Home » বড় সাফল্যের পথে উত্তর জেলা পুলিশ, ধারণা করা হচ্ছে তাদের হাত দিয়েই রাজ্যে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের আমদানি হয়।

বড় সাফল্যের পথে উত্তর জেলা পুলিশ, ধারণা করা হচ্ছে তাদের হাত দিয়েই রাজ্যে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের আমদানি হয়।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রাজ্যের পরিস্থিতি একদিকে নেশা কারবারীরা অন্যদিকে নেশা কারবারকে তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যেসব আগ্নেয়াস্ত্রীর দরকার হয় এখন সেইসব আগ্নেয়াস্ত্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আসতে শুরু করেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠে এসেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে একটি লাল রঙের অলটো গাড়ি নম্বর টি আর জিরো টু ডি,০৭৯০ কে বাগ বাসা আউটপোষ্টের পুলিশ তল্লাশি করলে সন্দেহজনকভাবে দুজনকে ধরা হয়। তাদের কাছে দুটি মোবাইল ছিল এই মোবাইল গুলিতে অনেক আপত্তিকর বেআইনি ছবি পাওয়া যায়। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এগুলিকে গোপনে রেখে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে এই দুইজন আসামের করিমগঞ্জ জেলার বাহারুল ইসলাম এবং আজিজুল রহমান মিয়া। রাজ্যের বিভিন্ন বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসার সাথে তাদের একটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাজধানী আগরতলার সাথে একটি চক্র তাদেরকে বহি রাজ্য থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আমদানিতে মদত দিচ্ছে যাতে করে রাজ্যের শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত করে বন্দুক রাজ চালু করা যায়। উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী তাদেরকে বিশেষ নজরে রেখে তল্লাশি জারি রেখেছেন। এদিকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশে পাচার করতে গিয়ে ৪৫ কেজি চিনিসহ নয়ন চৌহান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ধর্মনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। সোমবার সকালে ধর্মনগর রেল স্টেশন থেকে বেনু দেবী নামে এক মহিলাকে ধর্মনগর থানার পুলিশ সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করে তল্লাশিতে তার কাছ থেকে ছয় কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। বেনু দেবীর বাড়ি বিহার রাজ্যের সমস্তিপুর। তবে রাজ্যে যেভাবে নেশার পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রের আগমন কতিপয় দুষ্কৃতী শুরু করেছে তাতে সাধারণ ত্রিপুরাবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। যদিও উত্তর জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অনেক নেশা কারবারি এবং আগ্নেয়াস্ত কারবারি তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে ব্যর্থ হচ্ছে।

You may also like

Leave a Comment