- প্রতিনিধি মোহনপুর:-মোহনপুর মহকুমার অন্তর্গত লেফুঙ্গা থেকে সর্বজয় পাড়া যাওয়ার পথে লোহার সেতু ভেঙ্গে আহত হয়েছেন একজন। দীর্ঘদিন যাবত বেহাল সেতুর উপর দিয়ে বালি বুঝাই লরি যাওয়ার সময় ঘটে এই দুর্ঘটনা। বর্তমানে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের সামনে।
মোহনপুর বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত লেফুঙ্গা থেকে সর্বজয় পাড়া যাওয়ার রাস্তার মাঝে একটি লোহার সেতু রয়েছে। দীর্ঘদিন আগে এই লোহার সেতুটি বিকল হয়ে পড়ে। ইতিপূর্বে বহুবার স্থানীয়রা দাবি করেছে এই সেতুটিকে মেরামত করা অথবা নতুন ভাবে নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু কোন দিকেই পা বাড়ায়নি দপ্তর। ফলে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হতো এলাকার সাধারণ মানুষকে। মঙ্গলবার দুপুরে বালি বুঝাই একটি লড়ি এই সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভেঙে পড়ে সেতুটি। এতে আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, লেফুঙ্গা স্হিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে বর্তমানে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর। স্থানীয়দের দাবি এই সেতুটি নতুন ভাবে নির্মাণ করার ক্ষেত্রে অতিসত্বর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক দপ্তর।
ত্রিপুরা
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :-গ্রীষ্মের এই প্রচন্ড দাবদাহে উদয়পুর মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে বহুদূরান্ত থেকে পুজো দেওয়ার জন্য পুণ্যার্থীরা আসেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে । কিন্তু বর্তমানে এতটাই তাপ প্রবাহ চলছে , এর ফলে পুণ্যার্থীরা মাতাবাড়ি উপরে থাকা সিঁড়ি এবং মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। এর ফলে ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে পায়ে । অপরদিকে এই গরমে ছোট থেকে বড় সফল অংশের পূর্ণাথীদের মধ্যে ব্যাপক হারে তেষ্টা পাওয়ার কারণে সমস্যায় পরতে হচ্ছে। এই বিষয়ে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় সমস্যার কথা জানতে পেরে নিজ উদ্যোগে এবার মাতার বাড়িতে ঠান্ডা পানীয় বিতরণ করছেন দলীয় কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে বহুদূরান্ত থেকে আসা পূন্যার্থীদের মধ্যে । বিধায়কের এই উদ্যোগে খুশি ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে আসা পূন্যার্থীরা। পরে বিধায়ক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান , সাধারণ মানুষ সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পুজো দিতে গিয়ে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই গরমের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে এবার মাতাবাড়িতে অস্থায়ী টেন্ট ও প্রতিনিয়ত সিঁড়ি গুলিতে জল দিয়ে ঠান্ডা রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে । এই বিষয়ে গোমতী জেলা শাসক কে জানানো হয়েছে বলে জানান বিধায়ক। তার কারণ বেশিরভাগ সময় ছুটির দিনে মাতা বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে ভিড় জমে যায় । ভীড়ের কথা মাথায় রেখেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-২৪ ঘন্টার মধ্যে আবারো উদয়পুরে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা । এবারের গাড়ি দুর্ঘটনা রবিবার দুপুরে উদয়পুর বনদোয়ার এলাকায় । কলেজ পড়ুয়া দুই ছাত্র গাড়ি নিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে বনদোয়ার যাওয়ার পথে হঠাৎ রাস্তার পাশে থাকা সরকারি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সজোরে গাড়ির সামনের দিক থেকে আঘাত করে । মুহূর্তের মধ্যে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি । রক্তাক্ত হয় দুইজন ছাত্র । দুর্ঘটনাগ্ৰস্থ গাড়িটির নাম্বার টিআর ০৮- ডি ০৩৭৯ । দুর্ঘটনার সাথে সাথে এলাকাবাসী থেকে শুরু করে বাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা এই ঘটনা দেখতে পেয়ে উদয়পুর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের খবর দেয় । দমকলের কর্মীরা গাড়ি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহত কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদেরকে উদ্ধার করে টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসা করানোর জন্য । দুই ছাত্রের কপাল দিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয় । যেভাবে উদয়পুরে প্রতিদিন গাড়ি দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে তাতে করে পথ চলতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে উদয়পুরের সচেতন মহল ।
