Home » গরু কারবারীদের দৌড়াত্মে উত্তর জেলা পুলিশ প্রশাসন হেস্তনেস্থ, এবার সচেতন সাধারণ জনগণ পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিল নয়টি গরু।

গরু কারবারীদের দৌড়াত্মে উত্তর জেলা পুলিশ প্রশাসন হেস্তনেস্থ, এবার সচেতন সাধারণ জনগণ পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিল নয়টি গরু।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আবার দুই গরু কারবারি বোছু মিয়া এবং সুন্দর মিয়ার গরু কারবারে বাঁধার সৃষ্টি করে এবার এগিয়ে এলো জনসচেতন সাধারণ মানুষ। উল্লেখ্য গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার 22 আগস্ট ছিল রামনগর বাজারের হাটবার। প্রতিটি হাটবারে গরু পাচারের কারবারীরা তাদের দৌরাত্ম কায়েম করে। কৈলাশহর এর সুন্দর মিয়া এবং ফটিকরাইয়ের বাছু মিয়ার হাত ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ গাড়িগাড়ি গরু পাচার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল আগের থেকেই পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে ভিত্তিতে তথ্য এসেছিল, বেশ কিছু গরু রামনগর বাজার থেকে কৈলাশহর বা ফটিক রায়ের উদ্দেশ্যে পাচারের জন্য যাবে। সেই সূত্র কে ভিত্তি করে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন এবং বিএসএফের জোয়ানরা বিভিন্ন এলাকায় কঠোর নজরদারি গড়ে তুলেছিল। তাদেরকে ফাঁকি দিতে না পেরে একটি বলেরো গাড়িতে নয়টি গরুকে নিয়ে উপ্তাখালীর ক্ষুদ্রাকান্দি এলাকার কামাল উদ্দিনের বাড়িতে রাত্র ১০ঃ০০ টায় নিয়ে রেখেছিল মিঠুন দাস। বাড়ির মালিক কামাল উদ্দিন জানায়, তাদের ভাতিজা কখনো কখনো একটি গাড়িকে তাদের বাড়িতে নিয়ে রাখে। কিন্তু গতকাল এই গাড়িতে যে নয়টি গরুর রয়েছে তা কামাল উদ্দিন এর জানা ছিল না। রাত্র দশটা থেকে সকাল ৯ঃ০০ টা পর্যন্ত এই নয়টি গরুকে একটি বোলেরো গাড়িতে রেখে তারপর যখন গাড়ির চালক গরুগুলিকে গাড়ি থেকে বের করে তখন সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। উপ্থাখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাপলু দাস জানায় গতকালকে রামনগর বাজারে গিয়ে গরুর দামের জন্য সে গরু কিনতে পারেনি। সকালে তার বাবা তাকে বলে বাজারে গিয়ে গরু পাসনি অথচ পাশের বাড়িতে দেখ কতগুলো গরু রয়েছে। তখন পাপলু দাস কামাল উদ্দিনের বাড়িতে এসে গরুগুলি দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করে এই গরুগুলির মালিক কে। তখন গাড়িচালক এগিয়ে গিয়ে বলে সে গরুগুলির মালিক। তখন তাকে কোথা থেকে গরুগুলি ক্রয় করেছে তার মেমো দেখানোর জন্য জিজ্ঞাসা করায় সে কোন মেমো দেখাতে পারেনি। অবস্থা বেগতিক দেখে গাড়িচালক মিঠুন দাস এখান থেকে পলায়ন করে গাড়ি নিয়ে। কিন্তু গরুগুলিকে ফেলে চলে যায়। গ্রামবাসীরা জানায় গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসা করায় সে নাকি বলেছিল রাস্তায় বিএসএফের করা জরিদারের জন্য সে রাত্রিবেলা গরুগুলিকে কুমারঘাট নিয়ে যেতে পারেনি। তারা সোজা রাস্তায় না গিয়ে কৈলাশহর হয়ে গরুগুলিকে নিয়ে ফটিকরায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। গ্রামবাসীরা আরো জানায় এই এলাকা দিয়ে মিঠুন দাস, লিটন দাস ওরফে নান্টু এবং সুমন দাস গরু কারবারিদের গরু পারাপারে সাহায্য করে। গরুগুলিকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার পর গ্রামবাসীরা প্রশাসনের আশ্রয় গ্রহণ করে পানিসাগর থানায় খবর দেয় এবং পানিসাগর থানা থেকে পুলিশ এসে গরুগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দুই কুখ্যাত গরু কার বারি বোছু মিয়া এবং সুন্দর মিয়ার কারণে উত্তর জেলার পরিস্থিতির উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একে অপরকে দমন করে দুর্নীতির কারবার বিস্তৃত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অবস্থা যেভাবে বীভৎস আকার ধারণ করছে তাতে দুই একজনের লাশ পড়ে গেলেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না। তবে এই ধরনের অন্তরাষ্ট্রীয় চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা যেভাবে সচেতন ভূমিকা পালন করছে তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় মিঠুন, নান্টু এবং সুমন তারা যদি সাহায্য না করে তাহলে গরু কারবারিদের দৌরাত্ম্য এবং এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠে এসেছে।

You may also like

Leave a Comment