Home » যান দুর্ঘটনায় নিহত সঞ্জয় দেব চাকমার মরদেহ ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে গন্ডাছড়া নিয়ে আসা হয়।

যান দুর্ঘটনায় নিহত সঞ্জয় দেব চাকমার মরদেহ ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে গন্ডাছড়া নিয়ে আসা হয়।

by admin

প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১৪ জানুয়ারি:- যান দুর্ঘটনায় নিহত সঞ্জয় দেব চাকমার মরদেহ ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে গন্ডাছড়া নিয়ে আসা হয়। এদিন মরদেহ নিয়ে গন্ডাছড়া গাছ বাগান মানেই সেবা ক্লাবের সদস্যরা বাইকে করে বিশাল এক মশাল রেলির মাধ্যমে গন্ডাছড়া বাজার পরিক্রমা করে নারায়নপুর হয়ে গাছ বাগান তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। মানেই সেবা ক্লাব সম্পাদক তরুণ চাকমা জানান সঞ্জয় দেব চাকমা ছিলেন ক্লাবের স্পোর্টস সেক্রেটারি। তার অকাল মৃত্যুতে ক্লাবের সদস্যরা শোকাহত মর্মাহত। তাই তার সদগতি কামনায় এদিন মশাল রেলির আয়োজন করা হয়। যাতে করে তার আত্মার শান্তি হয়। এদিনের মশাল রেলিতে ক্লাব সদস্যদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মত। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার রাতে পেঁচারথল থেকে গন্ডাছড়া ফেরার পথে গন্ডাছড়া বোধীচারিয়া স্কুলের কো-অর্ডিনেটর প্রভাঙ্কর ভান্তের ওয়াগনর গাড়ির সাথে অন্য একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পেঁচারথল শান্তিপুর গেট এলাকায়। ঘটনার পর স্কুলের কোঅর্ডিনেটর এবং তার গাড়ি চালক সঞ্জয় দেব চাকমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া যাওয়া হয়। তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রেফার করা হয় উনকোটি জেলা হাসপাতালে। জেলা হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গাড়ি চালক সঞ্জয় দেব চাকমাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অপরদিকে কোঅর্ডিনেটর প্রবাঙ্কর ভান্তেকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে। শুক্রবার ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে সঞ্জয় দেব চাকমার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয় । শুক্রবার রাতেই মরদেহ গন্ডাছড়া গাছ বাগান তার বাড়িতে পৌঁছলে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সহ গোটা এলাকার মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শনিবার বুদ্ধ ধর্মের রীতি নীতি মেনে সরমা নদীর পাড়ে তার অন্তুষ্টিক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। উল্লেখ্য সঞ্জয় দেব চাকমার তিন মেয়ে, স্ত্রী সহ বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে। এর মধ্যে ছোট মেয়ের বয়স তিন বছর। তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তার অকাল মৃত্যুতে গোটা গাছ বাগান এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

You may also like

Leave a Comment