ধর্মনগরের মিশন টিলায় বৃহৎস আগুন অল্পের জন্য রক্ষা পেল, স্বামী-স্ত্রী উত্তর জেলা হাসপাতালে ভর্তি ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
ধর্মনগর বিদ্যুৎ ঘনিত আগুন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। রবিবার রাত অর্থাৎ সোমবার ভোররাতে দুইটা আড়াইটায় মিশন টিলার দিলীপ নাথ এবং অপর্ণা প্রচন্ড আগুন দেখতে পায়। চারজন ছিল ভেতরে। দুইজন স্বামী-স্ত্রী জানালা দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে বের হওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু বের হতে পারেনি। অবশেষে আগুন কিছুটা কমলে দিলিপ নাথ (পঞ্চাশ বছর) এবং উনার স্ত্রী অপর্ণা নাথ কোনক্রমে ঘর থেকে বের হয়। সাথে সাথে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা এদেরকে তুলে নিয়ে ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুজনেই আপাতত চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাদেরকে বেগতিক অবস্থায় ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ হিসেবে জানা গেছে শর্ট-সারকিট এর জন্য দায়ী। বাগবাসা থানা ওসি ঘটনার তদন্তে রয়েছেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-উদয়পুর পৌর পরিষদ এলাকায় পানীয় জলের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছে নাগরিকরা । পানীয় জলের জন্য তীব্র সংকটের কথা জানতে পেরে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় রাজ্যের পানীয় জল দপ্তরের ইসিকে নির্দেশ দেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য । রবিবার সরকারি ছুটির দিনে ইসি থেকে শুরু করে পানীয় জল দপ্তরের এসডিও থেকে শুরু করে জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার সকলে রবিবার উদয়পুর শহরের বিভিন্ন পৌর এলাকায় গিয়ে পানীয় জলের সমস্যানিয়ে নাগরিকদের সাথে কথা বলেন এবং জানার চেষ্টা করেন। এরমধ্যে অমর সাগর পশ্চিম পাড় , জগন্নাথ দিঘী পশ্চিম পাড় , ছনবন , মধ্যপাড়া ও উদয়পুর শহরের আরো বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের সমস্যা ফুটে ওঠে তাদের সামনে । পরবর্তী সময় পৌর চেয়ারম্যানের সাথে জরুরী বৈঠকে বসে পানীয় জল দপ্তরের উদয়পুরের আধিকারিকরা । পরে দপ্তরের আধিকারিকরা সংবাদ মাধ্যমকে জানান , আগামী কিছুদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য তারা সচেষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করবে এবং আগামী ডিসেম্বর মাসে গোটা উদয়পুর শহরে পৌর এলাকায় সমস্ত নাগরিকের বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন পানীয় জল দপ্তরের উদয়পুরের এসডিও । এখন দেখার কতটুকু পানীয় জল দিতে পারে উদয়পুরের পানীয় জল দপ্তর সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা শহরবাসী ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-বিধ্বংসী আগুনের হাত থেকে অল্পতে রক্ষা পেল উদয়পুর ত্রিপুরা সুন্দরী মহকুমা হাসপাতাল । রবিবার দুপুরে গাছের পাতায় আগুন ধরিয়ে দেয় কে বা কাহারা । এই ঘটনা দেখতে পেয়ে হাসপাতালে আশপাশে থাকা সাধারণ জনগণ তড়িঘড়ি ফোন করে উদয়পুর দমকল দপ্তরে । অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের একটি বড় ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য । আগুনের অগ্নিশিখা এতটাই বেশি ছিল যে পরবর্তী সময় দমকলের আরো একটি বড় ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । দীর্ঘ আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ত্রিপুরা সুন্দরী মহকুমা হাসপাতালে সরকারি কোর্য়াটার সংলগ্ন গাছের পাতার আগুন । কিন্তু কিভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা বোঝতে পারছে না দমকল বাহিনী । মুহূর্তের মধ্যে দুইটি দমকলের ইঞ্জিনের সাইরেনের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে