প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৫ ফেব্রুয়ারি:- গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকা বর্তমানে এক গভীর সমস্যায় পড়ে গেছে, যেখানে চুরি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দিন দিন বেড়ে চলছে। শুক্রবার, গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের কেন্টিনে চুরির ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। দোকান মালিক রতন রায় জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। পরদিন সকালে দোকান খুলতে এসে দেখেন তার ঘরের দরজার তালা ভাঙ্গা। ঘরে ঢুকে তিনি দেখতে পান, চোরেরা কেস বাক্স ভেঙে নগদ আট হাজার টাকা সহ অন্যান্য মূল্যবান মালপত্র নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর গন্ডাছড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করলেও, এখনও পর্যন্ত কোন উপযুক্ত ফলাফল পেতে পারেনি।
এটি একেবারে নতুন ঘটনা নয়, গন্ডাছড়া মহকুমা এবং তার আশপাশের বাজারগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই এমন চুরির ঘটনা ঘটছে। মানুষের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে চুরি করা হচ্ছে এবং এই চক্রটি কার্যত এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি গন্ডাছড়া-আমবাসা রোডে যানবাহন থামিয়ে লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ নিঃসন্দেহে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কিছু মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, নেশাখোররা এই সমস্ত অপরাধ করছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে, চুরির ঘটনা কেবলমাত্র একটি পরিকল্পিত অপরাধী চক্রের কাজ। এই চক্রটি গন্ডাছড়াকে অস্থির করে তুলতে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করছে।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ বেড়েছে। শহরবাসী দাবি তুলেছেন যে, পুলিশকে দিন-রাত টহল দিতে হবে এবং চুরির চক্রটি রোধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গন্ডাছড়া মহকুমায় অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জনগণ আর কোনোভাবেই নিরাপদ বোধ করছে না। তাই পুলিশের সঙ্গে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
সবশেষে, গন্ডাছড়ার বর্তমান পরিস্থিতি জনগণের জন্য এক বিশাল সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন এবং পুলিশ যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে এই অস্থিরতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং পুরো এলাকাটি আরও বিপদজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে।
গন্ডাছড়া হাসপাতালের কেন্টিনে দুঃসাহসিক চুরি
80
previous post