ধর্মনগর প্রতিনিধি। হেলাল উদ্দিন বয়স ত্রিশ বছর পিতার নাম বাবুল মিয়া বাড়ি ভাগ্যপুর তাকে ২ কেইস ব্রাউন সহ আটক করা হয়। তাকে আটক করা হয় সোনারুবাসা বন বাড়ি এলাকা থেকে। বাইকে সিটের নিচে এই দুই কেস ব্রাউন সুগার ছিল বলে জানা গেছে। যে বাইকটি আটক করা হয়েছে তার নাম্বার টি আর০২ সি ৭৩ ৮৩। যার বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে ধর্মনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর বিশ্বাস সাহা জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা রিজু করা হয়েছে।
অপরাধ
ধর্মনগর থেকে শিলচরগামী আন্তঃরাজ্য বাস থেকে পাঁচ যাত্রী সহ গাঁজা আটক চুরাইবাড়িতে
ধর্মনগর প্রতিনিধি, :—- ধর্মনগর থেকে শিলচরগামী আন্তঃরাজ্য বাস থেকে পাঁচ যাত্রী সহ গাঁজা আটক চুরাইবাড়িতে।বেশ কিছু দিন যাবৎ যাত্রী সেজে গাঁজা পাচার বন্ধ থাকার পর ফের আজ মঙ্গলবার বিকেলে ধরা পড়লো বিহারের পাঁচ পাচারকারী যাত্রী। জানা যায়,আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ধর্মনগর থেকে শিলচরগামী AS11BC-0462 নম্বরের একটি বাস ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়ি থানার সন্মুখে আসতেই ওসি সমরেশ দাসের নেতৃত্বে পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালায়। তখন গাড়িতে থাকা বিহারের পাঁচ যাত্রীর শরীরে থাকা ছোট ছোট বিভিন্ন আকারের পেকেট জব্দ করা হয়।আটক সাত কেজি গাঁজার কালোবাজারি মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা বলে জানান ওসি।
এদিকে,ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে একজন মহিলা যার নাম শিবানী রানী(২৪),অপর চার জন পুরুষের নাম ভুল্লু শিং (২৮)(পিতা দেবেন শিং),অমর নাথ(৩৫)(পিতা দূর্গা পাশোয়া),সত্যরঞ্জন গইন(৪৩)(পিতা ঈশ্বর শুভঙ্কর গইন) ও ভুল্লু কুমার (২৯)(পিতা নিবোরা রাই) প্রমূখ। ধৃতদের সকলের বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ এনডিপিএস আইনে একটি মামলা রুজু করেছে এবং রাতেই মহিলাকে ধর্মনগর মহিলা থানায় প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে ধৃত চার পুরুষ পাচারকারীকে আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান ওসি।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- দুর্গা প্রসন্ন দেব খুন কাণ্ডে মোহনপুরের ডিএম কলোনি এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। রবিবার বিকেলে নমিতা সরকারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যদিও কোন কিছু উদ্ধার এবং গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
উষা বাজারের দুর্গা প্রসন্ন দেব খুন কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রাজু বর্মন। বেশ কিছু অভিযুক্ত ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হলেও রাজু বর্মন এখনো অধরা। ইতিপূর্বে উষা বাজার এবং রাধানগর এলাকায় তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। রবিবার সিধাই থানার অন্তর্গত ডিএম কলোনি এলাকায় রাজু বর্মনের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করা নমিতা সরকারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। যদিও এই সময় নমিতা সরকার বাড়িতে ছিলেন না। এদিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এনসিসির এসডিপিও এবং সিধাই থানার পুলিশ নমিতা সরকারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। পাশাপাশি বাড়ির লোকেদের কেউ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে কি কারণে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান সেই বিষয়ে মুখ খুলেনি তদন্তকারী পুলিশ।
একই রাতে ত্রিপুরা অসম দুই রাজ্যের চুরাইবাড়ি পুলিশকে ধূলো দিয়ে গাঁজা ও ফেন্সি পাচার অব্যাহত।
