ধর্মনগর প্রতিনিধি , ২৬ মে :—–ত্রিপুরা অসম মিলে দুই চুরাইবাড়ি পুলিশের চোঁখে ধুলো দিয়ে গাঁজা ও ফেনসিডিল পাচার অব্যাহত।ত্রিপুরার সবকটি পুলিশের নাকা পয়েন্ট সহ অসমের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের নাকা পেরিয়ে এবার গাঁজা ধরা পড়লো বারইগ্রামে।জানা গেছে,অসমের করিমগঞ্জ জেলার বরাইগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা BR-02AA-8561 নম্বরের একটি লরি থেকে শনিবার রাতে চৌদ্দ প্যাকেট শুকনো গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় স্হানীয় থানার পুলিশ।এতে মোট ১৪৩ কেজি,২৫৫ গ্রাম শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়।যার আনুমানিক কালোবাজারি মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা।বারইগ্রাম পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরা থেকে আসা করিমগঞ্জ অভিমুখী আসাম-আগরতলা আট নং জাতীয় সড়কে একটি খালি লরিকে ধাওয়া করে একটি অজ্ঞাত অল্টো গাড়ি।ঠিক বারইগ্রাম এলাকায় এসে অল্টো গাড়িটি লরিটির সামনে এসে গাড়িটিকে আটক করে।ততক্ষণে পথচলতি জনগণ এগিয়ে আসলে অল্টো গাড়িটি পালিয়ে যায়। একইভাবে অসম সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে আমবাসা পুলিশের হাতে আটক বিপুল পরিমাণ নেশার সিরাপ। ত্রিপুরার চুরাইবাড়ি সীমান্ত পেরিয়ে ধলাই জেলার বেতবাগান নাকা পয়েন্টে HR38R-9541 নম্বরের বারো চাকার লরি আসতেই ওসি গুরুপদ দেবনাথ গাড়িটি আটক করে তল্লাশি করেন।এরপরই গাড়িতে থাকা এই বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।ষাট কার্টুনে মোট ছয় হাজার ফেন্সি যার কালো বাজারিমূল্য প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা। এই অভিযানে আমবাসা পুলিশ ছাড়াও টিএসআর ও বিএসএফ জোয়ানরা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও এখবর পেয়ে ধলাই জেলা পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই ছুটে আসেন। উল্লেখ্য,ত্রিপুরার একাধিক থানার পুলিশ সহ অসম ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের চিরুনি তল্লাশি সম্পন্ন নাকা পয়েন্ট পেরিয়ে এলো এনিয়ে পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তথ্যবিজ্ঞ মহল।তাহলে কি ত্রিপুরার জাতীয় সড়কের পাশে থাকা থানা গুলি ও অসমের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টের পুলিশকে ম্যানেজ করে গাঁজা বোঝাই লরিটি অসমে প্রবেশ করেছে।তাই বলে কি সম্প্রতি কালে নেশা বিরোধী অভিযান থেকে হাত পা গুটিয়ে নিয়েছে ত্রিপুরা ও অসমের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের পুলিশ?প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। প্রশ্ন উঠেছে ত্রিপুরা চুরাইবাড়ি থানার ওসি সমরেশ দাসের বিরুদ্ধেও। তিনিও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় মরিয়া।কি করে শনিবার একই রাতে দুই দুইটি নেশা বোঝাই লরি রাজ্যে প্রবেশ করলো ও রাজ্য থেকে বেরিয়ে গেলো।
একই রাতে ত্রিপুরা অসম দুই রাজ্যের চুরাইবাড়ি পুলিশকে ধূলো দিয়ে গাঁজা ও ফেন্সি পাচার অব্যাহত।
245