২০০২ সালের গুজরাতের পরে ২০২৩-এর মণিপুর। নরেন্দ্র মোদীর পরে এন বীরেন সিংহ। গোষ্ঠীহিংসা রুখতে ব্যর্থতায় অভিযুক্ত আরও এক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর মতো শুধু একপক্ষ নয়, বীরেনের ‘ভূমিকা’ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে কুকি, জ়োর মতো খ্রিস্টান জনজাতি গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি হিন্দু মেইতেইরাও।কুকি-সহ জনজাতি গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ, গত এক মাসের গোষ্ঠীহিংসার সময়ে বীরেনের সরকারের আচরণ পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট। জনজাতি অধ্যুষিত পাহাড় অঞ্চলগুলিতে নিরাপত্তার বিষয়টি মণিপুর সরকার অবহেলা করেছে বলে অভিযোগ তুলে ওই অঞ্চলে ‘পৃথক প্রশাসনের’ দাবি তুলেছে তারা। অন্য দিকে, রাজধানী ইম্ফল-সহ সমতল এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানো কুকি জঙ্গিদের মোকাবিলায় সময়োচিত পদক্ষেপ করা হয়নি।এই পরিস্থিতিতে বীরেনকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হতে পারে বলে ধীরে ধীরে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মণিপুর সফরের সময়েও বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক রঘুমনি সিংহ-সহ পরিষদীয় দলের অনেক সদস্যই বীরেনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন দলের অন্দরে।
‘হিংসা ঠেকাতে সক্রিয়তা দেখাননি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন’! অভিযোগ ‘ঘরে-বাইরে’
by admin
written by admin
125
previous post