ধর্মনগর প্রতিনিধি , ২৬ মে :—–ত্রিপুরা অসম মিলে দুই চুরাইবাড়ি পুলিশের চোঁখে ধুলো দিয়ে গাঁজা ও ফেনসিডিল পাচার অব্যাহত।ত্রিপুরার সবকটি পুলিশের নাকা পয়েন্ট সহ অসমের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের নাকা পেরিয়ে এবার গাঁজা ধরা পড়লো বারইগ্রামে।জানা গেছে,অসমের করিমগঞ্জ জেলার বরাইগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা BR-02AA-8561 নম্বরের একটি লরি থেকে শনিবার রাতে চৌদ্দ প্যাকেট শুকনো গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় স্হানীয় থানার পুলিশ।এতে মোট ১৪৩ কেজি,২৫৫ গ্রাম শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়।যার আনুমানিক কালোবাজারি মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা।বারইগ্রাম পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরা থেকে আসা করিমগঞ্জ অভিমুখী আসাম-আগরতলা আট নং জাতীয় সড়কে একটি খালি লরিকে ধাওয়া করে একটি অজ্ঞাত অল্টো গাড়ি।ঠিক বারইগ্রাম এলাকায় এসে অল্টো গাড়িটি লরিটির সামনে এসে গাড়িটিকে আটক করে।ততক্ষণে পথচলতি জনগণ এগিয়ে আসলে অল্টো গাড়িটি পালিয়ে যায়। একইভাবে অসম সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে আমবাসা পুলিশের হাতে আটক বিপুল পরিমাণ নেশার সিরাপ। ত্রিপুরার চুরাইবাড়ি সীমান্ত পেরিয়ে ধলাই জেলার বেতবাগান নাকা পয়েন্টে HR38R-9541 নম্বরের বারো চাকার লরি আসতেই ওসি গুরুপদ দেবনাথ গাড়িটি আটক করে তল্লাশি করেন।এরপরই গাড়িতে থাকা এই বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।ষাট কার্টুনে মোট ছয় হাজার ফেন্সি যার কালো বাজারিমূল্য প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা। এই অভিযানে আমবাসা পুলিশ ছাড়াও টিএসআর ও বিএসএফ জোয়ানরা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও এখবর পেয়ে ধলাই জেলা পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই ছুটে আসেন। উল্লেখ্য,ত্রিপুরার একাধিক থানার পুলিশ সহ অসম ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের চিরুনি তল্লাশি সম্পন্ন নাকা পয়েন্ট পেরিয়ে এলো এনিয়ে পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তথ্যবিজ্ঞ মহল।তাহলে কি ত্রিপুরার জাতীয় সড়কের পাশে থাকা থানা গুলি ও অসমের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টের পুলিশকে ম্যানেজ করে গাঁজা বোঝাই লরিটি অসমে প্রবেশ করেছে।তাই বলে কি সম্প্রতি কালে নেশা বিরোধী অভিযান থেকে হাত পা গুটিয়ে নিয়েছে ত্রিপুরা ও অসমের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের পুলিশ?প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। প্রশ্ন উঠেছে ত্রিপুরা চুরাইবাড়ি থানার ওসি সমরেশ দাসের বিরুদ্ধেও। তিনিও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় মরিয়া।কি করে শনিবার একই রাতে দুই দুইটি নেশা বোঝাই লরি রাজ্যে প্রবেশ করলো ও রাজ্য থেকে বেরিয়ে গেলো।
নিজস্ব প্রতিনিধি , আগরতলা :-প্রতিদিন আগরতলা রেল স্টেশনে গাঁজা থেকে শুরু করে বাংলাদেশি নাগরিকরা পাড়ি জমাচ্ছে বহি:রাজ্য। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আগরতলা রেলস্টেশনে প্রতিনিয়ত তল্লাশি চালানোর ফলে রেল স্টেশনে থাকা জিআরপি থানার পুলিশ প্রতিনিয়ত সাফল্যের মুখ দেখতে পাচ্ছে । এবার শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০:৪৫ মিনিট নাগাদ এক মহিলা ও এক পুরুষের কাছ থেকে উদ্ধার হয় নাইন এম এম পিস্তল। সেই সাথে উদ্ধার করা হয় খালি দুইটি ম্যাগজিন , দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ইত্যাদি । এই নিয়ে আগরতলা জিআরপি থানায় একটি মামলা নেওয়া হয় অস্ত্র আইনে । শনিবার আদালতে তাদের পুলিশ রিমান্ডে চেয়ে সোপর্দ করা হবে । জানা গিয়েছে প্রিয়া দেববর্মা এবং করণ দেববর্মা নামে এই দুইজন যুবক-যুবতীর বাড়ি ত্রিপুরার খোয়াই ।
ধর্মনগর শহরে কিছু অসচেতন জনগণের কার্যকলাপের ফল ভোগ করছে নিষ্পাপ গবাদি পশুরা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। যান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত একটি গরু। ২৩শে মে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাসদর ধর্মনগর শহরে কালী দীঘীর পাড় এলাকায় একটি গাড়ীর ধাক্কায় গুরুতর আহত আহত হয় একটি গরু। যানা যায় AS01EN6430 নম্বরের একটি গাড়ী বাজার কলকাতা রোড থেকে কালীবাড়ী রোডের দিকে আসছিল। কালী দীঘীর পাড় এলাকায় আসার পর দ্রুত গতিতে রাস্তার মাঝে থাকা একটি গরুকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে গরুটি গুরুতর আহত হয়। এটি দেখে স্থানীয় জনসাধারণ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আহত গরুটি বার বার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে তা ব্যার্থ হয়। গরুটি