প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৪ জানুয়ারি।। কংগ্রেস সিপিএমের আনুষ্ঠানিক আঁতাত প্রক্রিয়া শুরু হতেই ভূমিকম্প শুরু হয়েছে বাম শিবিরে। দীর্ঘদিনের বাম সমর্থকরা একরাশ ঘৃণা জানিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছে। শনিবার বিশালগড় এবং গোলাঘাটি বিধানসভায় ১৫৪ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। দলত্যাগীদের মধ্যে সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সহ দীর্ঘদিনের বামপন্থী রয়েছে। এদিন বিশালগড় বিধানসভার অফিসটিলায় ৪১ নম্বর বুথ অফিস উদ্বোধন করে বিজেপি। এরপর তথাকথিত লালদুর্গ অফিসটিলা কালীবাড়ি মাঠে হয় সভা। সেখানে দীর্ঘদিনের সিপিএমের সমর্থিত ১৩৮ ভোটার বিজেপিতে যোগ দেন। নবাগতদের গেরুয়া পতাকা দিয়ে বরণ করেন বিজেপির বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ভাষণে মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন সিপিএম কংগ্রেসের সুবিধাবাদী জোট এ রাজ্যের মানুষ মেনে নেবে না। তেইশের নির্বাচনে ত্রিপুরায় পশ্চিমবঙ্গের পুনরাবৃত্তি হবে। তাই এ রাজ্যের উন্নয়ন এবং শান্তি সম্প্রীতি অটুট রাখতে বিজেপির পতাকাতলে আসার জন্য বিশালগড়বাসীর কাছে আবেদন জানান তিনি। অপরদিকে গোলাঘাটি বিধানসভার পাথালিয়া বাড়ি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএমের প্রধান সত্যবান কর যোগ দেন বিজেপিতে। সঙ্গে ষোল ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গোলাঘাটি মন্ডল সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত দাস সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের বরণ করেন। দলবদলকারী প্রাক্তন প্রধান ছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক। পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলিয়েছিলেন নিষ্ঠার সঙ্গে। তিনি দলবদল করে জানান, গরিব মেহনতী মানুষের জন্য লড়াই সংগ্রাম করার কথা ছিল সিপিএমের। মানুষের স্বার্থে কাজ করতে ক্ষমতার দরকার হয়না। কিন্তু আজ শুধু ক্ষমতার লোভে নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে সিপিএম। কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গে বামেদের জোট মানা যায় না। তাই রাষ্ট্র এবং নাগরিকদের কল্যাণের স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দেন বলে তিনি জানান। মন্ডল সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত দাস বলেন এই প্রবীন অভিজ্ঞ মানুষদের আশীর্বাদ নিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে তেইশে বিধানসভা বাম কংগ্রেস শুন্য করার কাজ করবো।
115
previous post