ধর্মনগর প্রতিনিধি। অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। এমন দুঃসংবাদ প্রকাশের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার জ্বলেবাসা গ্রামের গর্বের সন্তান মানস সিংহ। বয়স মাত্র ৪৩ বছর। ত্রিপুরা স্টেট কোপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের ধর্মনগর শাখায় সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। গত ২৬ মে ২০২৪ গলব্লাডার স্টোন পিনহোল অপারেশনের জন্য শিলচর ভ্যালি হাসপাতালে ভর্তি হন। গলব্লাডার স্টোন ছাড়া অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতা ছিল না। গতকাল ২৮ মে রাতে যথারীতি পিনহোল অপারেশন হয়। অপারেশনের পরও ভালোই ছিলেন। কিন্তু আজ ২৯ মে সকাল সাতটা নাগাদ হঠাৎ শরীরটা ভীষণ খারাপ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা এসে সাথে সাথে আইসিইউ’তে নিয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে চিকিৎসকরা আর শেষ রক্ষা করতে পারেননি। সকাল আটটা নাগাদ তার নিথর দেহ আইসিইউ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়।
ইতিমধ্যে প্রয়াত মানস সিংহ ‘র শবদেহ নিয়ে পরিবার পরিজনরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছেন। বেলা ৩টার মধ্যে শবদেহ বাড়ি পৌঁছে যাবে বলে আশা করা যায়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে জ্বলেবাসাতেই আজ শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
অত্যন্ত সহজ সরল অমায়িক স্বভাবের মানস সিংহ ‘র মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
মানস সিংহ মৃত্যুকালে রেখে গেছেন মাতা-পিতা, স্ত্রী, ১০ বছর ও ১৩ বছরের দুই নাবালক পুত্র সন্তান, এক বিবাহিতা বোন সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধু -বান্ধব , সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী।
মানস সিংহ ‘র মা সুরধনী সিংহ বর্তমানে জ্বলে বাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
মানস সিংহ ছিলেন TSCBEU -এর সদস্য।পিতা নীলকান্ত সিংহ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। কর্মরত অবস্থায় TGEA অবিভক্ত ধর্মনগর মহকুমা এবং পরবর্তী সময়ে পানিসাগর মহকুমা কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সিপিআই(এম) পানিসাগর মহকুমা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। বয়সজনিত কারণে পরবর্তী সময়ে মহকুমা কমিটি থেকে অব্যাহতি নেন।
মানস সিংহ ‘র অকাল প্রয়াণে পরিবার যেমন হারালো তাদের প্রিয় সন্তান ও প্রিয়জনকে। সমাজ হারালো একজন দায়িত্বশীল সমাজসেবী কে।
ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড হারালো তাদের একজন দক্ষ সৎ নিষ্ঠাবান অফিসার কে। ব্যাংকের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মচারীরা হারালো তাদের একজন প্রিয় সহকর্মীকে।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- টমটম গাড়িকে রাস্তা পারাপারে জায়গা দিতে গিয়ে দ্রুতগতিতে থাকা যাত্রীবাহী ইকো গাড়ি পুকুরের জলে পড়ে গিয়েছে । ঘটনা উদয়পুর মহকুমার অন্তর্গত গঙ্গাছড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় । জানা গিয়েছে , দুইটি গাড়ি মুখোমুখি চলে আসার ফলে ইকো গাড়িটি টমটম গাড়ি কে জায়গা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে যাত্রীবাহী ইকো গাড়িটি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁ দিকের পুকুরে চলে যায় । এর ফলে সম্পূর্ণ গাড়িটি পুকুরের জলে তলিয়ে যায়। অল্পতে প্রাণে রক্ষা পাই গাড়ি চালক থেকে শুরু করে গাড়িতে থাকা অপর একজন ব্যক্তি । শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। রাস্তার পাশে থাকা গ্রামবাসীরা এই ঘটনা দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে ছুটে আসে ভিড় জমে যায় গ্রামবাসীদের । পরবর্তী সময় গাড়িটিকে উদ্ধার করার জন্য জেসিবি দিয়ে পুকুরের জল থেকে দড়ি বেঁধে উঠানোর চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় গঙ্গার জল থেকে মুক্তি পায় ইকো গাড়ি । দুর্ঘটনার ফলে রাস্তার দুই ধারে প্রচুর গাড়ির ভিড় জমে যায়। একাংশ গ্রামবাসীদের অভিমত দ্রুত গতিতে থাকার ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকেলে ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৯ মে।। ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত এবছর মাধ্যমিক পরিক্ষায় গোলাঘাটি হাই স্কুলের সর্বাধিক নম্বর প্রাপ্ত প্রথম বিভাগে উর্ত্তীন ছাত্রী প্রিয়া ঘোষ কে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন রাজ্যের হজ কমিটির চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া। বুধবার দুপুরে গোলাঘাটি স্থিত ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন তিনি। সেই সঙ্গে ছাত্রীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ জীবন কামনা করেন। ছাত্রীর পিতা পেশায় সাংবাদিক ভবতোষ ঘোষ উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি জানান গোলাঘাটি হাই স্কুলে এবারও ভালো রেজাল্ট করেছে ছাত্র ছাত্রীরা। গতবারের মতো এবারেও শতভাগ সাফল্য পেয়েছে স্কুল। এর মধ্যে ছয়জন ছাত্র ছাত্রী প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। গ্রামীণ এলাকায় নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়াশোনা করতে হয় ছাত্র ছাত্রীদের। এছাড়া রয়েছে শিক্ষক সংকট । এরমধ্যেও সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করেছে বলে জানান তিনি । এছাড়া এদিন বিশালগড় বিবেকানন্দ শিশু নিকেতনের চতুর্থ এবং নবম স্থানাধিকারী রামজয় সাহা এবং সৌম্যদীপ ভৌমিককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন হজ কমিটির চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া। তাছাড়া প্রমোদনগরের প্রথম বিভাগে উর্ত্তীন হতদরিদ্র পরিবারের দিব্যাঙ্গ ছাত্রী তসলিমা খাতুনকে সংবর্ধনা জানান তিনি। শাহ আলম মিয়া বলেন পড়াশোনায় মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। ওরা আমাদের রাজ্যের ভবিষ্যৎ। আজকের ছাত্র ছাত্রীরা আগামী উন্নত ত্রিপুরার কান্ডারী হবে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করল এলাকার সাধারণ মানুষ। আগরতলা সিমনা সড়কের বৈরাগী পাড়াতে বুধবার দুপুরে পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। স্থানীয়দের অভিযোগ সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ না হওয়ায় এলাকাতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। রয়েছে বিদ্যুৎতের সমস্যা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিমনা বিধানসভার বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বহু এলাকায় তার ছিড়ে গেছে। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। এ অবস্থাতে প্রায় চার দিন যাবত বৈরাগী পাড়া এলাকায় নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আমি ওদের দাবি এই এলাকাতে বিকল্প আর কোন পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। ফলে পানীয় জল এবং বিদ্যুতের সমস্যায় নাজির হাল হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এই সমস্যা অতিসত্বর সমাধান করার দাবিকে সামনে রেখে বুধবার আগরতলা সিমনা সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি অতিসত্বর পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে।জানা গেছে এলাকাতে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু প্রায় চার দিন অতিবাহিত হলেও এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। অবশেষে ফেডকোর আধিকারিক ঘটনাস্থলে এসে অতিসত্বর সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ মুক্ত হয় এই সড়ক।