সাথে রাজ্যের দশটি জেলাতে আজ এই কার্যক্রম পালিত হচ্ছে। এবং আগামী এক মাস ব্যাপী গ্রাম পরিক্রমা যাত্রা চলবে। এই কার্যক্রমের অঙ্গ অনুযায়ী চৌপল সভা ঘর ঘর অভিযান গোমাতা পূজা সমস্ত দেব-দেবীর মন্দিরে স্বচ্ছ ভারত অভিযান ট্রাক্টর ও কৃষি যন্ত্রপাতির পূজা হবে এবং গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদিজীর শাসনকালে ভারতের অগ্রগতি এবং বিভিন্ন স্তরের সাফলতার কথা গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অন্যান্যদের মধ্যে সভায় ভাষণ রাখেন ভাষণ রাখেন এই গ্রাম পরিক্রমা যাত্রা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক আদরনীয় অশোক সিং মহাশয় উনার বক্তব্যে মোদিজীর শাসনকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের যে অগ্রগতি হয়েছে তার বিস্তৃত আলোচনা করেন। মূল অনুষ্ঠানটি হয় উত্তরপ্রদেশের মজ্জফরপুরে সেই অনুষ্ঠান সরাসরি এলইডি স্কিনের মাধ্যমে ত্রিপুরার প্রতিটি জেলায় কৃষককে দেখানো হয় সেখানে বিশিষ্ট জনের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তরপ্রদেশের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও কিষান মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি রাজকুমার চাহারজি এমপি মহাশয়।
গ্রামে চলো অভিযানে তুলামুড়ায় সাফাই অভিযান করলেন গোমতি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
গ্রামে চলো অভিযানের কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ৩৩ কাকা বল বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তুলামুড়া পালপাড়া ৫৪ নং বুথে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে সাফাই অভিযান করলেন গোমতী জেলা বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা । এছাড়া সোমবার দুপুরে ৫৪ নং বুথে সমস্ত যুব মোর্চা কর্মী থেকে শুরু করে মহিলা মোর্চার কর্মী এবং অন্যান্য শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্মীদেরকে নিয়ে এক দলীয় বৈঠক করেন জেলা যুব মোর্চার সভাপতি। দলের বর্তমান সংগঠনিক অবস্থা থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি । আলোচনা শেষে এই ৫৪ নং বুথে থাকা সমস্ত গ্রামীণ ভোটারদের বাড়িতে জনসম্পর্ক অভিযান করেন । ভোটারদের কাছ থেকে জানতে চান কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের যে সকল প্রকল্পগুলি চালু রয়েছে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সে সকল প্রকল্পগুলির সুবিধা গ্রামবাসীরা পেয়েছে কিনা। পঞ্চায়েত থেকে সঠিকভাবে এই সকল প্রকল্পগুলির বিষয় নিয়ে আলোচনা সর্বত্র হয়েছে কিনা সেইসব বিষয়ও কথা বলেন তিনি । পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর যে সকল প্রকল্প গুলি চালু রয়েছে সে সকল প্রকল্প গুলি যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার জন্য এদিন বুথের বুথ সভাপতিদের নির্দেশ দেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি সুকান্ত সাহা । একই সাথে এদিন ছোট আকারে এলাকায় দলীয় প্রচারে অংশ নেন যুব মোর্চার সভাপতি । দিনভর দলীয় প্রচারে অংশ নেওয়ার ফলে তুলামুড়ার সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা মনে করছে ২০২৪ সালের লোকসভার নির্বাচনী একদিকে যখন গ্রামে চলা অভিযান অন্যদিকে প্রচার সেরে ফেলছে শাসক দল। তাতে করে বিরোধীরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এর ফলে শাসকের রাজনৈতিক লাভের অংক অনেকটাই তার ভোটের বাক্সে নিজে আয়ত্তে নিয়ে যেতে পারবে বলে, মনে করছে তুলামুড়া রাজনৈতিক সচেতন মহল ।