ধর্মনগর প্রতিনিধি, ১৬ এপ্রিল:—–ঝান্ডিমুন্ডার আসরে ওসির থাবা। উদ্ধার জুয়ার বোর্ড সহ ধৃত আট জুয়ারী ও বাইক চোর।
সম্প্রতি উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় চড়ক পূজা উপলক্ষে জুয়ারীরা তাদের জন্ডি মুন্ডা খেলার বোর্ড ও ডাইস নিয়ে প্রায় প্রতিটি চড়ক মেলায় জুয়ার আসর বসাচ্ছে।তাতে অবশ্য অনেক পুলিশ বাবুদের গোপন সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ।অনুরুপ সোমবার বিকেলে কদমতলা থানাধীন হুরুয়া এলাকায় চড়ক পূজায় জান্ডি মুন্ডা জুয়ার আসর বসায় জুয়ারিরা।সেই খবরটি আসে কদমতলা থানার ওসি জয়ন্ত দেবনাথের নিকট।সেই খবরের উপর ভিত্তি করে ওসি দলবল নিয়ে হুরুয়া এলাকার চড়ক পূজার পাশের একটি স্থান থেকে হাতেনাতে জান্ডি মু্ন্ডা খেলার সরঞ্জাম সহ আট জুয়ারিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।তিনি জানান, সামনেই লোকসভা নির্বাচন,আর সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।তার সাথে জুয়া বিরোধী অভিযানও জারি রয়েছে।শনিবারও জুয়ার সামগ্রী সহ কয়েকজন জুয়ারীকে আটক করা হয়েছিল।আর সোমবার সন্ধ্যার পরও জুয়া খেলা চলাকালীন সময় পুলিশ অভিযান চালালে এই সাফল্য আসে। তিনি জানান, জান্ডি মুন্ডার বোর্ড, ডাইস সহ নগদ প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।সাথে আটক করা হয় মঞ্জুরুল হক,বিধান ঋষি, প্রসেনজিৎ সিনহা,সিমেন উদ্দিন, বাদশা মিয়া,দুলাল রায় ওরফে ঝুনু, জিতেন্দ্র শুক্লবৈদ্য ও সুজিত কুমার শুক্লবৈদ্যকে।সকলের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয়েছে।এদিকে পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, কদমতলা থানা এলাকায় জূয়া খেলার মদত দিয়ে যাচ্ছেন থানার সেকেন্ড ওসি।আর ওসিকে বদনাম করে বাড়তি কামাই বানিজ্যে ব্যস্ত সেকেন্ড ওসি। অপরদিকে ধৃত আট জুয়ারীর মাঝে ধর্মনগর রাজবাড়ীর বাসিন্দা সিমেন উদ্দিন(৩০) এবং উত্তর হুরুয়ার মঞ্জুরুল হককে(২৮) বাইক চুরির মামলায় গ্রেফতার করে ধর্মনগর থানার হাতে সমঝে দেওয়া হয়।এদিন রাতেই ধর্মনগর থানার পুলিশ ধৃত দুই বাইক চোরকে ধর্মনগর থানায় নিয়ে যায়।ধর্মনগর থানার পুলিশ থেকে জানা গেছে,ধৃত দুই বাইক চোরকে পুলিশি রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার সকালে ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ঝান্ডিমুন্ডার আসরে ওসির থাবা। উদ্ধার জুয়ার বোর্ড সহ ধৃত আট জুয়ারী ও বাইক চোর।
167