সরকার বদলের পরেও কি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে? গত ১৩ মে বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পরেই প্রশ্ন উঠেছিল কর্নাটকে। বুধবার সে রাজ্যের নতুন কংগ্রেস সরকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছে।কর্নাটকের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি পরমেশ্বর বুধবার বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারের আমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার যে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়টি এখন বিচারাধীন। আমরা এ সংক্রান্ত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখব।’’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কর্নাটকের উদুপিতে একটি প্রি-ইউনিভার্সিটিতে কয়েক জন হিজাব পরিহিত পড়ুয়াকে ক্লাসে বসতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভট্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, হিজাব পরিহিতরা ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না। সেই বিতর্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য জুড়ে। হিজাবের পাল্টা হিসেবে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আন্দোলন শুরু করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
কয়েকটি জায়গায় হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি হয়ে পড়েন। পুলিশের সঙ্গেও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সমস্ত স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি কর্নাটক সরকারের শিক্ষা দফতর এ বিষয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। ঘোষণা করা হয়, কমিটি নির্দিষ্ট সুপারিশ করার আগে পর্যন্ত ছাত্রীরা কেবলমাত্র ইউনিফর্ম পরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে পারবেন। হিজাব বা গেরুয়া উত্তরীয়— কিছুই পরার অনুমতি নেই।