প্রতিনিধি খোয়াই ১৩ ডিসেম্বর- বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুনের অভিজুক্তদের ১৪ দিনের জেল হাজত। গত ০৯ ডিসেম্বর খোয়াই গনকি এলাকার ঝড়েন্দ্র দাস ( মানিক) কে বাড়ি থেকে দেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করে এলাকারই মাধব দাস এবং রাজু উরিয়া নামক দুই ব্যাক্তি, পর্বরতি সময় ঝড়েন্দ্র দাসের স্ত্রী সুস্মিতা ঘোষের অভিযোগ মুলে ১০ ডিসেম্বর মাধব দাস এবং রাজু উড়িয়াকে গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। ১০ই ডিসেম্বর খোয়াই থানার পুলিশ অভিযুক্তদের পাঁচদনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে খোয়াই জেলা ও দায়রা আদালতে প্রেরন করলে , মাননীয় আদালত সমস্ত সাক্ষ প্রমানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে, এবং পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়ে আদালত । চারদিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে পুনারায় মঙ্গলবার তথা ১৩ ডিসেম্বর অভিযুক্তদের আদালতে প্রেরন করেন খোয়াই থানার পুলিশ। মাননীয় আদালত এই মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই তপন চন্দ্র দাসের রিপোর্ট মোতাবেক অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন, জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজিবি অভিজিত ভট্টাচার্জী। অন্যদিকে জানা যায় পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্ত মাধব দাস এবং রাজু উড়িয়া এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। অভিযুক্তদের স্বীকারউক্তি মোতাবেক, গত ০৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮.৩০ নাগাদ গনকি এলাকার জয়দেব দেবের দোকান থেকে কিছু সামগ্রী করছিলেন সেই সময় ঝড়েন্দ্র ওই দোকানে আসলে তাদের দুজনের মধ্যে কোন এক বিষয় বাকবিতণ্ডা বাধে সেই সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন রাজু উড়িয়া। পর্বরতি সময় ঝাড়েন্দ্র দাস এবং রাজু উড়িয়া ঘটনাস্থল থেকে চলে যান, অন্যদিকে মাধব দাস কোন একটা যায়গা থেকে ১২০ টাকার দেশীমদ ক্রয় করে অন্যত্র চলে যায়। রাত ৯ টার পর রাজু উড়িয়া ফের ঘটনাস্থলে ফিরে এসে দেখতে পান মাধব দাস নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই দোকানে দাড়িয়ে রয়েছে,এবং রাজু উড়িয়া ওই দোকানে গেলে, মাধব দাস রাজুকে ঝড়েন্দ্র দাসকে ফোন করতে বলে, রাজু উড়িয়াও মাধব দাসের কথামত ঝড়েন্দ্র দাসকে ফোন করে গনকি মূল সড়কের পাসে আসতে বললে, ঝড়েন্দ্রও রিতিমত মূল সড়কে আসলে, তাকে মাধব দাস রাজু উড়িয়া সহ বেশ কিছু লোকজন মিলে ঝড়েন্দ্র দাসকে মারধর এতে ঝড়েন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়। তবে এই ঘটনার সাথে আরও কে কে যুক্ত রয়েছে তা এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ এবং কি কারনে হত্যা করা হল ঝড়েন্দ্র দাসকে এমনকি যে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল ঝড়েন্দ্র দাসকে তার কিছুই এখন অব্দি উদ্ধার করতে পারিনি খোয়াই থানার পুলিশ ।
111
previous post