প্রতিনিধি মোহনপুর:- হেজা মারা ব্লকভিত্তিক স্বচ্ছতাই সেবখ এই কর্মসূচির সমাপ্তি হয় সোমবার। এদিন হেজামারা কমিউনিটি হলে এই সমাপ্তি অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন রাজ্য মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্বসহায়ক দলের স্টল, ফুড স্টল খোলা হয়েছিল। অনুষ্ঠান মঞ্চে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে পুরস্কার।
হেজামারা ব্লকভিত্তিক স্বচ্ছতাই সেবা এই কর্মসূচি উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং খেলার আয়োজন করা হয়েছিল ব্লক এলাকাতে। এতে যে সমস্ত বিদ্যালয়, শিক্ষার্থীরা বিজয়ী হয়েছে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে এই অনুষ্ঠান মঞ্চে। এদিন ফুড ফেস্টিবলের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বসহায়ক দলের স্টল খোলা হয়েছিল অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্টল গুলোর উদ্বোধন করেছেন অতিথিরা। এদিন রাজ্য মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন প্রত্যেকে নিজ নিজ জীবনে স্বচ্ছতার অভ্যাস তৈরি করার। পাশাপাশি হাট বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থানে স্বচ্ছতা বজায় রাখার উপর প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে টিটিএএডিসির ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা স্বচ্ছতা সম্পর্কে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেছেন। পরামর্শ দিয়েছেন স্বচ্ছ ভারত গড়ে তুলতে প্রত্যেকে নিজের বাড়ি থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করার। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেজামারা ব্লক বিইসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা, ব্লকের বিডিও সহ অন্যান্যরা।
ত্রিপুরা
ধর্মনগর প্রতিনিধি
ত্রিপুরার রাজ্যের মধ্যে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার জম্পুই পাহাড়কে রাজ্যের শৈল শহর বলা হয়। একসময়ে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের মধ্যে সুস্বাদু কমলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছিল এই শৈল শহর জম্পুই পাহাড়। কমলা উৎপাদনের সুনাম ছড়িয়ে পড়তেই সুস্বাদু কমলার স্বাদ্ নিতে কিংবা অনেকেই আবার কমলার বাগান দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক এই জম্পুই পাহাড়ে পরিযায়ী পাখির মতো কমলা মরশুমে ভিড় জমাতে । পর্যটকদের কাছে জম্পুই পাহাড়ের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য এক সময় কমলা চাষী ও ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় যাকযমক ভাবে কমলা উৎসবের আয়োজন করা হতো। কিন্তু সময়ের গতিতে কমলা উৎপাদন হ্রাস পায় জম্পুই পাহাড়ে।প্রকৃতি বিমুখ হওয়ার কারণে নব্বইয়ের দশক থেকে ক্রমশ জম্পুই এর কমলা বাগানে রোগ আক্রমনে ফলে কমলা উৎপাদন তলানিতে চলে যায়। রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানী এমনকি দেশ-বিদেশের বহু বিজ্ঞানীরা কমলা গাছের রোগ নির্ণয়ের জন্য বহু পর্যবেক্ষন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। কৃষি বিজ্ঞানীরা বার বার চেষ্টা করেও কমলা গাছের রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যার্থ হয়েছেন। বছরের পর বছর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর ও তারা বিফল হন। ফলে যত দিন গড়িয়েছে জম্পুই এর কমলা উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। সেই সাথে কমলা উৎপাদনকারী চাষীরা উৎসাহ হারিয়ে কমলা চাষ থেকে সরে যান। পরবর্তীতে চাষীরা কমলা চাষের বিকল্প হিসেবে আদা,সুপারি ও কফি উৎপাদন শুরু করেন। যার কারণে দেখা গেছে কমলা উৎপাদনকারী হিসেবে জম্পুই পাহাড়ের উজ্জ্বল সুনাম দেশের মান চিত্র থেকে প্রায় মুছে যায়।কিন্তু কিছু সংখ্যক জম্পুইয়ের কমলা চাষী কমলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে হাল ছাড়েননি। ফলে প্রতিবছরই দেখা গেছে জম্পুই পাহাড়ে কোন কোন গ্ৰামে কিছু কিছু কমলা বাগানে স্বল্প সংখ্যক কমলার ফলন হয়েছে।তাই দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরে কমলা উৎপাদনে জম্পুই পাহাড়ের এই সুনাম সারা দেশ এবং বিদেশের ছড়িয়ে পড়েছিল ।