প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। দুর্নীতির ভগ্নোৎসবে মেতেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। ইট বালি পাথর কয়লা চাল কম্বল ত্রিপল গরু সবই হজম করছে তৃণমূলের নেতারা। চাকরি দুর্নীতির কথা বলে লাভ নেই। জেল খাটছে শিক্ষা মন্ত্রী প্রার্থ, খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। গরু পাচার কান্ডে জেলে বীরভূমের নেতা অনুব্রত । চিটফান্ড, রোজভ্যালি, সারদা নারদা কলঙ্কিত করেছে পশ্চিম বঙ্গকে। সন্দেশখালির লজ্জা জনক কান্ডে মুখ পুড়েছে বঙ্গের। রীতিমতো হরিরলোট চলছে। সাধারণ মানুষ বঞ্চনার জাতাঁকলে পিষ্ট। অত্যাচারিত বঙ্গের নারী জাতি। এসবের প্রতিকার চায় বঙ্গবাসী। তাই চব্বিশের মহারণে দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলকে উৎখাতের সংকল্প নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। চলছে প্রচার। এতে অংশ নিয়েছে ত্রিপুরার বহু নেতা মন্ত্রী বিধায়ক।
বাংলায় ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির পর্দাফাঁস করলেন যুবমোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি তথা বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব। পশ্চিম বাংলার ঝাড়গ্রামে বিজেপির হয়ে প্রচার এবং সাংগঠনিক কাজ করছে বিধায়ক সুশান্ত দেব। চষে বেড়াচ্ছেন ঝাড়গ্রামের অলিগলি মেঠোপথ। ঝাড়গ্রাম মূলত কৃষিজীবী শ্রমজীবীর বসবাস। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে চলছে সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি। সেখানে প্রচারে গিয়ে তৃণমূল সরকারের গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের ব্যপক দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর বিধানসভার সর্ডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শ্যামকিশোরপুর থেকে ইন্দ্রডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ৬৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৪৯ টাকা। কাগজেপত্রে রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন করেছে তৃণমূলের লোটেরা বাহিনী। রাস্তায় সাইনবোর্ডও লাগানো হয়। কিন্তু সেই রাস্তায় একটি ইট কিংবা কংক্রিটের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। ভিডিও প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ করলেন ত্রিপুরার বিধায়ক সুশান্ত দেব। পশ্চিমবঙ্গ সকারের পথশ্রী প্রকল্পের অন্তর্গত এই রাস্তাটির তত্বাবধানে ছিল ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি। কিন্তু ৬৪ লক্ষের এই রাস্তাটিতে একটি ইটও খুঁজে পাওয়া যায়নি । বরাদ্দকৃত অর্থ গিলে খেয়েছে তৃণমূলের নেতারা। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান সারা বাংলায় এ অবস্থা চলছে। চরম দুর্নীতি চলছে। মানুষের ওপর অত্যাচার চলছে। বাংলার মানুষকে অধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে বিজেপি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর আস্থা রাখতে চলেছে বঙ্গের জনতা। এমনই দাবি করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
দেশ
আটচল্লিশ ঘন্টা হয়ে গেল ৭২ ঘণ্টার পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। ৭২ ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেছে অর্থাৎ রবিবারে ঝটকা হওয়ার পর যে বিদ্যুৎ গোলযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তার তিনদিন হয়ে গেল। ৭২ ঘন্টা বা 96 ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ গোলযোগ সারাই করার সম্ভাবনা বলেছে কর্মকর্তারা। জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নাথ ত্রিপুরা জানান বিদ্যুৎ দপ্তরের হাফলং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বীরেশচন্দ্র পাড়াতে যে বিদ্যুৎ গোলযোগের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে অর্থাৎ প্রায় ১০টি পিলার ভেঙে গেছে এই পিলার গুলি সাড়াই করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ গোলযোগ সাড়াই করা যাবে না। এখন বিদ্যুৎ দপ্তর খবর পেয়েছে আম বাসায় আট দশটি অতিরিক্ত খুঁটি রয়েছে। এই খুঁটি এসে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। রবিবার দুপুরে ঝটকা হাওয়ায় বৈদ্যুতিক মনযোগ ছিন্ন হয়ে গেলেও আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ আরো ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা লেগে যেতে পারে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে। অথচ মিশ্র জনজাতির বসবাস প্রায় ১০০ টি পরিবার রয়েছে এই এলাকায় এবং তাদের মূল ভরসা বিদ্যুৎ সংযোগ। একদিকে যেমন রাতের অন্ধকারে প্রচন্ড গরম সহ্য করে বিদ্যুৎ নেই বলে চালিয়ে যেতে হচ্ছে তেমনি পানীয় জলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা হচ্ছে না, তাই লোকেরা নদী নালা ডোবার জল দিয়ে কোন মত তাদের আহারনিদ্রা ভয় পরিচালিত করছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের অবহেলার চিত্র ফুটে উঠল তাদের বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে। প্রায় ৭২ ঘন্টা অতিক্রম হওয়ার পরে বিদ্যুৎ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নাথ ত্রিপুরা জানালেন এখানকার কয়েকটি খুঁটিয়ে ভেঙে গেছে এই খুঁটিগুলি মেরামত না করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। এখন আমবাসা খবর জেনে পাঠিয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসতে পারে নতুবা ৯৬ ঘন্টা লাগবে বিদ্যুৎ আসতে। এরা কি স্বাধীন ভারতের নাগরিক নাকি পরাধীন ভারতের ব্রিটিশ শাসিত বোঝা দুষ্কর ব্যাপার। তার চেয়ে বিদ্যুৎ নিগম সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছুটা হলেও ভালো ছিল এখন সম্পূর্ণ প্রাইভেট হওয়ায় মানুষের দুর্গতির এক শেষ হিসাবে পর্যবেষিত হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। হায়রে বিদ্যুৎ সংযোগ ,হায়রে ভারতবাসি।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-পানীয় জলের সমস্যা যেন একটি নিত্যদিনের সমস্যা ছিল বিগত বাম সরকারের আমলে। বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যে পানীয় জলের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বর্তমান সরকার গ্রামীন এলাকায় ৩,৫৯,১৫৮ এবং শহর এলাকায় ১০,৪৭৪ টি টেপ এর মাধ্যমে জল সংযোগ দিয়েছে । ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি বিগত চার বছরে (২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ ) ১,৩২৩ টি গভীর নলকূপ বসিয়েছে । এর মধ্যে ৪৯৭ টি গভীর নলকূপ চালু করা হয়েছে । তাছাড়া ২,০৮৩ টি স্মল বোর ডিপ টিউবওয়েল চালু করা হয়েছে । পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে জল সংকট ছিল। কিছুদিন আগেই পানীয় জলের জন্য মহিলারা রাস্তা অবরোধ করে। এবার সে জলের সমস্যা দূরীকরণের জন্য। বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া নতুন করে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পানীয় জলের মেশিন বসানোর কাজ পরিদর্শন করেন। রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যাতে করে পানীয় জলের সমস্যা সমাধান হয় এই এলাকা জুড়ে। মঙ্গলবার দুপুরে বিধায়ক নিজে পরিদর্শন করেন পানীয় জল বসানো সেই মেশিনের জায়গাটি। তাতে করে খুবই খুশি গ্রামবাসীরা ।
মন্টু বোরা, বাচ্চা শিশুদের নিয়ে ভাইরাল হলেন সিআরপিএফ ১২৪ নং ব্যাটালিয়নের জোয়ান।
ধর্মনগর প্রতিনিধি :- যারা চুল বাঁধেন তারা রান্নাও করতে পারেন ভালো ,তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল মন্টু বোরা নামে সিআরপিএফের 124 নং ব্যাটেলিয়ানের হেড কনস্টেবল। তার বাড়ি জানা গেছে বরপেটা আসাম।। তার ডিউটি হয়েছিল ৩৩/৫৭ বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তা খালি পঞ্চায়েত অফিসে। উনার ডিউটিতে ছিল মহিলাদের বেশ বড় লাইন। তারমধ্যে এক মহিলা ছিল একটি বাচ্চা নিয়ে যা কোলের বাচ্চা হিসেবে বিবেচিত। মহিলা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোট দিতে কিন্তু বেশ কষ্ট হচ্ছিল এমন অবস্থায় ভোট গ্রহণ পড়বে ভোট দেবে আশায়। তখন মন্টু বাবু হঠাৎ করে এত কষ্ট জর্জরিত অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পেয়ে বলেন বাচ্চাটা তার হাতে দিয়ে দিতে। একদিকে বন্ধুক অন্যদিকে বাচ্চা নিয়ে সাড়ে পাঁচ মিনিটের মত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর মহিলা ভোট দিয়ে এসে বাচ্চাটিকে পুনরায় নিজের কোলে নেন। এই যে বাচ্চাটি মন্টু বাবুর কোলে ছিল তা ভাইরাল হয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ফ্রন্ট পেজে ছবি প্রদর্শিত হয়।। এতে তার ডিপার্টমেন্ট খুশি হয়ে আড়াই হাজার টাকা পুরস্কারে ঘোষিত করেন এবং ধর্মনগরের উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানু পদ চক্রবর্তী বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেন। এতে আবার ও প্রমাণিত হয় যে যিনি রাধতে পারেন তিনি চুল বাঁধতেও পারেন।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক ১ নং সিমনা বিধানসভা, ২ নং মোহনপুর বিধানসভা এবং ৩ নং বামুটিয়া বিধানসভাতে হোম ভোটিং হয়েছে বুধবার। বৃদ্ধি, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুবিধা ভোগীরা।
মোহনপুরে মহকুমাশাসক তথা এআরও সুভাষ দত্ত জানান সকাল ৯ টা থেকেই ভোট গ্রহণের জন্য বেরিয়ে গেছেন ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিন বিভিন্ন সেক্টরের বিভক্ত এলাকাতে কর্মীরা মানুষের বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণ কম্পার্টমেন্ট তৈরি করে ভোট গ্রহণ করেছেন। এদিন এলাকার বৃদ্ধ ভোটাররা এই নতুন প্রক্রিয়ায় বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগের কারণে অসুস্থ এবং বৃদ্ধ ভোটারদের অত্যন্ত সুবিধা হয়েছে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন যদি কিছু সংখ্যক ভোট গ্রহণের সময়সল্পতার কারণে বাকি থাকে সেগুলো আগামী ১২ তারিখ গ্রহণ করা হবে।
সংসদের রংবোমা হানার জের! বৃদ্ধি নিরাপত্তায়, মোতায়েন অতিরিক্ত সিআইএসএফ কর্মী

সংসদের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করতে চলেছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ)। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উন্নত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আরও ২৫০ জন সিআইএসএফ কর্মী সংসদের নিরাপত্তায় দায়িত্বে আনা হচ্ছে।
গত বছর ডিসেম্বরে রংবোমা হামলার ঘটনার পর থেকেই সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে দিল্লি পুলিশকে সরিয়ে সিআইএসএফ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অতীতে সংসদ ভবন চত্বরের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকত দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। আর এক কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের একটি দল সংসদ চত্বর লাগোয়া বাইরের অঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য দমকল আর সিআইএসএফের ইউনিট থাকত সংসদ ভবন চত্বরে। সংসদের সুরক্ষা সংক্রান্ত নজরদারির দায়িত্বে ছিল দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ইন্টেলিজেন্স উইং)।

স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকায় আইন পড়তে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের পাচকের মেয়ে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে সংবর্ধনা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং সুপ্রিম কোর্টের অন্য বিচারপতিরা। সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
সুপ্রিম কোর্টের পাচক অজয় কুমার সামলের মেয়ে প্রজ্ঞা। আইনে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য আমেরিকার দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়েছেন তিনি। প্রজ্ঞার এই কৃত্বিত্বে খুশি প্রধান বিচারপতি মেয়েটির জন্য আজ এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতির সই করা একটি বই প্রজ্ঞাকে উপহার দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এটা আমাদের সকলের কাছে গর্বের বিষয়।’’ অজয় কুমার ও তাঁর স্ত্রীকেও অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
বুধবার উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দ্বার উদঘাটন সম্পন্ন হল সখি ওয়ান স্টপ সেন্টারের। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত প্রয়াসে ভারতের প্রতিটি জেলাতে এমন একটি করে সখি ওয়ান স্টপ সেন্টারের উদ্বোধন হচ্ছে। এই সেন্টারের মুখ্য কাজ হচ্ছে যেসব মহিলারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতিত তারা পাঁচ দিন এই সেন্টারের ছাদের নিচে থাকতে পারবে এবং এই পাঁচ দিন তাদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যের দিক দেখবে স্বাস্থ্য দপ্তর, আইনগত দিক দেখবে পুলিশ প্রশাসন এবং কাউন্সিলিংয়ের ব্যাপারটা দেখবে মহিলার কমিশন। অর্থাৎ একজন মহিলা একই ছাদের নিচে সব ধরনের সুবিধা পাবে সরকারি পক্ষ থেকে। তারপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয় স্থায়ীভাবে কোন মহিলা থেকে যেতে চায় তাহলে সে আগরতলার সখী ওয়ান স্টপ সেন্টারে ভাই ভাবে থেকে যেতে পারবেন। এই দ্বার উদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, ধর্মনগর পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার, উত্তর জেলা শাসক এবং সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন সহ অন্যান্যরা। উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন দেশের তথা রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকার একের পর এক কাজ করে চলেছে। রাজ্যে ১৮ বছরের নিচে যাদের বাবা নেই বা বাবা চলে গেছে কিন্তু ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে আগ্রহী এমন ৪০০ ছাত্রছাত্রীকে 4000 টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা তাদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে কোন ধরনের অসুবিধা না হয়। ৬৪ জন ১৮ বছরের নিচে ছেলেমেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী 3 লক্ষ টাকা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য। তাছাড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে মায়েরা বোনেরা