প্রতিনিধি ধর্মনগর।
উত্তর জেলার পুলিস সুপারের চেয়ারে বসেই একের পর এক নেশা বিরোধী অভিযান সংঘটিত করে মাদক পাচারকারীদের মধ্যে কম্পন ধরালেন ভানুপদ চক্রবর্তী। এককথায় নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন খোদ পুলিস সুপার। অনুরুপ পুলিস সুপারের কাছে গোপন খবর ছিল রাজ্য থেকে বহিঃ রাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে শুকনো গাঁজা নিয়ে যাওয়া হবে। সেই খবরের উপর ভিত্তি করে শনিবার গভীর রাতে পুলিস সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী , মহকুমার পুলিশ অধিকারিক দেবাশীষ সাহা ও চুড়াইবাড়ি থানার ওসি হরেন্দ্র দেববর্মা চুরাইবাড়ি থানার সামনের নাকা পয়েন্টে যানবাহন তল্লাশি চলাকালীন সময় TR01Z1945 নম্বরের একটি বারো চাকার লরি দাঁড় করায় স্হানীয় থানার পুলিস। তারপর সেই লরিতে তল্লাশি চালিয়ে লরির ভিতর থেকে ছোট ছোট ৫০ প্যাকেটে অনুমানিক মোট ২৫০ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে পুলিস। সাথে আটক করা হয় লরি চালক আব্দুল রহমান (৩০)। বাড়ি গোমতী জেলার উদয়পুর রাজধনগর কাকরাবন থানা এলাকায় বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুলিস সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন,উনার কাছে গোপন খবর ছিল।আর সেই খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালালে উঠে আসে এই সাফল্য। উদ্ধারকৃত গাঁজার কালোবাজারি মূল আনুমানিক ৩৭লক্ষ ৫০০০০ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত গাঁজা গুলি আগরতলা থেকে বহিঃ রাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।স্হানীয় থানার পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এই পাচারকান্ডে কারা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি পুলিশ রিমান্ড চেয়ে ধৃত চালককে ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানা গেছে।
এক নেশা বিরোধী অভিযান সংঘটিত করে মাদক পাচারকারীদের মধ্যে কম্পন ধরালেন ভানুপদ চক্রবর্তী।
126