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৯ মে।। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছে বিজেপি। বিশালগড় বিধানসভায় ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব তাঁর নির্বাচনী এলাকার ১৩ টি পঞ্চায়েতে জয় সুনিশ্চিত করতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সবগুলি পঞ্চায়েতে একদিন করে প্রবাস করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি । ঘোষিত কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বুধবার থেকে শুরু করেন প্রবাস। প্রথম দিন চন্দ্রনগর পঞ্চায়েতে এক দিবসীয় প্রবাস করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। বৃক্ষ রোপণ করে প্রবাস কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর শুরু হয় দফায় দফায় বৈঠক এবং জনসম্পর্ক অভিযান। এদিন পৃথক পৃথক বৈঠক করেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে, কার্যকর্তাদের সঙ্গে এবং প্রতিটি মোর্চার সদস্যদের সঙ্গে। এছাড়া প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে করেন মতবিনিময় সভা। তাছাড়া যুব মোর্চার কার্যকর্তাদের সঙ্গে করেন চায় পে চর্চা। সন্ধ্যা রাতে এলাকার দয়াময় আশ্রমে গিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠাঁসা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রবাস কার্যক্রম করেন তিনি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে করেন রাত্রি যাপন। বৃহস্পতিবার সকালেও কিছু সাংগঠনিক কর্মসূচির রয়েছে। পর্যায়ক্রমে নিজ বিধানসভার সবগুলি পঞ্চায়েতে প্রবাস করবেন বলে জানান বিধায়ক সুশান্ত দেব। প্রথম দিনের প্রবাস কার্যক্রমে স্থানীয় জনতা এবং কার্যকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে বলে জানান তিনি। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ইঙ্গিত দিচ্ছে নির্বাচনে বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েত হবে। এমনই অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন সরকারের গৃহীত প্রকল্প জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। বিগত দিনে এ কাজ সুনামের সঙ্গে করেছে মেম্বার প্রধান উপপ্রধানরা। আগামী দিনেও সকলের সহযোগিতা নিয়ে প্রবীণ নবীন এবং এলাকার অভিভাবকদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা।
দপ্তরের আধিকারিকদের ম্যানেজ করে নিম্নমানের কাজকরার অভিযোগ উঠলো ঠিকেদার কিশোর রায়ের বিরুদ্ধে।
প্রতিনিধি শান্তির বাজার: রাজসরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে স্বচ্ছতার বজায়রেখে কাজকরে এলাকার উন্নয়নকরতে। এরইমধ্যে শান্তির বাজার মহকুমায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমের রাস্তা নির্মানের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজকরেযাচ্ছে। এই প্রকল্পের মধ্যে শান্তির বাজার মহকুমায় দুইটি কাজের রাস্তা নির্মানের বিভিন্ন অভিযোগ উঠেআসছে। দুইটি কাজের দায়িত্ব পান ঠিকেদার কিশোর রায়। যারমধ্যে এন এইচ ০৮ টু ( মধ্য পাড়া বাজার ) টু কলসী রোড ( মাইছাফ্রু মগ পাড়া বাজার ) ভায়া নাজিরাই পাড়া বাজার পর্যন্ত ১০পয়েন্ট ১৩৯ কিমি রাস্তা নির্মান করাহচ্ছে। রাস্তা নির্মানের কাজ খুবই নিম্নমানের হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বিগত কিছুদিন পূর্বে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া ও জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রবি নমঃ এই রাস্তা নির্মানের কাজ পরিদর্শন করেন। উনারা দেখতে পান রাস্তাটি গুনগত মান বজায় নারেখেই কাজকরাহচ্ছে। এইবিষয়ে উনারা ঠিকেদারকে অবগত করেন। কিন্তু দেখাযায় ঠিকেদার নিজের প্রভাব কাটিয়ে কাজের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য আধিকারিককে অর্থের বিনিময়ে