পর্যটকরা কমলা উৎপাদন না হলেও নভেম্বর ডিসেম্বর মাস থেকে জম্পুই পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোরম আবহাওয়া উপভোগ করতে ভীড় জমান এখনও। অবশেষে কমলা চাষীদের দুহাত তুলে আশির্বাদ দিল প্রকৃতি। চাষীদের বক্তব্য এই বছর ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ার ফলে প্রকৃতি কিছু টা জম্পুই পাহাড়ের কমলা চাষীদের প্রতি সদয় হয়েছে। ইতিমধ্যে জম্পুই পাহাড় ও পার্শ্ববর্তী শাখান পাহাড়ের কমলা চাষীদের কমলা বাজারজাত হতে শুরু করেছে।এখনো শীতের দেখা নেই।তবে শারদোৎসবের প্রাক্কালে শীতের মরশুমী সুমিষ্ট রসালো জম্পুই হিল এবং শাখান-শেরমুন পাহাড়ের বিখ্যাত কমলা এসে গেছে কাঞ্চনপুর বাজারে। শীতের মরশুমী ফল কমলা আগাম বাজাররত হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতারাও।কাঞ্চনপুর মহকুমা বাজারে ৪টি পাকা কমলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দামে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য এবছর জম্পুই হিল এবং শাখান শেরমুন পাহাড়ে কমলার ফলন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই চলতি বছরে আসন্ন শারদীয়া দুর্গোৎসব এবং ভ্রমনের মরশুমে রাজ্য ও বহিঃরাজ্য থেকে জম্পুই হিলে আসা পর্যটকদের সুস্বাদু কমলার চাহিদা পূরণে বাড়তি আনন্দ যোগাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দীর্ঘ দুই দশক যাবত জম্পুই পাহাড়ের কমলা না হলেও কাঞ্চনপুর মহকুমার শাকান পাহাড়ের উৎপাদিত কমলা লেবুর অনেকটা কমলার চাহিদা মিটিয়েছে । জম্পুই পাহাড়ের উৎপাদিত কমলা লেবুর তুলনায় শাকান পাহাড়ের উৎপাদিত কমলা লেবুর স্বাদ ততটা না হলেও কমলা লেবুর চাহিদার যোগান দিয়েছে সফল ভাবেই। কিন্তু চলতি বছর জম্পুই পাহাড়ের কমলা উৎপাদন বৃদ্ধি হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এদিকে এক সময় খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দুর্গম পাহাড়ে চড়াই উৎরাই সড়ক বেরিয়ে পর্যটকদের জম্পুই পাহাড়ে যেতে হতো। বর্তমানে জম্পুই পাহাড়ের পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য বিশাল সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের রাত্রি যাপনের জন্য সরকারী যাত্রী নিবাসের পাশাপাশি বর্তমানে অনেক বেসরকারি পর্যটন নিবাস গড়ে উঠেছে। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে জম্পুই পাহাড়ের সুস্বাদু কমলা নেবু স্বাদ্ ,পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরোগ আবহাওয়ার উপভোগ করে বাড়ি ফিরছেন সহজেই ।তাই বর্তমানে মৌসুমের শুরুতেই ভ্রমণ পিপাসু পর্যটরদের ভিড়ে উৎসবের মেজাজে সেজে উঠে রাজ্যের একমাত্র শৈল শহর জম্পুই পাহাড়।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৯ সেপ্টেম্বর।। স্বচ্ছতাই সেবা কার্যক্রমের অঙ্গ হিসাবে আবর্জনা মুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প নিলেন বিশালগড় পৌর পরিষদ। রবিবার বিশালগড় নতুন টাউন হলের সম্মুখে স্বচ্ছতাই সেবা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী সহ পৌর পরিষদের সকল কাউন্সিলর এবং স্থানীয় নাগরিকরা। এদিন অতিথি সহ উপস্থিত সকলে আবর্জনা মুক্ত সমাজ গড়ার শপথ গ্রহণ করেন। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ ভারত নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। দেশের সকল অংশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সারা দিয়ে স্বচ্ছ ভারত নির্মাণের অংশীদার হচ্ছেন। আজ তা সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ বলেন দেশের মানুষকে রোগমুক্ত রাখতে এই আবর্জনা মুক্ত ভারত গড়ার অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশালগড় শহরকে সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকল অংশের নাগরিকদের নিয়ে কাজ চলছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে ২রা অক্টোবর অব্দি সারা ভারতবর্ষে স্বচ্ছতা হি সেবা কর্মসূচি রূপায়িত হবে গোটা দেশ জুড়ে।সরকারি নির্দেশানুযায়ী ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই কর্মসূচি জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে।স্বচ্ছতা হি সেবা অভিযানের অধীনে পরিচ্ছন্নতার দিক নির্দেশনায় চন্ডিপুর বিধানসভার অন্তর্গত শ্রীরামপুর বাজার এলাকায় আজ প্রায় ঘন্টাখানেক উক্ত এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ সহ সমস্ত অংশের মানুষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।মূলত চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আজ শ্রীরামপুর বাজার এলাকায় এক সচেতনতা র্যালী ও স্বচ্ছতা অভিযান করা হয়। পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে এবং কোনো ধরনের নোংরা আবর্জনার কারনে যাতে কোনো রোগ ছড়িয়ে না পড়ে সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আজকের এই স্বচ্ছতা অভিযান অনুষ্ঠিত হয়।