আইন রক্ষনার্থে ও লোকজনদের সুরক্ষা প্রদানে বিপাকে পরতেহলো শান্তির বাজার থানার ওসি অনুপম দাসকে। ঘটনার বিবরনে জানাযায় শুক্রবার শান্তির বাজারে কংগ্রেসের পদ যাত্রাকে কেন্দ্রকরে অশান্তিকর পরিবেশের সৃষ্টিহয়। এই অশান্তিকর পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জে আক্রান্তহয় শাসকদলের কিছুসংখ্যক কর্মী। এইনিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় ওসি অনুপম দাসের চাকুরির বরখাস্ত করার দাবীতে মহকুমার পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী করাহয়। অপরদিকে শান্তির বাজারের সাধারন জনগন ওসির এইধরনের পদক্ষেপে খোবই খুশি। সকলে চাইছে শান্তির বাজারে এমনধরনের লোককে রাখাহোক। যে আধিকারিক লোকজনদের নিরাপত্তায় কাজ করবে।
রাজনীতি
রইস্যাবাড়িতে একই দিনে ভারতীয় জনতা পার্টির বাজার সভা এবং যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টি রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে রইস্যাবাড়ি বাজারে এক সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী মণ্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, রইস্যাবাড়ি ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান কস রঞ্জন ত্রিপুরা প্রমুখ। অপরদিকে শুক্রবার সন্ধ্যারাতে রইস্যাবাড়ি মায়া কুমার পাড়াতে ভারতীয় জনতা পার্টির এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান সভায় ৪ পরিবারের ১১ ভোটার সিপিএম দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদান করেন। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে রাইমাভ্যালীতে বিজেপির জনসমর্থন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন গত সাড়ে চার বছরে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের শাসনে গোটা রাজ্যের সাথে রাইমাভ্যালীতেও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা,পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। এছাড়াও কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি গত ২৫ বছরের বাম শাসনের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন।
২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যে । ইতিমধ্যেই শাসক দল বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে নিয়ে জোড় কদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে গোটা রাজ্য জুড়ে । সেই সাথে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে আসতে শুরু করেছে । সেই সাথে বার্তা দেওয়া হচ্ছে আগামীর ভোট উন্নয়নের সাথে । গত সাড়ে চার বছরের রাজ্যে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে সে উন্নয়নকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে শাসক দল । শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি বুথ অভিযান , একই সাথে করা হচ্ছে বিভিন্ন বাজার সভা । ঠিক তেমনি মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মুড়াসিং পাড়া ১৪ নং শক্তি কেন্দ্রের অন্তর্গত ৫৬ নং বুথে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ বলেন , বর্তমান মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর নানা উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়ে এসেছে । এই কেন্দ্রে রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জল, নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে পাকা শ্মশান , বেকারদের দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থান। সেই সাথে মহিলাদের দেওয়া হয়েছে স্বশক্তি করনের নানা কাজকর্ম । সে সকল উন্নয়নের কাজকর্ম দেখে প্রতি সপ্তাহে এই মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন বিরোধীদল ত্যাগ করে শাসক দলে যোগ দিচ্ছে ভোটাররা । এদিন মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষের হাত ধরে পাঁচ পরিবারের ১৬ জন ভোটার যোগ দেয় শাসকদল বিজেপিতে । তাদেরকে দলীয় পতাকা দিয়ে দলে বরণ করেন বিধায়ক
সাংসদ রেবতি ত্রিপুরার উপস্থিতিতে সাব্রুমের সামসিং স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় প্রকাশ্য জনসমাবেশ।
