কল্যাণপুর প্রতিনিধি :
বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কল্যাণপুরে শক্তি পরীক্ষায় ১০০% সফল শাসক বিজেপি। ১৯৯৬ সালের সংগঠিত গণহত্যা নিহত ২৬ জনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য শহীদ স্মরণে শীর্ষক সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছিল আজ বিজেপি দলের তরফ থেকে। কল্যাণপুরের সোনার তরী মন্ত্রীর সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী,ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিজেপি দলের প্রদেশ কমিটির নেতৃত্ব হরিশঙ্কর পাল প্রমুখরা। সমাবেশ শুরুর আগে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্বেলিত এবং স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল গুলো একদিকে যেমন ৯৬ এর নরহ হত্যার তীব্র ভাষায় নিন্দা জ্ঞাপন করছিল, অন্যদিকে জোর গলায় ২০২৩ সালে বিজেপি সরকারের প্রত্যাবর্তনের পক্ষে সওয়াল করছিল।
যাবতীয় চক্রান্তের জাল ছিহ্ন করে রাজ্যের প্রবাহমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে, কোন অবস্থাতেই যাতে সন্ত্রাসবাদের কালো দিন ফিরে না আসে সেই বিষয়কে সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি সমস্ত অংশের মানুষের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।সমাবেশে আলোচনা রাখতে গিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। শ্রী ভট্টাচার্য বলেন গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বে যখন উন্নয়নমুখী সরকার পরিচালিত হচ্ছে তখন বাঁকা পথে ক্ষমতা দখল করার জন্য কংগ্রেস সিপিআইএম সহ বিরোধীরা সক্রিয় রয়েছে, এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ঘোলা জলে মাছ শিকার করার জন্য একাংশ কুচক্রীরা অনবরত চক্রান্ত করে চলেছেন। কল্যাণপুরের গণহত্যার প্রসঙ্গ সহ নব্বই এর দশক বা দীর্ঘ আড়াই দশকের বাম আমলের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ঘটনাকে টেনে এনে রাজিব ভট্টাচার্য দাবি করেন যে বাম আমলে দিকে দিকে সন্ত্রাসবাদ হতো, যে বাম আমলে দিকে দিকে খুন, সন্ত্রাস, অপহরণ এর মত ঘটনা গুলো সংঘটিত হতো সেই বাম আমলকে কোনভাবেই ত্রিপুরা রাজ্যে ফিরিয়ে আনা যাবে না। দিকে দিকে রাজনীতির নামে সজাগ সতর্ক থাকার আহ্বান যেমন শ্রী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ঠিক তেমনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি দল এই রাজ্যে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বলেই কল্যাণপুড়ে দাঁড়িয়ে অভিমত ব্যক্ত করলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি।
কল্যাণপুরের শহীদ সমাবেশে আলোচনা করতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী ৯৬ এ সংগঠিত হত্যাকান্ডের বিষয়ে সরাসরি সিপিআইএম জড়িত ছিল বলে দাবি করেন। ২৬টা তাজা প্রাণের বলি হলেও একবারের জন্যও শাসক দল তাদের স্মরণ করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন শাসনে উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এই শহীদ সমাবেশ থেকে এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানান শ্রী চৌধুরী। পাশাপাশি নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই, এই সময়ের মধ্যে চোখ কান খোলা রেখে যাবতীয় চক্রান্তের জাল প্রতিহত করে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে এই শহীদ সমাবেশ থেকে আহ্বান রাখেন কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী।
এই শহীদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন সোমেন গোপ, জীবন দেবনাথ, কল্যাণী রায়। অন্যান্যদের মাঝে মঞ্চে আসিন ছিলেন হরিশংকর পাল, জলি দেববর্মণ,ইন্দ্রানী দেব্বর্ম প্রমুখ নেতৃত্ব গণ।
সমাবেশ মঞ্চে বিজেপি দলের তরফ থেকে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা সূচক উপহার তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে সকালবেলা বাজার কলোনির বধ্যভূমিতে বিজেপি দলের তরফ থেকে শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি শহীদ সমাবেশ স্থলে উপস্থিত নেত্রীবৃন্দরা শহীদ বেদীতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।এই শহীদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শহীদ পরিবারের সদস্য সুনীল চন্দ্র গোপ। সমাবেশে বিপুল সমাগম যেন বার বার বলতে চাইছিল আগামী নির্বাচনে কল্যাণপুর প্রমোদনগর কেন্দ্রে বিজেপির জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কল্যাণপুরে শক্তি পরীক্ষায় BJP
106
previous post