61
- প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মানুষের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার সংকল্প নিয়ে যে অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন তার সাথেই উন্নয়নের আরেকটি নতুন পৃষ্ঠা যোগ করেছেন ফটিকরায় বিধানসভার বিধায়ক তথা মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।বিধায়ক থাকাকালীন সময়ে ফটিকরায় বিধানসভার পাঁচ বছরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিগত ২৫ বছরের সময়কালের কর্মকান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল।ফটিকরায় বিধানসভার অন্তর্গত জগন্নাথপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ত্রিপুরা সরকার তাদের জন্য ফিস মার্কেট নির্মাণ করে দিয়েছে।এই নবনির্মিত ফিস মার্কেটের আজ ফিতে কাটার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনের পর সকল মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে জগন্নাথপুর ফিস মার্কেট।ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এই ফিস মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী শ্রীদাস।যা আজ আনুষ্টানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিক বৃন্দ।উদ্বোধনী ভাষনে মন্ত্রী বলেন ফটিকরায়ের উন্নয়নের মুকুটে আরেকটি নতুন পালক হচ্ছে জগন্নাথপুর ফিস মার্কেট।মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।প্রতি শনিবার জগন্নাথপুরে সাপ্তাহিক বড় বাজার হয়ে থাকে।সেই সময়ে মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ করে বর্ষার সময়ে বসে মাছ বিক্রি কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে।সেদিকটা মাথায় রেখেই এই ফিস মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন জগন্নাথপুর বাজারের সৌন্দর্যায়নের জন্য আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে যা সময়ের সাথে সাথে বাস্তবায়িত হবে।তার পাশাপাশি তিনি বলেন মাছ বাজারের স্বচ্ছতার প্রশ্নে সকলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং মাছ বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেদিকেও মৎস্য ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।তিনি বলেন সম্প্রতি বন্যায় রাজ্যের যে যে ক্ষেত্রগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে ফিশারী সেক্টরে সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়েছে।প্রায় ৭০ শতাংশ জলাশয়,পুকুর,নদী ইত্যাদি থেকে মাছ বেরিয়ে গেছে। তিনি বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের বাজারে মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।সেই মাছ বেশিরভাগ পরিমাণ ইমপোর্ট করতে হয় বহিরাজ্য থেকে।যার ফলে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা চলে আসে মাছগুলোকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখার জন্য। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় মৎস্যচাসীরা যত বেশি বেশি করে মৎস্য চাষে এগিয়ে আসবে ততই রাজ্যের মানুষের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে।তিনি বলেন রাজ্যের বুকে এই প্রথমবারের মতো লাইভ ফিস রেস্টুরেন্ট একাধিক জায়গায় খোলা হবে।যেখানে সব সময় জীবন্ত মাছ খেতে পাবেন গ্ৰাহকরা।সেই সাথে সাথে তিনি বলেন কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেভাবে বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় সেই মোতাবেক মৎস্য চাষীদের কল্যাণে এবং তাদের উৎসাহিত করার জন্য বাৎসরিক ৬০০০ টাকা সহ মাছের খাদ্য ইত্যাদি প্রদান করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যেখানে জলের উৎস কম পরিমাণে রয়েছে ঐ জায়গা গুলোতেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।