২৪শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩:৩০ নাগাদ সাব্রুম মহকুমার মনোঘাট এলাকার শামসিং উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই প্রকাশ্য জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই এই জনসমাবেশর প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা ও এছাড়াও এই সমাবেশে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চল্লিশ সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শঙ্কর রায় সহ ৪০ সাব্রুম মন্ডলের ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক নেতৃত্বরা। এই জন সমাবেশে সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ৩৫ পরিবারের 113 জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করে। তাদের হাতে ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় পতাকা তুলে দেন সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা ও বিধায়ক শঙ্কর রায়। এই জনসমাবেশ প্রচুর সংখ্যক জনজাতি অংশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এই জনসমাবেশে যাওয়ার আগে সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন এবং কথা বলেন বিএসএফের আধিকারিকদের সঙ্গে। ও ঘুরে দেখেন আইসিপি এর নির্মলস্থলের কাজ।
এই জনসভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক শংকর রায় বলেন তিনি যখন প্রথমবারের মতো বিধায়ক হয়েছিলেন 40 সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রের তখন তিনি প্রথমবার সবার করেছিলেন সাব্রুমের সামসিং স্কুল মাঠে সেই সভায় তিনি বলেছিলেন সামসিং স্কুলের জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে ৫০ আসন বিশিষ্ট ছাত্রী আবাস এবং সামসিং স্কুলের জন্য বিতল ভবন নির্মাণ করা হবে তিনি তা বিধায়ক হওয়ার দুই বছরের মধ্যেই করে দিয়েছেন এবং তিনি যেই কথা বলেন তিনি সেই কথা রাখেন বলেও দাবি করেন এবং বিরোধীদল সিপিআইএম ৪০ বছরের কিছু করতে পারেনি বলেও তিনি দাবি করেন। এবং সাবরুম মহকুমার যে সকল উপজাতি এলাকাগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল না সে সমস্ত জায়গায় তিনি পানীয় জল পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন । সমাবেশের প্রধান বক্তা সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন। কেন্দ্রীয় সরকার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের পাশাপাশি ছোট্ট ত্রিপুরা রাজ্যের দিকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সজাগ দৃষ্টি রয়েছে তাই প্রতিটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং উপজাতি অংশের যে সকল জনগণ কখনো তাদের পাকা ঘরের কথা চিন্তাও করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার সেই সকল জনজাতিদের জন্য ঘরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে যায় ইতিমধ্যে একসাথে প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। সাংসদদের প্রতি ত্রিপুরা আজ এই জনসমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরীকে তীব্র কটাক্ষ করেন এবং তিনি বলেন তিনি এই সাবরুম মহকুমায় কখনো মন্ত্রী ছিলেন কখনও ছিলেন সাংসদ কিন্তু এই মহকুমার উপজাতি অংশের জনগণের জন্য তিনি কিছুই করেননি শুধু ভোটের রাজনীতি করে গেছেন । ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিপিআইএম দল হেরে যাওয়ার পরও এখন বাঁকা পথে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য জনজাতি অংশের জনগণদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সংসদ রেবতী ত্রিপুরা এই জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন সিপিআইএম দল দীর্ঘ 25 বছর রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও জনজাতিদের কোন উন্নয়ন করতে পারেনি তাই জনজাতি অংশের জনগণের জন্য চিন্তা ধারা ও তাদের জীবন জীবিকার মান উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়র চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি সরকার তাই আগামী ২০৩০ বিধানসভা নির্বাচনে চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার দাবি জানান সাংসদ।
২৭ কল্যানপুর বিধান সভা কেন্দ্রে তিপ্রামথার যোগদান সভা। ৪২ পরিবারের ১৪২ ভোটার তিপ্রামথায় যোগদান।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে দল বদলের পালাও সম তালে এগিয়ে যাচ্ছে।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রায় প্রতিদিনই যোগদান সভা,করে চলেছে। বুধবার তিপ্রামথার এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৭ কল্যানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রতিয়া সংলগ্ন তুইসারংচাক্কামি পাড়া এলাকায়। উক্ত যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন তিপ্রামথা দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অনিমেশ দেববর্মা, ই এম কমাল কলই, তিপ্রামথা দলের রাজ্য নেতৃত্ব মনিহার দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই যোগদান সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে ৪২ পরিবারের ১৪২ ভোটার তিপ্রামথা দলে সামিল হয় বলে জানান উপস্থিত নেতৃত্বরা। দল ত্যাগীদের হাতে মথা দলের দলিয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে বরন করে নেয় নেতৃত্বর।