ছাত্র যুব ও এলাকাবাসী সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে এই স্বচ্ছতা অভিযানে যোগ দেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।স্বচ্ছতা অভিযান শেষে গণ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী শ্রী রায় জানান “স্বভাব স্বচ্ছতা,সংস্কার স্বচ্ছতা” এই মূল মন্ত্রকে সামনে রেখে স্বচ্ছতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতেই আজকের এই কর্মসূচী।আমাদের চারপাশের পরিবেশকে সুন্দর,পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর রাখা আমাদের কর্তব্য। পরিবেশ সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেই আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।তাই আমাদের চারপাশকে স্বচ্ছ রাখতে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।স্বচ্ছতার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা পাল দাস, জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার,সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসেনজিৎ মালাকার সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ২৮শে সেপ্টেম্বর। ঐতিহ্যবাহী কালীমন্দিরে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিল গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের তেলিয়ামুড়া শাখা। তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কালিটিলায় এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি কালী মন্দির রয়েছে। সব স্তরের মানুষেরই আস্তা এবং বিশ্বাস এই কালীমন্দির কে কেন্দ্র করে। স্থানীয় মানুষদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে, এলাকার সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে, কালী মন্দিরে একটি সাংস্কৃতিক সেড নির্মাণের জন্য এলাকার বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। স্থানীয় মানুষদের একটা অংশের অভিযোগ, নির্বাচিত কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দাস এবং মনোনীত কাউন্সিলর প্রদীপ ধরের পরিকল্পনায় সাংস্কৃতিক শেডের বদলে দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করে দেয়। ইতিমধ্যেই দোকান ভিত্তিক কাজ অনেক দূর এগিয়েও গেছে। স্থানীয় মানুষদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে দুই কাউন্সিলরের এহনো ভূমিকায় ক্ষোভ দেখা দে স্থানীয় পৌরবাসীদের মধ্যে। এদিকে এই বিতর্কিত বিষয়টির খবর পৌঁছে আরডি তেলিয়ামুড়া ডিভিশন অফিসে। দপ্তরের কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের 13 নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দাস জানান, কালীটিলা কালী মন্দিরের পরিচালন কমিটি রয়েছে, রয়েছে কালি টিলা গ্রাম উন্নয়ন কমিটিও। মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে উভয় কমিটির মতামত নিয়েই মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করাহয়েছে।মন্দিরের পরিচালনার জন্য, এবং মন্দিরের দৈনন্দিন উন্নয়নের জন্য খরচ চালানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন। মন্দিরের প্রণামী বাবদ যে অর্থ পাওয়া যায় তা দিয়ে দৈনন্দিন খরচ চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। বিকল্প আয় দিয়ে মন্দিরের উন্নয়ন এবং মন্দির পরিচালনার জন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনরকম ব্যক্তিগত ইচ্ছার কোন জায়গা নেই বলে জানান কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দাস।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রাজন্য আমলের মহাদেব দীঘিতে মাছের মড়ক । দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে গোটা মহাদেব দিঘী জুড়ে । উদয়পুর শহর লাগুয়া এই দীঘিতে মাছের চাষ করা হচ্ছে দীর্ঘ বছর ধরে। কিন্তু পুকুর সংস্কার অথবা সঠিকভাবে পরিচর্যা করার অভাব থাকার ফলে এভাবে মাছের মড়ক শুরু হয়েছে গত সাত থেকে আট দিন ধরে । এর ফলে দিঘির পশ্চিম পাড় দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষের মধ্যে এই দুর্গন্ধের কারণে এক খারাপ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে । কেন মাছের মড়ক শুরু হয়েছে উদয়পুর মহাদেব দিঘিতে এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি । সূত্রের দাবি , আগামী