ক্রয়করে নিম্নমানের কাজকরে যাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ। এলাকাবাসীরা জানান এই বিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের জানিয়েও কাজের কাজ কিছুইহয়নি। উনারা এও জানান কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকেদার কিশোর রায়কে নাপেয়ে উনারা মেনেজারের নিকট জানতে চাইলে মেনেজার জানান এই কাজদেখাশুনা করছেন গৌতম চৌঁধুরী নামে এক ব্যক্তি। তিনি বিলোনিয়ায় থাকেন। এলাকাবাসীর কোনোপ্রকারের অভিযোগ থাকলে বিলোনিয়ায় গিয়ে গৌতম চৌধুরীর নিকট সাক্ষাৎকার করতেন। অবশেষে এলাকাবাসী হতাশাগ্রস্থহয়ে কাজের গুনগতমান বজায় রাখতে সংবাদমাধ্যমের দারস্ত হন। উনারা সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিন হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার দৃষ্টি আকর্ষন করে জানান যাতেকরে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে স্বচ্ছতার সহিত গুনগতমান বজায়রেখে কাজটি করাহোক। অপরদিকে একই ঠিকেদার কিশোর রায় শান্তির বাজারে অপর একটি একই প্রকল্পের কাজ এন এইচ ০৮ টু আনন্দ দাস পাড়া যাতায়তের ৮ পয়েন্ট ৩৫৬ কিঃ মিঃ রাস্তা নির্মান করেন। এই রাস্তা নির্মানের সাইনবোর্ড লাগানো হলেও অর্থরাশি লেখাহয়নি। এই রাস্তা নির্মানে বিভিন্ন জায়গায় সাইডওয়াল দেওয়ার কথা থাকলেও সল্পব্যায়ে অধিক মুনাফার লক্ষ্যে সাইড ওয়াল নির্মান নাকরাতে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার চিত্র পরিদর্শনে আসেন কাজের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার প্রেমরঞ্জন বিশ্বাস। উনার কাছথেকে কাজের গুনগতমানের কথা জানতেচাইলে তিনি কোনোপ্রকার সৎউত্তর দিতে পারেননি। এই কাজের জন্য কত টাকা অর্থব্যায় করাহয়েছে তা জানতে চাইলেও তিনি সঠিককোনো উত্তর দিতেপারেননি। একপ্রকার বলাচলে সকলে ঠিকেদার কিশোর রায়ের কাছে বিক্রিহয়ে নিম্নমানের কাজে সহযোগীতার হাত বারিয়ে দিচ্ছে। এতেকরে ঠিকেদার সহ কিছু সংখ্যক লোকজনের পকেট ভারীহচ্ছে ও কাজের গুনগতমান নিম্ন মানের হচ্ছে। মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া কোনোপ্রকার অন্যায়কে পশ্রয় দেননা। বিগতদিনেও উনাকে বিভিন্ন কাজের গুনগতমান বজায়রেখে কাজ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যেতে দেখাগেছে। এখন সকলে আশাবাদী ঠিকেদার কিশোর রায়ের বিরুদ্ধে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সঠিক পদক্ষেপ গ্রহনকরবেন।
- প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রেমেল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত রাজ্যজুড়ে । গোমতী জেলার উদয়পুরে গত দুইদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে গোমতী নদীর জল বেড়ে গিয়েছে । এর ফলে প্রশাসন থেকে মৎস্যজীবীদের জন্য নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । কিন্তু জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মৎস্যজীবীরা নৌকা নিয়ে উত্তাল গোমতী নদীর জলে মাছ শিকার করার জন্য নেমে গিয়েছে । কোথাও আবার নদীর ধারে দাঁড়িয়ে ধরা হচ্ছে মাছ । কিন্তু মহারানী বাঁধে দুটি গেইট ইতিমধ্যে ছাড়া হয়েছে অতিরিক্ত জল বেড়ে যাওয়ার কারণে। কিন্তু তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে মৎস্যজীবীরা নদীতে নেমেছে মাছ শিকার করার জন্য তাতে করে যদি কোন প্রকার প্রাণহানির ঘটনা ঘটে যায় নদীর মধ্যে । এর ফলে বড় বিপত্তি তৈরি হবে মহারানী বাঁধে । অপরদিকে কোন ধরনের পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি বাঁধের উপর । তার ফলে প্রতিনিয়ত মৎস্যজীবীরা নদীর মধ্যে নেমে যাচ্ছে। যেভাবে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখাচ্ছে তাতে করে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের উপর। কেন সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি মহারানী বাঁধের উপর ? এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন মুখ খুলতে নারাজ ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-বঙ্গোপসাগরের ভারী নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত । বৃষ্টিপাতের জেরে উদয়পুর পৌর পরিষদের ছয় , দুই ও ১৪ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ি ঘরে জল প্রবেশ করে । সমস্যায় পড়ে পৌরবাসী। জল যন্ত্রণা থেকে পৌর নাগরিকরা রেহাই পাওয়ার জন্য উদয়পুর পৌর পরিষদে বিষয়টি জানানো পর পৌরপরিষদ থেকে বাড়ি ঘরের জমানো জল সরিয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে । মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত্রি সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দমকল লাগিয়ে বাড়ি ঘরের জমা জল বের করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে উদয়পুর পৌরপরিষদ । পুর পরিষদের এই ধরনের উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ । পাশাপাশি পুর নাগরিকরা দাবি তোলে আষাঢ় মাসের ভারী বর্ষার সময় যেন এই ধরনের সমস্যা না হয় তার জন্য জল নিকাশি ব্যবস্থা যেন সঠিক রাখা হয় পৌর পরিষদের উদ্যোগে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান পুর নাগরিকরা। গোমতী জেলা শাসক থেকেও উদয়পুর শহরকে সুন্দর এবং জল নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে আগামী জুন মাসের ৬ তারিখের পর থেকে । সব মিলিয়ে আগামীর বর্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে উদয়পুর পুর পরিষদ ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৮ মে।। বিশালাকৃতির গাছের চাপায় দুমড়েমুচড়ে যায় বসতঘর। টিন বাঁশের ধ্বংসস্তুপে আতঙ্কে রাত কাটায় জনজাতি দম্পতির। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের। আঘাত পেলেও প্রাণে বেঁচে যায় তারা। ঘটনাটি ঘটে জম্পুইজলা মহকুমার পেকুয়ারজলা এডিসি ভিলেজর শ্যামনগরে। সোমবার রাতভর টানা বৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে তিনটায় টানা বৃষ্টি এবং রেমেলের হাওয়ায় বিশালাকার গাছ ভেঙে পড়ে নিত্য কুমার দেববর্মার বসত ঘরে। টিন বাঁশের ঘরটি মূহুর্তের মধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়। নিত্য কুমার এবং তার স্ত্রী ঘর থেকে বেরোনোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির কারণে তাদের আর্তনাদ পৌঁছায়নি প্রতিবেশীদের কানে। পরদিন মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয়রা দা কুড়াল টাক্কল নিয়ে নেমে পড়ে । উদ্ধার করা হয় ঘরে আটকে পরা দু’জনকে। খবর পেয়ে নিত্য কুমারের বাড়িতে ছুটে যান প্রাক্তন বিধায়ক তথা জম্পুইজলার বিএসি চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা। তিনি প্রশাসনের নজরে নিয়েছেন বিষয়টি। প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৮ মে।। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিমাসে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব । প্রতিমাসের শেষ মঙ্গলবার এই শিবিরের আয়োজন করা হয় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যঙ্কে। মঙ্গলবার মে মাসের রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় । প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে রক্তদান করতে এগিয়ে আসেন এলাকার যুবকরা। রক্ত দাতাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। তিনি বলেন রক্তদানের মাধ্যমে রক্তের ঘাটতি পূরণ সম্ভব। রক্তের কোন বিকল্প নেই। তাই বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রতি মাসেই উৎসাহের সাথে শিবিরে রক্তদান করতে এগিয়ে আসছে যুবক যুবতীরা। সকলের অংশগ্রহন এবং সহযোগিতা প্রতি মাসের শেষ মঙ্গলবার এই রক্তদান শিবির জারি থাকবে বলে জানান তিনি ।