দাড়াতে না পারায় স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ধারণা করে গরুটির পেছনের দুটি পা ভেঙে গেছে। এরপর পশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে খবর দিলে ডাক্তার ঘটনাস্থলে এসে গরুটির প্রাথমিক চিকিৎসা করে। এরপর স্থানীয় জনসাধারণের সাহায্যে গরুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও গরু মালিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য ধর্মনগর পুর পরিষদের পক্ষ থেকে পূর্বে একাধিকবার গরু মালিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল যে শহরের মধ্যে যাতে এভাবে যেখানে সেখানে গরু ছেড়ে না দেওয়া হয়। নাহলে পুর পরিষদ এবিষয়ে জরিমানা সহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেই মোতাবেক কিছু গরু মালিকদের উপর জরিমানা করা হলে শহরে যেখানে সেখানে গরু ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা কিছুটা হ্রাস পয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে পুর পরিষদের এই আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিছু গরু মালিক তাদের গরু শহরের যেখানে সেখানে ছেড়ে দিচ্ছে। অপরদিকে শহরে কিছু সংখ্যক যানচালক দ্রুত গতিতে শহরের বিভিন্ন পথে বাইক গাড়ী নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে। যারফলে যান দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে শহরে। সেই সাথে গোরক্ষা বাহিনীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। ফর স্বরূপ শহরের কিছু সংখ্যক যানচালকের দ্রুত গতিতে বাইক গাড়ী চালানো ও কিছু সংখ্যক অসচেতন গরু মালিকদের কার্যকলাপের ফল ভোগ করতে হচ্ছে নিষ্পাপ গবাদি পশুদের।
মেলা মানেই জুয়া। আর জুয়ার জন্যই মেলার আয়োজন। খোয়াই শহর কিংবা গ্রামাঞ্চলে এত মেলার আয়োজন আর কখনোই ঘটেনি। ইতিমধ্যে খোয়াই শহর ও তার আশপাশ এলাকা গুলোতে ৫০ এরও বেশি মেলা আয়োজিত হয়েছে। এখনো প্রতিদিন কোন না কোন জায়গায় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদ্যোক্তারা উপরী কামাইয়ের জন্যই এই ধরনের মেলার আয়োজন করে চলেছে। বুধবার খোয়াই থানাধিন চেবড়ি বাজারে আয়োজিত হয় এক চড়ক মেলা। আর এই মেলার আড়ালে বসে জান্ডি মুন্ডা নামক জুয়ার আসর। লক্ষ লক্ষ টাকা উড়ছে এই জুয়ার আসর গুলোতে। জোয়ার খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ প্রশাসন সবকিছু জেনেও না জানার ভান করছে। খোয়াই হচ্ছে সংস্কৃতির শহর। এখানে অনেক নাট্যকার, সংগীত শিল্পী, কত্থক শিল্পী, ও নৃত্য শিল্পীর জন্ম হয়েছে। সমগ্র রাজ্য এবং বহি:রাজ্যে খোয়াই এর বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে জোয়ার দৌলতে সংস্কৃতির শহর খোয়াইয়ের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন অচিরে এই ধরনের জুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব পোষণ না করলে খোয়াই এর গরিমা যে ম্লান হবে তা বলাই বাহুল্য।
পূর্বের সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে আচমকা বাড়িতে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক যুবককে প্রাণে মারার চেষ্টা। শুধু তাই নয় ধারালোঅস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে সেই যুবকের চিৎকারে তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে ঘাতকের হাতে আক্রান্ত হয় সেই গৃহবধূ রিতা আক্তার। বর্তমানে হাঁপানিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা সেরে অভিযুক্ত বুরখান উদ্দিনের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করে। ঘটনা কমলাসাগর বিধানসভার মিয়াপাড়া এলাকায়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ দীর্ঘদিন পূর্বে একটি জলের পাম্প মেশিন ওই এলাকা থেকে চুরি হয়ে যায়।যদিও সেই ঘটনা অনেক পূর্বেই মীমাংস হয়ে যায়। কিন্তু সেই রেশ টেনে মিয়াপাড়া এলাকার বোরখান উদ্দিন মঙ্গলবার বিকাল নাগাদ ওই এলাকারই অসহায় দিনমজুর কামাল হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে।ঐ সময় কামাল হোসেন বাড়িতেই ছিল। সামান্য কথা কাটাকাটি হতেই বোরখান উদ্দিন তার পকেট থেকে ধারালো একটি ছুরি নিয়ে তার পেটের মধ্যে আঘাত করার চেষ্টা করে।