কিছুদিন পরে মহাদেব দীঘিতে মাছ ধরার জন্য মৎস্য প্রেমীদের মধ্যে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যেভাবে উদয়পুর মহাদেব দীঘিতে মাছের মড়ক শুরু হয়েছে তাতে করে কতটুকু লাভের মুখ দেখতে পারবে মৎস্য প্রেমীরা । এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । যেভাবে গোটা মহাদেব দীঘিতে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে প্লাস্টিকের বিভিন্ন বোতল ও জঙ্গলে পরিণত গোটা দীঘির চারদিক । কেন পুকুরকে সংস্কার করা হচ্ছে না ? তা নিয়ে কোন ধরনের হেলদুল নেই সমবায় সমিতির। এখন দেখার বিষয় যেভাবে মাছের মৃত্যু ঘটে চলেছে তাতে করে দূষিত হচ্ছে জল। গোটা দিঘির জলে ভাসমান অবস্থায় থাকা মৃত মাছকে কবে নাগাদ সরানো হয় পুকুরের জল থেকে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে উদয়পুর মহাদিঘীর দায়িত্বে থাকা সমিতির কাছে ।
প্রতিনিধি , সাব্রুম :- সাব্রুমের মনু-বনকুল ধর্মাদীপা বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছে। মৃত শিক্ষিকার নাম সপ্না চাকমা (৩২)। শিক্ষিকার বাড়ি কাঞ্চনপুরে। তিনি চাকরি সূত্রে মনু বনকুল ধর্মাদীপা স্কুলের পাশে নব ত্রিপুরার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেই বাড়িতেই রবিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও অনেকটা রহস্যজনক অবস্থায় দেহটি মেঝের উপর হাঁটু গেড়ে বসানো অবস্থায় ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ। মৃতদেহ উদ্ধারের পর একাংশ এটিকে পরিকল্পিত খুন বলে মনে করছেন। খবর পেয়ে মনু-বনকুল আউট পোস্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক টিম নিয়ে আসে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাব্রুম মহকুমা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সূত্রটি দাবি করছে , ফাঁসিতে আত্মহত্যার পর মৃতদেহ ভারী হয়ে মেঝের উপর নেমে গিয়েছিল। পুলিশের ধারণা এই আত্মহত্যা খুবই সন্দেহজনক । তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে পুলিশের বিবরণ। পুলিশ আপাতত এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ভাড়া বাড়িতে ঘরের মধ্যে সুন্দরী স্কুল শিক্ষিকার ফাঁসিতে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে পুরো মনু-বনকুল জুড়ে চাঞ্চল্য রয়েছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কে বা কারা গতকাল গভীর রাতে চা বাগান ধ্বংস করে ফেলায় শনিবার সকাল থেকে কৈলাসহর থানার অধীনে জগন্নাথপুর চা বাগান এলাকায় পৃথক পৃথক দুটি স্থানে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যাচ্ছে বাগান শ্রমিকরা।বাগান শ্রমিকদের অভিযোগ শুক্রবার গভীর রাতে জগন্নাথপুর চা বাগান এলাকায় ১ নং সেকশন,৬ নং সেকশন,১২ নং সেকশন ও ১৩ নং সেকশন এই চারটি সেকশনের চা পাতা গাছ কেটে ফেলে দুষ্কৃতীরা।শুধু তাই নয় বড় বড় গর্ত করে রাখে এই চারটি সেকশনের প্রবেশ মুখে।পাশাপাশি ১২ নং সেকশনে প্রবেশ করার মূল লোহার দরজাটি জেসিবির মাধ্যমে ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতিকারীরা বলে বাগান শ্রমিকদের অভিযোগ। তবে জানা যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কৈলাসহর থানার বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। যদিও কোন প্রশাসনে আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়নি খবর লেখা অব্দি।বাগান শ্রমিকদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ওরা পথ অবরোধ জারি রাখবে।এর আগেও জগন্নাথপুর চা বাগান এলাকায় চাপাতা গাছ দুষ্কৃতীকারীরা রাতের আধারে কেটে ফেলেছিল বলেও বাগান শ্রমিকরা জানায়,।এই বাগানে কৈলাসহর মহকুমার আরোও চারটি বাগানের শ্রমিকরা এসে কাজ করে বলে জানা যায়।শনিবার এই চারটি বাগানের শ্রমিকরাও জগন্নাথপুর চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে পথ অবরোধে সামিল হয়।এ দিনের এই পথ অবরোধে শতশত বাগান শ্রমিকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।এই পথ অবরোধ করার ফলে রাস্তার দু’পাশে আটকে পড়ে বহু যানবাহন ও পথচারীরা পথচারীরা।যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। শুক্রবার অর্থাৎ বিশ্ব যোগা দিবসে গাড়িচালকদের নিয়ে হাফলং এর চিন্তা লোহার ভবনে একদিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি মনোধন হরিদাস, জেলা সভাপতি শিবু পাল সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গাড়িচালক সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদকরা ও বিভিন্ন পদাধিকারীরা। আজকের এই সম্মেলনে রাজ্য সভাপতি মনোধন হরিদাস বলেন এই সংগঠন ভারতের 17 টি রাজ্যে রয়েছে। ১৯১২ সালে পাঞ্জাব এই সংগঠনের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন হয়েছিল। এখন রাজ্যের আটটি জেলাতেই এই সংগঠন রয়েছে। মোট ১৭ দফা দাবি নিয়ে এই সংগঠন শুরু করে। তবে চার দফা দাবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনেকটা শিরার মত যেভাবে শরীরে শিরা গুলি ছড়িয়ে থাকে এইভাবে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা গুলি ছড়িয়ে রয়েছে এবং রাস্তাতে এই সংগঠনের সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। তাই তাদের দাবি কোন ধরনের দুর্ঘটনার স্বীকার হলে এই সংগঠনের লোকেদের সরকারের পক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি কোন কারণে কোন সদস্য আহত হয় তবে তাকে দশ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। তাছাড়া তাদের দাবি গুলি রাজ্যের যোগাযোগমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায় সংবাদমাধ্যমের। যারা চালকদের সাথে যুক্ত অথচ চালকদের উন্নতির কথা ভাবেনা তাদেরকে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের কে চিহ্নিত করে বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দেশে এবং রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দিবসকে পালন করা হয় মহা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে কিন্তু চালকদের জন্য একটি দিবসকে নির্দিষ্ট করতে হবে। মানসিক সামাজিক এবং সমাজের আস্তিক উন্নতির কথা ভেবে সংগঠনের লোকেদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা যেন দেওয়া হয় তার প্রতি দেশ তথা রাজ্যের মানুষের মনোযোগ থাকা বাঞ্ছনীয় বলে বর্ণনা করেন। কারণ তারাও সমাজের একটা অংশ কিন্তু তাদেরকে সঠিকভাবে বিচার করা হয় না। আবার তারা ছাড়া কোন ধরনের উদ্ভাবনী বা উন্নতির কথা চিন্তাও করা যায় না। তাই তাদের কথা চিন্তা করে সামাজিক মনোবৃত্তি ঠিক করা দরকার বলে তিনি বর্ণনা করেন।
প্রতিনিধি , উদয়পুর : বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের জেরে বসতঘর পুড়ে ছাই এক ব্যক্তির । ঘটনা কাকড়াবন উত্তর তুলামুড়ায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , বৃহস্পতিবার রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ হঠাৎ করে বিদ্যুতের মিটার থেকে আগুনের ঝলকানি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বসতঘরে । কিছু বুঝার আগেই বাড়ির অন্যান্য সদস্য দেখতে পায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে । জানা যায়, বসতঘরের মালিক জয়লাল উদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ঈদের নিমন্ত্রণে । এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রীতিমত হতবাক হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন। পরে বাড়ির সদস্যরা মোটরের জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষণে বসতঘরের পাশে থাকা একটা ছোট্ট ঘরেও আগুন ধরে যায়। সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় বসতঘরের আসবাবপত্র । এছাড়া ঈদের সময় গরু বিক্রির আশি হাজার টাকা ঘরে রাখা তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায় আগুনের গ্রাসে । পরবর্তী সময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা মোটর এবং জমানো জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে । অন্যদিকে খবর দেওয়া হয় কাঁকরাবন অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে । দমকল বাহিনীর কর্মীরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়ার আগেই সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় । পরবর্তী সময়ে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছোট ঘরটি বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান বাড়ির সদস্যরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার উপর । রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন রাখেন অগ্নিকাণ্ডের জেরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে অসহায় গরীব মানুষটিকে যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সরকার তার আবেদন রাখেন পরিবারের সকল সদস্যরা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে উত্তর তুলামুড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ।