
প্রতিনিধি, বিশালগড় ,।। গাঁজা পাচার করতে গিয়ে বিশালগড় থানার পুলিশের জালে ধরা পরেছিল সোনামুড়ার কর্ণজিৎ দাস। প্রায় তিন বছর পর মামলার সাজা ঘোষণা করে আদালত। অভিযুক্তকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে আদালত। সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে। জানা যায়,
গত ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশালগড়ের এসডিপিও অফিস সংলগ্ন জাতীয় সড়কে ৭০ কেজি শুকনো গাঁজা সহ গাঁজা পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে বিশালগড় থানার পুলিশ। গাঁজা পাচার কান্ডে অভিযুক্ত সোনামুড়ার আনন্দপুরের কুখ্যাত নেশা কারবারি কর্ণজিৎ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৭০ কেজি শুকনো গাঁজা ,গাড়ি এবং কর্ণজিৎকে আটক করে কর্ণজিতের বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় এনডিপিএস এক্টে মামলা রুজু করা হয়। মামলার নম্বর ০৮/২০২২ বিশালগড় থানা। অভিযুক্তকে দীর্ঘদিন জেল হেফাজতে রাখে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে পুলিশ। ১১ জনের সাক্ষ গ্রহণের পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সোমবার বিশালগড় মহকুমা আদালতের বিচারপতি দেবাশীষ করের এজলাসে এই মামলার রায় প্রদান করা হয়। কর্ণজিত দাস কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত । এই মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবি গৌতম গিরি এই তথ্য জানান। এই মামলার রায় ঘোষণার পর মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নিয়েছে প্রশাসন। তা ফের একবার প্রমাণিত হলো। সরকারের নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স নীতিতে নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হতে যাচ্ছে প্রশাসন। এই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ঘোষণায় সচেতন নাগরিক মহল অত্যন্ত খুশি।