ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রবিবার বিকালে বাগবাসা মন্ডলের অধীন কিষান মোর্চার উদ্যোগে ১০ নং বুথে লিপিকা দেবনাথ এর বাড়িতে উঠানসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি বৃন্দাবন নাথ সহসভাপতি লিপিকা দেবনাথ সহ ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য কর্মকর্তা। প্রত্যেকরায় গ্রাম পঞ্চায়েত অধীন এই উঠানসভা অনুষ্ঠিত হয়। লিপিকা দেবনাথ বর্তমানে কিষান মোর্চার উত্তর জেলার প্রভারী এবং পৃষ্ঠা প্রমুখ হিসাবে কাজ করে চলেছেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে লিপি কা দেবনাথ জানান এই কেন্দ্রে সবাই একসাথে কাজ করে যাবে। দল যাকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করবে তার প্রতি আশ্বস্ততা রেখে সবাই কাজ করে যাবে। এখানে গোষ্টি বাজির কোন স্থান নেই। এই কেন্দ্রে কিশান মোর্চা কোভিড পিরিয়ডে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা ,বিভিন্ন ধরনের সরকারি অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে বছরজুড়ে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন জাতি উপজাতি মিলিয়ে মোট ৪৭ হাজার ভোটার রয়েছে এই কেন্দ্রে। এবার এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি দলের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বলে তারা আশাবাদী।
রাজনীতি
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৮ জানুয়ারি:- আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি ৪৪ রাইমাভ্যালি মণ্ডল
তপশিলি জাতি মোর্চার উদ্যোগে রবিবার রামনগর এলাকায় এক উঠানসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রামনগর ভিলেজের দেবেন্দ্র দাস পাড়ায় অনুষ্ঠিত উঠানসভায় উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, কিষান মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার, বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তথা ডুম্বুর নগর আর.ডি ব্লকের ভাইস-চেয়ারম্যান বিকাশ চাকমা, জেলা কমিটির সম্পাদিকা সতী চাকমা , মন্ডলের তপশিলি জাতি মোর্চার সভাপতি অতীশ চন্দ্র দাস, মন্ডল সম্পাদক সমীর দাস প্রমুখ। সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ভোটাররা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ঠিক সেই ভাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। মন্ডল সভাপতি বলেন রাজ্য সরকার তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীদিনেও পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বার্থে আরো বেশি করে কাজ করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। মন্ডল সভাপতি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাইমাভ্যালী কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য এখন থেকেই কর্মীদের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায়, বুথে বুথে প্রচার অভিযান তেজী করার আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসকদল বিজেপি এখন থেকেই সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করার জন্য ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে । ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য দলকে পুন:প্রতিষ্ঠিত করার সংকল্পবদ্ধ হয়ে ৩৩ কাঁকড়াবন শালগড়া মন্ডলের হদ্রা শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে হঠাৎ চৌমুহনীতে মহিলা মোর্চার দ্বারা আয়োজিত এক মহিলা মোর্চার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন , বিজেপি কমিটির জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় , মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ঝর্ণা দেববর্মা , জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শুক্লা মজুমদার ও বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রভারী জিতেন্দ্র মজুমদার সহ আরো অনেকে। এদিন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ঝর্ণা দেববর্মা ভাষণ রাখতে গিয়ে তিনি বলেন , মহিলা মোর্চার কর্মীরা বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে শুধু সম্মেলন করে এমনটা কখনোই হয় না । ৩৬৫ দিন সংগঠন ছাড়াও মানুষের বিভিন্ন কাজে এগিয়ে যায় মহিলা মোর্চার কর্মীরা । এছাড়া মহিলা মোর্চার কর্মীরা সংগঠনকে সাজিয়ে তোলার জন্য দিন রাত এক করে প্রতিটি গ্রামে ভোটারদের সাথে জনসম্পর্ক অভিযান জারি রেখেছে যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে এভাবে জনসম্পর্কে অভিযান জারি রাখবে বলে তিনি ভাষণে তুলে ধরেন । এদিন তিনি বলেন , বর্তমান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে রাজ্যের উন্নয়নে ডাবল ইঞ্জিনের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে তা বিগত দিনে কোন সরকার রাজ্যে এত উন্নয়ন করতে পারেনি । রাজ্য সড়ক যোগাযোগ থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর , ব্রডগেজ রেললাইন , থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন করেছে বর্তমান ডাবল ইঞ্জিনের সরকার । এদিকে রাজ্য সরকার চাকরি ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছে মহিলাদের জন্য। বিগত দিনে বাম সরকার রাজ্যে মহিলাদের কথা কখনোই চিন্তা ভাবনা করেনি। বিগত ২৫ বছরে বাম সরকারের আমলে রাজ্যের খুন ,ধর্ষণ ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন করতে দেখা যায়নি । তাই রাজ্যের জনগণ ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের সরকারকে পরাস্ত করে এক রাষ্ট্রবাদী সরকারকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়েছে । বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে রাজ্যের জনগন । তাই ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে পুনরায় সরকার গড়ছে বিজেপি । এদিনের মহিলা মোর্চার সম্মেলনে হদ্রা হঠাৎ চৌহমুনিতে মহিলা মোর্চার কর্মীদের উপস্থিতি ছিলো বিপুল সারা ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ জানুয়ারি।। গত ৫ জানুয়ারি সাব্রুমে জন বিশ্বাস রথযাত্রা শুভারম্ভ করেছিলেন কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রী অমিত শাহ। দক্ষিণ ত্রিপুরার বিভিন্ন বিধানসভা সফর করে শনিবার সিপাহীজলা জেলায় পৌঁছল জন বিশ্বাস রথযাত্রা। সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার ধনপুর মন্ডলে কয়েক হাজার কার্যকর্তা এবং সাধারণ মানুষ জন বিশ্বাস রথযাত্রাকে স্বাগত জানান। ভবানীপুর থেকে শুরু হয় সিপাহীজলা সফর। হাজারো যুব মোর্চার কার্যকর্তা বাইক মিছিল করে জন বিশ্বাস রথ এগিয়ে নিয়ে যান নিদয়া, কাঁঠালিয়া, ধনপুর, বাঁশ পুকুর, মাছিমায়। প্রতিটি বাজার এবং মোড়ে এসে দাঁড়ায় জন বিশ্বাস রথ। পুষ্প বৃষ্টি বর্ষিত হয় রথ থেকে। মহিলারা উলুধ্বনি শাখ বাজিয়ে বরণ করেন রথ। সেখানকার সংখ্যালঘু অভিভাবক, যুব সম্প্রদায়ের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। উদ্বেলিত মানুষ রাস্তার মধ্যে নেচে গেয়ে হাততালি দিয়ে রথ বরণ করেন। রথে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মণ, জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক উপস্থিত নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন গত নির্বাচনে ধনপুরবাসীকে বিভ্রান্ত করেছিলো সিপিএম। বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ধনপুরে হিন্দু মুসলমান জাতি জনজাতি সকলের উন্নতি হয়েছে। ধনপুরে কলেজ হয়েছে। সামাজিক ভাতা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য মিছিলে হাঁটতে হয়না। তাই আগামী নির্বাচনে ধনপুরে পদ্মফুল ফুটবে। জন বিশ্বাস রথযাত্রা ধনপুর থেকে সোনামুড়া পরিক্রমা করে মেলাঘরে পৌঁছে। সেখানে