উদয়পুর মহকুমা হাসপাতাল চৌহমুনী বাজারে ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-প্রতিবছর ভারী বর্ষায় উদয়পুর পৌর পরিষদ এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলমগ্ন হয়ে পড়ে পুরবাসী। এর ফলে চলাচলের সমস্যায় পড়তে হয় নাগরিকদের । এবার পৌর বাসীদের কথা মাথায় রেখে বৈশাখের কাঠফাটা রৌদ্রে জল নিষ্কাশনের জন্য এখন থেকেই ড্রেন সাফাই করে নিচ্ছে উদয়পুর পৌর পরিষদ । রবিবার ছুটির দিনে তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে উদয়পুর পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার নিজে উপস্থিত থেকে ড্রজার লাগিয়ে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ড্রেনে সমস্ত ময়লা আবর্জনা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বর্ষাকালে জল জমার কোন ধরনের আশঙ্কা নেই বলে জানান পৌরও চেয়ারম্যান। তিনি আরো জানান , শহরবাসীকে বৃষ্টির বর্ষার জলে যেন কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সেইজন্য গোটা এলাকায় ড্রেনের সিস্টেমকে বর্তমান সময়ে সাফাই অভিযানের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। উদয়পুর পৌর পরিষদের এই ধরনের উদ্যোগকে এইদিন সাধুবাদ জানান শহরবাসী । যা বিগত দিনে কখনো এই উদ্যোগ দেখতে পায়নি নাগরিকরা । বর্তমানে রাজ্য সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সুষ্ঠ প্রশাসন এবং উন্নত পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে যে কাজ করে চলেছে তাতে করে রাজ্যের উন্নতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে বলে মনে করছে উদয়পুরের শিক্ষিত মহল ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-উদয়পুর মাতাবাড়ি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বাইক ও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত একজন।
সংবাদে জানা যায়, চন্দ্রপুর থেকে উদয়পুর গামী একটি বাইক সজোরে একটি সেলেরিও গাড়িকে ধাক্কা দেয় মাতাবাড়ি ফিলিং স্টেশনের সামনে। দুর্ঘটনায় বাইক চালক গুরুতর ভাবে জখম প্রাপ্ত হয়। দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীরা অগ্নিনির্বাপক দপ্তরকে খবর দেয়। তৎক্ষণাৎ অগ্নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহত বাইক চালককে উদ্ধার করে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে দুর্ঘটনার ফলে বাইক ও গাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাতীয় সড়কের উপর । ঘটনার তদন্তে ছুটে আসে রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ কর্মীরা। এদিকে স্থানীয় লোকজনরা জানিয়েছেন , প্রতিনিয়ত এই জাতীয় সড়কে একই জায়গায় দুর্ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে । এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখেন পেট্রোল পাম্পের সামনে জাতীয় সড়কের উপরে যেন ট্রাফিক ব্যবস্থা করা হয়। তাহলে রোধ করা যাবে দুর্ঘটনা। রবিবার বিকেলে বাইক ও গাড়ি দুর্ঘটনায় একটা সময় জাতীয় সড়কের উপর ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মুক্ত হয় যানজট ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-দমদমিয়া ডাম্পিং স্টেশনে বিশাল আকার আবর্জনার তুপে অগ্নিসংযোগ ঘটে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাল ঘাম ছুটে দমকল বিভাগের কর্মীদের। রবিবার দিন ভোর চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। যদিও আগুনের কারণে তৈরি হওয়া ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ আনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে দমকল বিভাগের কর্মীদের কাছে।