চন্ডীপুর বিধানসভায় যুবমোরচার বুথ সভাপতিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে যেভাবে যুব মোর্চার সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য,সেই লক্ষ্যেই ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যুব মোর্চার সংগঠনকে আরো সক্রিয় এবং সতেজ করার জন্য মাঠে নেমেছেন প্রদেশ নেতৃত্ব।যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি সরকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুব বেশি একটা কঠিন কাজ হবে না।সেই লক্ষ্য নিয়েই আজ চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের যুব মোর্চার ৫৩ জন বুথ সভাপতি কে নিয়ে সাংগঠনিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শ্রীরামপুর স্বামী বিবেকানন্দ হলে।এই গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবমোরচা প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক রানা ঘোষ,চন্ডিপুর যুব মোর্চা মন্ডল সভাপতি তথা আজকের সংগঠনিক বৈঠকের আহ্বায়ক অমিও দাস,যুব মোর্চা জেলা সভাপতি অরূপ ধর,মন্ডল সভাপতি শ্যাম কুমার সিনহা ও রাজ্য কমিটির সদস্য রঞ্জন সিংহ এবং বিমল কর।সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়েছিল ২০১৮ সালে। যেখানে এ রাজ্যের বাম সরকারের একটানা কুড়ি বছরের মন্ত্রী এবং প্রার্থী তপন চক্রবর্তীকে নাকানি চুবানি খেতে হয়েছিল বিজেপির সাথে লড়াই করতে গিয়ে। বলা যায়,কানের পাশ দিয়ে গুলি লাগতে লাগতেও লাগেনি।কেননা যেখানে তপনবাবু প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে জয়ী হতেন কংগ্রেসকে হারিয়ে,সেই জায়গাতে ২০১৮ সালে মাত্র সাড়ে চারশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন নিকটতম বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে।সেই সময় দলীয় সংগঠন যুব মোর্চাকে ভিত্তি করেই ছিল। অনুরুপভাবেই আগামী ২০২৩ এর নির্বাচনেও যুব মোর্চার কাঁধে সমস্ত দায়িত্ব সঁপে দিয়ে প্রদেশ নেতৃত্ব দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন।জানা গেছে আজকের এই সাংগঠনিক বৈঠক থেকে আওয়াজ উঠেছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে চন্ডিপুর বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভা পাঠানোর জন্য।
আসন্ন ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের সামনে রেখে প্রতিদিন ৩১ রাধা কিশোরপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস বুথ সভা , উঠান সভা থেকে শুরু করে ছোট আকারে দলীয় সভা ও সেরে নিচ্ছে । মঙ্গলবার অর্কেপুর মণ্ডল যুব মোর্চা উদ্যোগে রাজারবাগ ৪০ নং বুথে যুব মোর্চার কর্মী রূপন ঘোষের বাড়িতে উঠোন সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস , মন্ডল যুব মোর্চার সভাপতি রাকেশ শীল , যুব মোর্চা সাধারন সম্পাদক রতন ঘোষ ও বুথ সভাপতি বাবুল চক্রবর্তী সহ আরো অনেকে । এদিন উঠোন সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস বলেন , আগামী বছর ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই রাজ্যের বুকে। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রচারের আলোতে ঝড় তুলতে হবে । সেই সাথে প্রতিটি এলাকার নাগরিকের বাড়িতে গিয়ে জনসম্পর্ক অভিযান গড়ে তুলতে হবে এলাকার নেতৃত্বদেরকে । সেই সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ স্থাপন করে চলতে হবে । উদয়পুর পৌর পরিষদ এলাকা যে সকল উন্নয়ন তথা রাস্তাঘাট, পানীয় জল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা , এছাড়া শহরে উন্নয়নে যে সকল প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে সে সকল উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি বিরোধীদের বিভিন্ন চক্রান্ত ভেস্তে দিতে হবে । এদিনের এই সভায় মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস আরো বলেন , ২০২৩ বিজেপিকে এই ৪০ নং বুথ থেকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য যুব মোর্চার কর্মীদেরকে আরো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তিনি বার্তা দেন । এদিনের উঠান সভায় যুব মোর্চার কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
ভারত জোড়ো ও ত্রিপুরা বাঁচাও স্লোগানকে সামনে রেখে উদয়পুর রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে এক পদযাত্রা মিছিল বের হয় মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় । এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা টিটন পাল, প্রণজিৎ রায় ও কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমিত্র বিশ্বাস সহ প্রমুখ । এদিন মিছিলটি জেলার দলীয় অফিস থেকে বের হয়ে উদয়পুর মধ্যপাড়া , সোনামুড়া চৌহমুনী , খিলপাড়া , রাজারবাগ ও ছনবন হয়ে পুনরায় মিছিলটি এসে সমাপ্তি হয় জেলা কংগ্রেস ভবনে । এদিনের মিছিলে কংগ্রেসকর্মীরা তাদের প্রত্যেকের শরীরে ছিল ত্রিপুরা বাঁচাও এই বার্তা । মিছিলটি দেখার জন্য রাস্তার দু’ ধরে প্রতিটি জায়গায় জরো ছিলেন সাধারণ মানুষ । চতুর্থ দিনের এই মিছিলে উদয়পুর রাধাকিশোর পুর বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যাপক সারা পরিলক্ষিত হয় কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে । আগামী তিনদিন এই ধরনের পথযাত্রা জারি থাকবে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে এমনটাই জানান জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সৌমিত্র বিশ্বাস
রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বামপন্থী নারী সংগঠন সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির উদ্যোগে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে এক ঘন্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলো সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি তেলিয়ামুড়া মহকুমা কমিটি।
সোমবার তেলিয়ামুড়া শিববাড়ি স্থিত মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে এক ঘন্টার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির নারী নেত্রী গায়েত্রী দত্ত, তেলিয়ামুড়ার প্রাক্তন বিধায়িকা গৌরী দাস সহ সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির তেলিয়ামুড়া মহকুমা কমিটির নারী নেত্রীরা।
মূলত রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন, ধর্ষণ , শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা প্রায় প্রত্যেকদিন ঘটেই চলেছে। এই ঘটনা গুলোর সঠিক বিচারের আশায়, রাজ্যের বুকে এধরনের ঘটনা বন্ধের দাবিতে এদিন সোচ্চার হয় সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির নারী নেত্রী গায়েত্রী দত্ত সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন,, পৌনে পাঁচ বছরের বিজেপি আই.পি.এফ.টি জোট সরকারের আমলে সুশাসনের নামে অপশাসনের সময়কালে বত্রিশ মাসের শিশু কন্যা থেকে শুরু করে পাঁচ বছরের নাবালিকা সেই সাথে বৃদ্ধা বয়স্ক মায়েরা গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। ধর্ষণের পর খুন হচ্ছে এইসব ঘটনা বন্ধের দাবিতে এবং মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতে মূলত সোমবার তাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে কলকাতায় মহামিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য বিজেপি।
মিছিল আহ্বানের দায়িত্ব পড়েছে মহিলা মোর্চার ওপর। এর আগে তারা এই নিয়ে জেলায় জেলায় জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করেছে। তৃণমূল অবশ্য এই মিছিলকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। বরং তারা মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছে।
সব ঠিক থাকলে সোমবার দুপুরে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে মহিলা মোর্চা। সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী বলেন, “অখিল গিরি একজন মহিলা এবং জনজাতি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারী সম্পর্কে যে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তার প্রতিবাদে এই মিছিল। সেই সঙ্গে রাজ্য বেড়ে চলা নারী নির্যতন, দুর্নীতি এবং চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের ৬১৫ দিনের কথা মাথায় রেখে আমরা মিছিল করব।” তাঁর দাবি, “আমরা রানী রাসমণি পর্যন্ত মিছিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে সেখানে পৃথক কর্মসূচি আছে। তাই যতদূর তারা মিছিল যেতে দেবে আমরা সেই পর্যন্তই যাব।”