ধর্মনগর প্রতিনিধি।
পরকীয়া সুপ্রিম কোর্ট ভারতবর্ষের মুখ্য বিচারালয় নির্দেশ দিয়েছেন যে তা এখন আর নিষিদ্ধ নয় কিন্তু পরকীয়ার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেশের অজস্র পরিবার। একের পর এক ঘটনা উঠে আসছে উত্তর জেলার সদর ধর্মনগর থেকে। আবাল বৃদ্ধ বনিতা কেউই বাদ যাচ্ছে না পরকীয়ার দৃষ্টান্ত থেকে। স্বামী-স্ত্রীর অবস্থা যাই হোক না কেন নষ্ট হচ্ছে পরিবার নষ্ট হচ্ছে পরিবারের বাচ্চারা। আলগাপুর ৫ নং ওয়ার্ড থেকে যে পরকীয়ার কাহিনী পাওয়া গেল তা অনেকটা রোমহর্ষ কর বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। গত ৭ই মে আনুমানিক সকাল ১১ টায় পাপিয়া দেব বয়স ২৩ বছর, বিয়ে হয়েছে নিশিন্ত দেবনাথ এর সাথে আট বছর হয় হয় অবস্থা। হাতের দুটি সন্তান রয়েছে বড় মেয়েটি প্রায় সাত বছর হয় হয় এবং ছোট মেয়েটি তিন বছরের। এই আট বছরে তাদের মধ্যে বিশেষ কোনো বিবাদ হয়নি। পেশায় রাজমিস্ত্রি নিশিন্ত দেবনাথ একটু শান্ত স্বভাবের। সারাদিন রাজমিস্ত্রি হওয়া য় রাতে একবার বাচ্চা স্ত্রীদের সাথে দেখা হয় আবার ভোরে বের হয়ে যায়। ৭ মে আনুমানিক 11 টায় পাপিয়া দেব এস এইচ জি এর রাজবাড়িতে টাকা জমা দেবে বলে বের হয়। তারপর রাতে যখন স্বামী ঘুরে যায় তখন তাদের মা ঘরে নেই। স্বামী তার মাকে জিজ্ঞেস করে স্ত্রী কখন কোথায় গেল তখন সাত বছর এবং তিন বছরের মেয়ে দুটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। আজ তিনদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল পাপিয়া দেবের কোন খোঁজ খবর নেই। একজন সুপারি বিক্রেতা এসেছিল তার সাথে ঘুরতে গিয়েছিল এতোটুকুই স্বামীর স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ। তবে বাচ্চা দুটো চেহারা দেখে স্বামী নিশীন্ত তিন দিন ধরে ঘুম নেই খাওয়া নেই শুধু দিনরাত বাচ্চাদের জন্য কেঁদে চলেছে। আরো কয়েকটা বছর হয়ে যেত অন্ততপক্ষে আট বছর পর চলে গেল বাচ্চাদের বড় করে নেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখতো তার স্বামী। এখন বাচ্চাদের চেহারা দেখে তাদের না খেতে পারার ভাব দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছে স্বামী। ধর্মনগর মহিলা থানার দারস্থ হয়েছে এখন দারস্ত হয়েছে সাংবাদিকদের যাতে কেউ হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে খুঁজে বের করে দেয় তার জন্য। একদিকে যেমন দুটি বাচ্চা তাদের মাকে খুঁজে পাবে তেমনি স্বামী খুঁজে পাবে তার স্ত্রীকে। ভালোবাসাবাসীর বিয়ে আট বছর অনেক কষ্টে মাত্র টিকল, বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে আরো কিছুদিন টিকানো প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছে এলাকাবাসীরা।
দুই সন্তান রেখে পালিয়ে গেল পরকীয়া তে আবদ্ধ জননী।
114
previous post