আগরতলা শহরের সমস্ত আবর্জনা বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য দমদমিয়ায় ডাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় আবর্জনা গুলো প্রক্রিয়াকরণ করা হয়নি। বহিঃ রাজ্যের দু একটি কোম্পানিকে ডেকে এনে শুরুতে জৈব সার তৈরি করার প্রক্রিয়ার শুরু হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ বছর যাবত তাও বন্ধ হয়ে রয়েছে। শুধুমাত্র শহরের আবর্জনাগুলো এনে স্তুপাকৃত করা হচ্ছে দমদমিয়াতে। এই অবস্থায় শনিবার ভোর রাত থেকে আবর্জনায় অগ্নিসংযোগ ঘটে। দমকল বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার বিকেলে দমকল বিভাগের আধিকারিকরা জানান লাগাতার চারটি ইঞ্জিন চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। যেহেতু আবর্জনা স্তুপে প্লাস্টিকের সংখ্যা বেশি তাই ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ধোঁয়া। স্থানীয়দের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাম্পিং স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এই আবর্জনার স্তুপে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় সরকার অতিসত্বর উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় জনতা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গত ২৬শে এপ্রিল শিলাবৃষ্টি সহ প্রবল ঝড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী গোটা মহকুমায় এখন অব্দি ২৪১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুতের ত্রিশটি এইচটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে ও চল্লিশটিরও বেশি এলটি সংযোগ থাকা খুঁটি ভেঙে পড়েছে ও প্রায় ৩০টি জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায় এবং ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে।বিশাল আকৃতির গাছ বিদ্যুতের তারের উপর পড়ার ফলে গোটা কৈলাসহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় ৪৮ ঘন্টা ধরে।যার ফলে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকায় জলের অভাবে ভুগছেন নাগরিকরা।তাই আজ একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন অবরোধ কারীরা।এই পথ অবরোধ করার ফলে রাস্তার দু’পাশে আটকে পড়ে বহু যানবাহন।যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।তবে ঝড়ের প্রকোপে বৈদ্যুতিক পরিষেবা যেভাবে ব্যাহত হয়েছে সেই ক্ষেত্রে গ্ৰাহকরা সহযোগীতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করলে কিছুটা হলেও পরিষেবা এগিয়ে যেত বলে মনে করেন বুদ্ধিজীবী মহল।এই ঘটনার খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকারের নেতৃত্বে ছুটে আসেন বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী।পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।গ্রাহকদের রোষানল থেকে বিদ্যুৎ কর্মীদের বিপদমুক্ত করার পর বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা সাই কম্পিউটার্স এর আধিকারিক সহ প্রশাসনিক পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বিকেল ৩টায় কৈলাসহর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা।বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নবকুমার জমাতিয়া, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার,সাই কম্পিউটার্সের প্রজেক্ট ম্যানেজার সুরজ শ্রীবাস্তব এবং ডিজিএম হরিন্দর শর্মা ও ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের ঊনকোটি জেলার এজিএম প্রদীপ দেববর্মা সহ কৈলাসহর বাজারের ব্যবসায়ী ও অন্যান্যরা।টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন ২,৫ এবং ৬ নম্বর ফিডারের কাজ খুব শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে।পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং পানীয় জলের পরিষেবা দ্রুত প্রদান করা হবে।তার সাথে গোবিন্দপুর এলাকায় থাকা ১১ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলের সংযোগ দেওয়ার কাজ খুব শীঘ্রই শেষ হবে এবং যেকোনো গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসে ফোন করলে কল রিসিভ করা হবে এবং সমস্যা সম্পর্কে অবগত থাকবে কর্তৃপক্ষ।এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস এবং কর্মীদের থাকার গেস্ট হাউসের সুরক্ষা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনও।এছাড়াও তিনি জানান বিপর্যয় মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছে গেছে এনডিআরএফ জোয়ানরা।এখনো বহু এলাকায় বট বৃক্ষ পড়ে আছে বিদ্যুৎ সংযোগের উপর।সেগুলো সাড়াই করার জন্য আজ রাতেই সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার এবং বিভিন্ন ঠিকেদারদের দিয়ে কাজ করানো হবে।সাথে সাথে প্রশাসন আশাবাদী আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শহর এলাকা সহ গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে পারবে বিদ্যুৎ দপ্তর।