রথের সওয়ারী ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন, সম্পাদক তাপস মজুমদার, প্রদেশ সদস্য অঞ্জন পুরকায়স্থ, জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য, বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস প্রমুখ। সন্ধায় জন বিশ্বাস রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মেলাঘরে জনসমুদ্র সৃষ্টি হয়। আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন পঁচিশ বছর যারা মানুষের জন্য কাজ করেনি, তারা আবার ভাঁওতাবাজি শুরু করেছে। উন্নতির কথা নেই তাদের মুখে। শুধু কিভাবে জোট করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় সেই চিন্তা করছে। তিনি বলেন আসলে এটা জোট নয়, এটা ঝুট। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই হয়েছে। পঁচিশ বছর মা বোনদের উন্নয়নের ভাষণ শুনেছি। বিজেপি ভাষণে নয়, কাজে বিশ্বাস করে। তাই মা বোনদের উন্নয়নের জন্য ৩৮ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। পঁচিশ বছরে মাত্র চার হাজার স্বনির্ভর দল ছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন রুটি কাপড়া মকান দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিনামূল্যে খাবার দিয়ে আশি কোটি মানুষকে রক্ষা করেছে। বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের বিরোধীতা করেছিলো সিপিএম। আজীবন শুধু বিরোধিতা করে গিয়েছে ওরা। তিনি বলেন করোনায় দুই বছর নষ্ট হয়েছে। এর পরেও বিজেপি সরকার যে কাজ করেছে তা পঁচিশ বছরে হয়নি। তাই আগামী নির্বাচনে আর ভুল করলে চলবেনা। ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য সোনামুড়ায় বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ ৭ই জানুয়ারী পূর্ব ঘোষিত সূচী অনুযায়ী ঊনকোটি জেলার জেলা সদর কৈলাসহরে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টির জনবিশ্বাস যাত্রার রথ।কুমারঘাট থেকে বিকেল ৩টা নাগাদ জনবিশ্বাস রথ ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এসে বিধানসভা এলাকার চিরাকুটি এলাকায় বিজয় সংকল্প সমাবেশে সম্মিলিত হয়।এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত,প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান দাস,বিজেপি ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি পবিত্র দেবনাথ,যাদব লাল নাথ,বিজেপি চন্ডীপুর মন্ডলের সভাপতি শ্যাম কুমার সিনহা সহ অন্যান্যরা। চিরাকুটিতে জনসমাবেশ শেষে বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য,সংগঠন মন্ত্রী ফণীন্দ্র নাথ শর্মা,রাজ্য সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যদের নেতৃত্বে রথ ৫৩-কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রে আসে।চলন্ত রথে এছাড়াও ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সদস্য নীতিশ দে, মহিলা নেত্রী চপলা রানী দেবরায়,বিজেপি কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত,ঊনকোটি জেলা যুব মোর্চা সভাপতি অরূপ ধর সহ অন্যান্যরা।রথের আগে সুসজ্জিত দুইটি হাতি ও যুব মোর্চার কর্মীরা বাইক র্যালী করে রথ ৫৩-কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রের পাইতুরবাজার এলাকায় আসার পর দলীয় কর্মীরা রথ কে বরন করে নেন।পাইতুরবাজার এলাকায় রথে থেকে রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস ও সিপিআইএম দলের তীব্র সমালোচনা করেন।তিনি বলেন বিজেপি দল সব সময়ই বলে আসছে যে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম দলের মধ্যে মিতালি রয়েছে।তিনি বলেন কৈলাসহরের মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন। এটার প্রমান কৈলাসহরে আজকের রথযাএাকে কেন্দ্র করে যে পরিমান সাধারণ মানুষের উপস্থিত হয়েছেন তা থেকেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। পাইতুরবাজার এলাকায় রাজীব ভট্টাচার্য বক্তব্য শেষে রথ কৈলাসহর শহরের বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে সন্ধ্যায় পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে এসে এক প্রকাশ্য জনসভায় মিলিত হয়ে আজকের রথযাত্রার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-মোহনপুরে উদ্বোধন হলো আরডি সাব ডিভিশন এবং আর ডি মোহনপুর ডিভিশন অফিসের। ফলক উন্মোচন করে আনুষ্ঠানিকভাবে তার উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