স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের এবং রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে তার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা হচ্ছে। ত্রিপুরা একমাত্র রাজ্য যেখানে সরকারি দল বন্টন এর ক্ষেত্রে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রাধান্য সহকারে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগের ব্যাপার যে নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া কোনমতেই আটকানো যাচ্ছে না। এগুলো আটকাতে শুধুমাত্র সরকারি সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানই যথেষ্ট নয়। রাজ্যের মানুষ যখন প্রকৃত সচেতন হবে তখনই এইসব প্রতিহত করা সম্ভব হবে। শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করে নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া আটকানো সম্ভব নয়। এই নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তেমনি সমাজের পক্ষেও একটা বিশেষ ক্ষতিকারক দিক বলে উল্লেখ করেন। তার জন্য সবাইকে সচেতন হয়ে সমাজকে বাঁচানোর অঙ্গীকার গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।
দিব্যেদয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে সংস্থার কনফারেন্স হলে মঙ্গলবার লুকাউক্ত বিষয়ক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়।

দিব্যেদয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে সংস্থার কনফারেন্স হলে মঙ্গলবার লুকাউক্ত বিষয়ক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে শিবিরের সূচনা করেন লুকাউক্ত কল্যাণ নারায়ণ ভট্টাচার্য, অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন তাপস কান্তি দাস, লোকাউক্ত রেজিস্টার বি কে রায়, পঞ্চায়েত দপ্তরের জয়েন ডিরেক্টর অসিত কুমার দাস, খোয়াই মহকুমা প্রশাসনের ডিসি জুসেফ দেববর্মা প্রমূখ। শিবিরের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লোকাউক্ত কল্যাণ নারায়ণ ভট্টাচার্য লুকাউক্ত কি ও কিভাবে কাজ করে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। তিনি বলেন আইন উপকারের জিনিস, আইনকে ব্যবহার করে জনগণের স্বার্থে এক দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। লোকাউক্ত রেজিস্টার বি কে রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন লুকাউক্ত কি এবং তার অভিযোগ কিভাবে দাখিল করা যায় এই বিষয়ে সবিস্তারে শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের সম্যক ধারণা দেন। শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা বলেন লুকাউক্ত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিজেদের সচেতন করার সাথে সাথে দুর্নীতিমুক্ত ভারত গঠনে সকলের প্রতি আহ্বান যানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন দিব্যদয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ডক্টর মনোজ সিং সোচান। শিবির শুরুর পূর্বে লোকাউক্ত কল্যাণ নারায়ন ভট্টাচার্য কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে একটি নারিকেল চারা রোপন করেন। এই দিন শিবিরে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকগণ ও এস এইস এস গ্রুপের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
গলায় উত্তরীয় পড়ে বিয়ে বাড়িতে চুরি করতে এসে মহিলাদের হাতে আটক চোর, উত্তর মাধ্যম দিয়ে তুলে দেয় পুলিশের হাতে

বিশালগড় প্রতিনিধি:-
গলায় উত্তরীয় পড়ে বিশালগড় আমবাগান এলাকায় বিয়ে বাড়িতে চুরি করতে এসে আটক চোর, বাড়ির মহিলারা চোরকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে তুলে দিলো বিশালগড় থানা পুলিশের হাতে। জানাযায় শনিবার বিশালগড় আমবাগান এলাকার মৃত রায় মোহন সাহার বাড়িতে চলছে বিয়ের পানখিলী অনুষ্ঠান। ঠিক তখন যখন বাড়ির মহিলারা বিয়ে বাড়ির পানখীলি অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন তখনই গলায় উত্তরীয় পড়ে বাবুয়ানা সেজে বিয়ে বাড়িতে ঘরে যখন চুরি করতেছিল ঠিক তখনই মহিলারা তাকে ধরে তাকে জিজ্ঞেস করার সঙ্গে সে প্রথমে পরিচয় দেয় বিয়ে বাড়িতে ব্যান্ড পার্টির সাথে এসেছেন। মহিলারা যখন ব্যান্ড পার্টির লোকেদের জিজ্ঞেস করে তখন ওনারা জানান তাকে আমরা চিনি না। কথা বলার সাথে সাথেই চোর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মহিলারা তাকে WWW চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার মত চোরকে ধরে এবং গণধোলাই দেয়। খবর দেয়া হয় বিশালগড় থানায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে গলায় উত্তরীয় পড়ে বিয়ে বাড়িতে চুরি করতে এসে মহিলাদের হাতে গণ ধোলাই খাওয়া চোরকে উদ্ধার করে বিশালগড় থানায় নিয়ে আসেন। জানাযায় অভিযুক্ত চোরের বাড়ি মেলাঘর নলছড় এলাকায়।