Home » চোরাই বাড়ি থানার পুলিশের কর্তব্যে অবহেলার কারণে পুলিশ সাধারণ মানুষের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ ,লাঠিচার্জ, হতাহত বেশ কয়েকজন।

চোরাই বাড়ি থানার পুলিশের কর্তব্যে অবহেলার কারণে পুলিশ সাধারণ মানুষের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ ,লাঠিচার্জ, হতাহত বেশ কয়েকজন।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
দিন কয়েক আগে লক্ষ্মীনগর গ্রামে একটি ডাকাতির ঘটনায় এক যুবককে চিহ্নিত করা হয় । রবিবার রাত অনুমানিক একটা নাগাদ সেই সন্দেহভাজন যুবককে চিহ্নিত করার পর চুরাইবাড়ি থানার পুলিশকে এই খবর জানানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। অভিযোগ সেখান থেকে ওই অভিযুক্ত ডাকাতকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসতে চাইলে তাদের বাঁধা দেয় ওই গ্রামের কিছু উশৃংখল যুবক। তাদের দাবি ওই ওই অভিযুক্ত ডাকাতকে তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। এরপরই পুলিশ কোন মতে অভিযুক্তকে নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। অভিযোগ এরপর গ্রামের কিছু যুবক দা,লাঠি, রড ভোসালি নিয়ে প্রথমে পুলিশের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করো পরবর্তীতে পুলিশের গাড়ির পেছেন পেছন দাওয়া করে থানার সামনে পর্যন্ত আসে অভিযুক্তকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। তাদের দাবি কিছু সময়ের জন্য পুলিশের হাতে আটক হওয়া ওই ডাকাতকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। আর এই ডাকাতকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশের গাড়ি সহ পুলিশের উপর দা ভুছালি লাটি লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালায় একদল যুবক বলে জানা চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায় । এই আক্রমণে থানার ওসি সহ পুলিশ অফিসার ও বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয় এবং TR01BH/0649 নম্বরের বলেরো একটি গাড়ির পিছনের আয়না ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনার খবর জানতে পেরে থানা সহ সামনে ডিউটিরত নাকাপয়েন্টে থাকা পুলিশ ও টিএসআর নিয়ে মাঠে নামানে ওসি সমরেশ দাস গ্রামের যুবকদের থেকে পুলিশ ও অভিযুক্তকে বাঁচাতে তিনি দলবল নিয়ে মাঠে নামেন থানার সামনে । আর তখনই পুলিশের উপর আক্রমণ সংঘটিত করে গ্রামের ওই উশৃংখল যুবক দল। থানার ভেতরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে । এরপরই তাদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন বাইক নিয়ে পালিয়ে গেলেও ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ আজ 148/149/448/353/333/506/427 OF IPC & 3/4 the prevention of Damage to public property Act 1984 ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করেছে যার নম্বর 17/2024 চুড়াইবাড়ি থানা। ইতিমধ্যে গতকাল রাত ছয় জনকে আটক করতে সক্ষম হয় যারা পুলিশের পিছু দাওয়া করে থানায় এসেছিল। তারা হলো যথাক্রমে অনুপ নাথ (৩০) পিতা উপেন্দ্র নাথ বাড়ি লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ড এলাকার, অপরজন অজয় দেবনাথ(২৭) পিতা রসময় দেবনাথ বাড়ি লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায়, ওপর চারজন পবিত্র নাথ (৩৫) পিতা সুবোধ নাথ, দীপক গোস্বামী (২৯) পিতা কানাইলাল গোস্বামী, অনিমেষ নাথ (৩৭) পিতা অরুণ চন্দ্রনাথ, বিজিত নাথ (৩৪)পিতা বিজয় কুমার নাথ বাড়ি তাদের বাড়ি বাড়ি লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ড এলাকায়। তাদের কাছ থেকে দা,লাঠি,রড,ভোজালি, ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ । ঘটনার খবর পেয়ে চুরাইবাড়ি থানায় ছুটে আসেন ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা। আনা হয় ধর্মনগর, কদমতলা,বাগবাসা থানার পুলিশ । সন্দেহভাজন যে আটক করা হয়ছে তার নাম জসীম উদ্দিন (১৯)পিতা আলা উদ্দিন বর্তমানে অক্ষত অবস্থায় চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান,ঘটনাটি পুলিশের উপর মহলকে অবগত করা হয়েছে । গোটা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ তাই তিনি কোন প্রতিক্রিয়া দেননি। গোটা ঘটনায় চুরাইবাড়ি থানা এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের মতে সঠিক সময়ে চুড়াইবাড়ি থানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না এবং আধিকারিকরা সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই ধরনের যোজনা এবং আহতদের খবর হতো না। পুলিশ সাধারণ মানুষের বন্ধু না হয়ে এখানে শত্রুর তালিকায় পর্যবেষিত হতে চলেছে। তার জন্য প্রকৃত দোষীকে শনাক্ত করে সঠিক শাস্তির ব্যবস্থা করলে তবেই স্বস্তি ফিরে আসবে।

You may also like

Leave a Comment