দীর্ঘদিন যাবত মোহনপুর মহকুমা এলাকার আরডি দপ্তরের যে সমস্ত কাজ হতো তাতে টেন্ডার জমা দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের জন্য আগরতলা ছুটি হতো এলাকার মানুষকে। সে সমস্যা নিরসন করতেই মোহনপুর স্থাপন করা হলো আর ডি ডিভিশন এবং আরডি মোহনপুর সাব ডিভিশন কার্যালয়। মোহনপুর ব্লক কমপ্লেক্সের অস্থায়ীভাবে তার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন বিগত ৩৫ বছর সরকার যে ধরনের গতি নিয়ে কাজ করেছে তার সঙ্গে বর্তমান পাঁচ বছরের কোন তুলনাই হয় না। বর্তমান সরকার যেভাবে মানুষের জন্য কাজ করেছে তা নজিরবিহীন। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন সরকারি দপ্তর এবং কর্মচারী হচ্ছে উন্নয়নের চাবিকাঠি। কিন্তু উন্নয়ন বাস্তবায়ন হয় সকলের সহযোগিতায়। তাই দপ্তর স্থাপনের পাশাপাশি সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় সবার উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রী আরো বলেন পূর্বে মোহনপুরে আরডির সাব ডিভিশন এবং ডিভিশন অফিস ছিল না। বর্তমানে একসাথে ডিভিশন এবং সাব ডিভিশন অফিসের উদ্বোধন করা হয়েছে।এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আর ডি মোহনপুর ডিভিশনের মুখ্য বাস্তুকার প্রবীর মজুমদার,মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চ্যায়ারমেন রিনা দেবর্বমা,মোহনপুর পুর পরিষদের চ্যায়ারমেন অনিতা দেবনাথ,লেফুঙা বিএসি চ্যায়ারমেন রণবীর দেবর্বমা সহ আরও অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৬ জানুয়ারি ।। চড়িলামে ফের অশান্তির আগুন লাগানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বামগ্রেস। ভোটের মুখে জনবিচ্ছিন্ন কংগ্রেস সিপিএম শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির প্রচারসজ্জা নষ্ট করে দেয় । চড়িলাম মন্ডলের ১৬ নং বুথ উত্তরমুড়া এলাকায় পতাকা ব্যানার লাগিয়েছি বিজেপির কার্যকর্তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির পতাকা গুলি তুলে কৃষি জমিতে ফেলে দেয়। কিছু পতাকা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। শুক্রবার সকালে এ খবর চাউর হতেই তীব্র ক্ষোভ এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যান চড়িলাম মন্ডল সম্পাদক রিঙ্কু মিয়া, বুথ সভাপতি শ্যামল রায়, হরিপদ দেব সহ বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। মন্ডল এবং বুথ স্তরের কার্যকর্তারা গিয়ে উত্তেজিত স্থানীয় কার্যকর্তাদের শান্ত করেন। তারা বলেন এগুলো সিপিএমের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে কেউ পা দেবন না। গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে।
প্রতিনিধি,বিশালগড়, ৬ জানুয়ারি ।। বাম কংগ্রেসের অশুভ আঁতাত প্রত্যাখ্যান করছে সাধারণ মানুষ। কংগ্রেস সিপিএম কাছাকাছি আসতেই বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক লেগেছে। চড়িলামে প্রতিদিন সিপিএম কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে ভোটাররা। শুক্রবার চড়িলাম মন্ডলের ছেচরীমাই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন চড়িলামের বিধায়ক তথা উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। বিজেপি সিপাহীজলা জেলা সদস্য শ্যামল দেবনাথ, ছেচরীমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান প্রদীপ দেবনাথ, এলাকার অভিভাবক চিত্তরঞ্জন দেবনাথ। সভায় ২৬ পরিবারে ৭৪ জন ভোটার সিপিএম এবং কংগ্রেস দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাদের বরণ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। ভাষণে যীষ্ণু দেব বর্মন বলেন
