দোলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করল সাব্রুম থানার পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ২০ শে মার্চ দোলবারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে গিয়ে দেখতে পায় স্কুলের আইসিটি ল্যাবটির তালা ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে এবং ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় সেখানে থাকা নয়টি ল্যাপটপ নেই। এই ঘটনা পরিলক্ষিত করতে পেরে সাথে সাথে সাবরুম থানায় খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরবর্তী সময়ে গতকাল দোলবারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক চুরি হওয়া নয়টি ল্যাপটপের সম্পূর্ণ নথিপত্র দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন । সাব্রুম থানার পুলিশ সাবরুম পিএস কেস নাম্বার ১৭/২০০২৩ ৪৫৭ ও ৩৮০ আইপিসি ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং সাব্রুম থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি এই চুরি কাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরার জন্য একটি পুলিশের টিম তৈরি করে এবং বিভিন্ন সোর্স লাগিয়ে 22 শে মার্চ নওপাড়া এলাকার জুলন নমঃ বাড়ির পেছনে একটি বস্তা মধ্যে থেকে তিনটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয় এবং পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পরবর্তী সময়ে সজল নমঃ বাড়ি থেকে আরও চারটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে সাবরুম থানার পুলিশের কাছে খবর আসে সিংবিল এর বিজয়নগর এলাকায় একটি ল্যাপটপ বিক্রি করতে যায় সজল নম ও ঝুলন নম ঃ তখন পাড়ার লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তারা সেখানে ল্যাপটপটি রেখে পালিয়ে যায় এলাকার লোকজন সাথে সাথে খবর দেয় সাব্রুম থানার পুলিশকে পুলিশ গিয়ে সেই ল্যাপটপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সাবরুম থানায় এ নিয়ে মোট ৯টির মধ্যে আটটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে সাব্রুম থানার পুলিশ । এই ঘটনায় ল্যাপটপ উদ্ধার এর পেছনে এলাকার জনগণ সাহায্য করেছে সাব্রুম থানার পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন সাব্রুম থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি। তিনি আরো জানান বাকি একটি ল্যাপটপের খোঁজ চলছে খুব সহসায় সেটিও উদ্ধার করা হবে বলে জানান। এই চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রতন নম , চন্দন নম, বিকাশ দেবনাথ এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাব্রুম থানার ওসি আরো জানান এই ঘটনার যারা মাস্টারমাইন্ড সজল নম ও ঝুলন নম তাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি তবে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দোলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করল সাব্রুম থানার পুলিশ।
244
previous post