কিন্তু কামাল হোসেন সেখান থেকে কোনো রকমে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু হাত দিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করলে তার হাতের মধ্যে লেগে পুরোপুরি কেটে যায়। জানা যায় তার হাতের মধ্যে চারটি সেলাই লেগেছে। সেই কামাল হোসেনের চিৎকারে তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে সেই মহিলাও তার আক্রমণের হাত থেকে থেকে রক্ষা পায়নি। জানাযায় সেই গৃহবধূ রিতা আক্তারকে পেটে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে এমনকি মাটিতে ফেলে প্রচন্ড ভাবে মারধোর করে।পরবর্তী সময়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাঁপানিয়া হাসপাতালে সেখান থেকে চিকিৎসা সেরে মধুপুর থানায় অভিযুক্ত বোরখান উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। জানা যায় ঐ এলাকার গরু চুরির ত্রাস হিসেবে পরিচিত বুরখান উদ্দিন। তার যন্ত্রণায় এলাকার জনগণ অতিষ্ঠ। বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু চুরি করে নিয়ে এসে বাংলাদেশে পার করা তার মুখ্য কাজ। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় গরু চুরির মামলা রয়েছে। তাই অসহায় পরিবার মধুপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি রাখছে। এখন দেখার বিষয় মধুপুর থানার পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে অভিযুক্ত বোরখান উদ্দিনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যদিও পরিবারটি অসহায় অবস্থায় হয়ে থানার প্রতি আকুল আবেদন রাখলেন অভিযুক্ত বোরখান উদ্দিনের কঠোর শাস্তি।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-কাঁকরাবন থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মদের স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠেছে । এবার আমতলী এলাকার বাসিন্দা তথা দেশি মদ বিক্রেতা আমির হোসেন এর বাড়িতে গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কাঁকরাবন থানার পুলিশ প্রায় ৩০০ লিটার দেশি মদ বাজেয়াপ্ত করে । পুলিশ জানাই বাজেয়াপ্ত দেশি মদের বাজার মূল্য ৩০,০০০ টাকা হবে। দীর্ঘদিন ধরে আমির হোসেন কাকড়াবনের বিভিন্ন জায়গায় এবং উদয়পুর সহ মাতারবাড়ি এলাকায় মদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল । কিন্তু সোমবার দুপুরে তার বাড়ি থেকে এই মদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ সেই সাথে মদ বিক্রেতা আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । যেভাবে মদের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল আমির । তাতে করে তার বাড়িতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গার মানুষ মদের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দেশি মদ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে পাচার করে নিয়ে যেত। এর ফলে সর্বস্বান্ত হয়েছে যুবসমাজ। আমির হোসেনকে গ্রেফতার করার ফলে গ্রামের মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে আসে ।
পুলিশ ব্রাউন সুগার সহ পাঁচজন যুবককে গ্রেফতার করে আগরতলা গান্ধীগ্রাম স্কুল এলাকা থেকে ।
নিজস্ব প্রতিনিধি , আগরতলা : গতকাল সন্ধ্যা রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের কাছে খবর আসে, তান্না কর চৌধুরীর নেতৃত্বে গান্ধী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ব্রাউন সুগার বিক্রি করছে। সেখানে হানা দিয়ে তান্না কর চৌধুরী সহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এবং আরেকটি সংবাদের ভিত্তিতে মহিলা কলেজের সামনে থেকে আরো দুজনকে মোট পাঁচজনকে আটক করে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে
চৌদ্দগ্রাম ব্রাউন সুগার, পাশাপাশি ৩৬০ টি কৌটা এবং নগদ ২৫ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি দুটি বাইক ও একটি স্কুটি এবং পাঁচটি মোবাইলও আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে এন ডি পি এস এক্টে মামলা নিয়ে আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে জানান পূর্ব আগরতলা থানার ওসি সঞ্জিত সেন। তিনি আরো জানান আটকৃত ব্রাউন সুগারের মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার মত হবে। প্রসঙ্গত তান্না কর চৌধুরীর নামে ইতিমধ্যেই পূর্ব আগরতলা থানায় ছটি কেস নথিভুক্ত আছে। যার ভিতর দুটি ডাকাতির এবং চারটি এনডিপিএস মামলা।