বিজেপি কোন পার্টি নয়। বিজেপি একটি পরিবার। সবাই কার্যকর্তা। বিজেপিতে কোন পদ নেই। আছে দায়িত্ব। বিজেপিতে নতুন পুরনো বলতে কিছু নেই। যারা আজকে এসেছেন তাদের যেমন গুরুত্ব, পুরনোদের তেমনই গুরুত্ব। ছেচরিমাই গ্রামের উন্নয়ন শুধু একা প্রধান করতে পারবেনা। গ্রামের সবাইকে সক্রিয় ভাবে গ্রামের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। ছেচরিমাই গ্রামে প্রচুর কাজ হয়েছে। আরো হবে। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামকে শহরের রূপ দেওয়ার কাজ করবো
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৬ জানুয়ারি ।। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ঐতিহাসিক সম্মেলন করেছে বিশালগড় মহিলা মোর্চা। স্মরণাতীত কালে এমন সুবিশাল নারী জমায়েত বিশালগড়ে কোন রাজনৈতিক দল করতে পেরেছে কি-না জানা নেই। শুক্রবার দুপুরে বিশালগড় নবনির্মিত টাউন হলে কার্যত নারী শক্তির জাগরণ পরিলক্ষিত হয়। চেয়ারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে বসেই ভাষণ শুনেন উপস্থিত উজ্জীবিত নারী ব্রিগেড। ঐতিহাসিক মহিলা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, মহিলা মোর্চার প্রদেশ সভানেত্রী ঝর্না দেববর্মা, জেলা সভানেত্রী শান্তা দাস, বিশালগড় মণ্ডল সভানেত্রী পিংকি মন্ডল, সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিজেপির প্রদেশ সদস্য অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব, মন্ডলের প্রভারী অমল দেবনাথ প্রমুখ। বিশালগড় মন্ডলে প্রতি বুথে মহিলা মোর্চার শক্তিশালী সংগঠন গড়ে উঠেছে। ৬০ টি বুথ থেকে মহিলা মোর্চার কার্যকর্তারা উপস্থিত হয়ে সম্মেলনকে ঐতিহাসিক রূপ দেয়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন স্ব শক্ত মা এবং শক্তিশালী ভারত গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ রাজ্যে সাড়ে তিন লক্ষ মা বোন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। তাদের আর্থসামাজিক বিকাশের কাজ চলছে। মহিলাদের হাতে রোজগার এসেছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ, চিকিৎসার খরচ মেয়েরাই করে নিচ্ছে । তিনি বলেন করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কাউকে না খেয়ে মরতে হয়নি। বিনামূল্যে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে প্রধানমন্ত্রী। গনবন্টন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। কোথাও চাঁদাবাজি নেই, দলবাজি নেই। সিপিএম ক্ষমতায় থাকলে করোনা মহামারী পরিস্থিতিতেও তাদের চাঁদা দিতে হতো। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উন্নত ত্রিপুরা উপহার দিতে নারীশক্তিকে বড়ো ভূমিকা পালন করতে হবে। মহিলা মোর্চার প্রদেশ সভাপতি ঝর্ণা দেববর্মা বলেন বুথে নজর রাখুন। ষড়যন্ত্র চলছে। অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে নারী শক্তিকে গর্জে উঠতে হবে। বিজেপির বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন আজকের নারী শক্তির গর্জনে বিশালগড়ের সিপিএম বিধায়কের রাতের ঘুম উবে যাবে। বিশালগড়ে দশ হাজার ভোটে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে মুখ্য ভূমিকা নেবে নারী শক্তি।
বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জলিয়াতি করে নির্বাচনে জয়ী হতে হয়নি কারণ তখন ছিল বামফ্রন্ট সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে লোকসভা নির্বাচন পুর নির্বাচন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়না এমনকি নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ছাপ্পা ভোটে জয়ী হয়েছে, শুক্রবার খোয়াই বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয়ের মাঠে সৈরাচারী সরকার হঠাও ত্রিপুরা বাঁচাও স্লোগানকে কেন্দ্র করে বামপন্থী সংগঠনের DYFI SFI TYFI এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ধরনের সমালোচনা করেন । পাশাপাশী এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা,খোয়াই জেলা সম্পাদক রঞ্জিত দেববর্মা DYFI রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা সভায় অলোচনা করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন,১৮ নির্বাচনের আগে রাজ্যের মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি,কিন্তু সরকার গঠনের পর ৫৮ মাসে ত্রিপুরাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে চলেছে । ১৮ নির্বাচনের আগে ২৯৯ টি জোমলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বর্তমান সরকার । কিন্তু গত ৫৮ মাসে ২০ শতাংশ পূরণ করতে ব্যার্থ এই সরকার । এখন নির্বাচনের প্রকমুহুর্থে দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এনে নতুন ভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । শুধু ত্রিপুরাতেই নয় কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে সরকার চলছে তারও একই অবস্থা । দেশের যুবকদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বছরে ২ কোটি চাকরী দেওয়া হবে কিন্তু কোথায় ২ কোটি চাকরী,সেই হিসাবে ত্রিপুরাতে ও কয়েক হাজার চাকরী হবার কথা ছিলো কোথায় চাকরী । তিনি আরও বলেন বরং এই সরকার সারা দেশের মধ্যে বেকারদের বিরুদ্ধে যেখানে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে সে ক্ষেত্রে ত্রিপুরাতে এদেরই পরিচালিত সরকার বেকারদের স্বার্থ রক্ষা করবে স্বাভাবিক কথা কিন্তু কিসের কি, নির্বাচনের আগে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ঘরে ঘরে চাকরি বছরে ৫০ হাজার চাকরী,এই ৫৮ মাসে কত হাজার চাকরী হয়েছে । অন্যদিকে তিনি আরও বলেন গত নয় মাসের মধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরাবাসির উদ্যেশে চারবার বক্তব্য রেখেছেন দুবার দিল্লি থেকে,দুবার ত্রিপুরা থেকে শেষবার আগরতলায় বক্তব্য রেখেছেন,কিন্তু বেকারদের উদ্দেশ্যে কোন কথা বলেননি বরং ২০১৮ নির্বাচনের আগে যাদের বোকা বানিয়ে নির্বাচনে খাটিয়েছে তাদের জন্য অব্দি কোন কথা বলেননি নরেন্দ্র মোদী । পাশাপাশী আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রতারক বলেও আখ্যায়িত করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার । অন্যদিকে বিজেপির রথযাত্রা নিয়েও সমালোচনা করতে গিয়ে মানিক সরকার দেশের মন্ত্রী অমিত সাহাকেও প্রতারক বলে আখ্যায়িত করে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি । ১৮ নির্বাচনের আগে প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিল ক্ষমতায় আসলে ঘরে ঘরে চাকরী দেওয়া হবে অন্যদিকে ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকাদের মানবিক ভাবে ব্যাবস্থা করা হবে। আর এখন বলা হচ্ছে ,১০৩২৩ দের আমার চাকুরী দেই নি তাদের দায়ভার বর্তমান সরকারের না । বরং ন্যায্য দাবী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ সংগঠিত করা হচ্ছে,এটাই শেষ নয় গোটা রাজ্যে একই অবস্থা,বিরোধীদের বাড়িঘর ভাংচুর পার্টি অফিস ভাংচুর করা হচ্ছে সন্ত্রাস আর সন্ত্রাস এমন কি মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এই ভাবে চলতে দেওয়া যায় না । গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য সভা থেকেই যুবক বৃদ্ধ সবাইকে সঙ্গবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলার আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার । অন্যদিকে বামেদের এই সভায় পুলিশি নিরাপত্তা ছিল লক্ষণীয়