প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে গত ২৯শে মে থেকে শুরু হয়েছিল বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান।যা শেষ হবে ১২ই জুন।তার-ই অঙ্গ হিসেবে আজ ঊনকোটি জেলা ভিত্তিক বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারঘাট এর গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ,বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস,সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,সহকারি সভাধিপতি সন্তোষ ধর, কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুমতি দাস,কৃষি দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার স্বপন দাস,উদ্যান দপ্তরের অধিকর্তা দীপক কুমার দাস,কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র সাইন্টিস্ট বিশ্বজিৎ বল এবং আই সি এ আর এর সিনিয়র সেন্টিস্ট প্রাণনাথ বর্মন,মৎস্য দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর তারেন্দ্র দেববর্মা ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর তপন রায়। এছাড়াও মঞ্চে বিশেষ অতিথির আসন গ্রহণ করেন প্রগ্ৰেসিভ কাল্টিভেটর হীরালাল চৌধুরী।সমৃদ্ধি, সচ্ছলতা এবং আত্ম নির্ভরতার অঙ্গীকারে অঙ্গীকারবদ্ধ ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণে অভিনব এই উদ্যোগ গোটা রাজ্য ব্যাপী বাস্তবায়িত হয়েছে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন কৃষকদের কল্যাণে এবং কৃষি দপ্তরকে আরো জনমুখী ও কৃষক মুখী করতে প্রতিদিন এ রাজ্যের ৭২ টি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।২০১৮ সালের পূর্বে আই সি এ আর এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র রাজ্যের আটটি জেলায় থাকলেও তার সম্পর্কে কৃষকদের স্পষ্ট কোন ধারণা ছিল না। সরকার পরিবর্তনের পর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়ানো হয়েছে এবং তাদের সৃজনশক্তি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে কৃষকের আয় কিভাবে দ্বিগুণ করা যায় এবং তার রূপায়ণ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোকিত হয়।তিনি বলেন বিজ্ঞানীদের কাজ হচ্ছে মাঠে গিয়ে কৃষকের জমিতে মাটির গুণমান পরীক্ষা করা এবং সহজ পদ্ধতিতে অল্প পরিশ্রমে এবং কম খরচে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কিভাবে চাষ করা যায় সে সম্পর্কে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয় কৃষি বিজ্ঞানীদের।আজ তাদের কল্যাণে সারা ত্রিপুরা রাজ্যে কৃষি বিপ্লব শুরু হয়েছে। তাদের গবেষণায় গতি এসেছে।একটি পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন সারা রাজ্যে মোট ৬৫ লক্ষ কানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ লক্ষ কানিতে ফসল চাষ হয় এবং তার মধ্যে ১৫ লক্ষ কাণী জমিতে ধান চাষ হয় গোটা রাজ্যে। মাটি ছাড়াও কৃষিকাজ কিভাবে করা যায় তার ওপর রাজ্যের রিসার্চ সেন্টার নাগি ছড়ায় কৃষকদের গবেষণা শুরু হয়েছে।এছাড়াও সরকার পেঁয়াজ চাষের জন্য ২ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান ভর্তুকি হিসেবে দেখছেন।আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কৃষকদের ভুয়ষি প্রশংসা করেন মন্ত্রী শ্রীনাথ।অনুষ্ঠানের শেষে ঊনকোটি জেলার আট জন বিশেষ কৃষকদের সম্মাননা জ্ঞাপন করেন অতিথিরা।
97